ঢাবিতে অনুষ্ঠিত হলো মানবাধিকার বিষয়ক 'জাতীয় কর্মশালা'

প্রতিনিধি, ঢাবি
প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৮: ১৫

বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান সহিংসতা, নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রেক্ষাপটে, 'সোচ্চার-টর্চার ওয়াচডগ বাংলাদেশ' উদ্যোগে আয়োজিত দিনব্যাপী জাতীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলা অনুষদের শহীদ মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী সভাকক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞাপন

কর্মশালায় সারাদেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সোচ্চারের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

এসময় শিক্ষাঙ্গনের মানবাধিকার রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা রাখা তরুণদের দক্ষতা ও সচেতনতা বাড়াতে অ্যাডভোকেসি, তথ্যসংগ্রহ, নিরাপত্তা কৌশল ও সংগঠিত প্রতিরোধ গঠনের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

কর্মশালায় কানাডার রেজিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ এসময় তিনটি বিষয় উল্লেখ করে বলেন মানবাধিকার রক্ষায় তিনটি মূল বিষয় মনে রাখতে হবে।

এক. সহিংসতার ব্যাপক ধারণা রাখতে হবে। আপনি যদি শুধু শারীরিক সহিংসতার দিকেই দেখেন, তাহলে আপনি শুধু বরফের চূড়া দেখছেন। নিচে লুকিয়ে আছে অনেক বড় বড় সমস্যা—বুলিংসহ বিভিন্ন স্তরের নির্যাতন।

দুই. ভিকটিমের গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে। ভিকটিমের ডেটা, সুরক্ষা, মানসিক স্বাস্থ্য—সবকিছু আপনার সংগঠনের ‘কার্ডিনাল রুল’। এটা নিয়ে কখনোই আপস করা যাবে না। যদি আপস করেন, তাহলে সংগঠন টিকে থাকবে না।

তিন. নিরাময়ের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। কাউন্সেলিং একটি দারুণ উপায়। আপনি কাউন্সেলর ও ফার্স্ট রেসপন্ডার ট্রেইন করতে পারেন। জটিল কেসগুলো মানসিক বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠাতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজি বিভাগগুলোর সাথে যোগাযোগ তৈরি করুন।

এসময় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শায়েখ মাহদী বলেন, সমাজে নির্যাতনের যে বিষয়টা এটা দুটা মাধ্যমে সমাপ্ত হতে পারে। একটা উপায় হচ্ছে ওই সমাজের সকল লোককে ফেরেশতার মত ভালো মানুষে পরিণত হতে হবে। অথবা ওই সমাজের একটা পর্যায়ের মানুষকে নির্যাতকদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত