আমার দেশ অনলাইন
এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিলের আয়োজন করা হয়। আগের দিন (১৬ জুলাই ২০২৪) ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিভিন্ন বাহিনীর গুলিতে ৬ জন শহীদ হন। তাদেরই প্রতীকী গায়েবানা জানাজা ও পরে কফিন মিছিলের আয়োজন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সেই মিছিল আয়োজনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি আবু সাদিক কায়েম।
বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে সেই দিন তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া দৃশ্যপট তুলে ধরেছেন এই শিবির নেতা।
স্মৃতিচারণ করে আবু সাদিক কায়েম বলেন, ঢাবি শিবিরের ছাত্র আন্দোলন বিভাগের সদস্য Jayedul Haque। জায়েদ নামে ডাকি ওকে। জুলাই বিপ্লবের শুরু থেকে যখন যা বলা হতো— এটা করতে হবে, মিছিলের জন্য জনশক্তি আনতে হবে, শিক্ষার্থীদের পানি ও খাবার লাগবে, স্যালাইন লাগবে, ব্যানার, মাইক, প্রতিরোধ সামগ্রী লাগবে, মাঠে সমন্বয় করতে হবে— সব মুহূর্তেই হাজির করতেন। নো কুশ্চেন আস্কড! জায়েদুল হকের ম্যানেজিং ক্যাপাসিটি, কৌশল ও সাহসিকতা— সবকিছুর নজরানা আমরা পুরো জুলাই বিপ্লব জুড়ে পেয়েছি।
পোস্টে তিনি লেখেন, চব্বিশের ১৭ই জুলাই বিপ্লবী শহিদদের জন্য সর্বসম্মতিক্রমে গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিলের সিদ্ধান্ত হয়। কর্মসূচি নিয়ে তখন দফায় দফায় ফরহাদ, মাহফুজ, আসিফ মাহমুদ, সাংবাদিক সমিতির আল সাদী ভুইয়াসহ আরো অনেকের সাথে কথা হচ্ছিলো। ক্যাম্পাসে তখন খুনি হাসিনার যৌথ বাহিনী, পুলিশ ঘিরে রেখেছিল এবং আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো।
তিনি লেখেন, জায়েদকে বললাম, “৬টা কফিন লাগবে। ফরহাদ ভাইয়ের সাথে কথা বলে সমন্বয় করো।” এরই মধ্যে আমি এবং ফরহাদ কফিনের জন্য ঢাবি শিবিরের সাবেক সভাপতি শাহ মাহফুজ ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করি। ফরহাদ ভাই শাহবাগের আমির শাহ মাহফুজ, তানভীর ভাই, শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলোয়ার ভাই, পল্টন থানা আমির শাহীন ভাইয়ের মাধ্যমে কফিনের ব্যবস্থা করে। এরপর জায়েদুল হক, নাহিদ, আব্দুল কাদের ও অন্যদের সাথে সমন্বয় করে ভিসি চত্বরে কফিন নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে।
শিবির নেতা আরও লেখেন, সেদিনের এই গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল সফল করার জন্য মুজিব হলের পকেট গেইট দিয়ে কাফনের কাপড়, ফুল ও পতাকা আনা, নীলক্ষেত থেকে মিছিল নিয়ে কফিন নিয়ে আসা , আরেকটা ফ্রিজিং এম্বুলেন্সে বাকি কফিন ভিসি চত্বরে নিয়ে আসা— সবকিছুই অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল।
আবু সাদিক লিখেছেন, কফিন ও কাফনের কাপড় আনার পরে গায়েবানা জানাজার নামাজ শুরু হয়। এরপরেই শুরু হয় পুলিশের ক্র্যাকডাউন, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেলে ভরে যায় পুরো ক্যাম্পাস। আমি ও মহিউদ্দিন খান তখন ভিসি চত্বরে- মল চত্বর হয়ে সূর্যসেন হল ও হল পাড়া এরিয়ায়। খুনি হাসিনার পুলিশের সাথে দফায় দফায় ধাওয়া পালটা ধাওয়া হচ্ছিলো। এ সময় শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ইশা, বামপন্থী সংগঠন, সমন্বয়ক ও অন্যান্য এক্টিভিস্টরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল।
সবশেষে এই জুলাই যোদ্ধা লেখেন, পুলিশের আগ্নেয়াস্ত্র ও হামলার মুখে খু'নি হাসিনার পোষা ভিসি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়ে সন্ধ্যার মধ্যে হল ছাড়তে বাধ্য করে। তবে ছাত্রজনতা সারাদেশে আরও জোরালো আন্দোলন ছড়িয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, যার ফলে ছত্রিশে জুলাই ফতহে গণভবনের মাধ্যমে হাসিনার জালিমশাহীর পতন ঘটে। সফল হয় ছাত্র-জনতার জুলাই বিপ্লব।
এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিলের আয়োজন করা হয়। আগের দিন (১৬ জুলাই ২০২৪) ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিভিন্ন বাহিনীর গুলিতে ৬ জন শহীদ হন। তাদেরই প্রতীকী গায়েবানা জানাজা ও পরে কফিন মিছিলের আয়োজন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সেই মিছিল আয়োজনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি আবু সাদিক কায়েম।
বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে সেই দিন তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া দৃশ্যপট তুলে ধরেছেন এই শিবির নেতা।
স্মৃতিচারণ করে আবু সাদিক কায়েম বলেন, ঢাবি শিবিরের ছাত্র আন্দোলন বিভাগের সদস্য Jayedul Haque। জায়েদ নামে ডাকি ওকে। জুলাই বিপ্লবের শুরু থেকে যখন যা বলা হতো— এটা করতে হবে, মিছিলের জন্য জনশক্তি আনতে হবে, শিক্ষার্থীদের পানি ও খাবার লাগবে, স্যালাইন লাগবে, ব্যানার, মাইক, প্রতিরোধ সামগ্রী লাগবে, মাঠে সমন্বয় করতে হবে— সব মুহূর্তেই হাজির করতেন। নো কুশ্চেন আস্কড! জায়েদুল হকের ম্যানেজিং ক্যাপাসিটি, কৌশল ও সাহসিকতা— সবকিছুর নজরানা আমরা পুরো জুলাই বিপ্লব জুড়ে পেয়েছি।
পোস্টে তিনি লেখেন, চব্বিশের ১৭ই জুলাই বিপ্লবী শহিদদের জন্য সর্বসম্মতিক্রমে গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিলের সিদ্ধান্ত হয়। কর্মসূচি নিয়ে তখন দফায় দফায় ফরহাদ, মাহফুজ, আসিফ মাহমুদ, সাংবাদিক সমিতির আল সাদী ভুইয়াসহ আরো অনেকের সাথে কথা হচ্ছিলো। ক্যাম্পাসে তখন খুনি হাসিনার যৌথ বাহিনী, পুলিশ ঘিরে রেখেছিল এবং আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো।
তিনি লেখেন, জায়েদকে বললাম, “৬টা কফিন লাগবে। ফরহাদ ভাইয়ের সাথে কথা বলে সমন্বয় করো।” এরই মধ্যে আমি এবং ফরহাদ কফিনের জন্য ঢাবি শিবিরের সাবেক সভাপতি শাহ মাহফুজ ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করি। ফরহাদ ভাই শাহবাগের আমির শাহ মাহফুজ, তানভীর ভাই, শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলোয়ার ভাই, পল্টন থানা আমির শাহীন ভাইয়ের মাধ্যমে কফিনের ব্যবস্থা করে। এরপর জায়েদুল হক, নাহিদ, আব্দুল কাদের ও অন্যদের সাথে সমন্বয় করে ভিসি চত্বরে কফিন নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে।
শিবির নেতা আরও লেখেন, সেদিনের এই গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল সফল করার জন্য মুজিব হলের পকেট গেইট দিয়ে কাফনের কাপড়, ফুল ও পতাকা আনা, নীলক্ষেত থেকে মিছিল নিয়ে কফিন নিয়ে আসা , আরেকটা ফ্রিজিং এম্বুলেন্সে বাকি কফিন ভিসি চত্বরে নিয়ে আসা— সবকিছুই অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল।
আবু সাদিক লিখেছেন, কফিন ও কাফনের কাপড় আনার পরে গায়েবানা জানাজার নামাজ শুরু হয়। এরপরেই শুরু হয় পুলিশের ক্র্যাকডাউন, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেলে ভরে যায় পুরো ক্যাম্পাস। আমি ও মহিউদ্দিন খান তখন ভিসি চত্বরে- মল চত্বর হয়ে সূর্যসেন হল ও হল পাড়া এরিয়ায়। খুনি হাসিনার পুলিশের সাথে দফায় দফায় ধাওয়া পালটা ধাওয়া হচ্ছিলো। এ সময় শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ইশা, বামপন্থী সংগঠন, সমন্বয়ক ও অন্যান্য এক্টিভিস্টরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল।
সবশেষে এই জুলাই যোদ্ধা লেখেন, পুলিশের আগ্নেয়াস্ত্র ও হামলার মুখে খু'নি হাসিনার পোষা ভিসি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়ে সন্ধ্যার মধ্যে হল ছাড়তে বাধ্য করে। তবে ছাত্রজনতা সারাদেশে আরও জোরালো আন্দোলন ছড়িয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, যার ফলে ছত্রিশে জুলাই ফতহে গণভবনের মাধ্যমে হাসিনার জালিমশাহীর পতন ঘটে। সফল হয় ছাত্র-জনতার জুলাই বিপ্লব।
জুলাই আন্দোলনে গুলিতে দৃষ্টিশক্তি হারানো এক যোদ্ধাকে বাদী দেখিয়ে অভিনব কায়দায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করা হয়েছে।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মৌলভীবাজার শহরে অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে মিছিলে অংশ নেন জসিমও। চৌমুহনায় মিছিলকারী ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশ ও আ.লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবুও পিছু হটেনি সাহস নিয়ে পুলিশের বন্দুকের সামনে বুক পেতে পুলিশ ও ছাত্রলীগকে লক্ষ্য
৩১ আগস্ট ২০২৫চব্বিশের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম একজন যোদ্ধা তরুণ আলেম মাওলানা শফিকুর রহমান। আন্দোলন ঘিরে যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় পতিত আওয়ামী সরকারের পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে তার বাগবিতন্ডার একটি ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। রামপুরা এলাকায় আন্দোলনকারীদের মাঝে খাবার বিতরণ করতে দেখা যায় তাকে।
২৯ আগস্ট ২০২৫তাইমুরের বাবা পুলিশের এসআই মো. ময়নাল হোসেন ভুঁইয়া তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, ‘একজন মানুষকে মারতে কয়টা গুলি লাগে স্যার’। আমার ছেলের কি দোষ ছিল, কেন তাকে এত কষ্ট দিয়ে মারা হলো? কেন তার শরীরে দুইশ গুলি মারা হলো।
১৯ আগস্ট ২০২৫