সিরাজুদ্দৌলা আরাফাত, শেকৃবি
তফসিল ঘোষণা এবং নির্বাচনি কার্যক্রমের দৃশ্যমান অগ্রগতিসহ ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে সরব হয়ে উঠেছে দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাস । তবে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) এখনো ছাত্র সংসদ নির্বাচনের কোনো বাস্তব প্রেক্ষাপট তৈরি হয়নি।
প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর অতিক্রান্ত হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠনতন্ত্রে এ ধরনের নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট ধারা অন্তর্ভুক্ত হয়নি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগে নিয়মিত অনুষ্ঠিত হওয়া সংসদভিত্তিক ছাত্ররাজনীতির কাঠামো কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে। আগস্ট-পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দাবি তোলা হলেও প্রেক্ষাপটের পরিবর্তন না হয়ে অস্পষ্ট রয়ে গেছে সংসদভিত্তিক ছাত্ররাজনীতির প্রকৃত ভবিষ্যৎ। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান নীতিমালাকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম জানান, ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজন করার নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে অন্তর্ভুক্ত নেই। ফলে এখন এ নির্বাচন আয়োজন করা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে সংবিধিবদ্ধ করার অনুমতির জন্য মন্ত্রণালয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতোমধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।
মূলত আগস্ট-পূর্ববর্তী ছাত্ররাজনীতির ভয়াবহতার চিত্র চিন্তা করে ছাত্র সংসদের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের মতে, ছাত্র সংসদের মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসগুলোতে প্রকৃত ছাত্ররাজনীতির ধারা উন্মুক্ত হবে। তবে আগস্ট-পরবর্তী এক বছর অতিক্রম হওয়ার পরও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেক শিক্ষার্থী।
শেকৃবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক আসাদুল্লাহ নাঈম বলেন, আগস্ট-পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছি। আগস্ট-পূর্ববর্তী সময়ে দেখেছি একটি ছাত্রসংগঠন কীভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামত প্রকাশের অধিকার হরণ করে একক প্রভাব স্থাপন করেছিল। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ধারা চালু হলে ক্যাম্পাসে বলপ্রয়োগ এবং লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির চিরতরে পতন ঘটবে।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগে তৎকালীন বাংলাদেশ কৃষি ইনস্টিটিউটে প্রায় নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়ে আসছিল। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের জন্য নির্দিষ্ট কক্ষের ব্যবস্থাও ছিল। তবে ১৯৮২ সাল থেকে তৎকালীন এরশাদ আমলে স্বৈরতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এসে আটকে যায় এ সংসদ নির্বাচনের ধারা। সাত বছর বন্ধ থাকার পর সাধারণ শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে আবারও শুরু হয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন। ফলে ১৯৮৯ পরবর্তী সময়ে একাধারে বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার আগ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপক ড. সারওয়ার হোসেন বলেন, আমি এ ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদের একজন নির্বাচিত ভিপি। ছাত্র সংসদ থাকার গুরুত্ব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনেক। তবে দুঃখের বিষয় ২০০০ সালের পর থেকে আমাদের ক্যাম্পাসে আর কখনোই ছাত্র সংসদ গঠিত হয়নি। মূলত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর নতুন নিয়মে ছাত্র সংসদের আইন না থাকা এবং বার্ষিক থেকে সেমিস্টার সিস্টেম চালু হওয়ায় এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি আড়ালে চলে যায়।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় আমি মনে করি আমাদের ক্যাম্পাসে দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়া উচিত, যা ক্যাম্পাসের পরিবেশ-পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন জাতীয় প্রোগ্রাম, ক্রীড়া, কালচারাল অনুষ্ঠান মূলত ছাত্রপ্রতিনিধিদের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত হওয়ার কথা, যা ছাত্র সংসদ না থাকায় বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব রয়েছে। এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রকৃত ছাত্রপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ধারা অন্তর্ভুক্ত করে দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানাচ্ছি।
ইসলামী ছাত্রশিবির শেকৃবি শাখার সভাপতি আবুল হাসান আমার দেশকে বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। অথচ যা শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের অংশগ্রহণমূলক প্ল্যাটফর্ম। এটি শিক্ষার্থীদের মতামত প্রকাশ, সমস্যা সমাধান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্থ পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য অপরিহার্য। শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ণাঙ্গ শিক্ষাবান্ধব পরিবেশে রূপ নিতে পারে না। অবিলম্বে গঠনতন্ত্র প্রণয়ন ও প্রয়োজনীয় অনুমোদন সম্পন্ন করে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজন করা উচিত।
শেকৃবি ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ভবিষ্যৎ নিয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক আবুল বাশার বলেন, শুধু বর্তমান সময়ে আমাদের ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হচ্ছে না এমন কিন্তু নয়। এর আগের, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পরের কোনো প্রশাসনের আমলেই ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি।
আইনগত সমস্যার কারণেই মূলত আমাদের এ জটিলতা। তবে আমরা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। যেহেতু আমাদের অর্ডিন্যান্সে অন্তর্ভুক্ত হয়নি, এজন্য আপাতত নির্বাচন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
তফসিল ঘোষণা এবং নির্বাচনি কার্যক্রমের দৃশ্যমান অগ্রগতিসহ ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে সরব হয়ে উঠেছে দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাস । তবে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) এখনো ছাত্র সংসদ নির্বাচনের কোনো বাস্তব প্রেক্ষাপট তৈরি হয়নি।
প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর অতিক্রান্ত হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠনতন্ত্রে এ ধরনের নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট ধারা অন্তর্ভুক্ত হয়নি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগে নিয়মিত অনুষ্ঠিত হওয়া সংসদভিত্তিক ছাত্ররাজনীতির কাঠামো কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে। আগস্ট-পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দাবি তোলা হলেও প্রেক্ষাপটের পরিবর্তন না হয়ে অস্পষ্ট রয়ে গেছে সংসদভিত্তিক ছাত্ররাজনীতির প্রকৃত ভবিষ্যৎ। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান নীতিমালাকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম জানান, ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজন করার নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে অন্তর্ভুক্ত নেই। ফলে এখন এ নির্বাচন আয়োজন করা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে সংবিধিবদ্ধ করার অনুমতির জন্য মন্ত্রণালয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতোমধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।
মূলত আগস্ট-পূর্ববর্তী ছাত্ররাজনীতির ভয়াবহতার চিত্র চিন্তা করে ছাত্র সংসদের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের মতে, ছাত্র সংসদের মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসগুলোতে প্রকৃত ছাত্ররাজনীতির ধারা উন্মুক্ত হবে। তবে আগস্ট-পরবর্তী এক বছর অতিক্রম হওয়ার পরও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেক শিক্ষার্থী।
শেকৃবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক আসাদুল্লাহ নাঈম বলেন, আগস্ট-পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছি। আগস্ট-পূর্ববর্তী সময়ে দেখেছি একটি ছাত্রসংগঠন কীভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামত প্রকাশের অধিকার হরণ করে একক প্রভাব স্থাপন করেছিল। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ধারা চালু হলে ক্যাম্পাসে বলপ্রয়োগ এবং লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির চিরতরে পতন ঘটবে।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগে তৎকালীন বাংলাদেশ কৃষি ইনস্টিটিউটে প্রায় নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়ে আসছিল। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের জন্য নির্দিষ্ট কক্ষের ব্যবস্থাও ছিল। তবে ১৯৮২ সাল থেকে তৎকালীন এরশাদ আমলে স্বৈরতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এসে আটকে যায় এ সংসদ নির্বাচনের ধারা। সাত বছর বন্ধ থাকার পর সাধারণ শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে আবারও শুরু হয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন। ফলে ১৯৮৯ পরবর্তী সময়ে একাধারে বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার আগ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপক ড. সারওয়ার হোসেন বলেন, আমি এ ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদের একজন নির্বাচিত ভিপি। ছাত্র সংসদ থাকার গুরুত্ব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনেক। তবে দুঃখের বিষয় ২০০০ সালের পর থেকে আমাদের ক্যাম্পাসে আর কখনোই ছাত্র সংসদ গঠিত হয়নি। মূলত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর নতুন নিয়মে ছাত্র সংসদের আইন না থাকা এবং বার্ষিক থেকে সেমিস্টার সিস্টেম চালু হওয়ায় এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি আড়ালে চলে যায়।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় আমি মনে করি আমাদের ক্যাম্পাসে দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়া উচিত, যা ক্যাম্পাসের পরিবেশ-পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন জাতীয় প্রোগ্রাম, ক্রীড়া, কালচারাল অনুষ্ঠান মূলত ছাত্রপ্রতিনিধিদের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত হওয়ার কথা, যা ছাত্র সংসদ না থাকায় বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব রয়েছে। এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রকৃত ছাত্রপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ধারা অন্তর্ভুক্ত করে দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানাচ্ছি।
ইসলামী ছাত্রশিবির শেকৃবি শাখার সভাপতি আবুল হাসান আমার দেশকে বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। অথচ যা শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের অংশগ্রহণমূলক প্ল্যাটফর্ম। এটি শিক্ষার্থীদের মতামত প্রকাশ, সমস্যা সমাধান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্থ পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য অপরিহার্য। শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ণাঙ্গ শিক্ষাবান্ধব পরিবেশে রূপ নিতে পারে না। অবিলম্বে গঠনতন্ত্র প্রণয়ন ও প্রয়োজনীয় অনুমোদন সম্পন্ন করে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজন করা উচিত।
শেকৃবি ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ভবিষ্যৎ নিয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক আবুল বাশার বলেন, শুধু বর্তমান সময়ে আমাদের ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হচ্ছে না এমন কিন্তু নয়। এর আগের, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পরের কোনো প্রশাসনের আমলেই ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি।
আইনগত সমস্যার কারণেই মূলত আমাদের এ জটিলতা। তবে আমরা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। যেহেতু আমাদের অর্ডিন্যান্সে অন্তর্ভুক্ত হয়নি, এজন্য আপাতত নির্বাচন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের পর স্থগিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আগামী ২৭ অক্টোবর পালিত হবে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
৫ ঘণ্টা আগে১৮৪৬ সালের ১৬ অক্টোবর চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী দিন। বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো এক রোগীর শরীরে ব্যথাহীন অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। দাঁতের চিকিৎসক ডা. উইলিয়াম মর্টন রোগী গিলবার্ট অ্যাবটের মুখে ইথার গ্যাস শ্বাসের মাধ্যমে প্রয়োগ করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগী
৫ ঘণ্টা আগেকরোনা ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে রয়েছে নানা ভুল ধারণা এবং অন্ধবিশ্বাস। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্ক্যাবিসসহ কিছু সংক্রামক চর্মরোগ মহামারির আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হচ্ছে। আবার
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগবালাই আবির্ভাব হয়। বাংলাদেশে হেমন্তকালের শেষের দিকে শীতকাল খুব কাছাকাছি চলে আসে। ঋতু পরিবর্তনের এ সময় তাপমাত্রার ওঠানামা ও শুষ্ক বাতাসের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ অন্যান্য রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
৬ ঘণ্টা আগে