সাইফুল ইসলাম ফারহান, শরীয়তপুর
বাবার মৃত্যুর তিন মাস আগে সন্তানদের ছেড়ে চলে যান মা। পারিবারিক কলহের জেরে মায়ের মৃত্যুর পর বাবাই ছিলেন তাদের সব ভরসা। মমতা-ভালোবাসায় সন্তানদের বুকে আগলে রেখেছিলেন সব সময়।
কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শেষ সময়, গত ৪ আগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের ছোড়া বুলেটে শহীদ হন বেঁচে থাকার অবলম্বন বাবাও। বলছিলাম বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া শহীদ রিয়াজুল তালুকদার ও তার সন্তানদের কথা। বাবাকে হারিয়ে বর্তমানে অসহায় রিয়াজুলের দুই সন্তান মেহজাবিন (৫) ও মুস্তাকিম (৩)। তাদের ভবিষ্যৎ নিয়েও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দী ইউনিয়নের আবুরা গ্রামের বাসিন্দা শহীদ রিয়াজুল তালুকদার। বাবা মো. গিয়াস উদ্দিন তালুকদার ও মা শেহেরজান বিবির পাঁচ সন্তানের মধ্যে মেজো ছেলে তিনি।
অভাব-অনটনের সংসার ছিল তাদের। হাল ধরতে কিশোর বয়সেই সাইকেল মেকানিকের কাজে লেগে যান। এ কাজ করে পরিবারের ভরণপোষণে ছিল কষ্ট। তাই ঢাকায় গিয়ে মালবাহী ভ্যান চালানো শুরু করেন। তবে যে স্বপ্ন তাকে ঢাকায় নিয়েছিল সে স্বপ্ন যেন অধরাই থেকে গেল তার। পতিত স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের আজ্ঞাবহ বাহিনীর গুলিতে প্রাণ যায় তার।
সম্প্রতি রিয়াজুলের পরিবারের সঙ্গে কথা হয় আমার দেশের। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ভূমিহীন কৃষক পরিবারের সন্তান রিয়াজুল। প্রাথমিক স্কুলের গণ্ডি পার হওয়ার পরই অভাব-অনটনের কারণে স্থানীয় বাজারে সাইকেল মেরামতের কাজে লেগে পড়েন। ধীরে ধীরে পরিবারের সদস্য সংখ্যা বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে সংসারের খরচও বেড়ে যায়। মাত্র ১৫ বছর বয়সে পরিবারসহ জীবিকার তাগিদে চলে আসেন ঢাকায়। গুলিস্তান স্পোর্টস মার্কেটে ভ্যানগাড়ি দিয়ে মাল টানার কাজ করতেন।
এর আগে ২০১৮ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় শিমু আক্তারের সঙ্গে। তাদের ঘরে জন্ম নেয় মেহজাবিন ও মুস্তাকিম। তবে সুখের সংসার টেকেনি বেশি দিন। পারিবারিক কলহের জেরে শিমুর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় তার। কাজের সুবাদে যাত্রাবাড়ীর মীরহাজীরবাগ এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একটি ভাড়া মেসে থাকতেন রিয়াজুল। সেখান থেকেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে যোগ দেন।
৪ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনা সরকার পতনের ১ দফা আন্দোলনে যাত্রাবাড়ী, কাজলা, শনিরআখড়া এলাকা ছিল বিক্ষোভে উত্তাল। আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগসহ দলের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা গুলিসহ বিভিন্ন ভারী অস্ত্র দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ আমজনতার ওপর চালায় ভয়াবহ হামলা ।
এ ছাড়া আন্দোলন প্রতিহত করতে নির্বিচারে গুলি চালায় পুলিশ। একপর্যায়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের ছোড়া গুলি এসে লাগে তার কোমরে । সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই মারা যান রিয়াজুল। এদিকে মায়ের থেকে বিচ্ছেদ হওয়ার দুই মাসের মধ্যে বাবাকে হারিয়ে মেহজাবিন ও মুস্তাকিমের ভবিষ্যৎ জীবন এখন যেন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
বাবার শোকে এখনও আর্তনাদ শিশু মেহজাবিনের
ক্লাস ওয়ানে পড়ে ছোট্ট মেহজাবিন। বাবাকে পুলিশ গুলি করে মেরে ফেলেছে বলেই কান্না শুরু করে। মাকে হারানোর পর বাবাই ছিল ভাইবোনের একমাত্র আশ্রয়স্থল। আজ সেটাও নেই। এদিকে তার ছোট ভাই এখনও বোঝে না তার বাবা যে চিরতরে চলে গেছে তাদের ছেড়ে।
রিয়াজুল তালুকদারের ভাই রাসেল তালুকদার বলেন, ‘গত ৪ আগস্ট সন্ধ্যার দিকে রিয়াজুলের ফোন থেকে একজন কল করে জানায়, আপনার ভাইয়ের গুলি লেগেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসুন।’ খবর পাওয়ামাত্র আরেক ভাই নাহিদকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে যাই। সেখানে গিয়ে শুনতে পান রিয়াজুল মারা গেছে।
৪ তারিখ সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে মারা যাওয়ার পর হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, থানা থেকে লিখিত আনতে হবে নইলে লাশ দেবে না। এরপর শাহবাগ থানা থেকে যাত্রাবাড়ী থানায়, যাত্রাবাড়ী থেকে শাহবাগ থানায় একটি কাগজের জন্য সাত থেকে আটবার ঘোরাঘুরি করতে হয়। কিন্তু কোনো থানা থেকেই কাগজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
৫ তারিখ সরকার পতনের পরে হাসপাতালের মর্গের রুমের তালা ভেঙে ফেলেন ছাত্ররা। এরপর ভাইয়ের মরদেহ পুলিশের ছাড়পত্র ছাড়াই নিয়ে আসেন। দাফন করা হয় গ্রামের বাড়িতে।
রিয়াজুলের মা শেহেরজান বিবি চোখের পানি মুছতে মুছতে বলেন, ‘আমার বাবারে আল্লায় শহীদি মর্যাদা দিছে। যার মার পুত গেছে সে-ই বুঝে কী রকম লাগে। আমার বাবার ঘরে দুই নাতি-নাতনি। রিয়াজুলের বউ দুই মাস আগে তাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে গেছে।
এখন আমার বাবাও গুলি খেয়ে চলে গেল। আমার প্রতি মাসে অনেক টাকার ওষুধ লাগে। ওষুধের সব টাকা রিয়াজুল দিত। সে মারা যাওয়ার পরে আমার ওষুধ খাওয়া বন্ধ। এখন আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে বাপ-মা হারানো নাতি-নাতনিদের কী হইব?’
রিয়াজুলের পরিবারের দাবি, এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনো আর্থিক সহযোগিতা পায়নি তারা। অনেকে আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও, একমাত্র জামায়াতে ইসলামীর দেওয়া ১ লাখ টাকা ছাড়া আর কোনো সহযোগিতা পায়নি বলে জানান তারা।
এর আগে শরীয়তপুরের শহীদ পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। রিয়াজুলের পরিবারেরও সাক্ষাৎ হয় তার সঙ্গে। তখন সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী শহীদ পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে দেওয়ার কথা বলা হয়। তবে কবে নাগাদ এই টাকা পাওয়া যেতে পারে সে সম্পর্কে জানেন না রিয়াজুলের পরিবার ।
সরকারের কাছে রিয়াজুলের পরিবারের একটাই দাবি- সরকার যেন বাবা-মা হারানো দুই সন্তানের দায়িত্ব নেয় এবং রিয়াজুলের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হয়।
বাবার মৃত্যুর তিন মাস আগে সন্তানদের ছেড়ে চলে যান মা। পারিবারিক কলহের জেরে মায়ের মৃত্যুর পর বাবাই ছিলেন তাদের সব ভরসা। মমতা-ভালোবাসায় সন্তানদের বুকে আগলে রেখেছিলেন সব সময়।
কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শেষ সময়, গত ৪ আগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের ছোড়া বুলেটে শহীদ হন বেঁচে থাকার অবলম্বন বাবাও। বলছিলাম বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া শহীদ রিয়াজুল তালুকদার ও তার সন্তানদের কথা। বাবাকে হারিয়ে বর্তমানে অসহায় রিয়াজুলের দুই সন্তান মেহজাবিন (৫) ও মুস্তাকিম (৩)। তাদের ভবিষ্যৎ নিয়েও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দী ইউনিয়নের আবুরা গ্রামের বাসিন্দা শহীদ রিয়াজুল তালুকদার। বাবা মো. গিয়াস উদ্দিন তালুকদার ও মা শেহেরজান বিবির পাঁচ সন্তানের মধ্যে মেজো ছেলে তিনি।
অভাব-অনটনের সংসার ছিল তাদের। হাল ধরতে কিশোর বয়সেই সাইকেল মেকানিকের কাজে লেগে যান। এ কাজ করে পরিবারের ভরণপোষণে ছিল কষ্ট। তাই ঢাকায় গিয়ে মালবাহী ভ্যান চালানো শুরু করেন। তবে যে স্বপ্ন তাকে ঢাকায় নিয়েছিল সে স্বপ্ন যেন অধরাই থেকে গেল তার। পতিত স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের আজ্ঞাবহ বাহিনীর গুলিতে প্রাণ যায় তার।
সম্প্রতি রিয়াজুলের পরিবারের সঙ্গে কথা হয় আমার দেশের। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ভূমিহীন কৃষক পরিবারের সন্তান রিয়াজুল। প্রাথমিক স্কুলের গণ্ডি পার হওয়ার পরই অভাব-অনটনের কারণে স্থানীয় বাজারে সাইকেল মেরামতের কাজে লেগে পড়েন। ধীরে ধীরে পরিবারের সদস্য সংখ্যা বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে সংসারের খরচও বেড়ে যায়। মাত্র ১৫ বছর বয়সে পরিবারসহ জীবিকার তাগিদে চলে আসেন ঢাকায়। গুলিস্তান স্পোর্টস মার্কেটে ভ্যানগাড়ি দিয়ে মাল টানার কাজ করতেন।
এর আগে ২০১৮ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় শিমু আক্তারের সঙ্গে। তাদের ঘরে জন্ম নেয় মেহজাবিন ও মুস্তাকিম। তবে সুখের সংসার টেকেনি বেশি দিন। পারিবারিক কলহের জেরে শিমুর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় তার। কাজের সুবাদে যাত্রাবাড়ীর মীরহাজীরবাগ এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একটি ভাড়া মেসে থাকতেন রিয়াজুল। সেখান থেকেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে যোগ দেন।
৪ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনা সরকার পতনের ১ দফা আন্দোলনে যাত্রাবাড়ী, কাজলা, শনিরআখড়া এলাকা ছিল বিক্ষোভে উত্তাল। আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগসহ দলের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা গুলিসহ বিভিন্ন ভারী অস্ত্র দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ আমজনতার ওপর চালায় ভয়াবহ হামলা ।
এ ছাড়া আন্দোলন প্রতিহত করতে নির্বিচারে গুলি চালায় পুলিশ। একপর্যায়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের ছোড়া গুলি এসে লাগে তার কোমরে । সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই মারা যান রিয়াজুল। এদিকে মায়ের থেকে বিচ্ছেদ হওয়ার দুই মাসের মধ্যে বাবাকে হারিয়ে মেহজাবিন ও মুস্তাকিমের ভবিষ্যৎ জীবন এখন যেন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
বাবার শোকে এখনও আর্তনাদ শিশু মেহজাবিনের
ক্লাস ওয়ানে পড়ে ছোট্ট মেহজাবিন। বাবাকে পুলিশ গুলি করে মেরে ফেলেছে বলেই কান্না শুরু করে। মাকে হারানোর পর বাবাই ছিল ভাইবোনের একমাত্র আশ্রয়স্থল। আজ সেটাও নেই। এদিকে তার ছোট ভাই এখনও বোঝে না তার বাবা যে চিরতরে চলে গেছে তাদের ছেড়ে।
রিয়াজুল তালুকদারের ভাই রাসেল তালুকদার বলেন, ‘গত ৪ আগস্ট সন্ধ্যার দিকে রিয়াজুলের ফোন থেকে একজন কল করে জানায়, আপনার ভাইয়ের গুলি লেগেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসুন।’ খবর পাওয়ামাত্র আরেক ভাই নাহিদকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে যাই। সেখানে গিয়ে শুনতে পান রিয়াজুল মারা গেছে।
৪ তারিখ সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে মারা যাওয়ার পর হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, থানা থেকে লিখিত আনতে হবে নইলে লাশ দেবে না। এরপর শাহবাগ থানা থেকে যাত্রাবাড়ী থানায়, যাত্রাবাড়ী থেকে শাহবাগ থানায় একটি কাগজের জন্য সাত থেকে আটবার ঘোরাঘুরি করতে হয়। কিন্তু কোনো থানা থেকেই কাগজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
৫ তারিখ সরকার পতনের পরে হাসপাতালের মর্গের রুমের তালা ভেঙে ফেলেন ছাত্ররা। এরপর ভাইয়ের মরদেহ পুলিশের ছাড়পত্র ছাড়াই নিয়ে আসেন। দাফন করা হয় গ্রামের বাড়িতে।
রিয়াজুলের মা শেহেরজান বিবি চোখের পানি মুছতে মুছতে বলেন, ‘আমার বাবারে আল্লায় শহীদি মর্যাদা দিছে। যার মার পুত গেছে সে-ই বুঝে কী রকম লাগে। আমার বাবার ঘরে দুই নাতি-নাতনি। রিয়াজুলের বউ দুই মাস আগে তাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে গেছে।
এখন আমার বাবাও গুলি খেয়ে চলে গেল। আমার প্রতি মাসে অনেক টাকার ওষুধ লাগে। ওষুধের সব টাকা রিয়াজুল দিত। সে মারা যাওয়ার পরে আমার ওষুধ খাওয়া বন্ধ। এখন আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে বাপ-মা হারানো নাতি-নাতনিদের কী হইব?’
রিয়াজুলের পরিবারের দাবি, এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনো আর্থিক সহযোগিতা পায়নি তারা। অনেকে আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও, একমাত্র জামায়াতে ইসলামীর দেওয়া ১ লাখ টাকা ছাড়া আর কোনো সহযোগিতা পায়নি বলে জানান তারা।
এর আগে শরীয়তপুরের শহীদ পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। রিয়াজুলের পরিবারেরও সাক্ষাৎ হয় তার সঙ্গে। তখন সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী শহীদ পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে দেওয়ার কথা বলা হয়। তবে কবে নাগাদ এই টাকা পাওয়া যেতে পারে সে সম্পর্কে জানেন না রিয়াজুলের পরিবার ।
সরকারের কাছে রিয়াজুলের পরিবারের একটাই দাবি- সরকার যেন বাবা-মা হারানো দুই সন্তানের দায়িত্ব নেয় এবং রিয়াজুলের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হয়।
জুলাই আন্দোলনে গুলিতে দৃষ্টিশক্তি হারানো এক যোদ্ধাকে বাদী দেখিয়ে অভিনব কায়দায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করা হয়েছে।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মৌলভীবাজার শহরে অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে মিছিলে অংশ নেন জসিমও। চৌমুহনায় মিছিলকারী ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশ ও আ.লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবুও পিছু হটেনি সাহস নিয়ে পুলিশের বন্দুকের সামনে বুক পেতে পুলিশ ও ছাত্রলীগকে লক্ষ্য
৩১ আগস্ট ২০২৫চব্বিশের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম একজন যোদ্ধা তরুণ আলেম মাওলানা শফিকুর রহমান। আন্দোলন ঘিরে যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় পতিত আওয়ামী সরকারের পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে তার বাগবিতন্ডার একটি ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। রামপুরা এলাকায় আন্দোলনকারীদের মাঝে খাবার বিতরণ করতে দেখা যায় তাকে।
২৯ আগস্ট ২০২৫তাইমুরের বাবা পুলিশের এসআই মো. ময়নাল হোসেন ভুঁইয়া তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, ‘একজন মানুষকে মারতে কয়টা গুলি লাগে স্যার’। আমার ছেলের কি দোষ ছিল, কেন তাকে এত কষ্ট দিয়ে মারা হলো? কেন তার শরীরে দুইশ গুলি মারা হলো।
১৯ আগস্ট ২০২৫