মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
আজকের নারী কেবল ঘর-সংসার সামলেই বসে থাকে না। তারা যেমন চাকরি করে, সংসার সামলায়, তেমনি নানারকম শৌখিন কাজেও পিছিয়ে নেই। খুলনার চন্দ্রিমা তন্দ্রা মুন্সী এমনই একজন নারী। তিনি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ কাউন্সিল এক্সাম ভেন্যু রাইটসাইট লিমিটেডে ইংলিশ ইন্সট্রাক্টর হিসেবে কাজ করেন। সেই কাজের পাশাপাশি পোষা পাখি পালনে সফলতার দেখা পেয়েছেন। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা খুলনাতেই। বাবার কাছেই পাখি পালন শিখেছেন তিনি। তার বাবা অনেকগুলো পাখি পালন করতেন।
বর্তমানে খুলনায় তার বাসার বারান্দা ও ঘরে নানা প্রজাতির পাখি রয়েছে। এ পাখিগুলো তার মনে শান্তির খোরাক জোগায়, আবার এগুলো দিয়ে আয়ও হয়। বছরে তিনি পাখি থেকে প্রায় ৫০টির মতো বাচ্চা পান। তার সংগ্রহের উল্লেখযোগ্য পাখি হলো দুটি অস্ট্রেলিয়ান ডায়মন্ড ডাভ, দুটি লাভবার্ড, দুটি ইন্ডিয়ান রিংনেক প্যারট, সাতটি বাজরিগার ও তিন জাতের মোট সাতটি ককাটেল। প্রায় ২৫টি পাখি রয়েছে তার কাছে। ভালোবেসেই তিনি পাখি পালন করেন। এতে তার অবসর সময় আনন্দে কাটে। তিনি বলেন, গৃহবধূ ও চাকরিজীবী নারীরাও এমনিভাবে পাখি পালন করতে পারেন। এতে অবসর সময় ভালো কাটবে। হাতখরচের টাকাও এখান থেকেই আসতে পারে।
পাখির সঙ্গে চন্দ্রিমার যাত্রা শুরু যখন তিনি অষ্টম শ্রেণিতে পড়েন। প্রথম পাখি ছিল কবুতর। এরপর কিছুদিন পড়াশোনার কারণে পাখি পালনে বিরতি ঘটে। পরে ২০২২ সালে বিভিন্ন জাতের পাখি নিয়ে আবার শুরু করেন। পাখির খাবার দেওয়া, খাঁচা পরিষ্কার করা ইত্যাদি চন্দ্রিমা একাই সামলান। পাখির দেখভালে সামান্যতম ত্রুটি করতেও তিনি নারাজ। তার কথা, ‘অবলা প্রাণীগুলো তো সমস্যার কথা মুখ ফুটে বলতে পারে না, ওদের আচরণ দেখে বুঝে নিতে হয়।’ পাখি পালনে সফলতার জন্য দৈনিক পাখি পর্যবেক্ষণ করা অত্যন্ত জরুরি বলে তিনি মনে করেন।
পোষা পাখি পালনের কাজ থেমে নেই চন্দ্রিমার। তিনি রাস্তায় পড়ে থাকা অসুস্থ পাখিরও সেবা করেন। পাখি পালনে কিছু চ্যালেঞ্জও আছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চন্দ্রিমা বলেন, ‘পাখি পালন করতে গিয়ে যে চ্যালেঞ্জগুলো আমি ফেস করেছি, তার মধ্যে অন্যতম চ্যালেঞ্জ ছিল—প্রথম দিকে অভিজ্ঞতা কম থাকায় অনেক পাখির হঠাৎ ঠান্ডা লেগে যেত, কিংবা বিভিন্ন রোগে মারা যেত। কিন্তু আস্তে আস্তে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে ওই সমস্যাগুলো সামলানোর কৌশল শিখে নিয়েছি। এছাড়া গুগল ও ইউটিউব থেকেও প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো শিখে নিই।’
পাখি পালনে সফলতার জন্য কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি, যেমন ওদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। চন্দ্রিমা বলেন, ‘আপনি যদি আপনার পাখিদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না রাখেন, তাহলে সেগুলো খুব সহজেই রোগাক্রান্ত হয়ে যাবে এবং অনেক সময় মারা যেতে পারে। এজন্য ওদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি প্রতিদিন সকালে অফিসে যাওয়ার আগে একবার পরিষ্কার করি এবং রাতে বাসায় ফিরে আবার পরিষ্কার করি। ওদের ট্রেগুলো পরিষ্কার করে নতুন খবরের কাগজ বিছিয়ে দিই। খাবারগুলো ঝেড়ে-মুছে পরিষ্কার করি যেন ভেতরে কোনো খোসা না থাকে। পানির পাত্রগুলো প্রতিদিন দুবার ধুয়ে নতুন পানি দিই। এছাড়া ব্রিডিংয়ের সময় বাড়তি যত্ন নিতে হয়—ব্রিডিং কোর্স করানো, ব্রিডিং-পরবর্তী সময়ে পুষ্টিকর খাবার দেওয়া ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
চন্দ্রিমা সবাইকে সতর্ক করে বলেন, ‘যাদের ঘরে পোষা পাখি আছে, তারা যেন সবসময় খেয়াল রাখেন—বিশেষ করে ফ্যান ব্যবহারের সময়, কারণ একটু অসতর্কতাই হতে পারে অনেক কষ্টের কারণ।’
চন্দ্রিমা মনে করেন, পোষা পাখি পালন সামাজিক অপরাধ কমাতেও ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি বলেন, ‘বর্তমান তরুণসমাজ বিভিন্ন নেশায় আসক্ত হচ্ছে, ইলেকট্রনিক ডিভাইসে ডুবে যাচ্ছে। পাখি পালনের মাধ্যমে এসব থেকে দূরে থাকা যায় । এতে যেমন মানসিক শান্তি পাওয়া যায়, তেমনি কিছু আয়ও হয়।’
পাখি নিয়ে চন্দ্রিমার স্বপ্নের যেন শেষ নেই। ভবিষ্যতে তিনি আরও কয়েকটি প্যারট প্রজাতির পাখি সংগ্রহে যুক্ত করতে চান। তার স্বপ্ন—নানা রঙের এসব পাখি একদিন ঘরকে আরো আলোকিত করে তুলবে। মানুষ তা দেখে পাখি পালনে অনুপ্রাণিত হবে।
আজকের নারী কেবল ঘর-সংসার সামলেই বসে থাকে না। তারা যেমন চাকরি করে, সংসার সামলায়, তেমনি নানারকম শৌখিন কাজেও পিছিয়ে নেই। খুলনার চন্দ্রিমা তন্দ্রা মুন্সী এমনই একজন নারী। তিনি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ কাউন্সিল এক্সাম ভেন্যু রাইটসাইট লিমিটেডে ইংলিশ ইন্সট্রাক্টর হিসেবে কাজ করেন। সেই কাজের পাশাপাশি পোষা পাখি পালনে সফলতার দেখা পেয়েছেন। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা খুলনাতেই। বাবার কাছেই পাখি পালন শিখেছেন তিনি। তার বাবা অনেকগুলো পাখি পালন করতেন।
বর্তমানে খুলনায় তার বাসার বারান্দা ও ঘরে নানা প্রজাতির পাখি রয়েছে। এ পাখিগুলো তার মনে শান্তির খোরাক জোগায়, আবার এগুলো দিয়ে আয়ও হয়। বছরে তিনি পাখি থেকে প্রায় ৫০টির মতো বাচ্চা পান। তার সংগ্রহের উল্লেখযোগ্য পাখি হলো দুটি অস্ট্রেলিয়ান ডায়মন্ড ডাভ, দুটি লাভবার্ড, দুটি ইন্ডিয়ান রিংনেক প্যারট, সাতটি বাজরিগার ও তিন জাতের মোট সাতটি ককাটেল। প্রায় ২৫টি পাখি রয়েছে তার কাছে। ভালোবেসেই তিনি পাখি পালন করেন। এতে তার অবসর সময় আনন্দে কাটে। তিনি বলেন, গৃহবধূ ও চাকরিজীবী নারীরাও এমনিভাবে পাখি পালন করতে পারেন। এতে অবসর সময় ভালো কাটবে। হাতখরচের টাকাও এখান থেকেই আসতে পারে।
পাখির সঙ্গে চন্দ্রিমার যাত্রা শুরু যখন তিনি অষ্টম শ্রেণিতে পড়েন। প্রথম পাখি ছিল কবুতর। এরপর কিছুদিন পড়াশোনার কারণে পাখি পালনে বিরতি ঘটে। পরে ২০২২ সালে বিভিন্ন জাতের পাখি নিয়ে আবার শুরু করেন। পাখির খাবার দেওয়া, খাঁচা পরিষ্কার করা ইত্যাদি চন্দ্রিমা একাই সামলান। পাখির দেখভালে সামান্যতম ত্রুটি করতেও তিনি নারাজ। তার কথা, ‘অবলা প্রাণীগুলো তো সমস্যার কথা মুখ ফুটে বলতে পারে না, ওদের আচরণ দেখে বুঝে নিতে হয়।’ পাখি পালনে সফলতার জন্য দৈনিক পাখি পর্যবেক্ষণ করা অত্যন্ত জরুরি বলে তিনি মনে করেন।
পোষা পাখি পালনের কাজ থেমে নেই চন্দ্রিমার। তিনি রাস্তায় পড়ে থাকা অসুস্থ পাখিরও সেবা করেন। পাখি পালনে কিছু চ্যালেঞ্জও আছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চন্দ্রিমা বলেন, ‘পাখি পালন করতে গিয়ে যে চ্যালেঞ্জগুলো আমি ফেস করেছি, তার মধ্যে অন্যতম চ্যালেঞ্জ ছিল—প্রথম দিকে অভিজ্ঞতা কম থাকায় অনেক পাখির হঠাৎ ঠান্ডা লেগে যেত, কিংবা বিভিন্ন রোগে মারা যেত। কিন্তু আস্তে আস্তে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে ওই সমস্যাগুলো সামলানোর কৌশল শিখে নিয়েছি। এছাড়া গুগল ও ইউটিউব থেকেও প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো শিখে নিই।’
পাখি পালনে সফলতার জন্য কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি, যেমন ওদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। চন্দ্রিমা বলেন, ‘আপনি যদি আপনার পাখিদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না রাখেন, তাহলে সেগুলো খুব সহজেই রোগাক্রান্ত হয়ে যাবে এবং অনেক সময় মারা যেতে পারে। এজন্য ওদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি প্রতিদিন সকালে অফিসে যাওয়ার আগে একবার পরিষ্কার করি এবং রাতে বাসায় ফিরে আবার পরিষ্কার করি। ওদের ট্রেগুলো পরিষ্কার করে নতুন খবরের কাগজ বিছিয়ে দিই। খাবারগুলো ঝেড়ে-মুছে পরিষ্কার করি যেন ভেতরে কোনো খোসা না থাকে। পানির পাত্রগুলো প্রতিদিন দুবার ধুয়ে নতুন পানি দিই। এছাড়া ব্রিডিংয়ের সময় বাড়তি যত্ন নিতে হয়—ব্রিডিং কোর্স করানো, ব্রিডিং-পরবর্তী সময়ে পুষ্টিকর খাবার দেওয়া ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
চন্দ্রিমা সবাইকে সতর্ক করে বলেন, ‘যাদের ঘরে পোষা পাখি আছে, তারা যেন সবসময় খেয়াল রাখেন—বিশেষ করে ফ্যান ব্যবহারের সময়, কারণ একটু অসতর্কতাই হতে পারে অনেক কষ্টের কারণ।’
চন্দ্রিমা মনে করেন, পোষা পাখি পালন সামাজিক অপরাধ কমাতেও ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি বলেন, ‘বর্তমান তরুণসমাজ বিভিন্ন নেশায় আসক্ত হচ্ছে, ইলেকট্রনিক ডিভাইসে ডুবে যাচ্ছে। পাখি পালনের মাধ্যমে এসব থেকে দূরে থাকা যায় । এতে যেমন মানসিক শান্তি পাওয়া যায়, তেমনি কিছু আয়ও হয়।’
পাখি নিয়ে চন্দ্রিমার স্বপ্নের যেন শেষ নেই। ভবিষ্যতে তিনি আরও কয়েকটি প্যারট প্রজাতির পাখি সংগ্রহে যুক্ত করতে চান। তার স্বপ্ন—নানা রঙের এসব পাখি একদিন ঘরকে আরো আলোকিত করে তুলবে। মানুষ তা দেখে পাখি পালনে অনুপ্রাণিত হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের পর স্থগিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আগামী ২৭ অক্টোবর পালিত হবে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
৫ ঘণ্টা আগে১৮৪৬ সালের ১৬ অক্টোবর চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী দিন। বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো এক রোগীর শরীরে ব্যথাহীন অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। দাঁতের চিকিৎসক ডা. উইলিয়াম মর্টন রোগী গিলবার্ট অ্যাবটের মুখে ইথার গ্যাস শ্বাসের মাধ্যমে প্রয়োগ করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগী
৫ ঘণ্টা আগেকরোনা ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে রয়েছে নানা ভুল ধারণা এবং অন্ধবিশ্বাস। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্ক্যাবিসসহ কিছু সংক্রামক চর্মরোগ মহামারির আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হচ্ছে। আবার
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগবালাই আবির্ভাব হয়। বাংলাদেশে হেমন্তকালের শেষের দিকে শীতকাল খুব কাছাকাছি চলে আসে। ঋতু পরিবর্তনের এ সময় তাপমাত্রার ওঠানামা ও শুষ্ক বাতাসের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ অন্যান্য রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
৬ ঘণ্টা আগে