প্রাইভেট ক্লিনিকে সরকারি সার্জনের কাণ্ড
জেলা প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা
আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার পপুলার মেডিক্যাল সেন্টার(প্রা:) হাসপাতালে এক মধ্যবয়সী নারীর পেটের ভেতর থেকে অস্ত্রপচারের পর গজ রেখে সেলাই করে দেয়ায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার চার মাস পর পুনরায় অস্ত্রোপচারে রোগীর শরীর থেকে ওই গজ বের করা হয়। এতে এলাকায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী সাহেরা খাতুন(৪৫)। তিনি আলমডাঙ্গা উপজেলার কালীদাসপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের মোশারেফ হোসেনের স্ত্রী।
জানা যায়, চলতি বছরের ২৫ মে জরায়ুতে টিউমারজনিত কারণে সাহেরা খাতুনকে আলমডাঙ্গা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের দ্বিতীয় তলার পপুলার মেডিক্যাল সেন্টার (প্রা.) অস্ত্রপাচার করা হয়। অপারেশন করেন কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ডাক্তার হোসাইন ইমাম। অপারেশনের জন্য পরিবারের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নেয়া হয়। অপারেশনের পাঁচ দিন পর তাকে বাড়ি পাঠানো হলেও বাড়ি ফিরে সঙ্গে সঙ্গে তার পেটের ব্যথা বেড়ে যায় এবং পেট শক্ত হয়ে টিউমারের মতো কিছু অনুভূত হতে থাকে। দীর্ঘ চার মাস চিকিৎসার চেষ্টা করেও কোনো সমাধান পাননি। ১৩ সেপ্টেম্বর আলমডাঙ্গার ডক্টর'স কেয়ার অ্যান্ড স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হলে চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. হাদি জিয়া উদ্দিন আহমেদ এর নেতৃত্বে পুনরায় অপারেশন করা হয়। অপারেশনের সময় রোগীর পেটের ভেতর থেকে একটি আস্ত গজ কাপড় বের করা হয়। রোগী সাহেরা খাতুন বলেন, ‘গত চার মাস ধরে প্রচণ্ড কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। পেটের ব্যথা ও শক্ত গাঁটের মতো জায়গা ফুলে থাকায় মনে হচ্ছিল ভেতরে কিছু আছে। রাজশাহীতেও চিকিৎসা না পেয়ে অবশেষে আলমডাঙ্গায় এসে দ্বিতীয়বার অপারেশন করাতে হলো। ডাক্তাররা জানান পেটের ভেতর গজ কাপড় ছিল।’ রোগীর সাহেরা খা ুনের ছোট ছেলে মো. জাইদুল ইসলাম বলেন, ‘মাকে প্রথমে আলমডাঙ্গা পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করি। ডাক্তার হোসাইন ইমাম ১৫ হাজার টাকায় টিউমারের অপারেশন করেছেন। তবে অপারেশন ভুল ছিল, আমরা তখন জানতাম না। অপারেশনের পর মায়ের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। আমরা ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চায়।’
এ নিয়ে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ জানান, এখানে রোগীদের পছন্দের ডাক্তার ছিলেন হোসেন ইমাম। পাশাপাশি এনেস্থেসিয়া হিসেবে ডাক্তার আব্দুস সালাম এবং সহকারী হিসেবে ডা. তুহিন ছিলেন। এখন ডা. কীভাবে অপারেশন করবেন সেটা তো তিনি ভালো বলতে পারবেন। তবে যিনি সেলাই করেছেন এখানে সম্পূর্ণ দায় তার। একজন রোগীর জীবন নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলা বরদাস্ত করা উচিৎ নয়। ক্লিনিক হিসেবে আমরা ডাক্তার ম্যানেজ করেছি, সহকারী ম্যানেজ করেছি, এনেস্থেসিয়াও ম্যানেজ করেছি। এখানে তো আমাদের কোনো গ্যাপ ছিল না।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন সাজার্রি বিশেষজ্ঞ ডা: হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দু:খজনক। কীভাবে এমন হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার পপুলার মেডিক্যাল সেন্টার(প্রা:) হাসপাতালে এক মধ্যবয়সী নারীর পেটের ভেতর থেকে অস্ত্রপচারের পর গজ রেখে সেলাই করে দেয়ায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার চার মাস পর পুনরায় অস্ত্রোপচারে রোগীর শরীর থেকে ওই গজ বের করা হয়। এতে এলাকায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী সাহেরা খাতুন(৪৫)। তিনি আলমডাঙ্গা উপজেলার কালীদাসপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের মোশারেফ হোসেনের স্ত্রী।
জানা যায়, চলতি বছরের ২৫ মে জরায়ুতে টিউমারজনিত কারণে সাহেরা খাতুনকে আলমডাঙ্গা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের দ্বিতীয় তলার পপুলার মেডিক্যাল সেন্টার (প্রা.) অস্ত্রপাচার করা হয়। অপারেশন করেন কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ডাক্তার হোসাইন ইমাম। অপারেশনের জন্য পরিবারের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নেয়া হয়। অপারেশনের পাঁচ দিন পর তাকে বাড়ি পাঠানো হলেও বাড়ি ফিরে সঙ্গে সঙ্গে তার পেটের ব্যথা বেড়ে যায় এবং পেট শক্ত হয়ে টিউমারের মতো কিছু অনুভূত হতে থাকে। দীর্ঘ চার মাস চিকিৎসার চেষ্টা করেও কোনো সমাধান পাননি। ১৩ সেপ্টেম্বর আলমডাঙ্গার ডক্টর'স কেয়ার অ্যান্ড স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হলে চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. হাদি জিয়া উদ্দিন আহমেদ এর নেতৃত্বে পুনরায় অপারেশন করা হয়। অপারেশনের সময় রোগীর পেটের ভেতর থেকে একটি আস্ত গজ কাপড় বের করা হয়। রোগী সাহেরা খাতুন বলেন, ‘গত চার মাস ধরে প্রচণ্ড কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। পেটের ব্যথা ও শক্ত গাঁটের মতো জায়গা ফুলে থাকায় মনে হচ্ছিল ভেতরে কিছু আছে। রাজশাহীতেও চিকিৎসা না পেয়ে অবশেষে আলমডাঙ্গায় এসে দ্বিতীয়বার অপারেশন করাতে হলো। ডাক্তাররা জানান পেটের ভেতর গজ কাপড় ছিল।’ রোগীর সাহেরা খা ুনের ছোট ছেলে মো. জাইদুল ইসলাম বলেন, ‘মাকে প্রথমে আলমডাঙ্গা পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করি। ডাক্তার হোসাইন ইমাম ১৫ হাজার টাকায় টিউমারের অপারেশন করেছেন। তবে অপারেশন ভুল ছিল, আমরা তখন জানতাম না। অপারেশনের পর মায়ের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। আমরা ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চায়।’
এ নিয়ে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ জানান, এখানে রোগীদের পছন্দের ডাক্তার ছিলেন হোসেন ইমাম। পাশাপাশি এনেস্থেসিয়া হিসেবে ডাক্তার আব্দুস সালাম এবং সহকারী হিসেবে ডা. তুহিন ছিলেন। এখন ডা. কীভাবে অপারেশন করবেন সেটা তো তিনি ভালো বলতে পারবেন। তবে যিনি সেলাই করেছেন এখানে সম্পূর্ণ দায় তার। একজন রোগীর জীবন নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলা বরদাস্ত করা উচিৎ নয়। ক্লিনিক হিসেবে আমরা ডাক্তার ম্যানেজ করেছি, সহকারী ম্যানেজ করেছি, এনেস্থেসিয়াও ম্যানেজ করেছি। এখানে তো আমাদের কোনো গ্যাপ ছিল না।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন সাজার্রি বিশেষজ্ঞ ডা: হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দু:খজনক। কীভাবে এমন হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে জহিরুল ইসলাম মিঠু হত্যা মামলায় পলাতক দুই ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
১৮ মিনিট আগেপরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, ১১ বছর বয়সে ১৯৩৫ সালে শামসুদ্দিন ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান আর্মিতে যোগ দিয়েছিলেন। তার সৈনিক নম্বর ছিল ৬৪১৪৬০। ১৯৩৯ থেকে শুরু করে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত পুরো ছয় বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ময়দানে ছিলেন এ যোদ্ধা।
২৫ মিনিট আগেচট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার ভেতরে পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের এক সাবেক নেতা। ঘটনার পর তাকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটক মো. রায়হান হাটহাজারি কলেজ শিবিরের সাবেক সভাপতি।
৩২ মিনিট আগেসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় ভারতীয় জেলেরা ইলিশ মাছ ধরতে আসে তা জানার পরই সাথে সাথে কোস্টগার্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এবং ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা চাই দেশের মানুষ ইলিশ খাবে সাগরে যেন কেউ চুরি করে মাছ ধরতে না পারে সেজন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে