জেড ফোর্স ভাস্কর্য

গোলাম আশরাফ খান উজ্জ্বল
প্রকাশ : ২৭ মে ২০২৫, ১৬: ১৫

অর্ধশতাব্দী আগের কথা। ১৯৭১ সাল। বাংলাদেশে তখন স্বাধীনতার জন্য উত্তাল জনগণ। এরই মাঝে ঘনিয়ে এলো ২৫ মার্চ কালরাত। পাক আর্মিরা আমাদের সাধারণ মানুষের ওপর বর্বর আক্রমণ চালিয়ে অসংখ্য মানুষ শহীদ করে। এ খবর পৌঁছে যায় চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টে মেজর জিয়াউর রহমানের কাছে। মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বিদ্রোহ করে পাক আর্মি অধিনায়ককে আটক করেন। চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তিনি ও তার সহযোগীরা পাক আর্মির বিরুদ্ধে অস্ত্র নিয়ে সরাসরি সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। শত্রুদের ভিত তিনি ও তার যোদ্ধারা কাঁপিয়ে দেন। জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে সহযোগী যোদ্ধারা চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলা বেশ কয়েক মাস মুক্ত এবং স্বাধীন রাখতে সক্ষম হন।

বিজ্ঞাপন

১৯৭১ সালের জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে জেনারেল জিয়াউর রহমান নিজ নামের প্রথম অক্ষর ‘জেড’ দিয়ে জেড ফোর্স গঠন করে মুক্তিযুদ্ধ আরো বেগবান করেন। তার বুদ্ধি ও যুদ্ধকৌশলে পাক আর্মি অনেক এলাকা থেকে পালাতে থাকে। বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা লাভ করে। জেনারেল জিয়াউর রহমান কর্মস্থলে ক্যান্টনমেন্টে ফিরে আসেন। জেনারেল জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে জেড ফোর্সের সৈনিকদের বীরোচিত ও আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে কুমিল্লার ময়নামতি ক্যান্টনমেন্টে একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়। এ ভাস্কর্য জেড ফোর্সের কমান্ডার, সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান, শ্রদ্ধা ও অবদানের স্বীকৃতি।

জেড ফোর্স ভাস্কর্যে একটি উঁচু মঞ্চে বুলেট বা বন্দুকের গুলি প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এই বুলেটের ডান পাশে ইংরেজি জেড অক্ষর স্টিলের মাধ্যমে ঢালাই করা। তার পাশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বা সৈনিকের প্রতীক তলোয়ার দেখানো হয়েছে। এ ভাস্কর্যটি ময়নামতি ক্যান্টনমেন্টে এখনো স্বমহিমায় মহান স্বাধীনতার কীর্তি বহন করে যাচ্ছে।

স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল সৈনিকের হাতে তিনি চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে শাহাদাত বরণ করেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে লেখা হয়েছে অসংখ্য কবিতা,গল্প ও স্মৃতিচারণ। এদেশের মানুষ চিরদিন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে স্মরণ রাখবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত