ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী সোহেলকে প্রাণনাশের হুমকি এবং ওসি, ডিসিকে কটূক্তি করেও ধরাছোঁয়ার বাইরে ঢাকা নবাবগঞ্জ উপজেলার যন্ত্রাইল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুরুজ দেওয়ান। বিষয়টি নিয়ে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে পুরো সাংবাদিক-প্রশাসন ও সুশীল সমাজে।
জানা যায়, ২২ শতাংশ জমির জাল দলিলের তথ্য উদ্ঘাটন করতে গেলে শনিবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সুরুজ তার ব্যবহৃত মোবাইল থেকে সাংবাদিক সোহেলকে কল দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এছাড়া সুরুজ কাজী সোহেলের ছবি ও নাম ব্যবহার করে ফেসবুকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালায়।
কল রেকর্ডে শুনা যায়, সুরুজ সাংবাদিক কাজী সোহেলকে উদ্দেশ করে বলেন, পৃথিবী টাকার এপিঠ, ওপিঠ। হয়ত তুই থাকবি, না হয় আমি থাকব পৃথিবীতে। আমি সুরুজ তোরে একটা কথা কয়ে দিলাম। পারলে কিছু কর যা। তর কোন মাইরে বাপ আছে, তর কোন ওসি আছে, কোন ডিসি আছে আন। হয়ত পৃথিবীতে তুই থাকবি না হয় সুরুজ থাকবো। এরপর সে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একজন সাংবাদিক ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন দুই কর্মকর্তাকে নিয়ে এমন বাজে মন্তব্য করার পরেও গত তিন দিনে গ্রেফতার না হওয়াতে হতাশা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন মহল থেকে।
এ ঘটনায় রোববার সুরুজের বিরুদ্ধে নবাবগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সাংবাদিক কাজী সোহেল।
জানা যায়, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুরুজ দেওয়ানের বিরুদ্ধে জাল দলিল, সরকারি সম্পত্তি বিক্রি, নিরীহ মানুষের জমি জমার কাগজ ঠিক করে দেয়া কথা বলে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে নবাবগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদককে প্রাণনাশের হুমকি ও ওসি ডিসিকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। দ্রুত তারা সুরুজকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবিও জানান। এ ঘটনা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনরাও এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বর্তমান সময়েও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতার এমন দাম্ভিকতায় হতাশা প্রকাশ করেন তারা।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, সুরুজকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হয়েছে। তবে পলাতক থাকায় তাকে পাওয়া যায়নি।

