আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ
প্রতিনিধি, ঢাবি
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাসে আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ এমন এক নাম, যিনি জাতির আত্মপরিচয় অনুসন্ধানের পথকে আলোকিত করেছেন মৌখিক ঐতিহ্যের আলোয়। তার জন্মের ১৫৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। সূচনা বক্তৃতা দেন মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক মনসুর মুসা। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক নেহাল করিম এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সুমন সাজ্জাদ।
মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক মনসুর মুসা বলেন, আদিম যুগে মানুষ শ্রুতি ও স্মৃতির মাধ্যমে অভিজ্ঞতা সংরক্ষণ করত। পরে ছন্দ ও লিপির মাধ্যমে তা স্থায়ী আকারে ধরে রাখার চেষ্টা করেছে। সেই লিখিত ঐতিহ্যকে সংরক্ষণের জন্যই আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ এগিয়ে এসেছিলেন।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সংকট তার পথ রুদ্ধ করতে পারেনি। নিজের কেরানির চাকরি থেকে সামান্য আয় সত্ত্বেও তিনি একাই ১৭ হাজারেরও বেশি পুথি সংগ্রহ করেছিলেন। তার এই কাজ আসলে আত্ম-আবিষ্কারের এক অনন্য অভিযান।
অধ্যাপক মনসুর মুসা আরও বলেন, আরাকান রাজসভায় যে বাংলা সাহিত্যচর্চা ছিল, তা আমাদের সামনে এনেছেন আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ। তার কাজ বাঙালি মুসলমানের আত্মপরিচয় ও সাংস্কৃতিক অস্তিত্ব পুনরুদ্ধারের এক মহান উদ্যোগ।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুমন সাজ্জাদ বলেন, আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ কেবল পুথি সংগ্রাহক নন, তিনি ছিলেন এক গভীর চিন্তাশীল গবেষক। ৫৮৫টি পুথি তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দান করেন, অনেকগুলো রেখে যান বরেন্দ্র জাদুঘরে। তার এই পরিশ্রমের পেছনে ছিল বাঙালি জাতিকে আত্মপরিচয়ে গৌরবান্বিত করার এক আন্তরিক প্রচেষ্টা।
তিনি বলেন, একজন সাধারণ কেরানী হয়েও তিনি আজীবন সাহিত্যসাধনায় নিবেদিত ছিলেন। আমরা তাকে প্রায়শই পুথি সংগ্রাহক হিসেবে সীমাবদ্ধ রাখি, অথচ তিনি বাংলা সাহিত্য গবেষণার এক নতুন ধারার সূচনা করেছিলেন।
অধ্যাপক নেহাল করিম বলেন, আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ ‘জাতি’ ধারণাকে দেখেছিলেন অন্তর্ভুক্তিমূলক মানবিক দৃষ্টিতে। তার কাছে বাঙালিত্ব ছিল ধর্মীয় সীমানা ছাড়িয়ে এক সাংস্কৃতিক ঐক্যবোধের প্রতীক। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ- সব সম্প্রদায় মিলেই গঠিত বাঙালি জাতি- এই ধারণাই ছিল তার মৌলিক বোধ।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক উচ্চশিক্ষা না থাকা সত্ত্বেও সাহিত্যবিশারদ নিজেকে গড়ে তুলেছিলেন এক প্রাতিষ্ঠানিক ধারার গবেষক হিসেবে। তার কাজ বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির ঐতিহাসিক ধারা অনুধাবনের ক্ষেত্রে এক অনন্য ভিত্তি স্থাপন করেছে।
অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক তার সভাপতির বক্তব্যে বলেন, আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ আমাদের শিখিয়েছেন- জ্ঞানচর্চার জন্য ডিগ্রি নয়, প্রয়োজন নিষ্ঠা, শ্রম ও মমতা। আজকের বাংলাদেশে যখন বহুত্ববাদ ও অংশগ্রহণমূলক সমাজ বিনির্মাণের প্রশ্ন সামনে আসে, তখন তার উদার ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিই আমাদের সবচেয়ে বড় দিশা।
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাসে আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ এমন এক নাম, যিনি জাতির আত্মপরিচয় অনুসন্ধানের পথকে আলোকিত করেছেন মৌখিক ঐতিহ্যের আলোয়। তার জন্মের ১৫৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। সূচনা বক্তৃতা দেন মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক মনসুর মুসা। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক নেহাল করিম এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সুমন সাজ্জাদ।
মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক মনসুর মুসা বলেন, আদিম যুগে মানুষ শ্রুতি ও স্মৃতির মাধ্যমে অভিজ্ঞতা সংরক্ষণ করত। পরে ছন্দ ও লিপির মাধ্যমে তা স্থায়ী আকারে ধরে রাখার চেষ্টা করেছে। সেই লিখিত ঐতিহ্যকে সংরক্ষণের জন্যই আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ এগিয়ে এসেছিলেন।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সংকট তার পথ রুদ্ধ করতে পারেনি। নিজের কেরানির চাকরি থেকে সামান্য আয় সত্ত্বেও তিনি একাই ১৭ হাজারেরও বেশি পুথি সংগ্রহ করেছিলেন। তার এই কাজ আসলে আত্ম-আবিষ্কারের এক অনন্য অভিযান।
অধ্যাপক মনসুর মুসা আরও বলেন, আরাকান রাজসভায় যে বাংলা সাহিত্যচর্চা ছিল, তা আমাদের সামনে এনেছেন আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ। তার কাজ বাঙালি মুসলমানের আত্মপরিচয় ও সাংস্কৃতিক অস্তিত্ব পুনরুদ্ধারের এক মহান উদ্যোগ।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুমন সাজ্জাদ বলেন, আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ কেবল পুথি সংগ্রাহক নন, তিনি ছিলেন এক গভীর চিন্তাশীল গবেষক। ৫৮৫টি পুথি তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দান করেন, অনেকগুলো রেখে যান বরেন্দ্র জাদুঘরে। তার এই পরিশ্রমের পেছনে ছিল বাঙালি জাতিকে আত্মপরিচয়ে গৌরবান্বিত করার এক আন্তরিক প্রচেষ্টা।
তিনি বলেন, একজন সাধারণ কেরানী হয়েও তিনি আজীবন সাহিত্যসাধনায় নিবেদিত ছিলেন। আমরা তাকে প্রায়শই পুথি সংগ্রাহক হিসেবে সীমাবদ্ধ রাখি, অথচ তিনি বাংলা সাহিত্য গবেষণার এক নতুন ধারার সূচনা করেছিলেন।
অধ্যাপক নেহাল করিম বলেন, আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ ‘জাতি’ ধারণাকে দেখেছিলেন অন্তর্ভুক্তিমূলক মানবিক দৃষ্টিতে। তার কাছে বাঙালিত্ব ছিল ধর্মীয় সীমানা ছাড়িয়ে এক সাংস্কৃতিক ঐক্যবোধের প্রতীক। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ- সব সম্প্রদায় মিলেই গঠিত বাঙালি জাতি- এই ধারণাই ছিল তার মৌলিক বোধ।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক উচ্চশিক্ষা না থাকা সত্ত্বেও সাহিত্যবিশারদ নিজেকে গড়ে তুলেছিলেন এক প্রাতিষ্ঠানিক ধারার গবেষক হিসেবে। তার কাজ বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির ঐতিহাসিক ধারা অনুধাবনের ক্ষেত্রে এক অনন্য ভিত্তি স্থাপন করেছে।
অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক তার সভাপতির বক্তব্যে বলেন, আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ আমাদের শিখিয়েছেন- জ্ঞানচর্চার জন্য ডিগ্রি নয়, প্রয়োজন নিষ্ঠা, শ্রম ও মমতা। আজকের বাংলাদেশে যখন বহুত্ববাদ ও অংশগ্রহণমূলক সমাজ বিনির্মাণের প্রশ্ন সামনে আসে, তখন তার উদার ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিই আমাদের সবচেয়ে বড় দিশা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের পর স্থগিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আগামী ২৭ অক্টোবর পালিত হবে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
৫ ঘণ্টা আগে১৮৪৬ সালের ১৬ অক্টোবর চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী দিন। বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো এক রোগীর শরীরে ব্যথাহীন অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। দাঁতের চিকিৎসক ডা. উইলিয়াম মর্টন রোগী গিলবার্ট অ্যাবটের মুখে ইথার গ্যাস শ্বাসের মাধ্যমে প্রয়োগ করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগী
৫ ঘণ্টা আগেকরোনা ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে রয়েছে নানা ভুল ধারণা এবং অন্ধবিশ্বাস। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্ক্যাবিসসহ কিছু সংক্রামক চর্মরোগ মহামারির আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হচ্ছে। আবার
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগবালাই আবির্ভাব হয়। বাংলাদেশে হেমন্তকালের শেষের দিকে শীতকাল খুব কাছাকাছি চলে আসে। ঋতু পরিবর্তনের এ সময় তাপমাত্রার ওঠানামা ও শুষ্ক বাতাসের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ অন্যান্য রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
৬ ঘণ্টা আগে