স্পেস অলিম্পিয়াডে আরণ্যকের কৃতিত্ব

রবিউল মাশরাফী
প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৫, ১৪: ৪২

১৫ আগস্ট বাংলাদেশ স্পেস অ্যান্ড রিসার্চ সোসাইটির আয়োজনে ঢাকার এআইইউবিতে হলো বাংলাদেশ স্পেস অলিম্পিয়াডের সিজন-৩-এর গ্র্যান্ড ফিনালে। এতে শ্রেণি অনুযায়ী চারটি বিভাগের প্রতি বিভাগে চ্যাম্পিয়ন, প্রথম রানারআপ, দ্বিতীয় রানারআপ নির্বাচিত হয়। জেলাপর্যায়ের সিলেকশন রাউন্ডে উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীরা এই চূড়ান্ত পর্বে উন্নীত হয়।

এই পর্বে আরণ্যক রহমান (গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র) প্রাথমিক বিভাগে প্রথম রানারআপ পুরস্কারে ভূষিত হয়। শিশুকাল থেকেই সে বিজ্ঞানমনস্ক। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকেই তার যাত্রা শুরু।

বিজ্ঞাপন

তার বাবারও এদিকে আগ্রহ থাকায় মহাকাশ সম্বন্ধীয় বই, মডেল সোলার সিস্টেম, টেলিস্কোপ সবই কিনে দিয়েছেন। এ অর্জনের মধ্য দিয়ে আরণ্যক রহমান এখন থেকে অ্যারোস্পেস, মহাশূন্য, মহাকাশ নিয়ে কাজ করার মহাপ্রেরণা এবং স্বীকৃতি পেয়ে গেল।

তবে সংগত কারণেই আগামী প্রজন্মের জন্য একটি কথা বলতে হয়, বর্তমান প্রজন্মের চিন্তাচেতনা, বুদ্ধি-বিবেচনা পূর্ববর্তী প্রজন্ম থেকে একটু আলাদা। বর্তমান সময়ের উন্নত টেকনোলজির কারণে ছেলেমেয়েরা প্রযুক্তি বিদ্যায় অনেক এগিয়ে যাচ্ছে কিন্তু সামাজিক ও পারিবারিক সম্পর্কের বন্ধন রক্ষার ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছে।

এ প্রসঙ্গে যাযাবর (বিনয় মুখোপাধ্যায়) তার ‘দৃষ্টিপাত’ নামক ভ্রমণবিষয়ক গ্রন্থে লিখেছেন বিজ্ঞান এনেছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ।’ এই কথাটির তাৎপর্য হলো, আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে দ্রুততম করেছে, বেগবান করেছে; কিন্তু এর ফলে মানুষের আবেগ, ভালোবাসা, অনুভূতি, সহানুভূতি এবং প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ কমে গেছে।

আজকের শিশু আগামী দিনের দিকপাল তাই তাদের চোখে চোখ রেখে আমরাও স্বপ্ন দেখি সুন্দর ও কল্যাণের।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত