ফিরে দেখা সীতাকুণ্ডের জুলাই বিপ্লব
জহিরুল ইসলাম, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চল সীতাকুণ্ডে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এক অভূতপূর্ব গণজাগরণে রূপ নেয়। আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা এই আন্দোলন ক্রমে সারা শিল্পাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে, উত্তাল হয়ে উঠে মহাসড়ক, রেলপথ ও পৌর সদর।
১৬ জুলাই কুমিরাস্থ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার ছাত্র বৈষম্যের প্রতিবাদে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রামের সংযোগ স্থাপনকারী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যানবাহন ও রেলপথ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে। কয়েক ঘণ্টা অবরোধ চলাকালে দেশের অন্যতম অর্থনৈতিক লাইফলাইন সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়ে।
এই শান্তিপূর্ণ অবরোধ দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও সাড়া ফেলতে শুরু করে এবং প্রশাসনকে চাপে ফেলে দেয়। তবে প্রশাসনের পরিবর্তে হামলা চালায় ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের সন্ত্রাসীরা।
ছাত্রলীগ ও যুবলীগের শতাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা চালায় শান্তিপূর্ণ মিছিলে, বিশেষ করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের লক্ষ্য করে। ছাত্রদের সূত্র অনুযায়ী, হামলাকারীরা লাঠিসোঁটা, রড, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্রদের ওপর হামলা করে।
হামলার এক পর্যায়ে আন্দোলনরত ছাত্ররা সংঘবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সন্ত্রাসীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। পুলিশ প্রশাসনের উচ্চপর্যায় থেকে ছাত্রদের গুলি করা নির্দেশ ছিল কিন্তু মহাসড়কে আন্দোলনরত হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের পুলিশ গুলি করার সাহস করেনি। ছাত্রলীগ যুবলীগের সন্ত্রাসীরা কুমিরা থেকে ফিরে গিয়ে উপজেলা সদরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বহনকারী বাসে হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে। হামলায় অনেক ছাত্র আহত হয়।
৩ আগস্ট সীতাকুণ্ড পৌর সদরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের কয়েকটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এদিন শিক্ষার্থীরা স্লোগানে স্লোগানে সর্বস্তরের মানুষ ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের দাবিতে রাজপথে নেমে আসে ছাত্রদের সাথে।
৪ আগস্ট সীতাকুণ্ড ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসী সীতাকুণ্ড পৌর সদরে ওপেন অস্ত্রের মহড়া দিয়েছিল এবং ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে পুরো এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল।
সীতাকুণ্ডের একজন জুলাই যোদ্ধা ইকরাম হোসেন রানা আমার দেশকে বলেন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীদের ভয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা রাতে বসতবাড়িতে থাকতে পারেনি।
চট্টগ্রামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চল সীতাকুণ্ডে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এক অভূতপূর্ব গণজাগরণে রূপ নেয়। আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা এই আন্দোলন ক্রমে সারা শিল্পাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে, উত্তাল হয়ে উঠে মহাসড়ক, রেলপথ ও পৌর সদর।
১৬ জুলাই কুমিরাস্থ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার ছাত্র বৈষম্যের প্রতিবাদে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রামের সংযোগ স্থাপনকারী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যানবাহন ও রেলপথ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে। কয়েক ঘণ্টা অবরোধ চলাকালে দেশের অন্যতম অর্থনৈতিক লাইফলাইন সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়ে।
এই শান্তিপূর্ণ অবরোধ দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও সাড়া ফেলতে শুরু করে এবং প্রশাসনকে চাপে ফেলে দেয়। তবে প্রশাসনের পরিবর্তে হামলা চালায় ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের সন্ত্রাসীরা।
ছাত্রলীগ ও যুবলীগের শতাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা চালায় শান্তিপূর্ণ মিছিলে, বিশেষ করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের লক্ষ্য করে। ছাত্রদের সূত্র অনুযায়ী, হামলাকারীরা লাঠিসোঁটা, রড, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্রদের ওপর হামলা করে।
হামলার এক পর্যায়ে আন্দোলনরত ছাত্ররা সংঘবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সন্ত্রাসীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। পুলিশ প্রশাসনের উচ্চপর্যায় থেকে ছাত্রদের গুলি করা নির্দেশ ছিল কিন্তু মহাসড়কে আন্দোলনরত হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের পুলিশ গুলি করার সাহস করেনি। ছাত্রলীগ যুবলীগের সন্ত্রাসীরা কুমিরা থেকে ফিরে গিয়ে উপজেলা সদরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বহনকারী বাসে হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে। হামলায় অনেক ছাত্র আহত হয়।
৩ আগস্ট সীতাকুণ্ড পৌর সদরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের কয়েকটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এদিন শিক্ষার্থীরা স্লোগানে স্লোগানে সর্বস্তরের মানুষ ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের দাবিতে রাজপথে নেমে আসে ছাত্রদের সাথে।
৪ আগস্ট সীতাকুণ্ড ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসী সীতাকুণ্ড পৌর সদরে ওপেন অস্ত্রের মহড়া দিয়েছিল এবং ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে পুরো এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল।
সীতাকুণ্ডের একজন জুলাই যোদ্ধা ইকরাম হোসেন রানা আমার দেশকে বলেন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীদের ভয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা রাতে বসতবাড়িতে থাকতে পারেনি।
জুলাই আন্দোলনে গুলিতে দৃষ্টিশক্তি হারানো এক যোদ্ধাকে বাদী দেখিয়ে অভিনব কায়দায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করা হয়েছে।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মৌলভীবাজার শহরে অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে মিছিলে অংশ নেন জসিমও। চৌমুহনায় মিছিলকারী ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশ ও আ.লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবুও পিছু হটেনি সাহস নিয়ে পুলিশের বন্দুকের সামনে বুক পেতে পুলিশ ও ছাত্রলীগকে লক্ষ্য
৩১ আগস্ট ২০২৫চব্বিশের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম একজন যোদ্ধা তরুণ আলেম মাওলানা শফিকুর রহমান। আন্দোলন ঘিরে যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় পতিত আওয়ামী সরকারের পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে তার বাগবিতন্ডার একটি ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। রামপুরা এলাকায় আন্দোলনকারীদের মাঝে খাবার বিতরণ করতে দেখা যায় তাকে।
২৯ আগস্ট ২০২৫তাইমুরের বাবা পুলিশের এসআই মো. ময়নাল হোসেন ভুঁইয়া তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, ‘একজন মানুষকে মারতে কয়টা গুলি লাগে স্যার’। আমার ছেলের কি দোষ ছিল, কেন তাকে এত কষ্ট দিয়ে মারা হলো? কেন তার শরীরে দুইশ গুলি মারা হলো।
১৯ আগস্ট ২০২৫