
মাহমুদা ডলি

‘বুলেট মাথার ভেতর দিয়ে ঢুকে নাঈমার মাথার মগজ ছিটকে বের হয়ে আসে, আর সেই মগজ আমার হাতে লেগে যায়। নিজের সন্তানের নির্মম বীভৎস মৃত্যু আমি কী করে ভুলে যাব। পুলিশ ইচ্ছে করে পাঁচতলায় আমার মেয়েকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে। আমি নিজে দেখেছি পুলিশ বাসার দিকে তাক করে গুলি ছুড়ছে। আমি বুঝে উঠতে পারিনি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে।’
কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিলেন জুলাই বিপ্লবে প্রথম নারী শহীদ নাঈমা সুলতানার মা আইনুন নাহার।
নাঈমা সুলতানার বয়স ১৬ বছর। মাইলস্টোন স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল সে।
রাজধানী উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরে একটি ভাড়া বাসায় থাকত নাঈমারা। তাদের তিন ভাই-বোনকে নিয়ে মা আইনুন নাহার থাকতেন এই বাসায়। বাবা পল্লিচিকিৎসক, গ্রাম থেকে যাওয়া-আসার মধ্যে থাকেন। ভবনের চারতলায় তাদের বাসা।
মা আইনুন নাহার বলেন, ‘আমার বাড়ি, ব্যবসা সব গ্রামে। ঢাকায় এসেছি শুধু নাঈমার লেখাপড়ার জন্য। কোনো বিলাসিতা করি নাই, মেয়ের পড়াশোনার খরচ জোগাতে গিয়ে, সব টাকা-পয়সা তার পেছনে খরচ করেছি। মেয়েটা অত্যন্ত মেধাবী ছিল। বলেছি এ মেয়েই আমার সম্পদ। আমার সেই মেয়েটা শেষ হয়ে গেল, আমার জীবনের সব শেষ।’
২০২৪ সালের ১৯ জুলাই শুক্রবার পরিবারে নেমে আসে ভয়ানক শোকের ছায়া। তাদের বাসার একটু দূরে উত্তরা আধুনিক মেডিকেলের সামনে ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশ ও তাদের সহযোগী ছাত্রলীগ-যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় অস্ত্রধারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও কিছু পুলিশ আশপাশের গলিতে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। বিকাল আনুমানিক ৪টা। নাঈমা তার রুমে বসে ‘বয়কট ছাত্রলীগ’, ‘কোটা সংস্কার চাই’সহ নানা স্লোগানে রঙিন কালিতে প্রতিবাদী পোস্টার আঁকছিল। এ অবস্থায় বাসার সামনে চিৎকার-চেঁচামেচির শব্দে দৌড়ে বারান্দায় আসে দেখতে। তার বাসার নিচে তখন আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে পুলিশ গুলি ছুড়ছিল। তখন হাতে থাকা মোবাইলে ভিডিও অন করে নিচের দিকে তাক করতেই তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে পুলিশ। গুলির আঘাতে মুহূর্তেই মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে নাঈমা।
নাঈমার মাথার একপাশ দিয়ে গুলি ঢুকে আরেক পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। মেঝেতে মগজ ছিটিয়ে পড়ে। গুলি লাগার সঙ্গে সঙ্গে সে শুধু একটাই শব্দ করতে পেরেছিল, ‘মা...আ...!’
পেছনে রুমে থাকা মা ও বড় বোন তার শেষ শব্দটি শুনে ‘কী হইছে’ বলে দৌড়ে বারান্দায় এসে দেখে, নাঈমা মেঝেতে লুটিয়ে পড়েছে। মাথা দিয়ে রক্ত ঝরছে। সারা বারান্দায় ছড়িয়ে গেছে তার রক্ত। মেয়ের এ অবস্থা দেখে মা জ্ঞান হারান। বোনের কান্নার আওয়াজে আশপাশের ফ্ল্যাট ও নিচে থাকা ছাত্ররা এসে ধরাধরি করে নাঈমাকে নিয়ে যায় উত্তরা আধুনিক মেডিকেলে। কিন্তু তার আগেই পৃথিবী থেকে বিদায় নেয় নাঈমা।
এদিকে রাতেই নাঈমার লাশ নেওয়া হয় গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তরের আমুয়াকান্দা গ্রামে। পথে পুলিশের নানা হয়রানির শিকার হতে হয় স্বজনদের। কোথা থেকে এসেছে এ লাশ, কীভাবে মারা গেছে, কোথায় যাচ্ছে—নানা প্রশ্ন। পরদিন সকাল সাড়ে ৯টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় নাঈমাকে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, উত্তাল জুলাইয়ের সেই সময়ে নাঈমার অবসর কাটত আঁকাআঁকিতে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরুতে বাসায় বসে বসে খাতায় নানা স্লোগানসংবলিত প্রতিবাদী ছবি এঁকে সময় পার করেছে। মারা যাওয়ার আগের দিন ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরায় পুলিশের গুলিতে প্রায় ৩০ জন ছাত্র-জনতা মারা যান। ওইদিন রাতে নাঈমা আন্দোলনের পোস্টার আঁকছিল, আর মায়ের সঙ্গে গল্প করছিল। একপর্যায়ে মাকে বলে, ‘আম্মু, ধর আমি যদি আন্দোলনে গিয়ে মারা যাই, তুমি মানুষকে কী বলবা?’ মাকে জবাব দেওয়ার সুযোগ না দিয়ে আবার নিজেই বলে ওঠে, ‘বলবা যে শহীদ হয়েছে। আমার মেয়ে শহীদ হয়েছে।’
নাঈমা সুলতানা শহীদ হয়েছে। তবে নাঈমা তার আঁকা ছবিগুলোর মধ্যে বেঁচে রয়েছে। তার আঁকা চিত্রগুলো দেশব্যাপী ভাইরাল হয়। এর মধ্যে বেশ কিছু ছিল ছাত্রলীগের লোগোসহ ‘বয়কট ছাত্রলীগ’। ওই ছবিগুলো তখন সমন্বয়করা তাৎক্ষণিকভাবে সংগ্রহ করে নেয়।
এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন নাঈমা সুলতানা। গতকাল বৃহস্পতিবার সারা দেশে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এজন্য এটি ছিল নাঈমার মায়ের জন্য কষ্টের-বিরহের একটি দিন। এ বিষয়ে আইনুন নাহার আমার দেশকে বলেন, ‘আজ মেয়েটার কথা বেশি মনে পড়ছে। কারণ আজ এসএসসি পরীক্ষা চলছে। আমার নাঈমা থাকলে তো সারারাত আমি এবং আমার মেয়ে পড়ার টেবিলে থাকতাম। আর এখন সে পরীক্ষা দিতে যাইত। সেটা মনে করে খুব কষ্ট হচ্ছে।’
আইনুন নাহার বলেন, ‘আমি বিচার চাই, আমার সন্তানের হত্যার বিচার চাই। কত মামলা হয়েছে কিন্তু কোনো মামলার বিচার শুরু হয়নি; আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে বিচার চাই।’
নাঈমার মা বলেন, ‘সারজিস আলম জানুয়ারি মাসে একবার এসেছিল। সমন্বয়করা খোঁজখবর নিলে সন্তানহারা ব্যথাটা একটু কমে।
এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সাদিয়া ফারজানা দিনা বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে নারী দিবসে নারী শহীদদের পরিবারের খোঁজ নেওয়া হয়। তা ছাড়া আমাদের যে পরিকল্পনা রয়েছে, সে অনুযায়ী শিগগিরই সবার সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।

‘বুলেট মাথার ভেতর দিয়ে ঢুকে নাঈমার মাথার মগজ ছিটকে বের হয়ে আসে, আর সেই মগজ আমার হাতে লেগে যায়। নিজের সন্তানের নির্মম বীভৎস মৃত্যু আমি কী করে ভুলে যাব। পুলিশ ইচ্ছে করে পাঁচতলায় আমার মেয়েকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে। আমি নিজে দেখেছি পুলিশ বাসার দিকে তাক করে গুলি ছুড়ছে। আমি বুঝে উঠতে পারিনি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে।’
কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিলেন জুলাই বিপ্লবে প্রথম নারী শহীদ নাঈমা সুলতানার মা আইনুন নাহার।
নাঈমা সুলতানার বয়স ১৬ বছর। মাইলস্টোন স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল সে।
রাজধানী উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরে একটি ভাড়া বাসায় থাকত নাঈমারা। তাদের তিন ভাই-বোনকে নিয়ে মা আইনুন নাহার থাকতেন এই বাসায়। বাবা পল্লিচিকিৎসক, গ্রাম থেকে যাওয়া-আসার মধ্যে থাকেন। ভবনের চারতলায় তাদের বাসা।
মা আইনুন নাহার বলেন, ‘আমার বাড়ি, ব্যবসা সব গ্রামে। ঢাকায় এসেছি শুধু নাঈমার লেখাপড়ার জন্য। কোনো বিলাসিতা করি নাই, মেয়ের পড়াশোনার খরচ জোগাতে গিয়ে, সব টাকা-পয়সা তার পেছনে খরচ করেছি। মেয়েটা অত্যন্ত মেধাবী ছিল। বলেছি এ মেয়েই আমার সম্পদ। আমার সেই মেয়েটা শেষ হয়ে গেল, আমার জীবনের সব শেষ।’
২০২৪ সালের ১৯ জুলাই শুক্রবার পরিবারে নেমে আসে ভয়ানক শোকের ছায়া। তাদের বাসার একটু দূরে উত্তরা আধুনিক মেডিকেলের সামনে ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশ ও তাদের সহযোগী ছাত্রলীগ-যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় অস্ত্রধারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও কিছু পুলিশ আশপাশের গলিতে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। বিকাল আনুমানিক ৪টা। নাঈমা তার রুমে বসে ‘বয়কট ছাত্রলীগ’, ‘কোটা সংস্কার চাই’সহ নানা স্লোগানে রঙিন কালিতে প্রতিবাদী পোস্টার আঁকছিল। এ অবস্থায় বাসার সামনে চিৎকার-চেঁচামেচির শব্দে দৌড়ে বারান্দায় আসে দেখতে। তার বাসার নিচে তখন আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে পুলিশ গুলি ছুড়ছিল। তখন হাতে থাকা মোবাইলে ভিডিও অন করে নিচের দিকে তাক করতেই তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে পুলিশ। গুলির আঘাতে মুহূর্তেই মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে নাঈমা।
নাঈমার মাথার একপাশ দিয়ে গুলি ঢুকে আরেক পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। মেঝেতে মগজ ছিটিয়ে পড়ে। গুলি লাগার সঙ্গে সঙ্গে সে শুধু একটাই শব্দ করতে পেরেছিল, ‘মা...আ...!’
পেছনে রুমে থাকা মা ও বড় বোন তার শেষ শব্দটি শুনে ‘কী হইছে’ বলে দৌড়ে বারান্দায় এসে দেখে, নাঈমা মেঝেতে লুটিয়ে পড়েছে। মাথা দিয়ে রক্ত ঝরছে। সারা বারান্দায় ছড়িয়ে গেছে তার রক্ত। মেয়ের এ অবস্থা দেখে মা জ্ঞান হারান। বোনের কান্নার আওয়াজে আশপাশের ফ্ল্যাট ও নিচে থাকা ছাত্ররা এসে ধরাধরি করে নাঈমাকে নিয়ে যায় উত্তরা আধুনিক মেডিকেলে। কিন্তু তার আগেই পৃথিবী থেকে বিদায় নেয় নাঈমা।
এদিকে রাতেই নাঈমার লাশ নেওয়া হয় গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তরের আমুয়াকান্দা গ্রামে। পথে পুলিশের নানা হয়রানির শিকার হতে হয় স্বজনদের। কোথা থেকে এসেছে এ লাশ, কীভাবে মারা গেছে, কোথায় যাচ্ছে—নানা প্রশ্ন। পরদিন সকাল সাড়ে ৯টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় নাঈমাকে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, উত্তাল জুলাইয়ের সেই সময়ে নাঈমার অবসর কাটত আঁকাআঁকিতে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরুতে বাসায় বসে বসে খাতায় নানা স্লোগানসংবলিত প্রতিবাদী ছবি এঁকে সময় পার করেছে। মারা যাওয়ার আগের দিন ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরায় পুলিশের গুলিতে প্রায় ৩০ জন ছাত্র-জনতা মারা যান। ওইদিন রাতে নাঈমা আন্দোলনের পোস্টার আঁকছিল, আর মায়ের সঙ্গে গল্প করছিল। একপর্যায়ে মাকে বলে, ‘আম্মু, ধর আমি যদি আন্দোলনে গিয়ে মারা যাই, তুমি মানুষকে কী বলবা?’ মাকে জবাব দেওয়ার সুযোগ না দিয়ে আবার নিজেই বলে ওঠে, ‘বলবা যে শহীদ হয়েছে। আমার মেয়ে শহীদ হয়েছে।’
নাঈমা সুলতানা শহীদ হয়েছে। তবে নাঈমা তার আঁকা ছবিগুলোর মধ্যে বেঁচে রয়েছে। তার আঁকা চিত্রগুলো দেশব্যাপী ভাইরাল হয়। এর মধ্যে বেশ কিছু ছিল ছাত্রলীগের লোগোসহ ‘বয়কট ছাত্রলীগ’। ওই ছবিগুলো তখন সমন্বয়করা তাৎক্ষণিকভাবে সংগ্রহ করে নেয়।
এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন নাঈমা সুলতানা। গতকাল বৃহস্পতিবার সারা দেশে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এজন্য এটি ছিল নাঈমার মায়ের জন্য কষ্টের-বিরহের একটি দিন। এ বিষয়ে আইনুন নাহার আমার দেশকে বলেন, ‘আজ মেয়েটার কথা বেশি মনে পড়ছে। কারণ আজ এসএসসি পরীক্ষা চলছে। আমার নাঈমা থাকলে তো সারারাত আমি এবং আমার মেয়ে পড়ার টেবিলে থাকতাম। আর এখন সে পরীক্ষা দিতে যাইত। সেটা মনে করে খুব কষ্ট হচ্ছে।’
আইনুন নাহার বলেন, ‘আমি বিচার চাই, আমার সন্তানের হত্যার বিচার চাই। কত মামলা হয়েছে কিন্তু কোনো মামলার বিচার শুরু হয়নি; আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে বিচার চাই।’
নাঈমার মা বলেন, ‘সারজিস আলম জানুয়ারি মাসে একবার এসেছিল। সমন্বয়করা খোঁজখবর নিলে সন্তানহারা ব্যথাটা একটু কমে।
এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সাদিয়া ফারজানা দিনা বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে নারী দিবসে নারী শহীদদের পরিবারের খোঁজ নেওয়া হয়। তা ছাড়া আমাদের যে পরিকল্পনা রয়েছে, সে অনুযায়ী শিগগিরই সবার সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।

জুলাই আন্দোলনে গুলিতে দৃষ্টিশক্তি হারানো এক যোদ্ধাকে বাদী দেখিয়ে অভিনব কায়দায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করা হয়েছে।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মৌলভীবাজার শহরে অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে মিছিলে অংশ নেন জসিমও। চৌমুহনায় মিছিলকারী ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশ ও আ.লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবুও পিছু হটেনি সাহস নিয়ে পুলিশের বন্দুকের সামনে বুক পেতে পুলিশ ও ছাত্রলীগকে লক্ষ্য
৩১ আগস্ট ২০২৫
চব্বিশের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম একজন যোদ্ধা তরুণ আলেম মাওলানা শফিকুর রহমান। আন্দোলন ঘিরে যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় পতিত আওয়ামী সরকারের পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে তার বাগবিতন্ডার একটি ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। রামপুরা এলাকায় আন্দোলনকারীদের মাঝে খাবার বিতরণ করতে দেখা যায় তাকে।
২৯ আগস্ট ২০২৫
তাইমুরের বাবা পুলিশের এসআই মো. ময়নাল হোসেন ভুঁইয়া তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, ‘একজন মানুষকে মারতে কয়টা গুলি লাগে স্যার’। আমার ছেলের কি দোষ ছিল, কেন তাকে এত কষ্ট দিয়ে মারা হলো? কেন তার শরীরে দুইশ গুলি মারা হলো।
১৯ আগস্ট ২০২৫