ফিয়াদ নওশাদ ইয়ামিন
নারী উদ্যোক্তাদের ভরসার প্ল্যাটফর্ম ঋক্ষশৈলী গত ৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকার আফতাবনগরের সিরাজ কনভেনশন সেন্টারে আয়োজন করেছিল এক প্রাণবন্ত শরৎকালীন উদ্যোক্তা উৎসব। সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলা এই তিন দিনের উৎসব কেবল কেনাকাটার আয়োজন নয়, এটি হয়ে উঠেছিল স্বপ্ন, সম্ভাবনা আর আত্মপ্রত্যয়ের এক বর্ণাঢ্য প্রদর্শনী।
মেলায় অংশ নেন প্রায় ৬০ জন উদ্যোক্তা। তাদের নিজস্ব ব্র্যান্ডের পসরা ছিল বৈচিত্র্যে ভরপুর—হস্তশিল্প, ফ্যাশন, হোমমেড ফুড, সৌন্দর্যচর্চার সামগ্রী ও নানা সেবার সমাহার এক ছাদের নিচে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে দর্শনার্থীদের সামনে সাজানো হয় পোশাক, ব্যাগ, কসমেটিকস, জুয়েলারি, পারফিউম, গাছ, জুতা, ঘর সাজানোর সামগ্রী, আবায়া, বোরকা, হিজাব, আন্ডারগার্মেন্টস, হ্যান্ডমেড চুড়ি, বেডশিট, পাটপণ্য, চিত্রাঙ্কন সামগ্রী, খেলনা, ছেলেদের পোশাক, বিউটি স্যালন ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনিংয়ের অনন্য সব সংগ্রহ। এটি যেন এক ভিন্নধর্মী শিল্পবাজার, যেখানে প্রতিটি স্টল উদ্যোক্তাদের শ্রম ও স্বপ্নের অনন্য গল্প বলছিল।
বাংলাদেশের বাস্তবতায় যখন শিক্ষিত বেকার জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়ছে, তখন দক্ষতা ও প্রশিক্ষণের অভাব অনেক তরুণকে উদ্যোক্তা হওয়ার পথে বাধাগ্রস্ত করছে। সেই দেয়াল ভাঙতে কাজ করছে ঋক্ষশৈলী। নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে প্রায় চার বছর ধরে নিরলসভাবে কাজ করা এই সংগঠন ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে নিয়মিত মেলা ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করে আসছে। দুস্থ কিংবা স্বল্প পুঁজির নারী উদ্যোক্তাদের পরিচিতি তৈরি, অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং পণ্য বিপণনের সুযোগ সৃষ্টি করাই তাদের মূল লক্ষ্য।
তবে এবারের উৎসবে বিশেষ মাত্রা যোগ করেছিল উদ্বোধনী দিনের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। আট থেকে ১৪ বছর বয়সি শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতা যেন মেলায় যুক্ত করেছিল এক নতুন প্রাণ। ছোট্ট হাতের তুলিতে ফুটে ওঠে কল্পনার রঙিন বিস্তার—কখনো প্রকৃতির রূপ, কখনো স্বপ্নের শহর, কখনো আবার মনের ভেতরের নানা ভাবনা। শুধু প্রতিযোগিতা নয়, এটি ছিল শিশুদের প্রতিভা বিকাশের এক অনন্য ক্ষেত্র। দর্শনার্থীরাও থমকে দাঁড়িয়ে দেখেছেন ক্যানভাসে জন্ম নেওয়া রঙের মায়াজাল। উদ্যোক্তা মেলার মাঝেই শিশুদের সৃজনশীলতার এই মঞ্চ যেন প্রমাণ করল, প্রতিটি প্রজন্মের ভেতরেই লুকিয়ে থাকে সম্ভাবনার দীপ্তি।
দর্শনার্থীদের জন্যও ছিল আকর্ষণীয় আয়োজন। ফ্যাশন শো, লাইভ মিউজিক শো, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর ৩৬০ ডিগ্রি ফটোবুথ মেলায় এনেছিল উৎসবের আমেজ। মাত্র ১০ টাকায় ভাগ্য পরীক্ষা, ৫০ টাকায় মেহেদি দেওয়ার সুযোগ, কিংবা এক হাজার টাকার কেনাকাটায় প্রেশার কুকার, রাইস কুকার বা ব্লেন্ডার মেশিন জেতার আকর্ষণীয় অফার দর্শকদের আনন্দে ভরিয়ে তোলে।
নারী উদ্যোক্তাদের অনুপ্রেরণা দিতে বিশেষ অতিথি হয়ে মেলায় আসেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও ‘হাল ছাড়ো না বন্ধু’র প্রতিষ্ঠাতা মোটিভেশনাল স্পিকার চন্দা মাহজাবীন এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপস্থাপিকা ও উদ্যোক্তা জেরিন মাহমুদ। তাদের অভিজ্ঞতার গল্প ও প্রেরণামূলক বার্তা উদ্যোক্তাদের দিয়েছে নতুন সাহস, আত্মবিশ্বাস আর এগিয়ে যাওয়ার অদম্য অনুপ্রেরণা।
এই মেলা প্রমাণ করে, সঠিক প্ল্যাটফর্ম পেলে প্রতিভা ও পরিশ্রম কোনোভাবেই থেমে থাকতে পারে না। ঋক্ষশৈলীর শরৎকালীন উদ্যোক্তা উৎসব শুধু একটি প্রদর্শনী ছিল না, এটি ছিল নারী উদ্যোক্তাদের স্বপ্ন, আত্মপ্রকাশ ও সাফল্যের এক উজ্জ্বল সোপান, যা এক প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
ঋক্ষশৈলীর ভবিষ্যৎ লক্ষ্য উদ্যোক্তাদের পণ্য বিদেশে রপ্তানিতে সাহায্য করা, এই পয়েন্টটা কি উল্লেখ করে দিব।
নারী উদ্যোক্তাদের ভরসার প্ল্যাটফর্ম ঋক্ষশৈলী গত ৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকার আফতাবনগরের সিরাজ কনভেনশন সেন্টারে আয়োজন করেছিল এক প্রাণবন্ত শরৎকালীন উদ্যোক্তা উৎসব। সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলা এই তিন দিনের উৎসব কেবল কেনাকাটার আয়োজন নয়, এটি হয়ে উঠেছিল স্বপ্ন, সম্ভাবনা আর আত্মপ্রত্যয়ের এক বর্ণাঢ্য প্রদর্শনী।
মেলায় অংশ নেন প্রায় ৬০ জন উদ্যোক্তা। তাদের নিজস্ব ব্র্যান্ডের পসরা ছিল বৈচিত্র্যে ভরপুর—হস্তশিল্প, ফ্যাশন, হোমমেড ফুড, সৌন্দর্যচর্চার সামগ্রী ও নানা সেবার সমাহার এক ছাদের নিচে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে দর্শনার্থীদের সামনে সাজানো হয় পোশাক, ব্যাগ, কসমেটিকস, জুয়েলারি, পারফিউম, গাছ, জুতা, ঘর সাজানোর সামগ্রী, আবায়া, বোরকা, হিজাব, আন্ডারগার্মেন্টস, হ্যান্ডমেড চুড়ি, বেডশিট, পাটপণ্য, চিত্রাঙ্কন সামগ্রী, খেলনা, ছেলেদের পোশাক, বিউটি স্যালন ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনিংয়ের অনন্য সব সংগ্রহ। এটি যেন এক ভিন্নধর্মী শিল্পবাজার, যেখানে প্রতিটি স্টল উদ্যোক্তাদের শ্রম ও স্বপ্নের অনন্য গল্প বলছিল।
বাংলাদেশের বাস্তবতায় যখন শিক্ষিত বেকার জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়ছে, তখন দক্ষতা ও প্রশিক্ষণের অভাব অনেক তরুণকে উদ্যোক্তা হওয়ার পথে বাধাগ্রস্ত করছে। সেই দেয়াল ভাঙতে কাজ করছে ঋক্ষশৈলী। নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে প্রায় চার বছর ধরে নিরলসভাবে কাজ করা এই সংগঠন ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে নিয়মিত মেলা ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করে আসছে। দুস্থ কিংবা স্বল্প পুঁজির নারী উদ্যোক্তাদের পরিচিতি তৈরি, অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং পণ্য বিপণনের সুযোগ সৃষ্টি করাই তাদের মূল লক্ষ্য।
তবে এবারের উৎসবে বিশেষ মাত্রা যোগ করেছিল উদ্বোধনী দিনের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। আট থেকে ১৪ বছর বয়সি শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতা যেন মেলায় যুক্ত করেছিল এক নতুন প্রাণ। ছোট্ট হাতের তুলিতে ফুটে ওঠে কল্পনার রঙিন বিস্তার—কখনো প্রকৃতির রূপ, কখনো স্বপ্নের শহর, কখনো আবার মনের ভেতরের নানা ভাবনা। শুধু প্রতিযোগিতা নয়, এটি ছিল শিশুদের প্রতিভা বিকাশের এক অনন্য ক্ষেত্র। দর্শনার্থীরাও থমকে দাঁড়িয়ে দেখেছেন ক্যানভাসে জন্ম নেওয়া রঙের মায়াজাল। উদ্যোক্তা মেলার মাঝেই শিশুদের সৃজনশীলতার এই মঞ্চ যেন প্রমাণ করল, প্রতিটি প্রজন্মের ভেতরেই লুকিয়ে থাকে সম্ভাবনার দীপ্তি।
দর্শনার্থীদের জন্যও ছিল আকর্ষণীয় আয়োজন। ফ্যাশন শো, লাইভ মিউজিক শো, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর ৩৬০ ডিগ্রি ফটোবুথ মেলায় এনেছিল উৎসবের আমেজ। মাত্র ১০ টাকায় ভাগ্য পরীক্ষা, ৫০ টাকায় মেহেদি দেওয়ার সুযোগ, কিংবা এক হাজার টাকার কেনাকাটায় প্রেশার কুকার, রাইস কুকার বা ব্লেন্ডার মেশিন জেতার আকর্ষণীয় অফার দর্শকদের আনন্দে ভরিয়ে তোলে।
নারী উদ্যোক্তাদের অনুপ্রেরণা দিতে বিশেষ অতিথি হয়ে মেলায় আসেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও ‘হাল ছাড়ো না বন্ধু’র প্রতিষ্ঠাতা মোটিভেশনাল স্পিকার চন্দা মাহজাবীন এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপস্থাপিকা ও উদ্যোক্তা জেরিন মাহমুদ। তাদের অভিজ্ঞতার গল্প ও প্রেরণামূলক বার্তা উদ্যোক্তাদের দিয়েছে নতুন সাহস, আত্মবিশ্বাস আর এগিয়ে যাওয়ার অদম্য অনুপ্রেরণা।
এই মেলা প্রমাণ করে, সঠিক প্ল্যাটফর্ম পেলে প্রতিভা ও পরিশ্রম কোনোভাবেই থেমে থাকতে পারে না। ঋক্ষশৈলীর শরৎকালীন উদ্যোক্তা উৎসব শুধু একটি প্রদর্শনী ছিল না, এটি ছিল নারী উদ্যোক্তাদের স্বপ্ন, আত্মপ্রকাশ ও সাফল্যের এক উজ্জ্বল সোপান, যা এক প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
ঋক্ষশৈলীর ভবিষ্যৎ লক্ষ্য উদ্যোক্তাদের পণ্য বিদেশে রপ্তানিতে সাহায্য করা, এই পয়েন্টটা কি উল্লেখ করে দিব।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
২ ঘণ্টা আগে
সমাবেশে জোবায়েদের সহপাঠী সজল খান বলেন, “পুলিশ এখনো বর্ষার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। শুধু বর্ষা ও মাহির নয়, এই ঘটনায় বর্ষার পরিবারও জড়িত। গতকাল আদালতে আমাদের সঙ্গে পুলিশের আচরণ ছিল অমানবিক। আমাদের এক বান্ধবী ভিডিও করতে গেলে তার ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। আমরা পুলিশের এই আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই।”
২ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ আইনের মামলায় বুয়েটের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায়কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে জামিনের বিষয়ে অধিকতর শুনানির জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন বিচার
২ ঘণ্টা আগে