সাক্ষাৎকার

বাংলা ভাষার যে স্বাভাবিক বিকাশ বাঙালি ন্যাশনালিজম সেইটারে নষ্ট করছে

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৫, ১৩: ১৭
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২৫, ২০: ৪২

হাসান রোবায়েত। কবি। ফ্যাসিবাদবিরোধী দীর্ঘ লড়াইয়ে যিনি বিশেষভাবে আলোচিত। গণঅভ্যুত্থানেও তার কবিতা প্রাসঙ্গিক ছিল। অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে তার ‘সিঁথি’ কবিতাটি সপ্তম শ্রেণির বাংলা পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে তার সঙ্গে কথা বলেছেন আমার দেশ-এর সাহিত্য সম্পাদক মুহিম মাহফুজ। প্রিন্ট ভার্সনে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারটি অনলাইন পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন যখন জেগে উঠল, তখন আমরা দেখলাম সমাজের সো কল্ড বুদ্ধিজীবীদের, শিল্পী-সাহিত্যিক-কবিদের বড় একটা অংশ এটাকে ধরতে পারল না বা নিজেদের যুক্ত করতে পারল না। তথাকথিত বুদ্ধিজীবী সমাজ আসলে ফেল করল, এত বড় একটা অভ্যুত্থানকে ধারণ করতে পারল না। বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবিতার জন্য তো এটা একটা ব্যর্থতার ঘটনা।

হাসান রোবায়েত : আমার কাছে এটা কোন বড় ঘটনাই না। আমি দেখি অন্যভাবে। একটা বড় অংশ যেমন ওন করেন নাই। আরেকটা বড় অংশ তো ওন করছে। আমি ওন করছি, আপনি ওন করছেন। না করলে এত বড় অভ্যুত্থান হইলো কেমনে? যারা অভ্যুত্থানে আসে নাই বা ওন করতে নাই তারা সামনেও পারবে না।

কেন পারল না?

হাসান রোবায়েত : কারণ তারা তো আসলে স্টাবলিশমেন্টের লোক। হাসিনা রেজিমের যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে তো তারা সমস্যায় পড়ব। তাদের যে ইনকাম, তাদের যে ঈমান বা বিশ্বাস, সেটা তো হাসিনা রেজিমের ন্যারেটিভের উপরে। তাদের শিল্প সাহিত্যের যে চিন্তাভাবনা সেটা তো বেঙ্গলি ন্যাশনালিজমের উপর প্রতিষ্ঠিত। তারা মনেই করে যে, অভ্যুত্থান তাদের জন্য একটা পরাজয়। বেঙ্গলি রেনেসাঁ থেকে যে বেঙ্গলি ন্যাশনালিজমের জন্ম হইলো, তারা তো সেই বেঙ্গলি ন্যাশনালিজমের লোক। বেঙ্গলি ন্যাশনালিজমের মুরিদের কাছ থেকে আপনি কখনো ওয়েলফেয়ার স্টেটের ইনসাফ পাওয়ার আশা করতে পারেন না।

বেঙ্গলি ন্যাশনালিজম নিয়ে আপনার সমালোচনা কোন পয়েন্টে?

হাসান রোবায়েত : : বেঙ্গলি ন্যাশনালিজম তো একটা লিনিয়ার ধারণা। একটা একরৈখিক আদর্শ। এইটা বাংলাদেশের ডাইভারস সোসাইটি বা বহুমমতের সমাজরে ফাংশন করতে দেয় না। যেমন বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদ মনেই করে যে মুসলমান একটা অন্য ঘটনা। বাঙালি জাতীয়তাবাদীরা আপনারে একটা বাইনারির মধ্যে ফালাইতে চায়। খুব কায়দা করে জিজ্ঞেস করে, তুমি কি মুসলমান না বাঙালি? যেন আমি বাঙ্গালি হইলে মুসলমান হইতে পারবো না অথবা মুসলমান হইলে বাঙ্গালি হইতে পারবো না। কিন্তু বিষয় হইলো, বাঙালি কালচারটা তৈরিই করছে মূলত মুসলমানরা। কোট আনকোট এটা মুসলমানরাই তৈরি করছে। আপনি সুলতানি আমল থেকে শুরু করেন। সেনদের আমল শেষ হইল কেনো? কারণ এখানে মুসলমানদের আগমন ঘটল। আমি যদি ভাষার প্রশ্নে আসি, বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেসব নজির সেগুলোর অধিকাংশই তৈরি হয়েছে মুসলিম আমলে। আমি নাম ধরে বলতে পারি। রামপ্রসাদ হচ্ছেন বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণদের মধ্যে একজন। ভারতচন্দ্রের কথা বলা যায়। উনারা তাদের গ্রেট কাজগুলো করছেনই মুসলমান আমলে। মুর্শিদকুলি খাঁ থেইকা নবাব সিরাজউদ্দৌলা পর্যন্ত টাইমলাইনে বহু কাজ হইছে। মুসলমান শাসকরাই মূলত বাঙ্গালি কালচাররে দিনে দিনে ডেভেলপ করছে। উনিশ শতকে যখন ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা হলো, তখন হিন্দু পন্ডিতদের দিয়ে বাংলা ভাষাকে আরেকবার সাইজ করা হইলো। সেইটা আসলে আর বাংলা ভাষাই থাকল না। সেটা সংস্কৃতবহুল একটা বিশেষ বাংলা। যেটা আমার ভাষা হিসেবে আমার চিনতেই কষ্ট হয়। আপনি যদি বাংলা কবিতার সিলসিলা টাইমলি ধরে ধরে পড়েন, একেবারে চর্যাপদ থেকে মধ্যযুগ হয়ে, চন্ডীদাস, রামপ্রসাদ, ভারতচন্দ্র, এরপর মাইকেল মধুসূদনে এসে আপনি কিন্তু এই ভাষাটা চিনতেই পারবেন না। যে ভাষাটার বিকাশ হইতেছিল চর্যাপদ থেকে ফোর্ট উইলিয়ামের আগ পর্যন্ত, সেটার বিকাশ হঠাৎ থামায়া দেওয়া হইলো। মুসলমানরা বাংলা সাহিত্যে যে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্জাম দিছেন এটা ভুলায়া দেওয়ার জন্যই মূলত এমনটা করা হইল। ফলে, আমি মনে করি বেঙ্গলি ন্যাশনালিজম মূলত এটার বাই প্রোডাক্ট। বাংলা ভাষার যে উন্নতি সেটা বাঙ্গালি ন্যাশনালিজম নষ্ট করছে। আমাদের এখানে বহুমুখী সোসাইটির তৈরি করার সম্ভাবনা তারা নষ্ট করছে। এবং এটা সম্ভব হইছে বাহাত্তরের সংবিধানে বাঙালি জাতীয়তাবাদের অন্তর্ভুক্তির কারণে। বাহাত্তরের সংবিধানের কারণে পাহাড়ের মানুষরে দূরে রাখা হয়েছে, ধীরে ধীরে মুসলমানদের আলাদা করা হইছে। এজন্য আমি এটাকে ক্রিটিকালি দেখি।

ফোর্ট উইলিয়াম যে সংস্কৃতবহুল সাধু বাংলার প্রচলন করল, সেটা কিন্তু অল্পদিনে, কয়েক শ বছরে ফেল করল। মানে এটা আর চলার উপযোগী থাকল না। এর সঙ্গে সঙ্গে কলকাতা যে প্রমিত বাংলার প্রচলন করল, বাংলাদেশে আমরা কয়েক দশক ধরে দেখছি, সেটার প্রভাব কমছে। কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের মানুষের মুখের ভাষার চর্চা সাহিত্যে গুরুত্ব পাচ্ছে। সুলতানি আমলে গড়ে ওঠা যে বাংলা ভাষার কথা আপনি বললেন আর বাংলাদেশের সাহিত্যে যে ভাষার চর্চা আমরা নতুন করে বাড়ছে বলে দেখতে পাচ্ছি, সেটা কি সুলতানি আমলের বাংলা ভাষার লিগেসি? মূলে ফিরে যাওয়া?

হাসান রোবায়েত : নতুন কইরা চর্চা শুরু হইছে আমি সেটা মনে করি না। আমি মনে করি এখানে চর্চা হইতেছিল। কিন্তু আমরা সেটা ফাইন্ড আউট করতে পারি নাই। ধরেন আমাদের বাংলাদেশের যে গান বা কবিতা, আপনি যদি শাহ আব্দুল করিম, রাধা রমণ, হাসন রাজা বা লালনের কথা ধরেন, ফোর্ট উইলিয়ামের বাংলায় উনারা কিন্তু লেখেন নাই। আমাদের এখানে এই চর্চাটা ছিল। এমনকি রিটেন লিটারেচারেও ছিল। কিন্তু সমস্যা যেটা, এই লিটারেচারগুলারে আমরা ফোক নাম দিয়ে দিছি। এগুলো মূলত বাংলাদেশের মেইনস্ট্রিম লিটারেচার। সেটা না বইলা আমরা বলছি ফোক মানে আলাদা। মূলত বাঙালি জাতীয়তাবাদ এই লিটারেচারগুলোকে ফোক লিটারেচার বানাইছে। অর্থাৎ আমাদের এখানে এই চর্চা আগে থেকেই ছিল। কিন্তু আমরা আইডেন্টিফাই করি নাই। এখন হয়তো আইডেন্টিফাই করা হবে। কারণ অনেকেই এটা নিয়ে আগ্রহী হইতেছে।

বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পরও তো বাংলাদেশের শিল্প-সাহিত্যে আমরা আসলে বাংলাদেশ কনসেপ্ট বা বাংলাদেশ ব্র্যান্ডিং বিষয়টি মিস করছিলাম।

হাসান রোবায়েত : হ্যাঁ। বাংলাদেশের কবিরা মূলত এই ঝামেলা পাকাইছে। বাংলাদেশের সো কল্ড মেইনস্ট্রিম কবি, যারা মনে করতেছে তারা ফোক না, তারা কলকাতার কলোনিয়াল বাংলাটারে ধইরা রাখছে। যেহেতু তখন কলকাতার প্রভাব ছিল। আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্কুল-কলেজে যে বাংলা শেখানো হয় সেইটা তো কলোনিয়ান বাংলা। সেই কলোনিয়াল বাংলার চক্রের মধ্যে থাকার কারণে অধিকাংশই আসলে জানে না যে বাংলাদেশের বাংলা ভাষা কোনটা! কলোনিয়াল ভাষা দ্বারা অধিকাংশ মানুষ এতটাই আক্রান্ত তারা যে, এটারেই তারা নিজের ভাষা মনে করত। আমাদের ভাষাটাকে একটা আনস্মার্ট ভাষা মনে করত। বই পুস্তকে বা স্কুল-কলেজে যে ভাষাটা শেখানো হতো সেটাকেই মনে করত স্মার্ট বাংলা। এখানে মূলত কবিরাই ফেইল করছে। তারা বাংলাদেশের ভাষা ধরতে পারে নাই। আমার ধারণা কিছু মানুষ বাদে এখনো কবিরা ফেল করতেছে। এটা নিয়ে খুব কম মানুষই ক্রিটিকালি চিন্তা করছে। তবুও এই ভাষাটাই ধীরে ধীরে প্রভাবশালী হয়ে উঠতে পারে।

অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের নানা ধরনের সংস্কার প্রকল্প চলছে। সংস্কারের বিশেষভাবে রাজনৈতিক সংস্কারের নানা উদ্যোগ আমরা দেখছি। কিন্তু একটা রাষ্ট্র তো শুধু রাজনীতি দিয়ে চলে না, রাজনীতিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে সংস্কৃতি। তো রাজনৈতিক সংস্কারের আলাপ জোরেশোরে চললেও সাংস্কৃতিক সংস্কার নিয়ে এ পর্যন্ত কোনো আলোচনা বা উদ্যোগ আমরা দেখছি না। সংস্কৃতির সংস্কার না করে রাষ্ট্র সংস্কারের সাফল্য কতটা পেতে পারি আমরা?

হাসান রোবায়েত : সাংস্কৃতিক সংস্কার তো চাইপা দিয়া আসলে করা যাবে না। কালচারের সংস্কারের জায়গায় কেউ কারো কাছে বাধ্য না বা কেউ কারো চাকরি করে না। ব্যক্তি নিজের জায়গা থেকে এটা করে, গান লেখে কবিতা করে সিনেমা বানায়। তবে এখানে অবশ্যই ফাইন্ড আউট করা যাইত যে, কোথায় আমরা ফেল করতেছিলাম? কোনটা হওয়া উচিত? তবে কোন কিছু চাপিয়ে দেওয়া আসলে মুশকিল যে, এটা করতে হবে অথবা এটা করা যাবে না।

সেটা নিশ্চয়ই। কিন্তু প্রমিত বাংলা, আপনি যেটাকে কলোনিয়াল বাংলা বলছেন, সেই বাংলা তো রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো চাপিয়ে দিচ্ছে।

হাসান রোবায়েত : হ্যাঁ। এটা চাপায়া দিছে। এটা এমনভাবে চাপায়া দেওয়া হইছে যে এটারে আর চেঞ্জ করার দিকে আগানো যাইতেছে না এখনো। এটা নিয়ে কারো কোন অবজারভেশনই দেখতে পাইতেছি না।

চিন্তার জায়গা সেটাই। আমরা এসব বিষয়ে মিনিমাম কোনো অবজারভেশন পাচ্ছি না। ফলে প্রশ্ন উঠছে, মৌলিক সাংস্কৃতিক সংস্কার ছাড়া টেকসই সংস্কার কতটা পসিবল হবে?

হাসান রোবায়েত : ওই যে বলে না, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এই গভমেন্টের সময় হয়তো হয়নি। তার মানে আগামী গভমেন্টের সময় যে হবে না, তা তো আমি মনে করি না। সামনের সরকারের আমলে হইতে পারে। এসব বিষয় নিয়ে প্রচুর আলাপ-আলোচনা এবং সভা-সেমিনার হওয়া উচিত। গবেষণা প্রবন্ধ লেখা উচিত। না হলে যারা সংস্কার করবে তারা এটা ফিল করতে পারবে না। কারণ যারা পলিটিশিয়ান, তারা যে কালচারের সব বিষয়ে জানেন এমন তো না। তাদেরকে তো জানাইতে হবে।

আমি মনে করি যে জায়গাটা আমরা সবচেয়ে বেশি মিস করছি, সেটা হল শিক্ষার সংস্কার। এডুকেশন নিয়ে আমি কাউকে তেমন কোনো কথাই বলতে দেখলাম না। বরং শিক্ষা নিয়ে আমরা বড় রকমের সংস্কার করতে পারতাম। আগামী পাঁচ সাত বছরের মধ্যে আমাদের এডুকেশন সেক্টর কে কোথায় দেখতে চাই, কিভাবে সাজাতে চাই, কি কি পড়ানো উচিত, এগুলো নিয়ে কোন আলাপই হইতেছে না। কিন্তু আমি শ্চর্যজনকভাবে সেই ডিবেটে কারো কোন আগ্রহই দেখলাম না।

কালচারের প্রশ্নটা অন্যভাবে আবার করি। গত দেড় দশক আওয়ামী রেজিম টিকে ছিল এক তো প্রশাসনের সহযোগিতায়। আরেকদিকে তার যে কালচারাল স্টাবলিশমেন্ট, তার প্রত্যক্ষ মদতে। ফলে অভ্যুত্থান-পরবর্তী কোনো রাজনৈতিক দল যখন ক্ষমতায় যাওয়ার চিন্তা করে বা রাষ্ট্র পরিচালনার স্বপ্ন দেখে, তার তো এটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা ও চেষ্টার বিষয় হওয়া উচিত, নতুন কালচারাল বন্দোবস্ত তৈরি করতে হবে। এ জায়গায় পার্টিগুলোকে কতটা উদ্যোগী বা আগ্রহী দেখতে পাচ্ছেন?

হাসান রোবায়েত : আমি তো সেভাবে দেখতে পাইতেছি না। প্রথম কথা হইতেছে , আমার চোখে পড়েনি, মানে যে তারা ভাবতেছেন না সেটা নাও হতে পারে। তবে আমার চোখে পড়েনি। আর আমি আগে বলছি যে এডুকেশন এর মত মৌলিক বিষয় নিয়ে আমি খুব আপসেট। কালচার নিয়ে আর কি বলব।

কালচার নিয়ে কী ধরনের রিফর্ম হতে পারত বা হওয়া উচিত?

হাসান রোবায়েত : আমাদের দেশে কালচারের নামে এতদিন কী কী হইছে কিভাবে হইছে তার একটা ক্রিটিক্যাল রিডিং শুরু হতে পারতো। কিন্তু আমি আসলে দেখতেছি না। হয়তো সামনে হবে। বড় বড় পলিটিক্যাল পার্টিগুলো ভাববে এসব নিয়ে। আমি বিশ্বাস করি এটা হবে, আজ অথবা আগামীকাল।

২৪-এর অভ্যুত্থানে আমাদের ইয়ং ইন্টেলেকচুয়াল এবং শিল্পী-সাহিত্যিকদের যথেষ্ট সাহসী এবং অগ্রসর পদক্ষেপ রাখতে দেখেছি। অভ্যুত্থান-পরবর্তী প্রায় এক বছর আমরা অতিক্রম করলাম। এই এক বছরে সেই বিপ্লবী গোষ্ঠী এ ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে উল্লেখযোগ্যভাবে এমন ভূমিকা রাখতে পারছে কি না?

হাসান রোবায়েত : আমার চোখে অন্তত পড়ে নাই, এটা প্রথম কথা। আমি আবারো বলি, যা আমার চোখে পড়ে নাই তা যে ঘটতেছে না, তা না। হয়তো ঘটতেছে কিন্তু আমার চোখে পড়ে নাই।

আপনার চোখে কি ধরা পড়ছে?

হাসান রোবায়েত : আমার চোখে যেটা ধরা পড়তেছে সেটা হইল, ধরেন কোন একজনের ভালো সিনেমা বানানোর কথা ছিল। কিন্তু সে এখন মাঠ পর্যায়ের রাজনীতিতে নিজেকে জড়িত করে ফেলছে। অনেকেই এমন আছে যারা তাদের ড্রিমের জায়গা থেকে সইরা আসছে। একটা জাতির জন্য দীর্ঘ মেয়াদে চিন্তা করলে এটা একটা ক্ষতির ব্যাপার, আমি মনে করি। এ কারণে আপনি যত পলিটিক্যাল এনালিটিক পাবেন, যত কমেন্টেটর পাবেন, তত ভালো কবি পাবেন না, উপন্যাসিক পাবেন না। আরেকটা ব্যাপার হইলো, এ ধরনের বড় রকমের কোন ঘটনার পরে সম্ভবত এমনটা হয়, হয় হয়ত। তবে ১০ বছর পরে যারা আসবে কাজ করতে, তারা হয়তো নিজেদের মতো করে আবার শুরু করবে। নিজেদের জায়গাটা খোঁজার চেষ্টা করবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত