গ্লোবাল চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশের ড. আব্বাস

প্রতিনিধি, বুটেক্স
প্রকাশ : ২০ মে ২০২৫, ২৩: ১৮

বাংলাদেশের টেক্সটাইল খাতে উদ্ভাবনী গবেষণার এক অনন্য স্বীকৃতি পেলেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) সহকারী অধ্যাপক ড. আব্বাস উদ্দিন শায়ক। বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পরিবেশবান্ধব ফ্যাশন উদ্ভাবন প্রতিযোগিতা ‘গ্লোবাল চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’-এ তিনি বিশ্বের সেরা ১০ উদ্ভাবকের একজন নির্বাচিত হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ওল্ড বেলে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে তার যুগান্তকারী আইডিয়া ‘ডিকার্বনাইজেশন ল্যাব’-এর জন্য তাকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

ডিকার্বনাইজেশন ল্যাব হলো একটি বিশেষ গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র, যা পরিবেশবান্ধব ডাইং, ফিনিশিং এবং উপকরণ প্রক্রিয়াকরণে কাজ করছে। এই ল্যাবটি কম কার্বন নির্গমন প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুরোনো পদ্ধতিগুলোকে পরিবর্তন করতে এবং টেকসই উৎপাদন পদ্ধতিগুলোকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে।

কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে এই ল্যাবটি একটি নিবেদিত গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠছে। ডিকার্বনাইজেশন ল্যাব একাডেমিয়া এবং টেক্সটাইল শিল্পের মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে তুলেছে, যেখানে ডাইং ও ফিনিশিং প্রক্রিয়ায় স্বল্প নিঃসরণ প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং পরীক্ষার মাধ্যমে কারখানা ও শ্রমিকদের জন্য ব্যবহারযোগ্য, বাস্তবভিত্তিক সমাধান তৈরি করা হচ্ছে।

ড. আব্বাস উদ্দিন শায়ক বলেন, ‘এই অর্জন শুধু আমার ব্যক্তিগত নয়, বরং বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও শিক্ষাক্ষেত্রের একটি সম্মান। আমরা টেকসই প্রযুক্তির মাধ্যমে শিল্পকে নতুনভাবে সাজাতে চাই।’

‘ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির নোবেল পুরস্কার’খ্যাত গ্লোবাল চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড হলো এইচ অ্যান্ড এম ফাউন্ডেশন কর্তৃক চালু করা একটি বার্ষিক পুরস্কার। ২০১৫ সাল থেকে এর কার্যক্রম শুরু হয়। ফ্যাশন ও টেক্সটাইল শিল্পে টেকসই উন্নয়ন এবং উদ্ভাবনী সমাধানের উন্নয়নকে উৎসাহিত করা এর মূল উদ্দেশ্য।

সূত্রমতে, এবারের প্রতিযোগিতায় ৬৯টি দেশ থেকে মোট ৪৭৬টি আইডিয়া অংশগ্রহণ করে। গ্লোবাল চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড, ২০২৫-এর এক্সপার্ট প্যানেল এসব আইডিয়া পর্যালোচনা করে, প্রতিটি ফাইনালিস্ট যাচাই-বাছাই করে শীর্ষ ১০ বিজয়ী নির্ধারণে পরামর্শ প্রদান করে। গ্লোবাল চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড, ২০২৫-এর বিজয়ীরা প্রত্যেকে পাবেন ২ লাখ ইউরো।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত