
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে মাদক ও ভবঘুরে উচ্ছেদ অভিযানের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বামপন্থী সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা মাদক-ভবঘুরে ও ভ্রাম্যমাণ দোকানি সিন্ডিকেটের একটি চক্র।
বিগত সময়ে লাখ টাকা চাঁদাবাজি করে চাকরিচ্যুত প্রক্টর অফিসের সাবেক টোকেনম্যান ও সাবেক প্রক্টর গোলাম রাব্বানীর ড্রাইভার শামীমকেও বিক্ষোভে অংশ নিতে দেখা যায়।
শনিবার রাত ১০টার দিকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র মৈত্রীসহ কয়েকটি বাম ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এ সময় তারা “কেউ খাবে কেউ খাবে না, তা হবে না তা হবে না; অবৈধ উচ্ছেদ মানি না মানবো না”- এমন স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, “বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে হকার ও ভ্রাম্যমাণ দোকানিদের উচ্ছেদ করা অন্যায়। আমরা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) স্টাফ রিপোর্টার তাওসিফুল ইসলাম জানান, “এই চক্র নতুন কিছু নয়। আমি ২০২৩-২৪ সালে ক্যাম্পাসে অবৈধ দোকান ও ভবঘুরে সিন্ডিকেট নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন করেছিলাম। তদন্ত কমিটি তখন সত্যতা পেয়েছিল। লাখ লাখ টাকার চাঁদাবাজির প্রমাণও মেলে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় বাধ্য হয়ে প্রক্টর অফিসের টোকেনম্যান ও সাবেক প্রক্টর গোলাম রাব্বানীর ড্রাইভার শামীমকে চাকরিচ্যুত করে।”
তিনি আরও বলেন, “আজ যাকে তখন সন্ত্রাসী বলে চিহ্নিত করে বাদ দেওয়া হয়েছিল, তাকেই আবার এই ভবঘুরে দলের নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে। কারা তার কাছ থেকে মাসোহারা পায়, সেটা প্রশাসনের দেখা উচিত।”
তবে শিক্ষার্থীদের একাংশ এই অবস্থানকে ‘ভণ্ডামি’ ও ‘বিপজ্জনক’ বলে অভিহিত করেছেন। তাদের মতে, বহিরাগত ও ভবঘুরে ব্যক্তিদের কারণে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।
ঢাবি শিক্ষার্থী মোহাম্মদ নূর নবী বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বহিরাগত হকাররা মাইকিং করে মিছিল করার সাহস কোথায় পায়? এই দোকানগুলোর জন্যই বহিরাগতদের আনাগোনা বাড়ে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে।”
আরেক শিক্ষার্থী ইয়াসিন আহমেদ অপু বলেন, “যারা ভবঘুরে ও টোকাইদের নিয়ে নাটক করছে, তারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভাবছে না। এবি জুবায়ের ভাইয়ের উদ্যোগকে আমরা সম্পূর্ণ সমর্থন করি। প্রয়োজনে আমরা নিজেরাও মাঠে নামবো।”
এর আগে একই রাতে ঢাবি প্রক্টরিয়াল টিমের এক সদস্য মাদক-ভবঘুরে সিন্ডিকেটের হামলায় আহত হন। নিরাপত্তাজনিত কারণে তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, হকার ও বহিরাগতদের উচ্ছেদ অভিযানের পর বাম সংগঠনগুলোর বিক্ষোভ এবং তার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ডাকসুর নেতারা প্রশাসনের পাশে অবস্থান নেন।
ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়ের বলেন, “বিকেলে প্রশাসন অবৈধ দোকান ভেঙে দেওয়ার পর বাম সংগঠনগুলো সেই হকারদের নিয়ে মিছিল করেছে- এটা নিছক ভণ্ডামি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে তার দায় তাদেরই নিতে হবে।”
ডাকসুর জিএস এস এম ফরহাদ বলেন, “ঢাবির স্টেকহোল্ডার কেবল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী। বহিরাগত হকার বা মাদক ব্যবসায়ীদের কোনো স্থান বিশ্ববিদ্যালয়ে হতে পারে না। হয় ডাকসু থাকবে, নয়তো সিন্ডিকেট থাকবে- দুটো একসঙ্গে নয়।”
ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, “বিতাড়িত ছাত্রলীগের অনুপস্থিতিতে ক্যাম্পাসে নতুন অপরাধচক্র গড়ে উঠেছে। এই চক্রই এখন ‘হকার’ ও ‘ভবঘুরে’ নামের আড়ালে মাদক ও চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট চালাচ্ছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, “শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। তবে এটি শুধু প্রক্টরিয়াল টিমের একার পক্ষে সম্ভব নয়- সিটি করপোরেশন, মেট্রোরেল পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা প্রয়োজন।”
তিনি আরও জানান, “রবিবার সকালে প্রক্টরিয়াল টিম ও ডাকসুর প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক হবে। কে বা কারা ঘটনায় জড়িত, তা যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে মাদক ও ভবঘুরে উচ্ছেদ অভিযানের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বামপন্থী সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা মাদক-ভবঘুরে ও ভ্রাম্যমাণ দোকানি সিন্ডিকেটের একটি চক্র।
বিগত সময়ে লাখ টাকা চাঁদাবাজি করে চাকরিচ্যুত প্রক্টর অফিসের সাবেক টোকেনম্যান ও সাবেক প্রক্টর গোলাম রাব্বানীর ড্রাইভার শামীমকেও বিক্ষোভে অংশ নিতে দেখা যায়।
শনিবার রাত ১০টার দিকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র মৈত্রীসহ কয়েকটি বাম ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এ সময় তারা “কেউ খাবে কেউ খাবে না, তা হবে না তা হবে না; অবৈধ উচ্ছেদ মানি না মানবো না”- এমন স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, “বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে হকার ও ভ্রাম্যমাণ দোকানিদের উচ্ছেদ করা অন্যায়। আমরা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) স্টাফ রিপোর্টার তাওসিফুল ইসলাম জানান, “এই চক্র নতুন কিছু নয়। আমি ২০২৩-২৪ সালে ক্যাম্পাসে অবৈধ দোকান ও ভবঘুরে সিন্ডিকেট নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন করেছিলাম। তদন্ত কমিটি তখন সত্যতা পেয়েছিল। লাখ লাখ টাকার চাঁদাবাজির প্রমাণও মেলে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় বাধ্য হয়ে প্রক্টর অফিসের টোকেনম্যান ও সাবেক প্রক্টর গোলাম রাব্বানীর ড্রাইভার শামীমকে চাকরিচ্যুত করে।”
তিনি আরও বলেন, “আজ যাকে তখন সন্ত্রাসী বলে চিহ্নিত করে বাদ দেওয়া হয়েছিল, তাকেই আবার এই ভবঘুরে দলের নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে। কারা তার কাছ থেকে মাসোহারা পায়, সেটা প্রশাসনের দেখা উচিত।”
তবে শিক্ষার্থীদের একাংশ এই অবস্থানকে ‘ভণ্ডামি’ ও ‘বিপজ্জনক’ বলে অভিহিত করেছেন। তাদের মতে, বহিরাগত ও ভবঘুরে ব্যক্তিদের কারণে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।
ঢাবি শিক্ষার্থী মোহাম্মদ নূর নবী বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বহিরাগত হকাররা মাইকিং করে মিছিল করার সাহস কোথায় পায়? এই দোকানগুলোর জন্যই বহিরাগতদের আনাগোনা বাড়ে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে।”
আরেক শিক্ষার্থী ইয়াসিন আহমেদ অপু বলেন, “যারা ভবঘুরে ও টোকাইদের নিয়ে নাটক করছে, তারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভাবছে না। এবি জুবায়ের ভাইয়ের উদ্যোগকে আমরা সম্পূর্ণ সমর্থন করি। প্রয়োজনে আমরা নিজেরাও মাঠে নামবো।”
এর আগে একই রাতে ঢাবি প্রক্টরিয়াল টিমের এক সদস্য মাদক-ভবঘুরে সিন্ডিকেটের হামলায় আহত হন। নিরাপত্তাজনিত কারণে তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, হকার ও বহিরাগতদের উচ্ছেদ অভিযানের পর বাম সংগঠনগুলোর বিক্ষোভ এবং তার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ডাকসুর নেতারা প্রশাসনের পাশে অবস্থান নেন।
ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়ের বলেন, “বিকেলে প্রশাসন অবৈধ দোকান ভেঙে দেওয়ার পর বাম সংগঠনগুলো সেই হকারদের নিয়ে মিছিল করেছে- এটা নিছক ভণ্ডামি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে তার দায় তাদেরই নিতে হবে।”
ডাকসুর জিএস এস এম ফরহাদ বলেন, “ঢাবির স্টেকহোল্ডার কেবল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী। বহিরাগত হকার বা মাদক ব্যবসায়ীদের কোনো স্থান বিশ্ববিদ্যালয়ে হতে পারে না। হয় ডাকসু থাকবে, নয়তো সিন্ডিকেট থাকবে- দুটো একসঙ্গে নয়।”
ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, “বিতাড়িত ছাত্রলীগের অনুপস্থিতিতে ক্যাম্পাসে নতুন অপরাধচক্র গড়ে উঠেছে। এই চক্রই এখন ‘হকার’ ও ‘ভবঘুরে’ নামের আড়ালে মাদক ও চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট চালাচ্ছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, “শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। তবে এটি শুধু প্রক্টরিয়াল টিমের একার পক্ষে সম্ভব নয়- সিটি করপোরেশন, মেট্রোরেল পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা প্রয়োজন।”
তিনি আরও জানান, “রবিবার সকালে প্রক্টরিয়াল টিম ও ডাকসুর প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক হবে। কে বা কারা ঘটনায় জড়িত, তা যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

“আমি এখন শঙ্কিত, আমি এখন আতঙ্কিত। আমাকে শুধু এতটুকুই নিশ্চিত করেন যে, ছাত্রদল আমার কিছু করবে না”— এমন কথাই কাঁদতে কাঁদতে বলেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী দ্বীন ইসলাম হৃদয়।
২ ঘণ্টা আগে
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দীর্ঘদিন ধরে গড়ে ওঠা অবৈধ দোকান ও ভবঘুরে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা চলছে। এই চক্রের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে একটি ‘অদৃশ্য ওপরমহল’।
৪ ঘণ্টা আগে
অবসর কাটানোর প্রধান সঙ্গী স্মার্টফোনের ইউটিউব অ্যাপটি। কিন্তু নিয়মিত ভিডিও দেখার ফলে অনেকের মোবাইল ডেটা দ্রুত ফুরিয়ে যায়। বিশেষ করে যারা সীমিত ইন্টারনেট প্যাকেজ ব্যবহার করেন, তাদের জন্য এটি বড় সমস্যা। তবে কিছু ছোট্ট সেটিংস বদল করলেই ইউটিউবে ভিডিও উপভোগ করতে পারেন কম ডেটা খরচে ও বিনা চিন্তায়।
৭ ঘণ্টা আগে
সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৬৫৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে এসময়ে আক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি। শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৭ ঘণ্টা আগে