সুরাইয়া আক্তার লাবনী
মফস্বলের ছোট্ট গ্রামে জন্ম অর্পা আফরিনের। পাঁচ বোন ও এক ভাইয়ের সংসারে বেড়ে ওঠা তার। বাবার ছোট ব্যবসা চলত টানাপোড়েনে। তবু বাবা-মা চেষ্টা করেছিলেন সন্তানদের পড়াশোনার সুযোগ দিতে। শৈশব থেকেই পড়াশোনার প্রতি অর্পার আগ্রহ ছিল অন্যদের চেয়ে বেশি। অন্য শিশুরা খেলাধুলা ও আড্ডায় ব্যস্ত থাকলেও তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা বই-খাতা হাতে বসে থাকতেন। মুখস্থ নয়, বুঝে শেখাই ছিল তার লক্ষ্য। সেই কৌতূহলী মেয়ে তখনই জানতেন—একদিন বড় কিছু করবেন।
নবম শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগে আসার পর তার পড়াশোনার চাপ বেড়ে যায়। ভালো শিক্ষক না পাওয়ায় কঠিন বিষয়গুলো আয়ত্ত করতে হয়েছে একাই। তিনি ব্যাচ পার্টি বা স্কুলের আড্ডায় না গিয়ে পড়াশোনাকেই অগ্রাধিকার দিয়েছেন । কলেজ শেষে ঢাকায় ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসেন। কোচিংয়ে ভর্তি হয়েছিলেন ঠিকই, তবে কোচিং সেন্টারের কাছে থাকতে পারেননি। প্রতিদিন দীর্ঘ দূরত্ব পাড়ি দিয়ে যাওয়া-আসা করতে হতো। তবুও হাল ছাড়েননি। এরই মধ্যে একদিন মামার বাড়ি থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় গুরুতর আঘাত পান। মনে হয়েছিল, জীবন থেমে গেছে। কিন্তু সেই কান্নার ভেতর জন্ম নেয় নতুন জেদ—‘আমি থামব না, আমি বড় হব, নিজের স্বপ্ন পূরণ করব।’
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া সহজ ছিল না। মফস্বলের ছোট্ট গ্রামের শিক্ষার ধারা থেকে এসে শহরের বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের চাপ, পড়াশোনার গতি ও অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার সঙ্গে তাকে খাপ খাইয়ে নিতে হয়েছে । তবে ছোটবেলা থেকেই বুঝে পড়ার অভ্যাস থাকায় অল্প সময়েও জটিল বিষয়গুলো আয়ত্ত করতে পারতেন। তার লক্ষ্য ছিল সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জন করা এবং নিজেকে ধারাবাহিকভাবে পরীক্ষার চাপের মধ্যে উন্নত করা; আর সেই লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে তিনি ধাপে ধাপে এগিয়েছেন। গণিতে অর্জিত ৩.৬৫ সিজিপিএ তার অধ্যবসায় ও মেধার প্রমাণ। শুধু পড়াশোনাতেই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়জীবনেও তিনি বহুমুখী কার্যক্রমে যুক্ত থেকেছেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং ক্লাব ‘নৈয়ায়িক’-এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতীয় দাবা প্রতিযোগিতার ইন্টার ইউনিভার্সিটি পর্যায়ে নারী প্রতিযোগীদের মধ্যে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছেন, অংশ নিয়েছেন গণিত অলিম্পিয়াডেও। স্নাতক পর্যায়ে তার গবেষণা প্রকল্প ‘এ ম্যাথমেটিকাল মডেল অ্যাপ্লাইড টু কনভার্ট গ্রিনহাউস গ্যাসেস ইনটু ডায়মন্ড’ শুধু গণিত নয়, পরিবেশ নিয়েও তার চিন্তার গভীরতার পরিচয় বহন করে।
দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনার সময়ই অর্পা নিশ্চিত হন—তিনি বিদেশে উচ্চশিক্ষা নেবেন। সরকারি চাকরি তার কাছে সময়সাপেক্ষ মনে হয়েছিল, আর বিদেশি ডিগ্রির প্রতি তার আকর্ষণ ছিল প্রবল। ইউটিউবে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা দেখে তার মনে হতো—‘কেন আমরা পারি না ওদের মতো শিখতে?’ এই কৌতূহল থেকেই তৈরি হয় বিদেশে পড়াশোনার স্বপ্ন, আর শুরু হয় প্রস্তুতির যাত্রা।
কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে এক ভয়াবহ ধাক্কা নেমে আসে। মীর মুগ্ধ ছিলেন তার প্রিয়জন, অনুপ্রেরণা ও ভরসা। মুগ্ধ সবসময় বলতেন, ‘অর্পাকে দিয়ে সব সম্ভব।’ শুধু বিশ্বাসই নয়, অর্পার জন্য তার ছিল আকাশসমান স্বপ্ন। কিন্তু হঠাৎ মুগ্ধ শহীদ হওয়ার পর জীবন থমকে দাঁড়ায়। চারপাশে মানুষ থাকলেও ভেতরে ছিল গভীর শূন্যতা। তখনই অর্পা ভাবতেন—মুগ্ধ থাকলে কী বলত। তার মনে হতো—ও বলত, ‘করো, লেগে থাকো।’ সেই কথাগুলোই তাকে শক্তি দিয়েছে এগিয়ে যেতে।
বিদেশে পড়াশোনার জন্য তিনি আবেদন করেছিলেন ইরাসমাস মুন্ডাস স্কলারশিপে। পার্সোনাল ইস্যুর কারণে অনেক সময় নিজেকে ‘কম আত্মবিশ্বাসী’ বলে অনুভূত হতো। মনে হতো—‘ভালো কিছু আমাকে দিয়ে হবে না।’ স্কলারশিপের রেজাল্ট আসার দুদিন পরে মেইল চেক করে জানতে পারেন—তিনি সুযোগ পেয়েছেন। তবুও মুগ্ধকে হারানোর পর সেই আনন্দ পূর্ণ হয়নি। আবার নতুন করে শক্ত হয়ে শুরু করতে হয়েছে তাকে। অর্পা বলেন, ‘ইরাসমাস মুন্ডুসের জার্নি আমার জন্য মোটেও সহজ ছিল না। চব্বিশের ১৮ জুলাইয়ের পর আমার জীবনে এমন কিছু ঘটেছিল যে, এরপর আর কিছুই সুন্দর ছিল না। তবুও আমি আবার অ্যাপ্লিকেশন করেছি, আবার চেষ্টা করেছি।’
চলতে চলতে যখন জীবন তাকে থামিয়ে দিতে চাইছিল, তখন মনে পড়ত প্রিয় সংলাপ—‘আমি ভয় পেতে চাই, উড়তে চাই, পড়তেও চাই—শুধু থেমে থাকতে চাই না।’ অবশেষে সেই স্বপ্নজয় হলো। অর্পা অর্জন করলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ ও পূর্ণ অর্থায়িত ইরাসমাস মুন্ডুস জয়েন্ট মাস্টার্স ডিগ্রি স্কলারশিপ। গ্রিনিং অ্যানার্জি মার্কেট অ্যান্ড ফিন্যান্স বিষয়ে পড়াশোনার জন্য তিনি এখন তিনটি দেশের তিনটি প্রখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন—লুডভিগ ম্যাক্সিমিলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় মিউনিখ (জার্মানি), প্যারিস দোফিন বিশ্ববিদ্যালয় (ফ্রান্স) ও বোলোনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (ইতালি)। বর্তমানে তিনি পড়াশোনা করছেন লুডভিগ ম্যাক্সিমিলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় মিউনিখে (জার্মানি)। স্কলারশিপ সুবিধার মধ্যে রয়েছে—সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ, মাসিক প্রায় ১ হাজার ৪০০ ইউরো স্টাইপেন্ড এবং স্বাস্থ্য ও ভ্রমণ বীমা।
অর্পা আফরিন আজ শুধু নিজের স্বপ্নপূরণের পথে নন, বরং বাংলাদেশের তরুণীদের জন্য অনুপ্রেরণার প্রতীক। তার গল্পে আছে হারানোর বেদনা, চোখের অশ্রু, সংগ্রাম—আবার আছে অদম্য জেদ, স্বপ্ন আর জয়ের গান। মফস্বলের সেই ছোট্ট মেয়েটি আজ ইউরোপের প্রখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা নিচ্ছেন। তিনি প্রমাণ করেছেন, জীবনের বাধা যতই কঠিন হোক, থেমে থাকা মানে শেষ নয়—প্রতিটি হারানো মানেই নতুন করে জয়ের প্রস্তুতি।
মফস্বলের ছোট্ট গ্রামে জন্ম অর্পা আফরিনের। পাঁচ বোন ও এক ভাইয়ের সংসারে বেড়ে ওঠা তার। বাবার ছোট ব্যবসা চলত টানাপোড়েনে। তবু বাবা-মা চেষ্টা করেছিলেন সন্তানদের পড়াশোনার সুযোগ দিতে। শৈশব থেকেই পড়াশোনার প্রতি অর্পার আগ্রহ ছিল অন্যদের চেয়ে বেশি। অন্য শিশুরা খেলাধুলা ও আড্ডায় ব্যস্ত থাকলেও তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা বই-খাতা হাতে বসে থাকতেন। মুখস্থ নয়, বুঝে শেখাই ছিল তার লক্ষ্য। সেই কৌতূহলী মেয়ে তখনই জানতেন—একদিন বড় কিছু করবেন।
নবম শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগে আসার পর তার পড়াশোনার চাপ বেড়ে যায়। ভালো শিক্ষক না পাওয়ায় কঠিন বিষয়গুলো আয়ত্ত করতে হয়েছে একাই। তিনি ব্যাচ পার্টি বা স্কুলের আড্ডায় না গিয়ে পড়াশোনাকেই অগ্রাধিকার দিয়েছেন । কলেজ শেষে ঢাকায় ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসেন। কোচিংয়ে ভর্তি হয়েছিলেন ঠিকই, তবে কোচিং সেন্টারের কাছে থাকতে পারেননি। প্রতিদিন দীর্ঘ দূরত্ব পাড়ি দিয়ে যাওয়া-আসা করতে হতো। তবুও হাল ছাড়েননি। এরই মধ্যে একদিন মামার বাড়ি থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় গুরুতর আঘাত পান। মনে হয়েছিল, জীবন থেমে গেছে। কিন্তু সেই কান্নার ভেতর জন্ম নেয় নতুন জেদ—‘আমি থামব না, আমি বড় হব, নিজের স্বপ্ন পূরণ করব।’
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া সহজ ছিল না। মফস্বলের ছোট্ট গ্রামের শিক্ষার ধারা থেকে এসে শহরের বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের চাপ, পড়াশোনার গতি ও অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার সঙ্গে তাকে খাপ খাইয়ে নিতে হয়েছে । তবে ছোটবেলা থেকেই বুঝে পড়ার অভ্যাস থাকায় অল্প সময়েও জটিল বিষয়গুলো আয়ত্ত করতে পারতেন। তার লক্ষ্য ছিল সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জন করা এবং নিজেকে ধারাবাহিকভাবে পরীক্ষার চাপের মধ্যে উন্নত করা; আর সেই লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে তিনি ধাপে ধাপে এগিয়েছেন। গণিতে অর্জিত ৩.৬৫ সিজিপিএ তার অধ্যবসায় ও মেধার প্রমাণ। শুধু পড়াশোনাতেই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়জীবনেও তিনি বহুমুখী কার্যক্রমে যুক্ত থেকেছেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং ক্লাব ‘নৈয়ায়িক’-এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতীয় দাবা প্রতিযোগিতার ইন্টার ইউনিভার্সিটি পর্যায়ে নারী প্রতিযোগীদের মধ্যে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছেন, অংশ নিয়েছেন গণিত অলিম্পিয়াডেও। স্নাতক পর্যায়ে তার গবেষণা প্রকল্প ‘এ ম্যাথমেটিকাল মডেল অ্যাপ্লাইড টু কনভার্ট গ্রিনহাউস গ্যাসেস ইনটু ডায়মন্ড’ শুধু গণিত নয়, পরিবেশ নিয়েও তার চিন্তার গভীরতার পরিচয় বহন করে।
দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনার সময়ই অর্পা নিশ্চিত হন—তিনি বিদেশে উচ্চশিক্ষা নেবেন। সরকারি চাকরি তার কাছে সময়সাপেক্ষ মনে হয়েছিল, আর বিদেশি ডিগ্রির প্রতি তার আকর্ষণ ছিল প্রবল। ইউটিউবে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা দেখে তার মনে হতো—‘কেন আমরা পারি না ওদের মতো শিখতে?’ এই কৌতূহল থেকেই তৈরি হয় বিদেশে পড়াশোনার স্বপ্ন, আর শুরু হয় প্রস্তুতির যাত্রা।
কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে এক ভয়াবহ ধাক্কা নেমে আসে। মীর মুগ্ধ ছিলেন তার প্রিয়জন, অনুপ্রেরণা ও ভরসা। মুগ্ধ সবসময় বলতেন, ‘অর্পাকে দিয়ে সব সম্ভব।’ শুধু বিশ্বাসই নয়, অর্পার জন্য তার ছিল আকাশসমান স্বপ্ন। কিন্তু হঠাৎ মুগ্ধ শহীদ হওয়ার পর জীবন থমকে দাঁড়ায়। চারপাশে মানুষ থাকলেও ভেতরে ছিল গভীর শূন্যতা। তখনই অর্পা ভাবতেন—মুগ্ধ থাকলে কী বলত। তার মনে হতো—ও বলত, ‘করো, লেগে থাকো।’ সেই কথাগুলোই তাকে শক্তি দিয়েছে এগিয়ে যেতে।
বিদেশে পড়াশোনার জন্য তিনি আবেদন করেছিলেন ইরাসমাস মুন্ডাস স্কলারশিপে। পার্সোনাল ইস্যুর কারণে অনেক সময় নিজেকে ‘কম আত্মবিশ্বাসী’ বলে অনুভূত হতো। মনে হতো—‘ভালো কিছু আমাকে দিয়ে হবে না।’ স্কলারশিপের রেজাল্ট আসার দুদিন পরে মেইল চেক করে জানতে পারেন—তিনি সুযোগ পেয়েছেন। তবুও মুগ্ধকে হারানোর পর সেই আনন্দ পূর্ণ হয়নি। আবার নতুন করে শক্ত হয়ে শুরু করতে হয়েছে তাকে। অর্পা বলেন, ‘ইরাসমাস মুন্ডুসের জার্নি আমার জন্য মোটেও সহজ ছিল না। চব্বিশের ১৮ জুলাইয়ের পর আমার জীবনে এমন কিছু ঘটেছিল যে, এরপর আর কিছুই সুন্দর ছিল না। তবুও আমি আবার অ্যাপ্লিকেশন করেছি, আবার চেষ্টা করেছি।’
চলতে চলতে যখন জীবন তাকে থামিয়ে দিতে চাইছিল, তখন মনে পড়ত প্রিয় সংলাপ—‘আমি ভয় পেতে চাই, উড়তে চাই, পড়তেও চাই—শুধু থেমে থাকতে চাই না।’ অবশেষে সেই স্বপ্নজয় হলো। অর্পা অর্জন করলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ ও পূর্ণ অর্থায়িত ইরাসমাস মুন্ডুস জয়েন্ট মাস্টার্স ডিগ্রি স্কলারশিপ। গ্রিনিং অ্যানার্জি মার্কেট অ্যান্ড ফিন্যান্স বিষয়ে পড়াশোনার জন্য তিনি এখন তিনটি দেশের তিনটি প্রখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন—লুডভিগ ম্যাক্সিমিলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় মিউনিখ (জার্মানি), প্যারিস দোফিন বিশ্ববিদ্যালয় (ফ্রান্স) ও বোলোনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (ইতালি)। বর্তমানে তিনি পড়াশোনা করছেন লুডভিগ ম্যাক্সিমিলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় মিউনিখে (জার্মানি)। স্কলারশিপ সুবিধার মধ্যে রয়েছে—সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ, মাসিক প্রায় ১ হাজার ৪০০ ইউরো স্টাইপেন্ড এবং স্বাস্থ্য ও ভ্রমণ বীমা।
অর্পা আফরিন আজ শুধু নিজের স্বপ্নপূরণের পথে নন, বরং বাংলাদেশের তরুণীদের জন্য অনুপ্রেরণার প্রতীক। তার গল্পে আছে হারানোর বেদনা, চোখের অশ্রু, সংগ্রাম—আবার আছে অদম্য জেদ, স্বপ্ন আর জয়ের গান। মফস্বলের সেই ছোট্ট মেয়েটি আজ ইউরোপের প্রখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা নিচ্ছেন। তিনি প্রমাণ করেছেন, জীবনের বাধা যতই কঠিন হোক, থেমে থাকা মানে শেষ নয়—প্রতিটি হারানো মানেই নতুন করে জয়ের প্রস্তুতি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের পর স্থগিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আগামী ২৭ অক্টোবর পালিত হবে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
৫ ঘণ্টা আগে১৮৪৬ সালের ১৬ অক্টোবর চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী দিন। বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো এক রোগীর শরীরে ব্যথাহীন অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। দাঁতের চিকিৎসক ডা. উইলিয়াম মর্টন রোগী গিলবার্ট অ্যাবটের মুখে ইথার গ্যাস শ্বাসের মাধ্যমে প্রয়োগ করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগী
৫ ঘণ্টা আগেকরোনা ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে রয়েছে নানা ভুল ধারণা এবং অন্ধবিশ্বাস। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্ক্যাবিসসহ কিছু সংক্রামক চর্মরোগ মহামারির আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হচ্ছে। আবার
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগবালাই আবির্ভাব হয়। বাংলাদেশে হেমন্তকালের শেষের দিকে শীতকাল খুব কাছাকাছি চলে আসে। ঋতু পরিবর্তনের এ সময় তাপমাত্রার ওঠানামা ও শুষ্ক বাতাসের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ অন্যান্য রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
৬ ঘণ্টা আগে