চট্টগ্রাম-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা লায়ন আসলাম চৌধুরীর স্থাবর ও অস্থাবর মিলে প্রায় ৪ শত ৫৬ কোটি ৯৫ লাখ ৭ হাজার টাকার সম্পদ রয়েছে। তবে তার ঋণ চট্টগ্রামের অন্যান্য প্রার্থীদের চেয়ে সবচেয়ে বেশি।
বর্তমানে তার সর্বমোট ঋণ রয়েছে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে পাঁচটি ব্যাংকে ও অন্যান্য মিলে তার ঋণ রয়েছে ৩৫৪ কোটি ৪১ লাখ ৬৩ হাজার ২৬৯ টাকা। এছাড়াও জামিনদার হিসেবে তার ঋণের পরিমাণ ১০৫৯ কোটি টাকা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ডিরেক্টর হিসেবে ২৮৫ কোটি টাকা।
তার ঋণের পরিমাণ সম্পদের তুলনায় ২৪.২৫ গুণ বেশি। যদিও বিএনপির এই নেতা এসব ঋণে বেশিরভাগই জামিনদার ও ডিরেক্টর হওয়ার সুবাদে হয়েছেন বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।
মনোনয়নপত্রের সাথে দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আসলাম চৌধুরীর ঋণ বেশি হলেও তার নগদ অর্থও সবচেয়ে বেশি। বর্তমানে তার কাছে নগদ অর্থ রয়েছে ১১ কোটি টাকা। এছাড়াও মামলার দিক থেকে তিনি এগিয়ে রয়েছেন।
তার রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ১৩২টি। এর মধ্যে নিজ এলাকা সীতাকুণ্ডে তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ৬টি, চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় ৫টি, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় এনআই এ্যাক্টের মামলা আছে ৬৭টি, ঢাকায় রাজনৈতিক মামলা রয়েছে ২টি। সর্বমোট তার মামলার সংখ্যা ১৩২টি। তবে ৮০টি মামলা চলমান থাকলেও ৫২টি মামলা ৫ আগস্টের পর থেকে খালাস হয়ে গেছে।
তার প্রধান আয়ের উৎস ব্যবসা। এই খাতে তার বার্ষিক আয় হয় ৪৮ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। শেয়ার, বন্ডে আয় মাত্র ৫ হাজার ৩৪১ টাকা। তার ব্যাংক জমাও মাত্র ১ লাখ ২৩ হাজার ৪২ টাকা। আর বৈদেশিক মুদ্রা আছে ৬২ হাজার ৫০০ টাকার। এছাড়াও কোম্পানীর শেয়ার আছে ৯ কোটি ৯৯ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ টাকা। আগ্নেয়াস্ত্রসহ অন্যান্য মিলে তার অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ২৬ কোটি ১৬ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। আর স্থাবর সম্পদ আছে ৪৩ কোটি ৭৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
হলফনায় উল্লেখ আছে, আসলাম চৌধুরী ব্যবসায়ী স্ত্রী জামিলা নাজনীন মাওলার বার্ষিক আয় ৬ লাখ ১৩ হাজার। আর একমাত্র ব্যবাসায়ী মেয়ে মেহেরীন আনহার উজমার বার্ষিক আয় ৯ লাখ ৮ হাজার টাকা। তার স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১২ কোটি ৩২ লাখ ও স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৬ কোটি ১০ লাখ ৯১ হাজার টাকা। এছাড়াও মেয়ের অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৪ কোটি ৬৬ লাখ ৩২ হাজার টাকা আর স্থাবর সম্পদ নেই।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

