পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলে বিপাকে বাকেরগঞ্জের গ্রাহকরা

উপজেলা প্রতিনিধি, বাকেরগঞ্জ (বরিশাল)
প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ০৩
আপডেট : ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ২৬

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিল নিয়ে বিপাকে পড়েছে বাকেরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর গ্রাহকরা। বিগত কয়েক মাসের বিদ্যুৎ বিলের কাগজে হিসাব মিলছে না অধিকাংশ গ্রাহকদের।

বিজ্ঞাপন

সূত্রে জানা যায়, বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর আওতায় বাকেরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস। গত কয়েক মাসে এলাকার অধিকাংশ গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গে যোগ করা হয়েছে অতিরিক্ত টাকা। মিটার রিডার মোজাম্মেল হক গ্রাহকের বাড়িতে না গিয়ে অফিসে বসে বিল তৈরি করছেন বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। তাছাড়া গারুড়িয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের গ্রাহকদের বিলিং বইতে এই সমস্যা ধরা পড়েছে। এর মধ্যে গ্রাহকদের ৪২৭/২২৪/২০২/২২৩/৪০৬ বই উল্লেখযোগ্য।

২০২ বইয়ের আব্দুল মান্নান নামে একজন গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৬০ হাজার টাকা। এছাড়া কলসকাঠীর ইনচার্জ মঞ্জুরুল আলমকে অভিযোগ জানাতে ফোন করলে তিনি কল রিসিভ করেন না। গত বছর ঘূর্ণিঝড় রেমালে অনেক বৈদ্যুতিক খুঁটি হেলে পড়াসহ মিটার ভেঙে ঝুলে থাকতে দেখা যায়। অনেক জায়গায় বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে যাওয়ায় কোনো রকম জোড়াতালি দেয়া হয়। যেকোনো সময় সেই তার ছিঁড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। নতুন সংযোগের আবেদনে অফিস থেকে সিএমও অনুমোদন হচ্ছে না। আবার অনুমোদন হলেও তা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ইনচার্জের গাফিলতির কারণে ফাইলে আটকে থাকে। মিটার রিডার পরিবর্তনের রিপোর্ট অনুমোদন করে দেয়ার পরেও সেই মিটার ইনচার্জ পরিবর্তন করে না। কলসকাঠীর ইনচার্জ টাকা ছাড়া কোনো কাজ করেন না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এক মিটার রিডার বলেন, সারা বছর পল্লী বিদ্যুতের মোটা অঙ্কের টাকা ঘাটতি দেখা যায়। জুন-জুলাই ক্লোজিংয়ে সেই ঘাটতি পূরণ করতে অনেক ক্ষেত্রে বাড়তি বিল তোলার নির্দেশনা দেয়া হয়।

বাকেরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর ডিজিএম মাজহারুল ইসলাম বলেন, রিডিংকাজে কর্মরতরা মাঠপর্যায়ে না যাওয়ার কিছু ভুলত্রুটি থাকতে পারে। অভিযোগ থাকলে তদন্ত করে দেখা হবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত