১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকাণ্ড নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য একাডেমিক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে তার পদত্যাগ দাবি জানিয়েছে শাখা ছাত্রদল ও বাম সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সোমবার দুপুর ১২টায় দাবি আদায়ে প্রশাসনিক ভবনে তালা দেন সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনে তালা দেওয়া রয়েছে। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভবনে যাতায়াত করার সুযোগ রাখা হয়েছে।
চবি উপ-উপাচার্যের এ পদত্যাগ দাবিতে সংহতি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সংগঠক ধ্রুব বড়ুয়া, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি জশদ জাকির, প্রচার সম্পাদক মুশরেফুল হক রাকিব, সদস্য ও অতীশ দীপংকর হল সংসদের ভিপি রিপুল চাকমা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবিদ শাহরিয়ার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সংগঠক চন্দনা রানী, ছাত্র ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক শেখ জুনায়েদ কবির ও নারী অঙ্গনের সংগঠক সুমাইয়া শিকদার।
জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার ঢাকায় একটি রয়েছেন বলে এ বিষয়ে মন্তব্য করেননি।
এর আগে, গতকাল শনিবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে চবি প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের দিন নির্ধারিত ছিল। তারা (পাকিস্তান সেনাবাহিনী) ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তারা জীবিত না মৃত অবস্থায় ফিরবে- সে বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে- এই ধারণা রীতিমতো অবান্তর। ’
তিনি আরো বলেন, এটি একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। এই দেশকে অন্য একটি দেশের করদরাজ্যে পরিণত করার লক্ষ্যেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খানের এ মন্তব্যের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশজুড়ে তীব্র বির্তক সৃষ্টি হয়। এই মন্তব্যের প্রতিবাদে গতরাতে চবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে শাখা ছাত্রদলসহ বিভিন্ন বামপন্থী সংগঠন।

