রাজধানীতে ব্যবসায়ী হত্যার প্রতিবাদে শাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ মিছিল

প্রতিনিধি, শাবিপ্রবি
প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৫, ২৩: ২৯
আপডেট : ১২ জুলাই ২০২৫, ০০: ২৮

যুবদল নেতা কর্তৃক রাজধানীর পুরান ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে নির্মমভাবে হত্যা এবং দেশব্যাপী চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হল থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু হলে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে মিছিলটি সমাপ্ত হয়।

বিজ্ঞাপন

বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান ওয়ান টু থ্রি ফোর, চাঁদাবাজ নো মোর; চাঁদাবাজের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও; চাঁদাবাজের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না; যুবদলের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না', একশন একশন ডাইরেক্ট একশন, যুবদলের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট একশন, দিয়েছিতো রক্ত আরো দেব রক্ত, রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায় ইত্যাদি স্লোগান দেন।

বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাবিপ্রবির আহবায়ক পলাশ বখতিয়ার, সদস্য সচিব হাফিজুল ইসলাম, সমন্বয়ক আজাদ শিকদার।

এসময় পলাশ বখতিয়ার বলেন, 'আওয়ামী লীগ ২০০৬ সালে লাশের উপর নৃত্য করেছিল। এখন বিএনপির একটি অঙ্গ সংগঠন সেটি ফিরিয়ে আনতে চাচ্ছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা বলে, কারা ক্ষমতায় আসবে এটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। আমরা স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই, কোনো সন্ত্রাসী এবং চাঁদাবাজদেরকে আমরা ফিরিয়ে আনতে চাই না।'

সদস্য সচিব হাফিজুল ইসলাম বলেন, রাজধানীর মিটফোর্ডে চাঁদার দাবিতে যুবদল নেতা কর্তৃক এক ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যা এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অব্যাহত চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আমরা শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নাগরিকের জীবন-জীবিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। অথচ দিনের পর দিন অপরাধীরা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে সাধারণ মানুষের জীবনকে বিপন্ন করে তুলছে।

আমরা আজকের বিক্ষোভের মাধ্যমে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই— কোনো চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, হত্যা ও নৈরাজ্যকে এই দেশের শিক্ষার্থীরা কখনো মেনে নেবে না। আমরা দোষীদের দ্রুত বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।

শিক্ষার্থীরা কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেনি, করবেও না। দেশের প্রতিটি কোণে শান্তি, ন্যায়বিচার এবং নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।”

সমন্বয়ক আজাদ শিকদার বলেন, 'পাঁচ আগস্টের পর আমরা এক নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু বাস্তবতা হলো- সেই পুরোনো চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণ বেড়েই চলেছে। এসব অপরাধের অধিকাংশই করছে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। ঢাকার মিটফোর্ডের সামনে যুবদলের কতিপয় সন্ত্রাসী এক ব্যবসায়ীকে চাঁদা না দেওয়ার কারণে পাথর দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এরপর তারা লাশের উপর দাঁড়িয়ে পৈশাচিক উল্লাস করেছে এ ঘটনা যেন আইয়ামে জাহেলিয়াতকেও হার মানায়।'

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত