ওমর শাহেদ
জায়গাটি ঢাকা শহরের প্রায় সবারই চেনা। শাহবাগের ফুলের দোকানগুলো, অনেকেই এর সামনে দিয়ে গিয়েছেন। প্রতিদিন এখানে বসে ফুলের মালা গাঁথেন অনেক নারী। নারীরা ফুলের মালা গাঁথেন আর পুরুষরা ফুলগুলো বিক্রি করেন।
তবে এখানেই একজন নিজের দোকান দিয়ে বসেছেন। দোকান বলতে একটি বড় কাঠের টুকরো। যার ওপর অনায়াসেই চার-পাঁচজন মানুষ বসে কাজ করতে পারবেন। এই দোকানির নাম নূরজাহান। যিনি প্রতিদিন নিজে ফুলের মালা গাঁথেন আর নিজের দোকান চালান।
প্রতিদিন ভোর ৬টায় চলে আসেন শাহবাগের ফুলের দোকানগুলোর সামনে। যশোর থেকে আসা ফুল কেনেন। প্রতিদিন গড়ে ৩-৪ হাজার টাকার ফুল কেনেন। সারাদিন ফুলের মালা গাঁথেন। বিয়ের ফুল, জন্মদিনের উপহার, বিশেষ কোনো আয়োজনে এই ফুলগুলো কাজে লাগে। মালাগুলো কিনে নিয়ে যান তারা।
নূরজাহান অনেক ধরনের ফুল কেনেন ও মালা গাঁথেন। রজনীগন্ধা, গোলাপ, কাঠবেলি, চায়না বেলি, বেলি, গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা ফুলগুলো তার ও সহকর্মীদের মালায় ভরে ওঠে। নিজের কেনা ফুল মালা গাঁথা হয়ে যাওয়ার পর তারা অবশেষে বিক্রি করতে বসেন।
তারা এর আগে ৫০, ১০০, ১৫০- এভাবে ফুলগুলো মালা গেঁথে সারাদিন ধরে বিক্রি করেন। আর সবগুলো ফুল তৈরি হয়ে যাওয়ার পর বিক্রি করতে করতে কোনো দিন ৫টা, কোনো দিন ৬টা আবার কোনো দিন রাত ৮টাও বেজে যায়। তিনি থাকেন কামরাঙ্গীরচরের মুসলিম বাগে। আসা-যাওয়ার খরচ ৭০, ৮০ টাকা। তিনটি মেয়ে আছে, বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন। এখন জামাই-বউ দুজন থাকেন। বাসাভাড়া সাড়ে ৪ হাজার টাকা, গ্যাস বিল ১৫০০। বিদ্যুৎ ও পানির বিল ভাড়ার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। নূরজাহান বললেন, খেয়ে-পরে মাসে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা থাকে।
কীভাবে এই পেশায় এলেন- এই প্রশ্নের জবাবে বললেন, পরিচিত এক বোন আমার পাশের বাসায় থাকতেন। তার সঙ্গে আমার শাশুড়ির আলাপ ছিল। তিনি শাহবাগের ফুলের দোকানে তার সঙ্গে আসতেন। মালা গাঁথতেন ও ফুল বিক্রি করতেন। এরপর তার সঙ্গে যোগ দিলেন আমার এক বোন। তিনিও একই কাজ করতেন। তার দেখাদেখি আমিও আসা শুরু করলাম। তাও ১৮ বছর আগের কথা। এই ১৮ বছরের মধ্যে একসময় আমার নিজের পুঁজি হলো। একসময় আমি নিজেই ব্যবসা শুরু করলাম। এখন আমার সঙ্গে তিনটি মেয়ে আছে। তাদের দিন হিসেবে টাকা দিই। কোনো দিন ৫০০, কোনো দিন ৪০০ আবার সর্বনিম্ন ২০০ টাকা দিই। খেয়ে-নিয়ে সমান সমান থাকে। বাড়িঘর করতে পারিনি। এমনকি গ্রামেও। আগে যা ছিল, এখনো তাই আছে।
নূরজাহানের এই পেশায় পুঁজি ১০ হাজার টাকা খাটছে। শীতের সময়টি তার ব্যবসায় সবচেয়ে ভালো সময়। দিনে ১০ হাজার টাকারও বিক্রি হয়। তার শ্বশুড়বাড়ি বরিশালের মুলাদি। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চাইলে তিনি বললেন, ‘আমি বড় হতে চাই না, বড় হয়ে লাভ নেই। ছেলে নেই, মেয়ে তিনটির বিয়ে দেওয়ার দরকার ছিল, দিয়ে দিয়েছি। এখন আল্লাহ যে কদিন রাখেন থাকব।’
তার বেচাবিক্রি ভালো হয় শুক্র ও শনিবার। এই দুদিন অনেক জায়গা থেকে মানুষ আসেন শাহবাগের ফুলের বাজারে। নূরজাহানের মতো খুচরো ও নিম্ন আয়ের ব্যবসায়ীরও অনেক ফুল বিক্রি হয়।
জায়গাটি ঢাকা শহরের প্রায় সবারই চেনা। শাহবাগের ফুলের দোকানগুলো, অনেকেই এর সামনে দিয়ে গিয়েছেন। প্রতিদিন এখানে বসে ফুলের মালা গাঁথেন অনেক নারী। নারীরা ফুলের মালা গাঁথেন আর পুরুষরা ফুলগুলো বিক্রি করেন।
তবে এখানেই একজন নিজের দোকান দিয়ে বসেছেন। দোকান বলতে একটি বড় কাঠের টুকরো। যার ওপর অনায়াসেই চার-পাঁচজন মানুষ বসে কাজ করতে পারবেন। এই দোকানির নাম নূরজাহান। যিনি প্রতিদিন নিজে ফুলের মালা গাঁথেন আর নিজের দোকান চালান।
প্রতিদিন ভোর ৬টায় চলে আসেন শাহবাগের ফুলের দোকানগুলোর সামনে। যশোর থেকে আসা ফুল কেনেন। প্রতিদিন গড়ে ৩-৪ হাজার টাকার ফুল কেনেন। সারাদিন ফুলের মালা গাঁথেন। বিয়ের ফুল, জন্মদিনের উপহার, বিশেষ কোনো আয়োজনে এই ফুলগুলো কাজে লাগে। মালাগুলো কিনে নিয়ে যান তারা।
নূরজাহান অনেক ধরনের ফুল কেনেন ও মালা গাঁথেন। রজনীগন্ধা, গোলাপ, কাঠবেলি, চায়না বেলি, বেলি, গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা ফুলগুলো তার ও সহকর্মীদের মালায় ভরে ওঠে। নিজের কেনা ফুল মালা গাঁথা হয়ে যাওয়ার পর তারা অবশেষে বিক্রি করতে বসেন।
তারা এর আগে ৫০, ১০০, ১৫০- এভাবে ফুলগুলো মালা গেঁথে সারাদিন ধরে বিক্রি করেন। আর সবগুলো ফুল তৈরি হয়ে যাওয়ার পর বিক্রি করতে করতে কোনো দিন ৫টা, কোনো দিন ৬টা আবার কোনো দিন রাত ৮টাও বেজে যায়। তিনি থাকেন কামরাঙ্গীরচরের মুসলিম বাগে। আসা-যাওয়ার খরচ ৭০, ৮০ টাকা। তিনটি মেয়ে আছে, বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন। এখন জামাই-বউ দুজন থাকেন। বাসাভাড়া সাড়ে ৪ হাজার টাকা, গ্যাস বিল ১৫০০। বিদ্যুৎ ও পানির বিল ভাড়ার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। নূরজাহান বললেন, খেয়ে-পরে মাসে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা থাকে।
কীভাবে এই পেশায় এলেন- এই প্রশ্নের জবাবে বললেন, পরিচিত এক বোন আমার পাশের বাসায় থাকতেন। তার সঙ্গে আমার শাশুড়ির আলাপ ছিল। তিনি শাহবাগের ফুলের দোকানে তার সঙ্গে আসতেন। মালা গাঁথতেন ও ফুল বিক্রি করতেন। এরপর তার সঙ্গে যোগ দিলেন আমার এক বোন। তিনিও একই কাজ করতেন। তার দেখাদেখি আমিও আসা শুরু করলাম। তাও ১৮ বছর আগের কথা। এই ১৮ বছরের মধ্যে একসময় আমার নিজের পুঁজি হলো। একসময় আমি নিজেই ব্যবসা শুরু করলাম। এখন আমার সঙ্গে তিনটি মেয়ে আছে। তাদের দিন হিসেবে টাকা দিই। কোনো দিন ৫০০, কোনো দিন ৪০০ আবার সর্বনিম্ন ২০০ টাকা দিই। খেয়ে-নিয়ে সমান সমান থাকে। বাড়িঘর করতে পারিনি। এমনকি গ্রামেও। আগে যা ছিল, এখনো তাই আছে।
নূরজাহানের এই পেশায় পুঁজি ১০ হাজার টাকা খাটছে। শীতের সময়টি তার ব্যবসায় সবচেয়ে ভালো সময়। দিনে ১০ হাজার টাকারও বিক্রি হয়। তার শ্বশুড়বাড়ি বরিশালের মুলাদি। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চাইলে তিনি বললেন, ‘আমি বড় হতে চাই না, বড় হয়ে লাভ নেই। ছেলে নেই, মেয়ে তিনটির বিয়ে দেওয়ার দরকার ছিল, দিয়ে দিয়েছি। এখন আল্লাহ যে কদিন রাখেন থাকব।’
তার বেচাবিক্রি ভালো হয় শুক্র ও শনিবার। এই দুদিন অনেক জায়গা থেকে মানুষ আসেন শাহবাগের ফুলের বাজারে। নূরজাহানের মতো খুচরো ও নিম্ন আয়ের ব্যবসায়ীরও অনেক ফুল বিক্রি হয়।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন শিশির বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, শাকসু বানচালের চেষ্টা চলছে। শিক্ষার্থীরা এটা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। যদি আগামী সোমবার ভিসি এসে নির্বাচন কমিশন গঠন করে রোডম্যাপ ঘোষণা না করেন, তাহলে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের...
৫ ঘণ্টা আগেসংগঠনের তথ্য, উপহার প্রদান, অনুভূতি বক্স এবং মেহেদি দেওয়ার জন্য উৎসবের ছাউনিতে চারটি আলাদা বুথ। সেখানে ছিল নারী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আয়োজকরা নতুন সদস্য আহ্বান ও প্রচারপত্র বিলি করেন। ফটকের সামনে একটি ব্যানারে লেখা, ‛প্রিয় ভাইয়েরা, ভেতরে প্রবেশ ও উঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন।’
৫ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
৬ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
৭ ঘণ্টা আগে