
প্রতিনিধি, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী)

পটুয়াখালীর মহিপুর-আলিপুর মৎস্য বন্দর এখন জাটকা ইলিশে সয়লাব। প্রতিদিন এখানে প্রায় অর্ধকোটি টাকার জাটকা কেনাবেচা হচ্ছে। অথচ সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, গত ১ নভেম্বর থেকে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ২৫ সেন্টিমিটারের কম দৈর্ঘ্যের ইলিশ (জাটকা) ধরা, পরিবহন, বিক্রি, মজুত ও বাজারজাতকরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ (সংশোধিত) অধ্যাদেশ-২০২৫ এবং মৎস্য সুরক্ষা বিধিমালা-১৯৮৫ অনুযায়ী, এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ—বন্দরে নিষেধাজ্ঞার বাস্তব প্রয়োগ কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ।
সরেজমিনে দেখা যায়, বন্দরের প্রায় সব আড়তেই জাটকা ইলিশের স্তূপ জমে আছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে দেদারসে বেচাকেনা। প্রশাসনের অভিযান মূলত মহাসড়ক ও পরিবহন নিয়ন্ত্রণে সীমাবদ্ধ। নৌ-পুলিশ, কোস্ট-গার্ড ও উপজেলা প্রশাসন মাঝে মাঝে সড়কে ট্রাক আটকে জাটকা জব্দ করলেও বন্দর এলাকায় দৃশ্যমান কোনো অভিযান নেই।
একাধিক আড়ত শ্রমিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘প্রতিদিন বন্দরে বিপুল পরিমাণ জাটকা ওঠে–বিক্রি হয়। কোস্ট-গার্ড মাঝে মাঝে মহাসড়কে অভিযান চালায়, কিন্তু বন্দর এলাকার ভেতরে আসে না। ফলে ব্যবসা থেমে থাকে না।’
মহিপুর-আলিপুরের কয়েকজন জেলে জানান, সাগরে এখন বড় ইলিশ তুলনামূলক কম। জাল ফেললেই জাটকা ধরা পড়ে। তাই তারা বাধ্য হয়েই জাটকা ধরেন। এছাড়া সংসার, বাচ্চাদের খরচ—বিকল্প আয় না থাকায় অন্য কোনো উপায় থাকে না। সরকার যদি এই নিষেধাজ্ঞার সময় তাদের জন্য টেকসই জীবিকা বা সহায়তার ব্যবস্থা করতেন, তাহলে জাটকা ধরার প্রয়োজন হতো না।
মো. কাওসার নামে স্থানীয় এক চালানি আড়ৎদার বলেন, ‘এ দায় শুধু জেলে বা ব্যবসায়ীদের নয়। বাজারে চাহিদা আছে বলেই জাটকা বিক্রি হয়। প্রশাসন চেষ্টা করছে ঠিকই, কিন্তু পুরো বন্দর এলাকা একসাথে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।’
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরবর্তীতে তার হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠানো হলেও কোনো উত্তর মেলেনি।
তবে পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল হোসাইন বলেন, ‘আমরা সড়কে কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করেছি। খুব শিগগিরই বন্দর এলাকার ভেতরেও অভিযান জোরদার করা হবে।’
কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসীন সাদেক বলেন, ‘আমরা বেশ কয়েকটি জাটকা বিরোধী অভিযান চালিয়েছি। জব্দ করা মাছ এতিমখানা ও মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি—শুধু মহাসড়কে নয়, মূল বন্দর এলাকাতেও নিয়মিত ও সমন্বিত অভিযান চালানো না হলে নিষেধাজ্ঞার সুফল মিলবে না এবং ভবিষ্যতে ইলিশের প্রজনন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।

পটুয়াখালীর মহিপুর-আলিপুর মৎস্য বন্দর এখন জাটকা ইলিশে সয়লাব। প্রতিদিন এখানে প্রায় অর্ধকোটি টাকার জাটকা কেনাবেচা হচ্ছে। অথচ সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, গত ১ নভেম্বর থেকে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ২৫ সেন্টিমিটারের কম দৈর্ঘ্যের ইলিশ (জাটকা) ধরা, পরিবহন, বিক্রি, মজুত ও বাজারজাতকরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ (সংশোধিত) অধ্যাদেশ-২০২৫ এবং মৎস্য সুরক্ষা বিধিমালা-১৯৮৫ অনুযায়ী, এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ—বন্দরে নিষেধাজ্ঞার বাস্তব প্রয়োগ কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ।
সরেজমিনে দেখা যায়, বন্দরের প্রায় সব আড়তেই জাটকা ইলিশের স্তূপ জমে আছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে দেদারসে বেচাকেনা। প্রশাসনের অভিযান মূলত মহাসড়ক ও পরিবহন নিয়ন্ত্রণে সীমাবদ্ধ। নৌ-পুলিশ, কোস্ট-গার্ড ও উপজেলা প্রশাসন মাঝে মাঝে সড়কে ট্রাক আটকে জাটকা জব্দ করলেও বন্দর এলাকায় দৃশ্যমান কোনো অভিযান নেই।
একাধিক আড়ত শ্রমিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘প্রতিদিন বন্দরে বিপুল পরিমাণ জাটকা ওঠে–বিক্রি হয়। কোস্ট-গার্ড মাঝে মাঝে মহাসড়কে অভিযান চালায়, কিন্তু বন্দর এলাকার ভেতরে আসে না। ফলে ব্যবসা থেমে থাকে না।’
মহিপুর-আলিপুরের কয়েকজন জেলে জানান, সাগরে এখন বড় ইলিশ তুলনামূলক কম। জাল ফেললেই জাটকা ধরা পড়ে। তাই তারা বাধ্য হয়েই জাটকা ধরেন। এছাড়া সংসার, বাচ্চাদের খরচ—বিকল্প আয় না থাকায় অন্য কোনো উপায় থাকে না। সরকার যদি এই নিষেধাজ্ঞার সময় তাদের জন্য টেকসই জীবিকা বা সহায়তার ব্যবস্থা করতেন, তাহলে জাটকা ধরার প্রয়োজন হতো না।
মো. কাওসার নামে স্থানীয় এক চালানি আড়ৎদার বলেন, ‘এ দায় শুধু জেলে বা ব্যবসায়ীদের নয়। বাজারে চাহিদা আছে বলেই জাটকা বিক্রি হয়। প্রশাসন চেষ্টা করছে ঠিকই, কিন্তু পুরো বন্দর এলাকা একসাথে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।’
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরবর্তীতে তার হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠানো হলেও কোনো উত্তর মেলেনি।
তবে পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল হোসাইন বলেন, ‘আমরা সড়কে কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করেছি। খুব শিগগিরই বন্দর এলাকার ভেতরেও অভিযান জোরদার করা হবে।’
কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসীন সাদেক বলেন, ‘আমরা বেশ কয়েকটি জাটকা বিরোধী অভিযান চালিয়েছি। জব্দ করা মাছ এতিমখানা ও মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি—শুধু মহাসড়কে নয়, মূল বন্দর এলাকাতেও নিয়মিত ও সমন্বিত অভিযান চালানো না হলে নিষেধাজ্ঞার সুফল মিলবে না এবং ভবিষ্যতে ইলিশের প্রজনন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।

বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আবদুল্লাহ বলেছেন, সাংবাদিকদের দলীয় দাসত্ব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নিজের দলের আদর্শের অনুসারী সরকার থাকলেও চোখে চোখ রেখে অধিকারের প্রশ্নে কথা বলার সৎ সাহস থাকতে হবে।
৪২ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দীর্ঘদিনের ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক মাদক কারবারি স্বপন মিয়া (৩৪) অবশেষে পুলিশের অভিনব কৌশলের ফাঁদে ধরা পড়েছেন।শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের কুঞ্জবন এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্বপন মিয়া দীর্ঘদিন ধরে
১ ঘণ্টা আগে
আমার দেশ-এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এহতেশামুল হক শাওন ও স্টাফ রিপোর্টার কামরুল হোসেন মনির ওপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার বেলা সোয়া ৩টার দিকে নগরীর শিববাড়ি মোড়ের সুলতান ডাইন রেস্টুরেন্টের নিচে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত দুই সাংবাদিককে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
এ সময় দুর্বৃত্তরা বেশকিছু নাট খুলে ফিশপ্লেট আলাদা করে সিগন্যাল বাতির সাথে বাঁকা করে বেঁধে দেয়। খবর পেয়ে জিআরপি, পুলিশ ও রেল কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে মেরামত কাজ করায় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়। স্থানীয়রা জানায়, গেটম্যান আমিনুল ইসলাম সকালে দায়িত্ব পালনে গিয়ে রেললাইনের ওপর এক টুকর
২ ঘণ্টা আগে