স্মার্টফোনের প্রোটেকশন সুবিধা

তথ্যপ্রযুক্তি রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫: ০১

মনের ভুলে অনেকেই স্মার্টফোন হারান। কখনও চুরি কিংবা ছিনতাইকারীর কবলে পড়েও স্মার্টফোন হারিয়ে যায়। তখন দুশ্চিন্তা বাড়তে থাকে স্মার্টফোনে থাকা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে। কী করব, কোথায় যাব বলে হা-হুতাশ করতে থাকি। কারণ চাইলেই তো আর দূর থেকে হারিয়ে যাওয়া ডিভাইসটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এমন অবস্থা থেকে বাঁচতে গুগল দিচ্ছে প্রোটেকশন সুবিধা। ফলে যার হাতেই থাক, সে কোনোভাবেই আপনার ফোনে থাকা গোপন তথ্য জানতে পারবে না। চলুন জানা যাক প্রোটেকশন সুবিধা। লিখেছেন মেজবাহ মুকুল

থেফট ডিটেকশন লক

বিজ্ঞাপন

থেফট প্রোটেকশন সুবিধা চালু করতে আপনার ফোনের সেটিংস অ্যাপে যান। এবার স্ক্রল করে গুগল অপশনে ট্যাপ করে ‘অল সার্ভিসেস’ বিভাগে প্রবেশ করুন। এখানে এসে ‘থেফট প্রোটেকশন’ অপশন থেকে ‘থেফট ডিটেকশন লক’ অপশনের পাশে থাকা টগলটি ট্যাপ করলেই সুবিধাটি চালু হয়ে যাবে। পরবর্তী সময়ে ব্যবহারকারীর সন্দেহজনক কার্যক্রম শনাক্ত হলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে লক হয়ে যাবে আপনার স্মার্টফোন।

ফাইন্ড মাই ডিভাইস

প্রথমে ফোনের ‘সেটিংস’-এ প্রবেশ করে ‘গুগল’ অপশনে ট্যাপ করতে হবে। ট্যাপ করা হয়ে গেলে ‘ফাইন্ড মাই ডিভাইস’ অপশন দেখা যাবে। অনেকের মোবাইলে হয়তো অপশনটি নাও দেখা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ডাউনলোড ট্যাপ করে ফোনে অ্যাপটি নামাতে হবে। এরপর জিমেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে অ্যাপটিতে লগইন করে ‘ফাইন্ড মাই ডিভাইস’ অপশন চালু করুন। এখন যেকোনো ওয়েব ব্রাউজারে বা অন্য মোবাইল দিয়ে এই ঠিকানায় প্রবেশ করতে হবে। এরপর গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগইন করলে সেই অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত সব অ্যান্ড্রয়েড যন্ত্রের তালিকা দেখা যাবে। সে তালিকা থেকে আপনার হারিয়ে যাওয়া স্মার্টফোনের নাম ট্যাপ করলেই সেটির লোকেশন দেখাবে। তবে হারিয়ে যাওয়া ফোনের সঙ্গে অন্য ফোনটির অবশ্যই একই গুগল অ্যাকাউন্ট চালু থাকতে হবে এবং ইন্টারনেট-সংযোগ থাকতে হবে। তা না হলে সর্বশেষ অবস্থান জানা যাবে না।

যদি ইন্টারনেট চালু থাকে, তবে দূর থেকে আপনি নতুন পিন, পাসওয়ার্ড ও প্যাটার্ন দিয়ে ডিভাইসটি লক করতে পারবেন। এমনকি ডিলিট করতে পারেন সব তথ্য। তবে এই প্রক্রিয়ায় আপনার ডিভাইসে থাকা সব ছবি ও ভিডিও চিরতরে ফোন থেকে মুছে যাবে। তাই কোনো তথ্য একেবারেই হারাতে না চাইলে আগে থেকেই ব্যাক আপ রাখুন।

ইক্যুপমেন্ট আইডেন্টিটি

আইফোন বা অ্যান্ড্রয়েডচালিত স্মার্টফোন সবসময় লক করা রাখা ভালো। আর নতুন ফোন কিনে অবশ্যই ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইক্যুপমেন্ট আইডেন্টিটি অর্থাৎ ‘আইএমইআই’ নাম্বার সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। নাম্বার সংগ্রহ করতে আপনাকে কোথাও যেতে হবে না, মোবাইল ফোনের বাক্সের ওপর এই ১৫ সংখ্যার আইএমইআই নম্বর পাবেন। অথবা মোবাইলে *#০৬# ডায়াল করলে পেয়ে যাবেন। এখন আপনি শুধু নাম্বারটি কোথাও লিখে রাখবেন। হারিয়ে বা চুরি হওয়া ফোন খুঁজে পেতে এই নম্বরটিই প্রয়োজন পড়বে। এর ফলে আপনি সহজেই থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে পারবেন।

তবে আইফোনের বেলায় অ্যাপল আইডিতে ঢুকলে নিজের যন্ত্র বা ডিভাইস কোথায় তা দেখাবে। এবার লস্ট অ্যান্ড ইরেজ মোড চালু করে দিলে ডেটা সংরক্ষণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফোনের অবস্থানও জানা যাবে, অর্থাৎ যাকে আমরা লোকেশন ট্র্যাকিং বলি।

রিমোটলি লোকেট দিস ডিভাইস

স্মার্টফোনের লোকেশনের মাধ্যমেও খুঁজে নিতে পারেন হারিয়ে যাওয়া ফোন। অ্যান্ড্রয়েডের জন্য গুগল সেটিংস থেকে সিকিউরিটিতে যেতে হবে। সেখানে ‘রিমোটলি লোকেট দিস ডিভাইস’ অপশনটি চালু করে রাখতে হবে। এরপর ফোনের কোনো ব্রাউজার বা অন্য ফোন বা কম্পিউটার দিয়ে সেখানে যেতে হবে। এ প্রক্রিয়ায় হারানো ফোনটির অবস্থানের তথ্য রিয়েল টাইমে পাবেন।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত