প্রতিদিনের অস্থিরতার পেছনে কাজ করছে স্মার্ট ডিভাইস

তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৫, ১৭: ৫২

জেগে থাকার প্রায় পুরোটা সময়েই যেন চোখ দখলে নিয়েছে স্মার্ট পর্দা। ভাবনায় সেকেন্ডের ব্যবধানে দৃশ্য বদলের হেরফের। চাপা অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে মনের অজান্তেই। বলতে গেলে, সব সময়ের সঙ্গী হাতের স্মার্টফোনই যেন ভাবনায় ছড়াচ্ছে।

ঠিক ঘুমের আগে স্মার্টফোন ব্যবহার করলে ফোনের নীল আলো মস্তিষ্কে ‘মেলাটোনিন’ নামক হরমোনের নিঃসরণে বাধা সৃষ্টি করে, যা ঘুম নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। ফলে ঘুমের ব্যাঘাত হয়। বাড়ে উদ্বেগ আর দুশ্চিন্তা।

বিজ্ঞাপন

স্মার্টফোন নির্ভরতা মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর কী নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, তা নিয়ে গবেষণা চলছে। বিশেষ করে কতটা উদ্বেগ সৃষ্টির কারণ স্মার্টফোন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যখন-তখন চেনা-অচেনা মানুষের জীবনচিত্র দেখে যে কেউ অজান্তেই অন্যের সঙ্গে নিজের সামাজিক, পারিবারিক ও অন্যসব অবস্থার তুলনায় বুঁদ হয়ে পড়েন।

ডিজিটাল ডিভাইস ও ইন্টারনেটের প্রতি অতিরিক্ত মনোযোগ বাস্তব জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তা ধীরে ধীরে সামাজিক বিচ্ছিন্নতার দিকে ঠেলে দেয়। ফলে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ বাড়তে পারে।

স্মার্টফোন ব্যবহারের সময়সীমা থাকা শ্রেয়। প্রতিদিন কতক্ষণ স্মার্টফোন ব্যবহার করা হবে, তা আগে থেকে নির্ধারণ করে নেওয়া জরুরি। ঠিক ওই সময়সীমা মেনেই প্রতিদিনের স্মার্টফোন ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা জরুরি।

সুনির্দিষ্ট কিছু কাজের সময়ে স্মার্টফোন ব্যবহার না করা, যেমন– ঘুমানোর ঘণ্টাখানেক আগে, খাওয়ার সময়ে, গাড়ি চালানোর সময়ে ফোন ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত