ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই বিপ্লবের নায়ক শহীদ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদে শুক্রবার দিনভর বিক্ষোভে উত্তাল ছিল বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিন্ন দাবিতে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচির মধ্যে ছিল মসজিদে মসজিদে বিশেষ দোয়া, বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ, কফিন মিছিল ও ব্লকেডের মতো কর্মসূচি। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ছাড়াও জুলাই আন্দোলনে বিভিন্ন প্লাটফর্ম ও পেশাজীবী নেতারা অংশ নেন।
জানা যায়, শুক্রবার জুমার নামাজের নগরের আন্দরকিল্লা মসজিদ থেকে জুলাই ঐক্য নাম একটি সংগঠন প্রতীকী লাশ নিয়ে কফিন মিছিল বের করে। মিছিলটি আন্দরকিল্লা থেকে শুরু হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জামালখানে সমাপ্ত হয়।
এসময় বিক্ষোভকারীরা হাদি হত্যায় জড়িত সন্ত্রাসীদের ভারত থেকে ফিরিয়ে এনে বিচার নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। এতে ব্যর্থ হলে এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
একই সময়ে নগরীর জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ থেকে বিক্ষোভ বের করে ছাত্র জনতা। এতে একাত্মতা পোষণ করে ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ শাখা। একই স্থান থেকে খেলাফত মজলিসের নেতাকর্মীরা আলাদা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। অপরদিকে বিকেল তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত নগরীর বন্দরের স্লটগোলা এলাকায় গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা ব্লকেড কর্মসূচি পালন করে।
শিবিরের নেতৃত্বাধীন ছাত্র জনতার মিছিলটি লালখান বাজার, টাইগারপাস হয়ে দেওয়ানহাটে গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, হাদিকে গুলি করার দশ মিনিটের মধ্যে ভিডিও ভাইরাল হয়। এক ঘন্টার মধ্যে হত্যাকারীদের পরিচয় প্রকাশ পায়। তারপরও সাতদিনে তাদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি প্রশাসন। হত্যাকারীরা নির্ভিঘ্নে হত্যাকাণ্ড চালিয়ে ভারতের মদদে সীমান্ত পার হতে পারে। আমাদের সীমান্ত রক্ষীরা সীমান্তের নিরাপত্তা রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আগের মতোই একে অন্যের উপর দায় চাপানোর ব্যর্থ চেষ্টা করছে।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

