
ইভা আক্তার

বৃষ্টিভেজা দিনে নবীনদের আগমনের উচ্ছ্বাস আর পুরোনোদের বিদায়ের নরম আলিঙ্গন। সকাল থেকে আকাশের মুখ গোমড়া। গাঢ় মেঘের চাদরে ঢাকা নীলিমা, কখনো মৃদু, কখনো ঝমঝম বৃষ্টি। অথচ সেই ভেজা সকালেই গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) ট্রান্সপোর্ট চত্বর যেন হয়ে উঠেছিল এক রঙিন উৎসবের মঞ্চ।
ক্যাম্পাসজুড়ে ছাতার নিচে অপেক্ষারত মুখগুলো ছিল উচ্ছ্বাসে টইটম্বুর। মাটির গন্ধ মিশে গিয়েছিল বন্ধুত্বের গন্ধে। আর সেই বৃষ্টিকে সঙ্গী করেই অনুষ্ঠিত হলো ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের নবীনবরণ ও বিদায় সংবর্ধনা।
একদিকে ছিল আগমনি সুর, অন্যদিকে প্রস্থানবেলার নরম বিষণ্ণতা। ১৯ ও ২০তম ব্যাচের ‘নতুন আমি’র চোখেমুখে ছিল ভবিষ্যতের স্বপ্নের দীপ্তি, আর ৯ম ব্যাচের হাতের হলুদ হয়ে যাওয়া চিঠির খামে জমে ছিল ফেলে আসা দিনগুলোর নস্টালজিয়া। এ যেন এক মঞ্চে পাশাপাশি বসেছিল বসন্ত আর শরৎ। একদিকে তরতাজা স্বপ্ন নিয়ে ফোটা ফুল, আরেক দিকে স্মৃতির পাতায় ছাপ ফেলে যাওয়া স্নিগ্ধ বাতাস।
আকাশে কালো মেঘ, মাঠে বৃষ্টিভেজা ঘাস। তবুও শিক্ষার্থীদের মুখে ছিল রোদ্দুরের ঝিলিক। কারো পরনে শাড়ি, কারো গায়ে পাঞ্জাবি। সবাই যেন বৃষ্টির কানে কানে বলছিল—‘থাক না তুই, বৃষ্টি... আমরা বরং উৎসবেই ভাসি।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জহিরুল ইসলাম খান। প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্র উপদেষ্টা ও কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফজলুল করিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক নিলুফার সুলতানা ও ড. মো. নূরুল ইসলাম।
ডিন স্যারের চোখে ছিল দৃঢ়তার দীপ্তি, কণ্ঠে ছিল নির্ভরতার ছায়া। অধ্যাপক ফজলুল করিম কোনো জটিল কিছু বোঝালেন না, বরং ছাত্রদের দিকে তাকিয়ে মমতার গভীরতা দিয়ে বললেন, ‘পথটা কঠিন ঠিকই, কিন্তু ভয় পেলেই চলবে না। ডাক্তারি শুধু ডিগ্রি নয়, এটা মনুষ্যত্বের প্রতিশ্রুতি। সাহস রাখো, কারণ আমরা আছি পাশে।’
আর বিদায়ী প্রজন্মের চোখে চোখ রেখে অধ্যাপক জহিরুল ইসলাম বললেন, ‘তোমাদের সামনে বাস্তব; কাঠিন্য ছুঁয়ে যাওয়া শেখার মতো বাস্তব। ভুল হবে, ঠেকবে; কিন্তু থেমো না। আমরা তোমাদের ফেরার অপেক্ষায় থাকব সবসময়।’ এই অনুষ্ঠান ছিল না কেবল সময়সূচির আনুষ্ঠানিকতা। এ ছিল জীবনের এক আবেগভেজা অধ্যায়, যেখানে হাসি, কান্না, উল্লাস আর ভালোবাসা পাশাপাশি হাঁটছিল। নাচ, গান, কবিতা, কৌতুক ও নাটকে মুখর ছিল মঞ্চ। কিন্তু এসব আয়োজনের মাঝেও সবচেয়ে স্পর্শকাতর ছিল বিদায়ী শিক্ষার্থীদের নীরবে থমকে যাওয়া কণ্ঠস্বর।
একজন বলল, ‘মনে হচ্ছে, পাঁচ বছরের রোদ-বৃষ্টির দিনগুলো আজ একসঙ্গে এসে একটা শেষ আলিঙ্গন চাইছে।’ সবচেয়ে আলোড়ন তুলেছিল শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মিলনমুহূর্ত। একপর্যায়ে শিক্ষকরাই মঞ্চে উঠে নেচেছেন, গেয়েছেন এবং অভিনয় করেছেন। দেখে কে বলবে তারা শিক্ষক! সেই মুহূর্তে তারা হয়ে উঠেছিলেন বন্ধু, সঙ্গী ও সহযাত্রী।
নবীন শিক্ষার্থীরা চোখ মেলে বলছিলেন, ‘স্যাররা আজ যেন আমাদের থেকেও বেশি উচ্ছ্বসিত। তাদের চোখে এত আনন্দ, এত নির্ভরতা দেখে মনে হচ্ছে ভয় বলে কিছু নেই।’ সবশেষে ছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত স্বরূপ ব্যান্ডের পরিবেশনা। তাদের গান মিশে গেল ভিজে মাঠের বাতাসে। আর শিক্ষার্থীদের কণ্ঠ মিশল সুরে সুরে—‘এই পথ যদি না শেষ হয়...।’ গানের সেই সুরে বিদায়ী ব্যাচ বিশ্ববিদ্যালয়কে যেন বলছিল, ‘তুই থাকিস, আমরা কিন্তু তোকে নিয়েই যাচ্ছি।’

বৃষ্টিভেজা দিনে নবীনদের আগমনের উচ্ছ্বাস আর পুরোনোদের বিদায়ের নরম আলিঙ্গন। সকাল থেকে আকাশের মুখ গোমড়া। গাঢ় মেঘের চাদরে ঢাকা নীলিমা, কখনো মৃদু, কখনো ঝমঝম বৃষ্টি। অথচ সেই ভেজা সকালেই গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) ট্রান্সপোর্ট চত্বর যেন হয়ে উঠেছিল এক রঙিন উৎসবের মঞ্চ।
ক্যাম্পাসজুড়ে ছাতার নিচে অপেক্ষারত মুখগুলো ছিল উচ্ছ্বাসে টইটম্বুর। মাটির গন্ধ মিশে গিয়েছিল বন্ধুত্বের গন্ধে। আর সেই বৃষ্টিকে সঙ্গী করেই অনুষ্ঠিত হলো ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের নবীনবরণ ও বিদায় সংবর্ধনা।
একদিকে ছিল আগমনি সুর, অন্যদিকে প্রস্থানবেলার নরম বিষণ্ণতা। ১৯ ও ২০তম ব্যাচের ‘নতুন আমি’র চোখেমুখে ছিল ভবিষ্যতের স্বপ্নের দীপ্তি, আর ৯ম ব্যাচের হাতের হলুদ হয়ে যাওয়া চিঠির খামে জমে ছিল ফেলে আসা দিনগুলোর নস্টালজিয়া। এ যেন এক মঞ্চে পাশাপাশি বসেছিল বসন্ত আর শরৎ। একদিকে তরতাজা স্বপ্ন নিয়ে ফোটা ফুল, আরেক দিকে স্মৃতির পাতায় ছাপ ফেলে যাওয়া স্নিগ্ধ বাতাস।
আকাশে কালো মেঘ, মাঠে বৃষ্টিভেজা ঘাস। তবুও শিক্ষার্থীদের মুখে ছিল রোদ্দুরের ঝিলিক। কারো পরনে শাড়ি, কারো গায়ে পাঞ্জাবি। সবাই যেন বৃষ্টির কানে কানে বলছিল—‘থাক না তুই, বৃষ্টি... আমরা বরং উৎসবেই ভাসি।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জহিরুল ইসলাম খান। প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্র উপদেষ্টা ও কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফজলুল করিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক নিলুফার সুলতানা ও ড. মো. নূরুল ইসলাম।
ডিন স্যারের চোখে ছিল দৃঢ়তার দীপ্তি, কণ্ঠে ছিল নির্ভরতার ছায়া। অধ্যাপক ফজলুল করিম কোনো জটিল কিছু বোঝালেন না, বরং ছাত্রদের দিকে তাকিয়ে মমতার গভীরতা দিয়ে বললেন, ‘পথটা কঠিন ঠিকই, কিন্তু ভয় পেলেই চলবে না। ডাক্তারি শুধু ডিগ্রি নয়, এটা মনুষ্যত্বের প্রতিশ্রুতি। সাহস রাখো, কারণ আমরা আছি পাশে।’
আর বিদায়ী প্রজন্মের চোখে চোখ রেখে অধ্যাপক জহিরুল ইসলাম বললেন, ‘তোমাদের সামনে বাস্তব; কাঠিন্য ছুঁয়ে যাওয়া শেখার মতো বাস্তব। ভুল হবে, ঠেকবে; কিন্তু থেমো না। আমরা তোমাদের ফেরার অপেক্ষায় থাকব সবসময়।’ এই অনুষ্ঠান ছিল না কেবল সময়সূচির আনুষ্ঠানিকতা। এ ছিল জীবনের এক আবেগভেজা অধ্যায়, যেখানে হাসি, কান্না, উল্লাস আর ভালোবাসা পাশাপাশি হাঁটছিল। নাচ, গান, কবিতা, কৌতুক ও নাটকে মুখর ছিল মঞ্চ। কিন্তু এসব আয়োজনের মাঝেও সবচেয়ে স্পর্শকাতর ছিল বিদায়ী শিক্ষার্থীদের নীরবে থমকে যাওয়া কণ্ঠস্বর।
একজন বলল, ‘মনে হচ্ছে, পাঁচ বছরের রোদ-বৃষ্টির দিনগুলো আজ একসঙ্গে এসে একটা শেষ আলিঙ্গন চাইছে।’ সবচেয়ে আলোড়ন তুলেছিল শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মিলনমুহূর্ত। একপর্যায়ে শিক্ষকরাই মঞ্চে উঠে নেচেছেন, গেয়েছেন এবং অভিনয় করেছেন। দেখে কে বলবে তারা শিক্ষক! সেই মুহূর্তে তারা হয়ে উঠেছিলেন বন্ধু, সঙ্গী ও সহযাত্রী।
নবীন শিক্ষার্থীরা চোখ মেলে বলছিলেন, ‘স্যাররা আজ যেন আমাদের থেকেও বেশি উচ্ছ্বসিত। তাদের চোখে এত আনন্দ, এত নির্ভরতা দেখে মনে হচ্ছে ভয় বলে কিছু নেই।’ সবশেষে ছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত স্বরূপ ব্যান্ডের পরিবেশনা। তাদের গান মিশে গেল ভিজে মাঠের বাতাসে। আর শিক্ষার্থীদের কণ্ঠ মিশল সুরে সুরে—‘এই পথ যদি না শেষ হয়...।’ গানের সেই সুরে বিদায়ী ব্যাচ বিশ্ববিদ্যালয়কে যেন বলছিল, ‘তুই থাকিস, আমরা কিন্তু তোকে নিয়েই যাচ্ছি।’

আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন শিশির বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, শাকসু বানচালের চেষ্টা চলছে। শিক্ষার্থীরা এটা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। যদি আগামী সোমবার ভিসি এসে নির্বাচন কমিশন গঠন করে রোডম্যাপ ঘোষণা না করেন, তাহলে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের...
২ ঘণ্টা আগে
সংগঠনের তথ্য, উপহার প্রদান, অনুভূতি বক্স এবং মেহেদি দেওয়ার জন্য উৎসবের ছাউনিতে চারটি আলাদা বুথ। সেখানে ছিল নারী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আয়োজকরা নতুন সদস্য আহ্বান ও প্রচারপত্র বিলি করেন। ফটকের সামনে একটি ব্যানারে লেখা, ‛প্রিয় ভাইয়েরা, ভেতরে প্রবেশ ও উঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন।’
৩ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
৪ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
৫ ঘণ্টা আগে