এন আই মানিক
হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসা নিতে গেলেই প্রয়োজন হয় নার্সদের সেবার। তাদের সেবায় সুস্থ হয়ে ওঠে রোগী। দক্ষ নার্স গড়তে দেশের নার্সিং কলেজগুলো কাজ করে যাচ্ছে। নার্সিং শিক্ষার চ্যালেঞ্জ ও প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আজ আমরা কথা বলব ইউনিহেলথ নার্সিং কলেজের প্রিন্সিপাল আরতি রানী বাড়ৈ-এর সঙ্গে।
প্রশ্ন : বর্তমানে নার্সিং শিক্ষায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী বলে আপনি মনে করেন?
উত্তর : নার্সিং হলো একটি মহৎ পেশা। এই পেশা শুরুতেই কারো চয়েসে থাকে না। সবার চিন্তায় থাকে তারা ডাক্তার হবে কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হবে। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার না হতে পারলেও অনেকে নার্সিং পেশাকে বেছে নিচ্ছে। নার্সিং পেশার প্রতি আগ্রহ কম এবং সেইসঙ্গে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত নার্স শিক্ষকের অভাব চ্যালেঞ্জিং বটেই। এছাড়া পরিবেশের সঙ্গে দ্রুত পরিবর্তনশীল স্বাস্থ্যসেবার তাল মিলিয়ে চলতে হলে আধুনিক প্রযুক্তি এবং উন্নত দক্ষতার প্রশিক্ষণ প্রদানেও চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করতে হবে।
প্রশ্ন : আপনার অভিজ্ঞতায় একজন আদর্শ নার্স তৈরিতে কোন কোন গুণাবলি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর : অবশ্যই কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ কোয়ালিটি থাকতে হবে, যেগুলো না থাকলে কেউ আদর্শ নার্স হতে পারবে না। যেমন সহানুভূতি না থাকলে রোগীর প্রতি আন্তরিক হতে পারবে না। যোগাযোগ দক্ষতা থাকতে হবে, কমিউনিকেশন স্কিল না থাকলে রোগীকে সেবা দিতে পারবে না। এরপর হলো ধৈর্য, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রোগীর প্রতি ভালো সেবা দিতে হলে অবশ্যই কোনো নার্সকে ধৈর্যশীল হতে হবে এবং পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা থাকতে হবে। অবজারভেশন স্কিল থাকতে হবে। মনে করুন একটা রোগী আমার কাছে এলো, এখন আমার যদি পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা না থাকে, তাহলে তার সমস্যা আইডেন্টিফাই করতে পারব না। এখন হলো আধুনিক যুগ, সবকিছু দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। এই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া অবশ্যই গুণাবলির পর্যায়ে পড়ে। তাই প্রযুক্তিগত জ্ঞান থাকাটা খুবই জরুরি। এছাড়া রোগীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া, নৈতিকতা বজায় রাখা এবং একটি দল হিসেবে কাজ করার মতো গুণাবলি থাকা আবশ্যক।
প্রশ্ন : নার্সিং পেশাকে আরো আধুনিক ও মানসম্মত করতে আমাদের দেশে কী ধরনের পরিবর্তন আনা উচিত?
উত্তর : নার্সিং পেশার প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি করতে এই পেশার গুরুত্ব এবং সম্মান সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। সেইসঙ্গে ভালো বেতন ও কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষক সংকট মোকাবিলায় অভিজ্ঞ এবং দক্ষ নার্সদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে এই পেশায় আনতে হবে। গবেষণা, উদ্ভাবন এগুলো থাকতে হবে। আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তিগত শিক্ষাও দিতে হবে।
প্রশ্ন : আপনার কলেজ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের পেশাগত সাফল্য নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?
উত্তর : আমাদের কলেজ থেকে ছয়টা ব্যাচ বেরিয়ে গেছে। অনেকেই বিভিন্ন নামিদামি হসপিটালে কর্মরত আছেন। বিশেষ করে ল্যাবএইড, বারডেম, স্কয়ার, এভারকেয়ার ও গ্রীন লাইফের মতো হসপিটালে আমাদের নার্সরা কাজ করছে। ইউনিহেলথ নার্সিং কলেজের নিজস্ব ১০০ বেডের হাসপাতাল রয়েছে। আর তাই শিক্ষার্থীরা প্র্যাকটিস ভালো করতে পারছে, ভালোভাবে শিখতে পারছে এবং অন্য জায়গায় গিয়ে সুনামের সঙ্গে কাজও করতে পারছে। সেজন্য তাদের ডিমান্ডও ভালো। এছাড়া এখানে রয়েছে মিডওয়াইফারি, কম্পিউটার, অ্যানাটমি ও নিউট্রিশিয়ান ল্যাব।
প্রশ্ন : নার্সিং শিক্ষার্থীদের জন্য নিজের অভিজ্ঞতা থেকে কোন পরামর্শটি দিতে চান?
উত্তর : নার্সিং শিক্ষার্থীদের জন্য আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে চাই, নিজেদের আত্মসচেতনতা থাকতে হবে। যদি তারা সচেতন থাকে, তাহলে ভালো নার্স হিসেবে তৈরি হতে পারবে এবং ভালো সার্ভিসও দিতে পারবে। ধৈর্যধারণ ক্ষমতা থাকলে অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে পারবে। লিমিটেড জ্ঞান দিয়ে নার্সিং পেশায় কাজ করা যায় না। প্রতিনিয়ত জ্ঞান অর্জন করতে হবে। নিত্যনতুন কত কিছু আবিষ্কৃত হচ্ছে, ওসব বিষয়ে অবগত থাকতে হবে। ক্লিনিক্যালি অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, যেটা আমরা এখানে দিয়ে থাকি। যোগাযোগ দক্ষতা থাকতে হবে সবার সঙ্গে। যেকোনো সমস্যা সমাধান করার মানসিকতা থাকতে হবে। সবশেষে ভবিষ্যতের পরিকল্পনাও থাকতে হবে। ক্লিনিক্যালি নার্স হবে, নাকি নার্সিং টিচার হবে—এসব ঠিক করেই এগোতে হবে।
হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসা নিতে গেলেই প্রয়োজন হয় নার্সদের সেবার। তাদের সেবায় সুস্থ হয়ে ওঠে রোগী। দক্ষ নার্স গড়তে দেশের নার্সিং কলেজগুলো কাজ করে যাচ্ছে। নার্সিং শিক্ষার চ্যালেঞ্জ ও প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আজ আমরা কথা বলব ইউনিহেলথ নার্সিং কলেজের প্রিন্সিপাল আরতি রানী বাড়ৈ-এর সঙ্গে।
প্রশ্ন : বর্তমানে নার্সিং শিক্ষায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী বলে আপনি মনে করেন?
উত্তর : নার্সিং হলো একটি মহৎ পেশা। এই পেশা শুরুতেই কারো চয়েসে থাকে না। সবার চিন্তায় থাকে তারা ডাক্তার হবে কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হবে। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার না হতে পারলেও অনেকে নার্সিং পেশাকে বেছে নিচ্ছে। নার্সিং পেশার প্রতি আগ্রহ কম এবং সেইসঙ্গে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত নার্স শিক্ষকের অভাব চ্যালেঞ্জিং বটেই। এছাড়া পরিবেশের সঙ্গে দ্রুত পরিবর্তনশীল স্বাস্থ্যসেবার তাল মিলিয়ে চলতে হলে আধুনিক প্রযুক্তি এবং উন্নত দক্ষতার প্রশিক্ষণ প্রদানেও চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করতে হবে।
প্রশ্ন : আপনার অভিজ্ঞতায় একজন আদর্শ নার্স তৈরিতে কোন কোন গুণাবলি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর : অবশ্যই কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ কোয়ালিটি থাকতে হবে, যেগুলো না থাকলে কেউ আদর্শ নার্স হতে পারবে না। যেমন সহানুভূতি না থাকলে রোগীর প্রতি আন্তরিক হতে পারবে না। যোগাযোগ দক্ষতা থাকতে হবে, কমিউনিকেশন স্কিল না থাকলে রোগীকে সেবা দিতে পারবে না। এরপর হলো ধৈর্য, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রোগীর প্রতি ভালো সেবা দিতে হলে অবশ্যই কোনো নার্সকে ধৈর্যশীল হতে হবে এবং পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা থাকতে হবে। অবজারভেশন স্কিল থাকতে হবে। মনে করুন একটা রোগী আমার কাছে এলো, এখন আমার যদি পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা না থাকে, তাহলে তার সমস্যা আইডেন্টিফাই করতে পারব না। এখন হলো আধুনিক যুগ, সবকিছু দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। এই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া অবশ্যই গুণাবলির পর্যায়ে পড়ে। তাই প্রযুক্তিগত জ্ঞান থাকাটা খুবই জরুরি। এছাড়া রোগীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া, নৈতিকতা বজায় রাখা এবং একটি দল হিসেবে কাজ করার মতো গুণাবলি থাকা আবশ্যক।
প্রশ্ন : নার্সিং পেশাকে আরো আধুনিক ও মানসম্মত করতে আমাদের দেশে কী ধরনের পরিবর্তন আনা উচিত?
উত্তর : নার্সিং পেশার প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি করতে এই পেশার গুরুত্ব এবং সম্মান সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। সেইসঙ্গে ভালো বেতন ও কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষক সংকট মোকাবিলায় অভিজ্ঞ এবং দক্ষ নার্সদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে এই পেশায় আনতে হবে। গবেষণা, উদ্ভাবন এগুলো থাকতে হবে। আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তিগত শিক্ষাও দিতে হবে।
প্রশ্ন : আপনার কলেজ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের পেশাগত সাফল্য নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?
উত্তর : আমাদের কলেজ থেকে ছয়টা ব্যাচ বেরিয়ে গেছে। অনেকেই বিভিন্ন নামিদামি হসপিটালে কর্মরত আছেন। বিশেষ করে ল্যাবএইড, বারডেম, স্কয়ার, এভারকেয়ার ও গ্রীন লাইফের মতো হসপিটালে আমাদের নার্সরা কাজ করছে। ইউনিহেলথ নার্সিং কলেজের নিজস্ব ১০০ বেডের হাসপাতাল রয়েছে। আর তাই শিক্ষার্থীরা প্র্যাকটিস ভালো করতে পারছে, ভালোভাবে শিখতে পারছে এবং অন্য জায়গায় গিয়ে সুনামের সঙ্গে কাজও করতে পারছে। সেজন্য তাদের ডিমান্ডও ভালো। এছাড়া এখানে রয়েছে মিডওয়াইফারি, কম্পিউটার, অ্যানাটমি ও নিউট্রিশিয়ান ল্যাব।
প্রশ্ন : নার্সিং শিক্ষার্থীদের জন্য নিজের অভিজ্ঞতা থেকে কোন পরামর্শটি দিতে চান?
উত্তর : নার্সিং শিক্ষার্থীদের জন্য আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে চাই, নিজেদের আত্মসচেতনতা থাকতে হবে। যদি তারা সচেতন থাকে, তাহলে ভালো নার্স হিসেবে তৈরি হতে পারবে এবং ভালো সার্ভিসও দিতে পারবে। ধৈর্যধারণ ক্ষমতা থাকলে অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে পারবে। লিমিটেড জ্ঞান দিয়ে নার্সিং পেশায় কাজ করা যায় না। প্রতিনিয়ত জ্ঞান অর্জন করতে হবে। নিত্যনতুন কত কিছু আবিষ্কৃত হচ্ছে, ওসব বিষয়ে অবগত থাকতে হবে। ক্লিনিক্যালি অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, যেটা আমরা এখানে দিয়ে থাকি। যোগাযোগ দক্ষতা থাকতে হবে সবার সঙ্গে। যেকোনো সমস্যা সমাধান করার মানসিকতা থাকতে হবে। সবশেষে ভবিষ্যতের পরিকল্পনাও থাকতে হবে। ক্লিনিক্যালি নার্স হবে, নাকি নার্সিং টিচার হবে—এসব ঠিক করেই এগোতে হবে।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন শিশির বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, শাকসু বানচালের চেষ্টা চলছে। শিক্ষার্থীরা এটা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। যদি আগামী সোমবার ভিসি এসে নির্বাচন কমিশন গঠন করে রোডম্যাপ ঘোষণা না করেন, তাহলে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের...
৩ ঘণ্টা আগেসংগঠনের তথ্য, উপহার প্রদান, অনুভূতি বক্স এবং মেহেদি দেওয়ার জন্য উৎসবের ছাউনিতে চারটি আলাদা বুথ। সেখানে ছিল নারী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আয়োজকরা নতুন সদস্য আহ্বান ও প্রচারপত্র বিলি করেন। ফটকের সামনে একটি ব্যানারে লেখা, ‛প্রিয় ভাইয়েরা, ভেতরে প্রবেশ ও উঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন।’
৩ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
৪ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
৫ ঘণ্টা আগে