সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল পূর্ণরূপে চালুসহ ৩ দাবি চিকিৎসকদের

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০০: ৫০

উদ্বোধনের তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো চালু হয়নি দেশের একমাত্র সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত রাজধানীর শাহবাগের বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল। প্রস্তুতি ছাড়া চালুর ফলে জনবল নিয়োগের সৃষ্ট জটিলতার অবসান হয়নি দীর্ঘ সময়েও। এবার হাসপাতালটি পূর্ণরূপে চালু করাসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছেন বিএমইউয়ের চিকিৎসকেরা।

বুধবার সকাল ১১টার দিকে বিএমইউ ক্যাম্পাসে এক মানববন্ধনে এ দাবি জানান তারা। অন্য দুই দাবির মধ্যে রয়েছে- শিক্ষক ও মেডিকেল অফিসার নিয়োগ এবং পূর্ণাঙ্গ হোস্টেল নির্মাণ ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণ।

বিজ্ঞাপন

চিকিৎসকরা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশের অবস্থা পরিবর্তন হয়। সব জায়গায় ব্যাপক পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগলেও বিএমইউতে তা খুব বেশি দৃশ্যমান হয়নি। আশা করি, বিএমইউর অবস্থা আরও পরিবর্তন হবে। দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে চিকিৎসাসেবা ও গবেষণার মাধ্যমে।

তারা বলেন, কয়েক হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল করা হয়েছে, দক্ষ জনবলের অভাবে এখনও পুরোপুরিভাবে চালু করা হয়নি। বিএমইউতে বর্তমানে ৬৫টি মেডিকেল অফিসারের পদ খালি রয়েছে, পদোন্নতির কারণে ২২৬টি মেডিকেল অফিসারের পদ হোল্ড আছে। সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৩৫৮টির মতো পদ এখনো রয়েছে। দ্রুত চিকিৎসকসহ অন্যান্য পদে নিয়োগ দিয়ে হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গরুপে চালু করা হোক।

চিকিৎসকরা আরও বলেন, বিএমইউর হাজার হাজার রেসিডেন্ট, তাদের থাকার জন্য কোনো হল নেই। চিকিৎসকদেরকে থাকতে হয় বাইরে। হল সুবিধা না থাকার কারণে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় কষ্ট করে থাকতে হয় এবং যাতায়াতের অসুবিধা হয়। এতে সেবায় বিঘ্ন ঘটে।

এ সময় বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অফথালমোলজি বিভাগের রেসিডেন্ট ডা. মো. নাজমুল হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশে চিকিৎসকরা যথেষ্ট দক্ষ, কিন্তু দক্ষতা দেখানোর সুযোগ পাচ্ছে না। তাদেরকে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা দেয়া হোক। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক হাজার রেসিডেন্ট, যারা পড়াশোনা করেন এবং রোগীদের সেবা প্রদান করেন। তাদের জন্য নেই কোনো ছাত্রাবাস। নামকাওয়াস্তে একটি ভবন রয়েছে, যেখানে থাকার অযোগ্য।’

ডা. আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘৫ আগস্টের পর সব জায়গায় সংস্কার হচ্ছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়কে এখনও ঠিক মতো সংস্কার করা হয়নি। নানাভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। কোরিয়ার অর্থায়নে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল করা হয়েছে, এখনও পুরোপুরি সুফল পাচ্ছে না দেশের জনগণ। চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট-ওয়ার্ড বয়সহ সব পদে নিয়োগ করে পুরোপুরিভাবে হাসপাতাল চালু করা হোক। এই নভেম্বরের মধ্যে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন দিতে হবে এবং ২০২৫ সালের মধ্যে এই নিয়ে প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।’

মানববন্ধনে বিএমইউর মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের ডা. আবু রায়হান রাজি, বিএমইউর ডা. মাহমুদুর রহমান মাজেদ ও ডা. আবুল বাশারসহ বিএমইউয়ের বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত