বিদ্যুতের খুঁটি-তারের নিচেই সংযোগ-বঞ্চিত ছয় পরিবার

উপজেলা প্রতিনিধি, দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ)
প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০২৫, ১৩: ২৫

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের আগুনরায়েরগাঁও গ্রামের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বলছে। তবে ওই গ্রামের মাত্র ছয়টি পরিবারে আজও রয়ে গেছে অন্ধকারে, বিদ্যুৎ সংযোগের বাইরে।

বিজ্ঞাপন

অবাক করার মতো বিষয় হলে—যাদের উঠোন দিয়েই পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি ও তার গেছে, তাদের ঘরেই নেই বিদ্যুৎ-সংযোগ।

সরেজমিন দেখা গেছে, ওই গ্রামে বিদ্যুতায়নের প্রায় ১২ বছর পার হলেও এসব পরিবার এখনো কুপি, মোমবাতি বা হ্যারিকেনের ওপর নির্ভরশীল।

এই ছয়টি পরিবার টিনশেড ও আধাপাকা ঘরে বসবাস করেন। ওই গ্রামে বিদ্যুতায়নের কিছু দিন পর এখানে বসতভিটা গড়ে বসবাস শুরু করেন তারা। আশপাশের ঘর থেকে তাদের ঘরের দূরত্ব মাত্র ৫০ থেকে ৬০ মিটার। অথচ বিদ্যুতের খুঁটি ও তার একই লাইনে থাকা সত্ত্বেও সংযোগ পাননি তারা।

স্থানীয় বাসিন্দা বজলুর রহমান বলেন, ‘৬-৭ বছর ধরে জনপ্রতিনিধি ও পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে ঘুরছি। কিন্তু কেউ বিদ্যুৎ দেয়নি। যারা এসেছিল তারা বলে গেছে দেড় থেকে ২ লাখ টাকা দিলে সংযোগ মিলবে। এত টাকা আমাদের পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়।’

আরেক বাসিন্দা হনুফা বেগম বলেন, ‘আমাদের উঠোন দিয়েই বৈদ্যুতিক খুঁটি গেছে, তার গেছে, কিন্তু আলোটা যায়নি ঘরে। সন্ধ্যার পরে শিশুদের নিয়ে অনেক কষ্টে থাকতে হয়।’

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম বলেন, ‘পাশের ঘরে বিদ্যুৎ আছে, অথচ আমাদের ঘরে নেই। লেখাপড়ার সময় কষ্ট হয়। রাতে প্রচণ্ড গরমে ঘুমাতে পারি না, পড়তেও পারি না।’

এ বিষয়ে দোয়ারাবাজার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির এজিএম আব্দুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তারা যদি আবেদন করে আমরা খতিয়ে দেখবো।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অরূপ রতন সিংহ বলেন, ‘বিষয়টি সত্যিই অদ্ভুত। পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেবো।’

স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করে সমস্যার সমাধান করুক।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত