
রাজিব ফেরদৌস

হেমন্তের সকাল। চারপাশে সবুজ ধানের ক্ষেত, গাছপালা, পাখির কলতান আর দূরে নদীর ঢেউয়ের মৃদু শব্দে জড়ানো এক শান্ত গ্রাম। এই গ্রামেই থাকত দুই বন্ধু—হাবিব আর সুলতান। দুজনেই গ্রামের একমাত্র স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। বয়সে ছোট হলেও তাদের বন্ধুত্ব ছিল গভীর।
সারাদিন একসঙ্গে খেলাধুলা, গাছে চড়া, নদীতে সাঁতার, এমনকি স্কুলে এক বেঞ্চে বসে দুষ্টুমি। কিন্তু হাবিব আর সুলতানের মধ্যে একটি বড় পার্থক্য ছিল। হাবিব ভূত-প্রেতে বিশ্বাস করত আর সুলতান ওসবে একেবারেই বিশ্বাস করত না।
রাত নামলেই হাবিবকে ভয়ের ঘোর গ্রাস করত। অন্ধকারে সে যেন কোনো অদ্ভুত শব্দ শুনতে পেত, কখনো বা মনে হতো কোনো ছায়া তার দিকে তাকিয়ে আছে। গ্রামের বয়স্করা যখন ছোটদের ভূতের গল্প শোনাত, সুলতানসহ অন্যরা খুব মজা করে শুনলেও হাবিব ভয়ে কাঁপত। এমনকি কোনো প্রয়োজনে রাতে একা বাইরে যেতে হলেও তার বুক ধকধক করত।
অন্যদিকে সুলতান এসব কুসংস্কারে একদমই বিশ্বাস করত না। সে জানত, ভূত বলে কিছু নেই, সবই মানুষের কল্পনা। মনের ভয়। বন্ধুকে সাহস দেওয়ার জন্য সে প্রায়ই বলত, হাবিব, তুই এত ভয় পাস কেন? ভূত-টুত সব বানানো গল্প। একেবারেই মিথ্যে।
কিন্তু হাবিব মাথা নেড়ে বলত, না রে, একেবারে মিথ্যে নয়রে ভাই। আমি নিজ চোখে দেখেছি ছায়া নড়তে! এছাড়া আমি প্রায় রাতে ঘুম ভেঙে গেলে অদ্ভুত শব্দ শুনি। তখন আমার গা শিউরে ওঠে।
কতবার যে সুলতান তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে যে, সবই তার মনের ভুল। কিন্তু কে শোনে কার কথা! কোনো কিছুতেই হাবিবের ভয় কাটে না। এ জন্য হাবিবের মা অনেকবার তাকে গ্রামের মসজিদের হুজুর দিয়ে ঝাড়ফুঁক করিয়েছেন। তাতেও কোনো কাজ হয়নি।
একদিন সুলতানের মাথায় একটা বুদ্ধি এলো। সে ছোট একটা কাঠের টুকরো জোগাড় করল। সেটা কেটে সুন্দর করে ঘষে গোলাকৃতির কিছু একটা তৈরি করল। পরদিন সকাল হতেই ছুটে গেল বন্ধু হাবিবের বাসায়। সেই কাঠের টুকরোটি হাবিবের হাতে দিয়ে বলল, শোনো, অনেক বড় এক হুজুর এটা আমাকে দিয়েছে। সে বলেছে, যার কাছে এই জিনিস থাকবে, ভূতের সাধ্য নেই তার কাছে আসে। এটা নে, তুই এটা রাখ।
হাবিব কাঠের টুকরোটি হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ সেটার দিকে তাকিয়ে থাকে। তার পুরো শরীর ঝাঁকি দিয়ে ওঠে। হঠাৎ সে কেমন যেন সাহসী হয়ে উঠল। তার চোখে ভয়ের ছায়া মিলিয়ে গিয়ে আশ্চর্য এক শান্তি নেমে এলো। হাবিব বলল, সত্যি সুলতান! তুই এটা আমাকে দিয়ে দিচ্ছিস?
সুলতান হেসে মাথা নাড়ল—হ্যাঁ, হাবিব, এখন থেকে তুই একেবারে নিরাপদ।
সেদিন থেকে হাবিব আর আগের মতো ভয়ে কাঁপত না। রাতে একা বাইরে যেত, অন্ধকার পথে হাঁটত, এমনকি চাঁদের আলোয় উঠানে বসে বড়দের কাছে ভূতের গল্পও শুনত। তার মনে বিশ্বাস জন্মেছিল—ভূত-প্রেত তার কাছে আসতে পারবে না।
কিন্তু আসল জাদু তো ছিল অন্য জায়গায়। কাঠের টুকরোয় কোনো শক্তি ছিল না, শক্তি ছিল হাবিবের মনে। তার বিশ্বাসই তাকে ভয় থেকে মুক্তি দিয়েছিল। আর এই বিশ্বাস জাগিয়ে তুলেছিল তার প্রিয় বন্ধু সুলতান।
হাবিব আর সুলতানের বন্ধুত্বের এই গল্প গ্রামের ছোটদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সবাই জানতে পারে—ভয়কে জয় করার সবচেয়ে বড় শক্তি হলো নিজের বিশ্বাস। মনের সাহস।

হেমন্তের সকাল। চারপাশে সবুজ ধানের ক্ষেত, গাছপালা, পাখির কলতান আর দূরে নদীর ঢেউয়ের মৃদু শব্দে জড়ানো এক শান্ত গ্রাম। এই গ্রামেই থাকত দুই বন্ধু—হাবিব আর সুলতান। দুজনেই গ্রামের একমাত্র স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। বয়সে ছোট হলেও তাদের বন্ধুত্ব ছিল গভীর।
সারাদিন একসঙ্গে খেলাধুলা, গাছে চড়া, নদীতে সাঁতার, এমনকি স্কুলে এক বেঞ্চে বসে দুষ্টুমি। কিন্তু হাবিব আর সুলতানের মধ্যে একটি বড় পার্থক্য ছিল। হাবিব ভূত-প্রেতে বিশ্বাস করত আর সুলতান ওসবে একেবারেই বিশ্বাস করত না।
রাত নামলেই হাবিবকে ভয়ের ঘোর গ্রাস করত। অন্ধকারে সে যেন কোনো অদ্ভুত শব্দ শুনতে পেত, কখনো বা মনে হতো কোনো ছায়া তার দিকে তাকিয়ে আছে। গ্রামের বয়স্করা যখন ছোটদের ভূতের গল্প শোনাত, সুলতানসহ অন্যরা খুব মজা করে শুনলেও হাবিব ভয়ে কাঁপত। এমনকি কোনো প্রয়োজনে রাতে একা বাইরে যেতে হলেও তার বুক ধকধক করত।
অন্যদিকে সুলতান এসব কুসংস্কারে একদমই বিশ্বাস করত না। সে জানত, ভূত বলে কিছু নেই, সবই মানুষের কল্পনা। মনের ভয়। বন্ধুকে সাহস দেওয়ার জন্য সে প্রায়ই বলত, হাবিব, তুই এত ভয় পাস কেন? ভূত-টুত সব বানানো গল্প। একেবারেই মিথ্যে।
কিন্তু হাবিব মাথা নেড়ে বলত, না রে, একেবারে মিথ্যে নয়রে ভাই। আমি নিজ চোখে দেখেছি ছায়া নড়তে! এছাড়া আমি প্রায় রাতে ঘুম ভেঙে গেলে অদ্ভুত শব্দ শুনি। তখন আমার গা শিউরে ওঠে।
কতবার যে সুলতান তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে যে, সবই তার মনের ভুল। কিন্তু কে শোনে কার কথা! কোনো কিছুতেই হাবিবের ভয় কাটে না। এ জন্য হাবিবের মা অনেকবার তাকে গ্রামের মসজিদের হুজুর দিয়ে ঝাড়ফুঁক করিয়েছেন। তাতেও কোনো কাজ হয়নি।
একদিন সুলতানের মাথায় একটা বুদ্ধি এলো। সে ছোট একটা কাঠের টুকরো জোগাড় করল। সেটা কেটে সুন্দর করে ঘষে গোলাকৃতির কিছু একটা তৈরি করল। পরদিন সকাল হতেই ছুটে গেল বন্ধু হাবিবের বাসায়। সেই কাঠের টুকরোটি হাবিবের হাতে দিয়ে বলল, শোনো, অনেক বড় এক হুজুর এটা আমাকে দিয়েছে। সে বলেছে, যার কাছে এই জিনিস থাকবে, ভূতের সাধ্য নেই তার কাছে আসে। এটা নে, তুই এটা রাখ।
হাবিব কাঠের টুকরোটি হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ সেটার দিকে তাকিয়ে থাকে। তার পুরো শরীর ঝাঁকি দিয়ে ওঠে। হঠাৎ সে কেমন যেন সাহসী হয়ে উঠল। তার চোখে ভয়ের ছায়া মিলিয়ে গিয়ে আশ্চর্য এক শান্তি নেমে এলো। হাবিব বলল, সত্যি সুলতান! তুই এটা আমাকে দিয়ে দিচ্ছিস?
সুলতান হেসে মাথা নাড়ল—হ্যাঁ, হাবিব, এখন থেকে তুই একেবারে নিরাপদ।
সেদিন থেকে হাবিব আর আগের মতো ভয়ে কাঁপত না। রাতে একা বাইরে যেত, অন্ধকার পথে হাঁটত, এমনকি চাঁদের আলোয় উঠানে বসে বড়দের কাছে ভূতের গল্পও শুনত। তার মনে বিশ্বাস জন্মেছিল—ভূত-প্রেত তার কাছে আসতে পারবে না।
কিন্তু আসল জাদু তো ছিল অন্য জায়গায়। কাঠের টুকরোয় কোনো শক্তি ছিল না, শক্তি ছিল হাবিবের মনে। তার বিশ্বাসই তাকে ভয় থেকে মুক্তি দিয়েছিল। আর এই বিশ্বাস জাগিয়ে তুলেছিল তার প্রিয় বন্ধু সুলতান।
হাবিব আর সুলতানের বন্ধুত্বের এই গল্প গ্রামের ছোটদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সবাই জানতে পারে—ভয়কে জয় করার সবচেয়ে বড় শক্তি হলো নিজের বিশ্বাস। মনের সাহস।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন শিশির বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, শাকসু বানচালের চেষ্টা চলছে। শিক্ষার্থীরা এটা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। যদি আগামী সোমবার ভিসি এসে নির্বাচন কমিশন গঠন করে রোডম্যাপ ঘোষণা না করেন, তাহলে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের...
২ ঘণ্টা আগে
সংগঠনের তথ্য, উপহার প্রদান, অনুভূতি বক্স এবং মেহেদি দেওয়ার জন্য উৎসবের ছাউনিতে চারটি আলাদা বুথ। সেখানে ছিল নারী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আয়োজকরা নতুন সদস্য আহ্বান ও প্রচারপত্র বিলি করেন। ফটকের সামনে একটি ব্যানারে লেখা, ‛প্রিয় ভাইয়েরা, ভেতরে প্রবেশ ও উঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন।’
৩ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
৪ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
৫ ঘণ্টা আগে