
আমার দেশ ডেস্ক

একসময়কার উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রাণকেন্দ্র এবং ইতিহাস ও সংস্কৃতির এক বিরল সংমিশ্রণ তুরস্ক আজকের দিনে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে একটি বিশ্বজনীন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। এশিয়া ও ইউরোপের সংযোগস্থলে অবস্থিত এই দেশ তার সমৃদ্ধ ঐতিহ্য, বিশ্বমানের শিক্ষা ব্যবস্থা ও বহুমুখী সাংস্কৃতিক পরিবেশের জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য এক আকর্ষণীয় গন্তব্য।
তুরস্কের আকর্ষণ শুধু এর বিখ্যাত ঐতিহাসিক নিদর্শন ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং এর বৈচিত্র্যময় খাদ্যসংস্কৃতি, আধুনিক জীবনযাত্রা এবং ক্রমবর্ধমান শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ এটিকে আরো বিশেষ করে তুলেছে। দেশটির সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও আধুনিক শিক্ষা, গবেষণা সুবিধা এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য আকর্ষণীয় স্কলারশিপ অফার করছে।
বর্তমানে তুরস্কে ৭০টিরও বেশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যেগুলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য চমৎকার স্কলারশিপ প্রোগ্রাম ও বিশ্বমানের শিক্ষা প্রদান করছে। শুধু তুর্কি সরকারি স্কলারশিপই নয়, বরং অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য নিজস্ব স্কলারশিপ প্রোগ্রাম পরিচালনা করে, যা শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি ছাড়, সম্পূর্ণ বা আংশিক স্কলারশিপসহ পড়াশোনার সুযোগ প্রদান করছে।
বিশেষত, তুরস্কের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইউরোপীয় স্বীকৃত (European Accreditation) হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ইউরোপীয় মানের শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে, যা আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করে। পাশাপাশি তুলনামূলকভাবে কম ব্যয়ে, দক্ষিণ এশিয়ার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি’র কাছাকাছি খরচে শিক্ষার্থীরা বিশ্বমানের শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ পাচ্ছে। ফলে এটি শুধু মধ্যপ্রাচ্যের নয়, বরং ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকার শিক্ষার্থীদের জন্যও একটি সেরা উচ্চশিক্ষার গন্তব্য হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য তুরস্কের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ভিসা-সংক্রান্ত বিধিনিষেধ ও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে উচ্চশিক্ষার পথে শিক্ষার্থীদের কিছু বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
এ ছাড়া অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি শিক্ষার সুযোগও রয়েছে, যা সম্পূর্ণ স্কলারশিপ অথবা সেলফ-ফান্ডেড হিসেবে পাওয়া যায়। তুরস্কে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বছরের দুটি ভিন্ন সময়ে আবেদন গ্রহণ করে, যার মধ্যে মূল আবেদন পর্বটি সাধারণত ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে এবং আরেকটি পর্ব সেপ্টেম্বরে থাকে। এই সুযোগগুলো শিক্ষার্থীদের পছন্দমতো সময়ে আবেদন করার সুযোগ প্রদান করে, যাতে তারা তাদের পড়াশোনার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারে।
এই প্রবন্ধে তুরস্কের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার মান, স্কলারশিপ সুবিধা, ভিসা-সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাগুলো বিশদভাবে বিশ্লেষণ করব, যাতে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা তাদের উচ্চশিক্ষার পরিকল্পনা যথাযথভাবে করতে পারে এবং সঠিক প্রস্তুতি নিয়ে স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে যেতে পারে।
তুরস্কের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়: শিক্ষার বৈশিষ্ট্য ও সুযোগ
তুরস্কের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রদানের জন্য সুপরিচিত। উন্নত গবেষণাগার, আধুনিক পাঠ্যক্রম এবং স্কলারশিপ সুবিধার কারণে এখানে পড়াশোনা করা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় বিকল্প।
১. সহজ ভর্তি প্রক্রিয়া
২. উন্নত গবেষণা সুযোগ
৩. ভাষাগত যোগ্যতা
৪. স্কলারশিপ সুবিধা ও আর্থিক সহায়তা
৫. ক্যারিয়ার সুযোগ ও ইন্টার্নশিপ
তুরস্কের শীর্ষ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ (বিষয়ভিত্তিক)
তুরস্কের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রদানের জন্য বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে এসব বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চ অবস্থানে রয়েছে এবং গবেষণা ও শিক্ষার গুণগত মানের জন্য প্রশংসিত। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য এখানে বেশ কিছু ভালো বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যেগুলো উন্নত মানের শিক্ষা, গবেষণা ও স্কলারশিপ সুবিধা প্রদান করে।
১. ব্যবসায় শিক্ষা ও অর্থনীতি
২. প্রকৌশল ও প্রযুক্তি
৩. চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান
৪. সামাজিক বিজ্ঞান, থিয়োলজি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক
এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় পড়াশোনার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্কলারশিপ ও আর্থিক সহায়তা পেতে পারে, যা উচ্চশিক্ষার ব্যয় কমিয়ে আনে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া, স্কলারশিপের সুযোগ, টিউশন ফি ও ভর্তির শর্তাবলি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য চ্যালেঞ্জ
যদিও তুরস্কে উচ্চশিক্ষার সুযোগ অনেক, তা সত্ত্বেও কিছু বড় চ্যালেঞ্জও রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের পূর্বপ্রস্তুতির মাধ্যমে মোকাবিলা করা উচিত।
১. ভিসাসংক্রান্ত জটিলতা
২. উচ্চশিক্ষার ব্যয় ও আর্থিক চ্যালেঞ্জ
৩. ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা
৪. কাজের সীমিত সুযোগ
৫. সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অভিযোজন
এই চ্যালেঞ্জগুলো সত্ত্বেও যথাযথ প্রস্তুতি, পরিকল্পনা ও সচেতনতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তুরস্কে উচ্চশিক্ষার সুযোগ গ্রহণ করতে পারে এবং তাদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি গড়ে তুলতে পারে।

উপসংহার
তুরস্কের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা, গবেষণার সুযোগ ও বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ডিগ্রি অর্জনের এক সুবর্ণ সুযোগ প্রদান করছে। উন্নত অবকাঠামো, বৈচিত্র্যময় কোর্স ও প্রতিযোগিতামূলক স্কলারশিপ সুবিধার কারণে তুরস্ক দিন দিন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তুলনামূলকভাবে কম খরচে তারা ইউরোপীয় মানসম্পন্ন শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে।
তবে এই পথ শুধুই সুযোগে ভরা নয়। সাম্প্রতিক সময়ে ভিসা-সংক্রান্ত জটিলতা, টিউশন ফি’র ব্যয়ভার, ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা এবং কাজের সীমাবদ্ধতা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই পূর্বপ্রস্তুতি নিতে হবে, যথাযথ আর্থিক পরিকল্পনা করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাপোর্টিং ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে হবে।
সত্যিকারের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে শুধু বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নেওয়াই যথেষ্ট নয়; বরং ভাষাগত দক্ষতা, গবেষণার সুযোগ ও ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের পরিকল্পনাও গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া স্থানীয় সংস্কৃতি ও শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার মানসিক প্রস্তুতিও থাকা জরুরি।
তুরস্কে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণের জন্য এখনই সঠিক সময়। সব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে নির্ভীকভাবে সামনে এগিয়ে যাওয়ার মাধ্যমেই ভবিষ্যতের সাফল্যের দ্বার উন্মোচিত হতে পারে। উচ্চশিক্ষার নতুন দিগন্তে পা রাখতে এবং নিজের ভবিষ্যৎ গঠনের জন্য আগ্রহী শিক্ষার্থীদের এখন থেকেই পরিকল্পনা শুরু করা উচিত।

একসময়কার উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রাণকেন্দ্র এবং ইতিহাস ও সংস্কৃতির এক বিরল সংমিশ্রণ তুরস্ক আজকের দিনে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে একটি বিশ্বজনীন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। এশিয়া ও ইউরোপের সংযোগস্থলে অবস্থিত এই দেশ তার সমৃদ্ধ ঐতিহ্য, বিশ্বমানের শিক্ষা ব্যবস্থা ও বহুমুখী সাংস্কৃতিক পরিবেশের জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য এক আকর্ষণীয় গন্তব্য।
তুরস্কের আকর্ষণ শুধু এর বিখ্যাত ঐতিহাসিক নিদর্শন ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং এর বৈচিত্র্যময় খাদ্যসংস্কৃতি, আধুনিক জীবনযাত্রা এবং ক্রমবর্ধমান শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ এটিকে আরো বিশেষ করে তুলেছে। দেশটির সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও আধুনিক শিক্ষা, গবেষণা সুবিধা এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য আকর্ষণীয় স্কলারশিপ অফার করছে।
বর্তমানে তুরস্কে ৭০টিরও বেশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যেগুলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য চমৎকার স্কলারশিপ প্রোগ্রাম ও বিশ্বমানের শিক্ষা প্রদান করছে। শুধু তুর্কি সরকারি স্কলারশিপই নয়, বরং অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য নিজস্ব স্কলারশিপ প্রোগ্রাম পরিচালনা করে, যা শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি ছাড়, সম্পূর্ণ বা আংশিক স্কলারশিপসহ পড়াশোনার সুযোগ প্রদান করছে।
বিশেষত, তুরস্কের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইউরোপীয় স্বীকৃত (European Accreditation) হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ইউরোপীয় মানের শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে, যা আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করে। পাশাপাশি তুলনামূলকভাবে কম ব্যয়ে, দক্ষিণ এশিয়ার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি’র কাছাকাছি খরচে শিক্ষার্থীরা বিশ্বমানের শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ পাচ্ছে। ফলে এটি শুধু মধ্যপ্রাচ্যের নয়, বরং ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকার শিক্ষার্থীদের জন্যও একটি সেরা উচ্চশিক্ষার গন্তব্য হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য তুরস্কের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ভিসা-সংক্রান্ত বিধিনিষেধ ও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে উচ্চশিক্ষার পথে শিক্ষার্থীদের কিছু বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
এ ছাড়া অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি শিক্ষার সুযোগও রয়েছে, যা সম্পূর্ণ স্কলারশিপ অথবা সেলফ-ফান্ডেড হিসেবে পাওয়া যায়। তুরস্কে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বছরের দুটি ভিন্ন সময়ে আবেদন গ্রহণ করে, যার মধ্যে মূল আবেদন পর্বটি সাধারণত ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে এবং আরেকটি পর্ব সেপ্টেম্বরে থাকে। এই সুযোগগুলো শিক্ষার্থীদের পছন্দমতো সময়ে আবেদন করার সুযোগ প্রদান করে, যাতে তারা তাদের পড়াশোনার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারে।
এই প্রবন্ধে তুরস্কের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার মান, স্কলারশিপ সুবিধা, ভিসা-সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাগুলো বিশদভাবে বিশ্লেষণ করব, যাতে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা তাদের উচ্চশিক্ষার পরিকল্পনা যথাযথভাবে করতে পারে এবং সঠিক প্রস্তুতি নিয়ে স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে যেতে পারে।
তুরস্কের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়: শিক্ষার বৈশিষ্ট্য ও সুযোগ
তুরস্কের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রদানের জন্য সুপরিচিত। উন্নত গবেষণাগার, আধুনিক পাঠ্যক্রম এবং স্কলারশিপ সুবিধার কারণে এখানে পড়াশোনা করা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় বিকল্প।
১. সহজ ভর্তি প্রক্রিয়া
২. উন্নত গবেষণা সুযোগ
৩. ভাষাগত যোগ্যতা
৪. স্কলারশিপ সুবিধা ও আর্থিক সহায়তা
৫. ক্যারিয়ার সুযোগ ও ইন্টার্নশিপ
তুরস্কের শীর্ষ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ (বিষয়ভিত্তিক)
তুরস্কের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রদানের জন্য বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে এসব বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চ অবস্থানে রয়েছে এবং গবেষণা ও শিক্ষার গুণগত মানের জন্য প্রশংসিত। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য এখানে বেশ কিছু ভালো বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যেগুলো উন্নত মানের শিক্ষা, গবেষণা ও স্কলারশিপ সুবিধা প্রদান করে।
১. ব্যবসায় শিক্ষা ও অর্থনীতি
২. প্রকৌশল ও প্রযুক্তি
৩. চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান
৪. সামাজিক বিজ্ঞান, থিয়োলজি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক
এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় পড়াশোনার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্কলারশিপ ও আর্থিক সহায়তা পেতে পারে, যা উচ্চশিক্ষার ব্যয় কমিয়ে আনে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া, স্কলারশিপের সুযোগ, টিউশন ফি ও ভর্তির শর্তাবলি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য চ্যালেঞ্জ
যদিও তুরস্কে উচ্চশিক্ষার সুযোগ অনেক, তা সত্ত্বেও কিছু বড় চ্যালেঞ্জও রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের পূর্বপ্রস্তুতির মাধ্যমে মোকাবিলা করা উচিত।
১. ভিসাসংক্রান্ত জটিলতা
২. উচ্চশিক্ষার ব্যয় ও আর্থিক চ্যালেঞ্জ
৩. ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা
৪. কাজের সীমিত সুযোগ
৫. সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অভিযোজন
এই চ্যালেঞ্জগুলো সত্ত্বেও যথাযথ প্রস্তুতি, পরিকল্পনা ও সচেতনতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তুরস্কে উচ্চশিক্ষার সুযোগ গ্রহণ করতে পারে এবং তাদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি গড়ে তুলতে পারে।

উপসংহার
তুরস্কের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা, গবেষণার সুযোগ ও বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ডিগ্রি অর্জনের এক সুবর্ণ সুযোগ প্রদান করছে। উন্নত অবকাঠামো, বৈচিত্র্যময় কোর্স ও প্রতিযোগিতামূলক স্কলারশিপ সুবিধার কারণে তুরস্ক দিন দিন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তুলনামূলকভাবে কম খরচে তারা ইউরোপীয় মানসম্পন্ন শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে।
তবে এই পথ শুধুই সুযোগে ভরা নয়। সাম্প্রতিক সময়ে ভিসা-সংক্রান্ত জটিলতা, টিউশন ফি’র ব্যয়ভার, ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা এবং কাজের সীমাবদ্ধতা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই পূর্বপ্রস্তুতি নিতে হবে, যথাযথ আর্থিক পরিকল্পনা করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাপোর্টিং ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে হবে।
সত্যিকারের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে শুধু বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নেওয়াই যথেষ্ট নয়; বরং ভাষাগত দক্ষতা, গবেষণার সুযোগ ও ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের পরিকল্পনাও গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া স্থানীয় সংস্কৃতি ও শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার মানসিক প্রস্তুতিও থাকা জরুরি।
তুরস্কে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণের জন্য এখনই সঠিক সময়। সব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে নির্ভীকভাবে সামনে এগিয়ে যাওয়ার মাধ্যমেই ভবিষ্যতের সাফল্যের দ্বার উন্মোচিত হতে পারে। উচ্চশিক্ষার নতুন দিগন্তে পা রাখতে এবং নিজের ভবিষ্যৎ গঠনের জন্য আগ্রহী শিক্ষার্থীদের এখন থেকেই পরিকল্পনা শুরু করা উচিত।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন শিশির বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, শাকসু বানচালের চেষ্টা চলছে। শিক্ষার্থীরা এটা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। যদি আগামী সোমবার ভিসি এসে নির্বাচন কমিশন গঠন করে রোডম্যাপ ঘোষণা না করেন, তাহলে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের...
৩ ঘণ্টা আগে
সংগঠনের তথ্য, উপহার প্রদান, অনুভূতি বক্স এবং মেহেদি দেওয়ার জন্য উৎসবের ছাউনিতে চারটি আলাদা বুথ। সেখানে ছিল নারী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আয়োজকরা নতুন সদস্য আহ্বান ও প্রচারপত্র বিলি করেন। ফটকের সামনে একটি ব্যানারে লেখা, ‛প্রিয় ভাইয়েরা, ভেতরে প্রবেশ ও উঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন।’
৩ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
৪ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
৫ ঘণ্টা আগে