আমার দেশ জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পেপার

শুকনো নাকি ভেজা, কীভাবে উপকার চিয়া সিডের

স্বাস্থ্য ডেস্ক

শুকনো নাকি ভেজা, কীভাবে উপকার চিয়া সিডের

চিয়া সিড খাওয়ার পদ্ধতির ওপর তার কার্যকারিতা অনেকটাই নির্ভর করে। শুকনো চিয়া সিড খেলে পুষ্টিগুণে খুব একটা হেরফের না হলেও এটি হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে। কারণ চিয়া সিডের ফাইবার শরীর থেকে পানি শুষে নেয়, যার ফলে পর্যাপ্ত পানি পান না করলে পেট ফাঁপা কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

অন্যদিকে চিয়া সিড পানিতে ভিজিয়ে রাখলে তা ফুলে জেলির মতো আকার ধারণ করে, যা অন্ত্রের জন্য উপকারী এবং হজম করা সহজ হয়। চিয়া সিডে থাকা ফাইটিক অ্যাসিড, যা পুষ্টি শোষণে বাধা দেয়, ভিজিয়ে রাখলে তার প্রভাব কমে যায়। ফলে শরীর সহজে ওমেগা-৩ এবং প্রোটিন গ্রহণ করতে পারে।

বিজ্ঞাপন

তবে হজমের সমস্যা না হলে চিয়া সিড শুকনো খাওয়া বেশ কার্যকর। বিশেষ করে যারা সারাদিন অন্যান্য উৎস থেকে শরীরের পানির চাহিদা মেটান, তাদের জন্য শুকনো চিয়া সিড খাওয়া ক্ষতিকর নয়। চাইলে শুকনো চিয়া সিড দই ও স্মুদির মতো খাবারে মিশিয়ে খেতে পারেন। এসব খাবারে আগে থেকেই জলীয় উপাদান উপস্থিত থাকে, তার সঙ্গে শুকনো চিয়া সিড খেলে কোনো অসুবিধা নেই।

পুষ্টিগুণের বিচার করলে অবশ্য খুব একটা ফারাক নেই। চিয়া সিডে থাকা ফাইবার, প্রোটিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভালো ফ্যাট সবই বজায় থাকে দুই ধরনের চিয়া সিডেই।

সঠিক নিয়ম মেনে পরিমিত পরিমাণে চিয়া সিড খেলে তা দীর্ঘমেয়াদি সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে দারুণ ভূমিকা রাখে চিয়া সিড। আর খাওয়ার আদর্শ নিয়ম হলো এক চামচ বীজ এক গ্লাস পানিতে অন্তত ৩০ মিনিট বা সারারাত ভিজিয়ে রাখা। সকালে খালি পেটে সেই পানি পান করা।

অথবা চিয়া সিড দই, ওটস, স্মুদি বা লেবুপানির সঙ্গে মিশিয়েও খাওয়া যায়। সারাদিন ধরে চিয়া সিড মিশ্রিত পানি পান করার অভ্যাসও অনেকের মধ্যে দেখা যায়, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। তবে দিনে এক থেকে দুই চামচের বেশি চিয়া সিড খাওয়া উচিত নয়।

অতিরিক্ত ফাইবার পেটে অস্বস্তি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক এবং যাদের হজমের পুরোনো সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে চিয়া সিড খাওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

Google News Icon

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন