খুলনা ব্যুরো
এক জুলাই থেকে আর এক জুলাই। মাঝে চলে গেছে একটি বছর। ক্যালেন্ডারের পাতায় ১৮ ফিরে এসেছে। ২০২৪ (চব্বিশের) জুলাইয়ের এই দিনে দেশ হারিয়েছিল মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধকে। সেই মুগ্ধ, যে ছিল চব্বিশের উত্তাল জুলাইয়ের উত্তপ্ত রাজপথে লড়াইরত যোদ্ধাদের তৃষ্ণা নিবারণের ফেরিওয়ালা।
পানি ও বিস্কুট বিতরণ শেষে পড়ন্ত বিকেলে ক্লান্ত-শ্রান্ত শরীর নিয়ে একটু বিশ্রামের প্রত্যাশায় বসেছিল ফুটপাথে। আকর্ষিক ঘাতকের এক বুলেট এসে কপালের ঠিক মাঝখানে বিদ্ধ হয়ে মাথার পেছনের একটি অংশ ছিড়ে নিয়ে বের হয়ে যায়। মুগ্ধের জীবন দান ফ্যাসিস্ট হাসিনা পতন আন্দোলনে যোগ করে এক ভিন্ন মাত্রা।
১৬ জুলাই রংপুরের আবু সাঈদ, চট্টগ্রামের ওয়াসীম নিহত হওয়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সর্বসাধারণকে যুক্ত করার পথ খুলে দিয়েছিল। আর ১৮ জুলাই মুগ্ধর নিহত হওয়ার ঘটনা সেই আন্দোলনকে সর্বসাধারণের আন্দোলনে পরিণত করেছিল।
চব্বিশের আন্দোলনের উজ্জ্বলতম বীর সেনানী মীর মুগ্ধের প্রথম শাহাদাত বার্ষিকীতে তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনভর পালিত হয়েছে নানা কর্মসূচি। বিশ্ববিদ্যালয়
প্রশাসন ও গণিত ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে পালিত কর্মসূচির মধ্যে ছিল বাদ জুম্মা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বিশেষ দোয়া মোনাজাত। দোয়া শেষে বিশ্ববিদ্যালয়
সংলগ্ন জিরো পয়েন্ট এলাকায় এতিমখানায় খাবার বিতরণ। বিকেল ৩টায় এক নাম্বার অ্যাকাডেমিক ভবনে 'মুগ্ধ পানি কর্নার' উদ্বোধন। বিকেল ৪টায় শহীদ মীর মুগ্ধ স্মরণসভা। অদম্য বাংলা ভাস্কর্যের চোখ কালো কাপড়ে আবৃতকরণ। সন্ধ্যায় মীর মুগ্ধসহ জুলাইয়ের সকল শহীদ স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন। এছাড়া শনিবার সকাল ১০টায় বৃক্ষরোপন করা হবে।
খুবি কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. রেজাউল করিম বলেন, আমরা গর্বিত যে মুগ্ধ এই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২৩ সালে গণিতে অনার্স কমপ্লিট করেছিল। আর আমার শোকাহত যে আমাদের এক মেধাবী ছাত্রকে অকালে হারিয়েছি, যার এই দেশকে দেওয়ার ছিল অনেক কিছু। যে বাংলাদেশের প্রত্যাশায় মুগ্ধরা জীবন দিয়েছে তা প্রতিষ্ঠা করার দায়িত্ব আমাদের। পরাজিত শক্তি আবারও দেশকে সেই গভীর অন্ধকারে নিয়ে যাওয়ার চক্রান্ত করছে। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেই চক্রান্তকে রুখে দিতেই হবে।
দোয়া অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. নুরনবী, আইন স্কুলের ডীন প্রফেসর শেখ মাহমুদুল হাসান, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. এস এম মাহবুবুর রহমান, ছাত্র কল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. নাজমুস সাদাত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও খুবির সাবেক শিক্ষার্থী মিনহাজুল আবেদীন সম্পদ, গণিত ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের সমন্বয়ক আয়মান আহাদ, সমন্বয়ক মুহিবুল্লাহ মুহিব সহ বিপুল সংখ্যক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী অংশ নেন।
বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ে গণিত ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে 'মুগ্ধ পানি কর্ণার'র উদ্বোধন হন। এখান থেকে একই সাথে ঠান্ডা, গরম ও সাধারণ (নরমাল) বিশুদ্ধ পানি পান করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া চব্বিশের জুলাইয়ের আন্দোলনে মুগ্ধসহ সারাদেশে যারা নিহত হয়েছেন, তাদের হত্যাকারী ও হুকুমদাতাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে অদম্য বাংলা ভাস্কর্যের চোখে কালো কাপড় বেঁধে দেয়া হয়।
এক জুলাই থেকে আর এক জুলাই। মাঝে চলে গেছে একটি বছর। ক্যালেন্ডারের পাতায় ১৮ ফিরে এসেছে। ২০২৪ (চব্বিশের) জুলাইয়ের এই দিনে দেশ হারিয়েছিল মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধকে। সেই মুগ্ধ, যে ছিল চব্বিশের উত্তাল জুলাইয়ের উত্তপ্ত রাজপথে লড়াইরত যোদ্ধাদের তৃষ্ণা নিবারণের ফেরিওয়ালা।
পানি ও বিস্কুট বিতরণ শেষে পড়ন্ত বিকেলে ক্লান্ত-শ্রান্ত শরীর নিয়ে একটু বিশ্রামের প্রত্যাশায় বসেছিল ফুটপাথে। আকর্ষিক ঘাতকের এক বুলেট এসে কপালের ঠিক মাঝখানে বিদ্ধ হয়ে মাথার পেছনের একটি অংশ ছিড়ে নিয়ে বের হয়ে যায়। মুগ্ধের জীবন দান ফ্যাসিস্ট হাসিনা পতন আন্দোলনে যোগ করে এক ভিন্ন মাত্রা।
১৬ জুলাই রংপুরের আবু সাঈদ, চট্টগ্রামের ওয়াসীম নিহত হওয়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সর্বসাধারণকে যুক্ত করার পথ খুলে দিয়েছিল। আর ১৮ জুলাই মুগ্ধর নিহত হওয়ার ঘটনা সেই আন্দোলনকে সর্বসাধারণের আন্দোলনে পরিণত করেছিল।
চব্বিশের আন্দোলনের উজ্জ্বলতম বীর সেনানী মীর মুগ্ধের প্রথম শাহাদাত বার্ষিকীতে তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনভর পালিত হয়েছে নানা কর্মসূচি। বিশ্ববিদ্যালয়
প্রশাসন ও গণিত ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে পালিত কর্মসূচির মধ্যে ছিল বাদ জুম্মা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বিশেষ দোয়া মোনাজাত। দোয়া শেষে বিশ্ববিদ্যালয়
সংলগ্ন জিরো পয়েন্ট এলাকায় এতিমখানায় খাবার বিতরণ। বিকেল ৩টায় এক নাম্বার অ্যাকাডেমিক ভবনে 'মুগ্ধ পানি কর্নার' উদ্বোধন। বিকেল ৪টায় শহীদ মীর মুগ্ধ স্মরণসভা। অদম্য বাংলা ভাস্কর্যের চোখ কালো কাপড়ে আবৃতকরণ। সন্ধ্যায় মীর মুগ্ধসহ জুলাইয়ের সকল শহীদ স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন। এছাড়া শনিবার সকাল ১০টায় বৃক্ষরোপন করা হবে।
খুবি কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. রেজাউল করিম বলেন, আমরা গর্বিত যে মুগ্ধ এই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২৩ সালে গণিতে অনার্স কমপ্লিট করেছিল। আর আমার শোকাহত যে আমাদের এক মেধাবী ছাত্রকে অকালে হারিয়েছি, যার এই দেশকে দেওয়ার ছিল অনেক কিছু। যে বাংলাদেশের প্রত্যাশায় মুগ্ধরা জীবন দিয়েছে তা প্রতিষ্ঠা করার দায়িত্ব আমাদের। পরাজিত শক্তি আবারও দেশকে সেই গভীর অন্ধকারে নিয়ে যাওয়ার চক্রান্ত করছে। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেই চক্রান্তকে রুখে দিতেই হবে।
দোয়া অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. নুরনবী, আইন স্কুলের ডীন প্রফেসর শেখ মাহমুদুল হাসান, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. এস এম মাহবুবুর রহমান, ছাত্র কল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. নাজমুস সাদাত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও খুবির সাবেক শিক্ষার্থী মিনহাজুল আবেদীন সম্পদ, গণিত ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের সমন্বয়ক আয়মান আহাদ, সমন্বয়ক মুহিবুল্লাহ মুহিব সহ বিপুল সংখ্যক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী অংশ নেন।
বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ে গণিত ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে 'মুগ্ধ পানি কর্ণার'র উদ্বোধন হন। এখান থেকে একই সাথে ঠান্ডা, গরম ও সাধারণ (নরমাল) বিশুদ্ধ পানি পান করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া চব্বিশের জুলাইয়ের আন্দোলনে মুগ্ধসহ সারাদেশে যারা নিহত হয়েছেন, তাদের হত্যাকারী ও হুকুমদাতাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে অদম্য বাংলা ভাস্কর্যের চোখে কালো কাপড় বেঁধে দেয়া হয়।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন শিশির বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, শাকসু বানচালের চেষ্টা চলছে। শিক্ষার্থীরা এটা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। যদি আগামী সোমবার ভিসি এসে নির্বাচন কমিশন গঠন করে রোডম্যাপ ঘোষণা না করেন, তাহলে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের...
৫ ঘণ্টা আগেসংগঠনের তথ্য, উপহার প্রদান, অনুভূতি বক্স এবং মেহেদি দেওয়ার জন্য উৎসবের ছাউনিতে চারটি আলাদা বুথ। সেখানে ছিল নারী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আয়োজকরা নতুন সদস্য আহ্বান ও প্রচারপত্র বিলি করেন। ফটকের সামনে একটি ব্যানারে লেখা, ‛প্রিয় ভাইয়েরা, ভেতরে প্রবেশ ও উঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন।’
৫ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
৬ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
৭ ঘণ্টা আগে