
প্রতিনিধি, ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগে সম্প্রতি অধ্যাপক পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে দলীয় সিন্ডিকেটের প্রভাব ও বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
জ্যেষ্ঠতা ও দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় এগিয়ে থাকা সহযোগী অধ্যাপক ড. ফাহিমা আক্তারকে উপেক্ষা করে তুলনামূলকভাবে কম অভিজ্ঞ ও নবীন সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল আমীন সিকদারকে প্রমোশনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, সাদা দল সমর্থিত হওয়াতেই আল আমীন সিকদারকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
ড. ফাহিমা আক্তার ২০০৯ সালে শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন এবং গত ১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগে কর্মরত আছেন। বর্তমানে তিনি সহযোগী অধ্যাপক পদে রয়েছেন এবং এ পর্যন্ত ৪৯টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন, যার মধ্যে ৫টি Q 1 জার্নালে প্রকাশিত।
তিনি ২০২১ সালে পিএইচডি অর্জন করেন এবং বিভাগে ধারাবাহিকভাবে জ্যেষ্ঠতা ও অভিজ্ঞতায় এগিয়ে থেকে কাজ করে আসছেন
অন্যদিকে, ড. মোহাম্মদ আল আমীন সিকদার ২০১০ সালে শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন। তার প্রকাশনার সংখ্যা ৬৩টি এবং তিনি ২০২০ সালে পিএইচডি অর্জন করেন। মোট চাকরিকাল ও সক্রিয় অভিজ্ঞতায় তিনি ড. ফাহিমার চেয়ে পিছিয়ে। এদিকে ফাহিমার চাকরির অভিজ্ঞতা যেখানে ১৬ বছর ২ মাস, আল আমীনের রয়েছে ১৪ বছর ৭ মাস।
এ নিয়ে অধ্যাপক ড. ফাহিমা আক্তার উপাচার্যের কাছে দেওয়া এক আবেদনে অভিযোগ করেন, পদোন্নতির বিজ্ঞপ্তিতে অস্বাভাবিকভাবে "হাই ইমপ্যাক্ট জার্নালে গবেষণা প্রবন্ধ থাকা প্রার্থীদের অগ্রাধিকার" শর্ত যুক্ত করা হয়েছে। তার দাবি, এটি ইচ্ছাকৃতভাবে একজন নির্দিষ্ট প্রার্থীকে সুবিধা দিতে করা হয়েছে।
তিনি আবেদনপত্রে উল্লেখ করেন—
“আমার কর্ম অভিজ্ঞতা ও জ্যেষ্ঠতা অন্য দুই প্রার্থীর তুলনায় বেশি। ড. তাসনুভা শারমিনের চেয়ে আমি তিন বছর বেশি এবং ড. আল আমীন সিকদারের চেয়ে প্রায় এক বছর সাত মাস বেশি অভিজ্ঞ। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী অধ্যাপক পদে পদোন্নতিতে জ্যেষ্ঠতাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা। অথচ এক্ষেত্রে বিষয়টিকে দৃষ্টকটু ভাবে উপেক্ষা করা হচ্ছে যা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসে বিরল। সর্বপরি, আমার ব্যক্তি অধিকার খর্ব করার পায়তারা চলছে।”
ড. ফাহিমা আক্তার আরও অভিযোগ করেন, অতীতের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তাকে "জামায়াত ট্যাগ" দিয়ে বিভিন্ন অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এবারও অভ্যন্তরীণ শিক্ষক রাজনীতির কারণে তার প্রাপ্য প্রমোশন কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।
শিক্ষক মহলে এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনা চলছে। অনেকের মতে, গবেষণায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও প্রকাশনায় এগিয়ে থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বিধি অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতা এবং দীর্ঘ অভিজ্ঞতাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে সিন্ডিকেটভিত্তিক শিক্ষক রাজনীতির কারণে যোগ্য ও অভিজ্ঞরা বঞ্চিত হচ্ছেন।
ভাইভা বোর্ডে উপস্থিত থাকা অধ্যাপক ড. মনিরা আহসান বলেন, যোগ্যতা ও জ্যেষ্ঠতায় নিঃসন্দেহে ড. ফাহিমা এগিয়ে আছেন। কিন্তু নিয়োগ বোর্ডের থাকা সাদা দলের সিণ্ডিকেট তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দিয়েছে। এ ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা হলে বিষয়টি এখনো ঝুলে আছে। হয়তো আগামী সিন্ডিকেট মিটিংয়ে একটা সুরাহা আসতে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো দেশের শীর্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সিন্ডিকেট ও দলীয় প্রভাবের কারণে পদোন্নতির ক্ষেত্রে এ ধরনের অনিয়ম ঘটলে এটি কেবল যোগ্য শিক্ষকদের মনোবল ভাঙবে না, বরং সামগ্রিকভাবে শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে— এমন আশঙ্কা করছেন অনেক শিক্ষক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগে সম্প্রতি অধ্যাপক পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে দলীয় সিন্ডিকেটের প্রভাব ও বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
জ্যেষ্ঠতা ও দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় এগিয়ে থাকা সহযোগী অধ্যাপক ড. ফাহিমা আক্তারকে উপেক্ষা করে তুলনামূলকভাবে কম অভিজ্ঞ ও নবীন সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল আমীন সিকদারকে প্রমোশনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, সাদা দল সমর্থিত হওয়াতেই আল আমীন সিকদারকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
ড. ফাহিমা আক্তার ২০০৯ সালে শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন এবং গত ১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগে কর্মরত আছেন। বর্তমানে তিনি সহযোগী অধ্যাপক পদে রয়েছেন এবং এ পর্যন্ত ৪৯টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন, যার মধ্যে ৫টি Q 1 জার্নালে প্রকাশিত।
তিনি ২০২১ সালে পিএইচডি অর্জন করেন এবং বিভাগে ধারাবাহিকভাবে জ্যেষ্ঠতা ও অভিজ্ঞতায় এগিয়ে থেকে কাজ করে আসছেন
অন্যদিকে, ড. মোহাম্মদ আল আমীন সিকদার ২০১০ সালে শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন। তার প্রকাশনার সংখ্যা ৬৩টি এবং তিনি ২০২০ সালে পিএইচডি অর্জন করেন। মোট চাকরিকাল ও সক্রিয় অভিজ্ঞতায় তিনি ড. ফাহিমার চেয়ে পিছিয়ে। এদিকে ফাহিমার চাকরির অভিজ্ঞতা যেখানে ১৬ বছর ২ মাস, আল আমীনের রয়েছে ১৪ বছর ৭ মাস।
এ নিয়ে অধ্যাপক ড. ফাহিমা আক্তার উপাচার্যের কাছে দেওয়া এক আবেদনে অভিযোগ করেন, পদোন্নতির বিজ্ঞপ্তিতে অস্বাভাবিকভাবে "হাই ইমপ্যাক্ট জার্নালে গবেষণা প্রবন্ধ থাকা প্রার্থীদের অগ্রাধিকার" শর্ত যুক্ত করা হয়েছে। তার দাবি, এটি ইচ্ছাকৃতভাবে একজন নির্দিষ্ট প্রার্থীকে সুবিধা দিতে করা হয়েছে।
তিনি আবেদনপত্রে উল্লেখ করেন—
“আমার কর্ম অভিজ্ঞতা ও জ্যেষ্ঠতা অন্য দুই প্রার্থীর তুলনায় বেশি। ড. তাসনুভা শারমিনের চেয়ে আমি তিন বছর বেশি এবং ড. আল আমীন সিকদারের চেয়ে প্রায় এক বছর সাত মাস বেশি অভিজ্ঞ। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী অধ্যাপক পদে পদোন্নতিতে জ্যেষ্ঠতাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা। অথচ এক্ষেত্রে বিষয়টিকে দৃষ্টকটু ভাবে উপেক্ষা করা হচ্ছে যা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসে বিরল। সর্বপরি, আমার ব্যক্তি অধিকার খর্ব করার পায়তারা চলছে।”
ড. ফাহিমা আক্তার আরও অভিযোগ করেন, অতীতের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তাকে "জামায়াত ট্যাগ" দিয়ে বিভিন্ন অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এবারও অভ্যন্তরীণ শিক্ষক রাজনীতির কারণে তার প্রাপ্য প্রমোশন কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।
শিক্ষক মহলে এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনা চলছে। অনেকের মতে, গবেষণায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও প্রকাশনায় এগিয়ে থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বিধি অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতা এবং দীর্ঘ অভিজ্ঞতাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে সিন্ডিকেটভিত্তিক শিক্ষক রাজনীতির কারণে যোগ্য ও অভিজ্ঞরা বঞ্চিত হচ্ছেন।
ভাইভা বোর্ডে উপস্থিত থাকা অধ্যাপক ড. মনিরা আহসান বলেন, যোগ্যতা ও জ্যেষ্ঠতায় নিঃসন্দেহে ড. ফাহিমা এগিয়ে আছেন। কিন্তু নিয়োগ বোর্ডের থাকা সাদা দলের সিণ্ডিকেট তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দিয়েছে। এ ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা হলে বিষয়টি এখনো ঝুলে আছে। হয়তো আগামী সিন্ডিকেট মিটিংয়ে একটা সুরাহা আসতে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো দেশের শীর্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সিন্ডিকেট ও দলীয় প্রভাবের কারণে পদোন্নতির ক্ষেত্রে এ ধরনের অনিয়ম ঘটলে এটি কেবল যোগ্য শিক্ষকদের মনোবল ভাঙবে না, বরং সামগ্রিকভাবে শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে— এমন আশঙ্কা করছেন অনেক শিক্ষক।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন শিশির বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, শাকসু বানচালের চেষ্টা চলছে। শিক্ষার্থীরা এটা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। যদি আগামী সোমবার ভিসি এসে নির্বাচন কমিশন গঠন করে রোডম্যাপ ঘোষণা না করেন, তাহলে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের...
২ ঘণ্টা আগে
সংগঠনের তথ্য, উপহার প্রদান, অনুভূতি বক্স এবং মেহেদি দেওয়ার জন্য উৎসবের ছাউনিতে চারটি আলাদা বুথ। সেখানে ছিল নারী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আয়োজকরা নতুন সদস্য আহ্বান ও প্রচারপত্র বিলি করেন। ফটকের সামনে একটি ব্যানারে লেখা, ‛প্রিয় ভাইয়েরা, ভেতরে প্রবেশ ও উঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন।’
৩ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
৪ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
৫ ঘণ্টা আগে