নবণীতা মম
ঈদ মানেই বিশেষ আয়োজন। ঈদ আয়োজন মানেই হাজারো রকমের কাজ। আর যদি হয় কোরবানির ঈদ, সে কাজ আরো কয়েকগুণ বেড়ে যায়। গৃহিণীদের ঈদের দিনের বেশি সময় কাটে রান্নাঘরেই। ঈদের দিন যেন দম ফেলারই ফুরসত নেই। তবে পরিকল্পনামাফিক কিছু কাজ আগেই গুছিয়ে করলে অনেকটাই সময় বেঁচে যাবে। এতে ঈদের সব কাজ করা যেমন সহজ হয়, ঝামেলাও হয় না। রান্নাঘরে সবকিছু গোছানো থাকলে ঈদের রান্না ঝটপট করে ফেলা যায়।
কোরবানির আগে কেনাকাটা
ঈদের প্রয়োজনীয় তালিকা তৈরি করে ফেলুন। এরপর পছন্দের খাবার রান্না করতে যেসব উপাদান লাগবে, তার তালিকা অনুযায়ী জিনিসগুলো কিনতে হবে।
কোরবানির মাংসের বিভিন্ন পদ রান্নার জন্য আগেভাগেই মসলার ভান্ডার সমৃদ্ধ রাখুন। অত্যাবশ্যকীয় মসলা, যেমন কাবাব মসলা ও আস্ত অথবা গুঁড়া গরম মসলা কিনে রেখে দিন।
হলুদ, মরিচ, তেজপাতা, গরম মসলা, গোলমরিচ, জায়ফল, শাহি জিরা, জয়ত্রি, পোস্তদানা, সয়া সস, তেল, টকদই ও প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে রাখুন। গুঁড়া মসলাগুলো আলাদা আলাদা কৌটায় নাম লিখে গুছিয়ে রাখুন।
বিভিন্ন ধরনের মিক্স মসলা, যেমন বিরিয়ানির জন্য মসলা বা চটপটির মসলা আগেই গুঁড়া করে নিয়ে আলাদা আলাদা কৌটায় রেখে দিন। গোটা গরম মসলা, যেমন এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা প্রভৃতি সংগ্রহ করে আলাদা কৌটায় রেখে দিন। তালিকা অনুযায়ী এসব মসলা বাজার থেকে কিনে রোদে শুকিয়ে কৌটায় তুলে রাখুন।
ঈদের বেশ কয়েক দিন আগেই পোলাওয়ের চাল, মাংসের মসলা, টকদই, সেমাই ইত্যাদি শুকনা বাজার করে রাখুন।
বাসার পরিচ্ছন্নতার কথাও মাথায় রাখতে হবে। কোরবানি-পরবর্তী দিনগুলোয় বাসা পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্লিচিং পাউডারসহ পরিষ্কারক ও জীবাণুনাশক দ্রব্য কিনে রাখুন।
আগে গুছিয়ে রাখবেন যেসব কাজ
পশু জবাইয়ের পর বণ্টন ও সংরক্ষণের জন্য মাংস কাটা, প্যাকেট করাসহ রান্নার আয়োজন—সব কাজের প্রায় পুরোটাই হয় রান্নাঘরে। এ কারণে রান্নাঘর আগে থেকেই গুছিয়ে রাখতে হবে, যেন ঈদের দিন কাজ করার সময় কোনো ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে না হয়। সবকিছু এমনভাবে গুছিয়ে রাখতে হবে, যেন কাজের সময় প্রয়োজনীয় সব সরঞ্জাম হাতের নাগালেই পাওয়া যায়।
মাংস রাখার জন্য পর্যাপ্ত পলিথিন বা অন্যান্য সামগ্রীর জোগান রাখুন। পলিব্যাগ জোগাড় করে নিন। কোরবানির মাংস বিলাতে পলিব্যাগের প্রয়োজন হবে। মাংস সংরক্ষণের জন্য পলিব্যাগ ও জিপলক ব্যাগ আগে থেকেই সংগ্রহ করে হাতের কাছে রাখুন।
যেসব কাজ এগিয়ে রাখবেন
কোরবানির সময় মাংস রান্নার জন্য বড় পাতিলের প্রয়োজন হয়। বড় পাতিলগুলো পুরো বছর আর তেমন প্রয়োজন পড়ে না। তাই ময়লা হয়ে থাকতে পারে। ঈদের আগেই পরিষ্কার করে গুছিয়ে রাখুন।
রান্নার কাজে প্রয়োজনীয় সামগ্রী ওভেন, রাইস কুকার, ব্লেন্ডার ও ফুড প্রসেসর—এসব পরিষ্কার করে গুছিয়ে রাখুন। রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় হাঁড়িপাতিলগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করে রাখুন।
মাংস কাটার জন্য যেসব সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হবে, যেমন দা, বঁটি, ছুরি—এসব পরিষ্কার করে রাখুন আগেই। এগুলোর ধার পরীক্ষা করে প্রয়োজনে আগে থেকেই কাউকে দিয়ে ধার করিয়ে নিন, যাতে ঈদের দিন কোনোরকম ঝামেলা না হয়। এসব বাচ্চাদের নাগালের বাইরে নিরাপদ স্থানে রেখে দিন।
তৈরি থাক মসলাপাতি
ঈদের দিনের রান্নার কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যায়, যদি আগে থেকে কিছু কাজ সেরে রাখা হয়। যেমন যেসব মসলা গুঁড়া করা দরকার, সেগুলো গুঁড়া করে, যেগুলো বেটে রাখা দরকার সেগুলো বেটে কিংবা ব্লেন্ড করে রাখতে পারেন। এতে প্রয়োজনের সময় হাতের কাছে সব মসলা পেয়ে যাবেন। রান্না অনেকটাই সহজ ও স্বস্তিদায়ক হবে।
* ঈদের আগেই মাংসের জন্য পেঁয়াজ-রসুন কেটে রাখুন। আদা, পেঁয়াজ, রসুন ও জিরা আগে থেকেই বেটে বা ব্লেন্ড করে নিন। একসঙ্গে অনেক বাটা মসলা রাখলে পরে পরিমাণমতো নেওয়া মুশকিল হতে পারে। তাই ব্লেন্ড করা ভেজা মসলা ছোট ছোট বক্সে বা আইস বক্সে রেখে বরফ করে নিন। এরপর সেগুলোকে জিপ-লক ব্যাগ বা পলিব্যাগে রেখে দিতে পারেন। এতে প্রয়োজনের সময় এক-দুটি মসলার কিউব দিয়ে সহজেই রান্না করা যায়। গরম মসলা কিনেও হাতের কাছে রাখতে পারেন।
আগাম রান্নাবান্না
কোরবানির ঈদের আগের দিনই কিছু মিষ্টি খাবার রান্না করে ফেলতে পারেন। যেমন পায়েস, সেমাই, শাহি টুকরা ইত্যাদি আগের দিন রাতেই বানিয়ে নরমাল ফ্রিজে রাখতে পারেন। ফ্রিজে রেখে দিলে ঈদের দিন খেতে খুব ভালো লাগবে। সেইসঙ্গে রান্নার ঝামেলাও কমে যাবে।
* ঈদের আগের দিন রাতেই মুরগির রোস্ট বা কোরমা করতে চাইলে করে রাখবেন।
* ঈদে বিরিয়ানি রান্না করার পরিকল্পনা থাকলে বিরিয়ানির মাংসটা আগেই রান্না করে রাখুন। ঈদের অর্ধেক কাজ কমে যাবে।
* ঈদের দিন কাবাব করতে চাইলে আগেই মাংসের কিমা করে বা কিনে এনে কাবাব তৈরি করে রাখতে পারেন। ঈদে বেশিরভাগ খাবার মাংসজাতীয় থাকে, তাই সঙ্গে খাওয়ার জন্য রুটি ও পরোটা আগে বানিয়ে চুলায় হালকা করে সেঁকে নিয়ে ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। খাবার সময় বের করে ভেজে নিলেই দ্রুত পরিবেশন করা যায়।
বাড়িতে অতিথি আপ্যায়নের জন্য বারবার চা তৈরি করতে গেলে অন্য কাজে দেরি হতে পারে। সেজন্য চাইলে আগেই বেশি করে চায়ের লিকার তৈরি করে ফ্লাস্কে রেখে দিতে পারেন। তাহলে ঈদের দিন সকালে কাজ কম থাকবে। কোরবানির মাংস রান্নার বড় কাজ তো রয়েছেই। তাই অন্যান্য রান্না যতটা সম্ভব আগের রাতেই কমিয়ে রাখবেন।
আরো কিছু টিপস
১. ঈদের রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় মসলাগুলো আগেই প্রস্তুত করে রাখুন। মসলাগুলো হাতের কাছেই সাজিয়ে রাখুন। মাংসের মসলা, বিরিয়ানির মসলা, চটপটির মসলা—এভাবে আলাদাভাবে মিশিয়ে রাখতে পারলে আরো ভালো হয়। তাহলে কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।
২. ঈদে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, যেমন ছুরি, বঁটি, দা, কাঁচি, চপার বোর্ড, হাঁড়িপাতিল—সবগুলো গুছিয়ে রাখুন।
৩. ঈদে মেহমানের জন্য অনেকগুলো কাপ-পিরিচ, প্লেট ও বাটি প্রয়োজন হয়। এগুলো একদিন আগেই ধুয়ে-মুছে প্রস্তুত করে রাখুন। এতে ঈদের দিন বাড়তি ঝামেলা কম হবে।
৪. ঈদের দিন যে মাংসগুলো রাঁধবেন, সেগুলো আগেই ধুয়ে পানি ঝরিয়ে টুকরা করে ফ্রিজে রেখে দিন। প্রয়োজনে আগের দিন রাতে মেরিনেট করে রাখতে পারেন। এতে ঈদের দিন রান্না হতে সময় কম লাগবে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
কোরবানির সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। এ সময় কোরবানির পশুর রক্ত ও বর্জ্য জমে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হতে পারে, সেইসঙ্গে ছড়াতে পারে বিভিন্ন রোগজীবাণুও। তাই আগে থেকেই এসব বর্জ্য পরিষ্কারের ব্যবস্থা করে রাখুন। পশু জবাইয়ের পর যেন বর্জ্য জমে না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখুন ও সতর্ক থাকুন।
ঈদ মানেই বিশেষ আয়োজন। ঈদ আয়োজন মানেই হাজারো রকমের কাজ। আর যদি হয় কোরবানির ঈদ, সে কাজ আরো কয়েকগুণ বেড়ে যায়। গৃহিণীদের ঈদের দিনের বেশি সময় কাটে রান্নাঘরেই। ঈদের দিন যেন দম ফেলারই ফুরসত নেই। তবে পরিকল্পনামাফিক কিছু কাজ আগেই গুছিয়ে করলে অনেকটাই সময় বেঁচে যাবে। এতে ঈদের সব কাজ করা যেমন সহজ হয়, ঝামেলাও হয় না। রান্নাঘরে সবকিছু গোছানো থাকলে ঈদের রান্না ঝটপট করে ফেলা যায়।
কোরবানির আগে কেনাকাটা
ঈদের প্রয়োজনীয় তালিকা তৈরি করে ফেলুন। এরপর পছন্দের খাবার রান্না করতে যেসব উপাদান লাগবে, তার তালিকা অনুযায়ী জিনিসগুলো কিনতে হবে।
কোরবানির মাংসের বিভিন্ন পদ রান্নার জন্য আগেভাগেই মসলার ভান্ডার সমৃদ্ধ রাখুন। অত্যাবশ্যকীয় মসলা, যেমন কাবাব মসলা ও আস্ত অথবা গুঁড়া গরম মসলা কিনে রেখে দিন।
হলুদ, মরিচ, তেজপাতা, গরম মসলা, গোলমরিচ, জায়ফল, শাহি জিরা, জয়ত্রি, পোস্তদানা, সয়া সস, তেল, টকদই ও প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে রাখুন। গুঁড়া মসলাগুলো আলাদা আলাদা কৌটায় নাম লিখে গুছিয়ে রাখুন।
বিভিন্ন ধরনের মিক্স মসলা, যেমন বিরিয়ানির জন্য মসলা বা চটপটির মসলা আগেই গুঁড়া করে নিয়ে আলাদা আলাদা কৌটায় রেখে দিন। গোটা গরম মসলা, যেমন এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা প্রভৃতি সংগ্রহ করে আলাদা কৌটায় রেখে দিন। তালিকা অনুযায়ী এসব মসলা বাজার থেকে কিনে রোদে শুকিয়ে কৌটায় তুলে রাখুন।
ঈদের বেশ কয়েক দিন আগেই পোলাওয়ের চাল, মাংসের মসলা, টকদই, সেমাই ইত্যাদি শুকনা বাজার করে রাখুন।
বাসার পরিচ্ছন্নতার কথাও মাথায় রাখতে হবে। কোরবানি-পরবর্তী দিনগুলোয় বাসা পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্লিচিং পাউডারসহ পরিষ্কারক ও জীবাণুনাশক দ্রব্য কিনে রাখুন।
আগে গুছিয়ে রাখবেন যেসব কাজ
পশু জবাইয়ের পর বণ্টন ও সংরক্ষণের জন্য মাংস কাটা, প্যাকেট করাসহ রান্নার আয়োজন—সব কাজের প্রায় পুরোটাই হয় রান্নাঘরে। এ কারণে রান্নাঘর আগে থেকেই গুছিয়ে রাখতে হবে, যেন ঈদের দিন কাজ করার সময় কোনো ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে না হয়। সবকিছু এমনভাবে গুছিয়ে রাখতে হবে, যেন কাজের সময় প্রয়োজনীয় সব সরঞ্জাম হাতের নাগালেই পাওয়া যায়।
মাংস রাখার জন্য পর্যাপ্ত পলিথিন বা অন্যান্য সামগ্রীর জোগান রাখুন। পলিব্যাগ জোগাড় করে নিন। কোরবানির মাংস বিলাতে পলিব্যাগের প্রয়োজন হবে। মাংস সংরক্ষণের জন্য পলিব্যাগ ও জিপলক ব্যাগ আগে থেকেই সংগ্রহ করে হাতের কাছে রাখুন।
যেসব কাজ এগিয়ে রাখবেন
কোরবানির সময় মাংস রান্নার জন্য বড় পাতিলের প্রয়োজন হয়। বড় পাতিলগুলো পুরো বছর আর তেমন প্রয়োজন পড়ে না। তাই ময়লা হয়ে থাকতে পারে। ঈদের আগেই পরিষ্কার করে গুছিয়ে রাখুন।
রান্নার কাজে প্রয়োজনীয় সামগ্রী ওভেন, রাইস কুকার, ব্লেন্ডার ও ফুড প্রসেসর—এসব পরিষ্কার করে গুছিয়ে রাখুন। রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় হাঁড়িপাতিলগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করে রাখুন।
মাংস কাটার জন্য যেসব সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হবে, যেমন দা, বঁটি, ছুরি—এসব পরিষ্কার করে রাখুন আগেই। এগুলোর ধার পরীক্ষা করে প্রয়োজনে আগে থেকেই কাউকে দিয়ে ধার করিয়ে নিন, যাতে ঈদের দিন কোনোরকম ঝামেলা না হয়। এসব বাচ্চাদের নাগালের বাইরে নিরাপদ স্থানে রেখে দিন।
তৈরি থাক মসলাপাতি
ঈদের দিনের রান্নার কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যায়, যদি আগে থেকে কিছু কাজ সেরে রাখা হয়। যেমন যেসব মসলা গুঁড়া করা দরকার, সেগুলো গুঁড়া করে, যেগুলো বেটে রাখা দরকার সেগুলো বেটে কিংবা ব্লেন্ড করে রাখতে পারেন। এতে প্রয়োজনের সময় হাতের কাছে সব মসলা পেয়ে যাবেন। রান্না অনেকটাই সহজ ও স্বস্তিদায়ক হবে।
* ঈদের আগেই মাংসের জন্য পেঁয়াজ-রসুন কেটে রাখুন। আদা, পেঁয়াজ, রসুন ও জিরা আগে থেকেই বেটে বা ব্লেন্ড করে নিন। একসঙ্গে অনেক বাটা মসলা রাখলে পরে পরিমাণমতো নেওয়া মুশকিল হতে পারে। তাই ব্লেন্ড করা ভেজা মসলা ছোট ছোট বক্সে বা আইস বক্সে রেখে বরফ করে নিন। এরপর সেগুলোকে জিপ-লক ব্যাগ বা পলিব্যাগে রেখে দিতে পারেন। এতে প্রয়োজনের সময় এক-দুটি মসলার কিউব দিয়ে সহজেই রান্না করা যায়। গরম মসলা কিনেও হাতের কাছে রাখতে পারেন।
আগাম রান্নাবান্না
কোরবানির ঈদের আগের দিনই কিছু মিষ্টি খাবার রান্না করে ফেলতে পারেন। যেমন পায়েস, সেমাই, শাহি টুকরা ইত্যাদি আগের দিন রাতেই বানিয়ে নরমাল ফ্রিজে রাখতে পারেন। ফ্রিজে রেখে দিলে ঈদের দিন খেতে খুব ভালো লাগবে। সেইসঙ্গে রান্নার ঝামেলাও কমে যাবে।
* ঈদের আগের দিন রাতেই মুরগির রোস্ট বা কোরমা করতে চাইলে করে রাখবেন।
* ঈদে বিরিয়ানি রান্না করার পরিকল্পনা থাকলে বিরিয়ানির মাংসটা আগেই রান্না করে রাখুন। ঈদের অর্ধেক কাজ কমে যাবে।
* ঈদের দিন কাবাব করতে চাইলে আগেই মাংসের কিমা করে বা কিনে এনে কাবাব তৈরি করে রাখতে পারেন। ঈদে বেশিরভাগ খাবার মাংসজাতীয় থাকে, তাই সঙ্গে খাওয়ার জন্য রুটি ও পরোটা আগে বানিয়ে চুলায় হালকা করে সেঁকে নিয়ে ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। খাবার সময় বের করে ভেজে নিলেই দ্রুত পরিবেশন করা যায়।
বাড়িতে অতিথি আপ্যায়নের জন্য বারবার চা তৈরি করতে গেলে অন্য কাজে দেরি হতে পারে। সেজন্য চাইলে আগেই বেশি করে চায়ের লিকার তৈরি করে ফ্লাস্কে রেখে দিতে পারেন। তাহলে ঈদের দিন সকালে কাজ কম থাকবে। কোরবানির মাংস রান্নার বড় কাজ তো রয়েছেই। তাই অন্যান্য রান্না যতটা সম্ভব আগের রাতেই কমিয়ে রাখবেন।
আরো কিছু টিপস
১. ঈদের রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় মসলাগুলো আগেই প্রস্তুত করে রাখুন। মসলাগুলো হাতের কাছেই সাজিয়ে রাখুন। মাংসের মসলা, বিরিয়ানির মসলা, চটপটির মসলা—এভাবে আলাদাভাবে মিশিয়ে রাখতে পারলে আরো ভালো হয়। তাহলে কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।
২. ঈদে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, যেমন ছুরি, বঁটি, দা, কাঁচি, চপার বোর্ড, হাঁড়িপাতিল—সবগুলো গুছিয়ে রাখুন।
৩. ঈদে মেহমানের জন্য অনেকগুলো কাপ-পিরিচ, প্লেট ও বাটি প্রয়োজন হয়। এগুলো একদিন আগেই ধুয়ে-মুছে প্রস্তুত করে রাখুন। এতে ঈদের দিন বাড়তি ঝামেলা কম হবে।
৪. ঈদের দিন যে মাংসগুলো রাঁধবেন, সেগুলো আগেই ধুয়ে পানি ঝরিয়ে টুকরা করে ফ্রিজে রেখে দিন। প্রয়োজনে আগের দিন রাতে মেরিনেট করে রাখতে পারেন। এতে ঈদের দিন রান্না হতে সময় কম লাগবে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
কোরবানির সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। এ সময় কোরবানির পশুর রক্ত ও বর্জ্য জমে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হতে পারে, সেইসঙ্গে ছড়াতে পারে বিভিন্ন রোগজীবাণুও। তাই আগে থেকেই এসব বর্জ্য পরিষ্কারের ব্যবস্থা করে রাখুন। পশু জবাইয়ের পর যেন বর্জ্য জমে না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখুন ও সতর্ক থাকুন।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন শিশির বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, শাকসু বানচালের চেষ্টা চলছে। শিক্ষার্থীরা এটা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। যদি আগামী সোমবার ভিসি এসে নির্বাচন কমিশন গঠন করে রোডম্যাপ ঘোষণা না করেন, তাহলে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের...
১ ঘণ্টা আগেসংগঠনের তথ্য, উপহার প্রদান, অনুভূতি বক্স এবং মেহেদি দেওয়ার জন্য উৎসবের ছাউনিতে চারটি আলাদা বুথ। সেখানে ছিল নারী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আয়োজকরা নতুন সদস্য আহ্বান ও প্রচারপত্র বিলি করেন। ফটকের সামনে একটি ব্যানারে লেখা, ‛প্রিয় ভাইয়েরা, ভেতরে প্রবেশ ও উঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন।’
২ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
৩ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
৪ ঘণ্টা আগে