মাইলস্টোন থেকে মেয়েকে আনতে গিয়ে লাশ হলেন মেহেরপুরের রজনী

জেলা প্রতিনিধি, মেহেরপুর
প্রকাশ : ২২ জুলাই ২০২৫, ০৯: ১১

মেয়েকে মাইলস্টোন স্কুল থেকে আনতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন এক মা। এমন হৃদয়বিদারক ঘটনায় শোকে স্তব্ধ নিহতের পরিবার ও তার নিজ গ্রামের মানুষ।

বিজ্ঞাপন

ঢাকায় বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো উম্মে হাবিবা রজনীর (৩৭) বাড়ি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়নের বাওট গ্রামে।

মঙ্গলবার ভোর ৪টায় রজনীর লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে পরিবার-পরিজন ও গ্রামবাসীর আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ। কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহতের মা, ভাইবোন ও প্রতিবেশীরা। কিছুক্ষণ পরে পরিবার, স্বজন এবং এলাকাবাসীকে তাকে শেষবারের মতো দেখানোর পর কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সাজিপুর গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।

নিহত উম্মে হাবিবা রজনী মটমুড়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতা আবদুল হামিদের মেয়ে এবং কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার সাজিপুর গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জোহরুল ইসলামের স্ত্রী। ঢাকায় কর্মরত স্বামী জোহরুল ইসলামের সঙ্গে উত্তরায় বসবাস করতেন রজনী খাতুন। তাদের একমাত্র মেয়ে ঝুমঝুম খাতুন (১২) ছিল ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

মেয়েকে গতকাল স্কুল থেকে আনতে গিয়েছিলেন রজনী খাতুন। এ সময় হঠাৎ একটি প্রশিক্ষণ বিমান তাদের সামনে বিধ্বস্ত হলে ঘটনাস্থলেই উম্মে হাবিবা রজনী মারাত্মক আহত হয়। দগ্ধ অবস্থায় তাকে ঢাকার সিএমএইচ বার্ন ইউনিটে নেয়া হয়। পরে সেখানেই মারা যান রজনী।

উম্মে হাবিবা রজনীকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুররে চরসাজিপুর গ্রামে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। মেয়ে ঝুমঝুম গুরুতর আহত হলেও সৌভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বর্তমানে শিশুটি পরিবারের সঙ্গে রয়েছে।

প্রতিবেশীরা জানান, রজনী ছিলেন অত্যন্ত স্নেহশীল ও সদালাপী। তার মর্মান্তিক মৃত্যু এলাকাবাসীর হৃদয়ে গভীর দাগ কেটেছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত