ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
শব্দদূষণের প্রভাব শুধু কানে সীমাবদ্ধ থাকে না। এটা মানুষের মন, আবেগ, ঘুম, মনোযোগ, কর্মক্ষমতা এবং সামাজিক আচরণে সরাসরি প্রভাব ফেলে। নিচে এর কিছু উল্লেখযোগ্য প্রভাব তুলে ধরা হলো-
ঘুমের ব্যাঘাত ও অনিদ্রা
শব্দদূষণের কারণে রাতে ঘুম গভীর হয় না। ঘন ঘন জেগে ওঠা বা পর্যাপ্ত সময় ঘুম না হওয়া থেকে শুরু হয় অনিদ্রা, যা ধীরে ধীরে মানসিক দুর্বলতা, হতাশা ও উদ্বেগ সৃষ্টি করে।
অবসাদ ও বিষণ্ণতা
শহরের কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে বিষণ্ণতা এবং ক্লান্তি অনেক বেশি দেখা যায়। অবিরাম উচ্চশব্দ মস্তিষ্কে কর্টিসল (Cortisol) হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, যা স্ট্রেস ও অবসাদ বাড়ায়।
একাগ্রতার ঘাটতি
ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে সমস্যা হয়। যেকোনো বয়সের মানুষ কাজের ক্ষেত্রে মনোযোগ ধরে রাখতে পারে না, ফলে কমে যায় উৎপাদনশীলতা।
আচরণগত সমস্যা
শিশুদের মধ্যে অতিরিক্ত শব্দের প্রভাবে উদ্বেগ, অস্থিরতা এবং আক্রমণাত্মক আচরণ লক্ষ করা যায়। অনেক ক্ষেত্রে এটি শিশুর মানসিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে।
আতঙ্ক ও মুড সুইং
হঠাৎ করে উচ্চশব্দের ফলে হৃদকম্পন বেড়ে যায়। ভয় পাওয়ার অনুভূতি তৈরি হয়। এ ছাড়া অতিরিক্ত চঞ্চল হয়ে ওঠার মতো মানসিক অবস্থা সৃষ্টি হয়, যা দীর্ঘ মেয়াদে মানসিক রোগে রূপ নিতে পারে।
প্রতিকার ও করণীয়
শব্দদূষণ এবং এর মানসিক প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে ব্যক্তি, সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। বাংলাদেশে শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ আছে। তবে তার বাস্তব প্রয়োগ প্রয়োজন। অননুমোদিত মাইক ব্যবহার, নির্মাণকাজে সময়সীমা নির্ধারণ এবং যানবাহনে অনিয়ন্ত্রিত হর্ন ব্যবহার রোধে কার্যকর মনিটরিং চালাতে হবে। স্কুল, কলেজ ও কর্মস্থলে শব্দদূষণ এবং মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সেমিনার আয়োজন করা যেতে পারে। শিল্প ও নির্মাণক্ষেত্রে শব্দ শোষণকারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা উচিত। পার্ক, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আবাসিক এলাকা যেন ‘নীরব এলাকা’ হিসেবে ঘোষিত হয় এবং সেখানে শব্দের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। শব্দদূষণের প্রভাবে যারা মানসিক সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য সহজলভ্য মনোসামাজিক কাউন্সেলিং ও চিকিৎসাব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি।
লেখক : প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান
জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি
শব্দদূষণের প্রভাব শুধু কানে সীমাবদ্ধ থাকে না। এটা মানুষের মন, আবেগ, ঘুম, মনোযোগ, কর্মক্ষমতা এবং সামাজিক আচরণে সরাসরি প্রভাব ফেলে। নিচে এর কিছু উল্লেখযোগ্য প্রভাব তুলে ধরা হলো-
ঘুমের ব্যাঘাত ও অনিদ্রা
শব্দদূষণের কারণে রাতে ঘুম গভীর হয় না। ঘন ঘন জেগে ওঠা বা পর্যাপ্ত সময় ঘুম না হওয়া থেকে শুরু হয় অনিদ্রা, যা ধীরে ধীরে মানসিক দুর্বলতা, হতাশা ও উদ্বেগ সৃষ্টি করে।
অবসাদ ও বিষণ্ণতা
শহরের কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে বিষণ্ণতা এবং ক্লান্তি অনেক বেশি দেখা যায়। অবিরাম উচ্চশব্দ মস্তিষ্কে কর্টিসল (Cortisol) হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, যা স্ট্রেস ও অবসাদ বাড়ায়।
একাগ্রতার ঘাটতি
ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে সমস্যা হয়। যেকোনো বয়সের মানুষ কাজের ক্ষেত্রে মনোযোগ ধরে রাখতে পারে না, ফলে কমে যায় উৎপাদনশীলতা।
আচরণগত সমস্যা
শিশুদের মধ্যে অতিরিক্ত শব্দের প্রভাবে উদ্বেগ, অস্থিরতা এবং আক্রমণাত্মক আচরণ লক্ষ করা যায়। অনেক ক্ষেত্রে এটি শিশুর মানসিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে।
আতঙ্ক ও মুড সুইং
হঠাৎ করে উচ্চশব্দের ফলে হৃদকম্পন বেড়ে যায়। ভয় পাওয়ার অনুভূতি তৈরি হয়। এ ছাড়া অতিরিক্ত চঞ্চল হয়ে ওঠার মতো মানসিক অবস্থা সৃষ্টি হয়, যা দীর্ঘ মেয়াদে মানসিক রোগে রূপ নিতে পারে।
প্রতিকার ও করণীয়
শব্দদূষণ এবং এর মানসিক প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে ব্যক্তি, সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। বাংলাদেশে শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ আছে। তবে তার বাস্তব প্রয়োগ প্রয়োজন। অননুমোদিত মাইক ব্যবহার, নির্মাণকাজে সময়সীমা নির্ধারণ এবং যানবাহনে অনিয়ন্ত্রিত হর্ন ব্যবহার রোধে কার্যকর মনিটরিং চালাতে হবে। স্কুল, কলেজ ও কর্মস্থলে শব্দদূষণ এবং মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সেমিনার আয়োজন করা যেতে পারে। শিল্প ও নির্মাণক্ষেত্রে শব্দ শোষণকারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা উচিত। পার্ক, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আবাসিক এলাকা যেন ‘নীরব এলাকা’ হিসেবে ঘোষিত হয় এবং সেখানে শব্দের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। শব্দদূষণের প্রভাবে যারা মানসিক সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য সহজলভ্য মনোসামাজিক কাউন্সেলিং ও চিকিৎসাব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি।
লেখক : প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান
জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি
আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন শিশির বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, শাকসু বানচালের চেষ্টা চলছে। শিক্ষার্থীরা এটা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। যদি আগামী সোমবার ভিসি এসে নির্বাচন কমিশন গঠন করে রোডম্যাপ ঘোষণা না করেন, তাহলে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের...
২ ঘণ্টা আগেসংগঠনের তথ্য, উপহার প্রদান, অনুভূতি বক্স এবং মেহেদি দেওয়ার জন্য উৎসবের ছাউনিতে চারটি আলাদা বুথ। সেখানে ছিল নারী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আয়োজকরা নতুন সদস্য আহ্বান ও প্রচারপত্র বিলি করেন। ফটকের সামনে একটি ব্যানারে লেখা, ‛প্রিয় ভাইয়েরা, ভেতরে প্রবেশ ও উঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন।’
৩ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
৪ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
৫ ঘণ্টা আগে