
পলিয়ার ওয়াহিদ

পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী বস্তু। জুলাই বিপ্লবের হাজারো শহীদ-পিতার আর্তনাদ এখন বাংলাদেশের প্রতিটি জনপদে। রেসিডেন্সিয়াল কলেজের ছাত্র শহীদ ফারহান ফাইয়াজের বাবা সেই অসহ্য অনুভূতি জানিয়ে বলেন, ‘বাবার কাঁধে ছেলের লাশ, সন্তান হারানোর শোক—এটা পৃথিবীতে কেউ বুঝবে না। এর চেয়ে ভারী কোনো কিছু নেই।’
অন্যদিকে দুর্গাপুরের শহীদ ওমর ফারুকের বাবার আছে শহীদ সন্তানকে নিয়ে গর্ব—‘আমি আর কখনো আমার আদরের ছেলেকে ফিরে পাব না। তবুও দেশের জন্য তার এই আত্মত্যাগে আমি গর্বিত।’
‘জুলাই’ শব্দটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে হিমালয়সদৃশ আবু সাঈদের প্রসারিত দুই হাত। আর বুকের ভেতর রক্তক্ষরণে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া সেই গ্রাফিতি বুকের ভেতর দারুণ ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর।’ মনে পড়ে ওয়াসিমের অসীম সাহসী মুখ। মীর মুগ্ধের শেষ আহ্বান—‘পানি লাগবে পানি।’
দেশের মিডিয়াগুলো যখন জুলাই থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তখনই বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদের নির্দেশনায় শুরু হয় ‘গণঅভ্যুত্থানের গাথা’ শিরোনামে জুলাই শহীদদের নিয়ে সিরিজ প্রতিবেদন। সেই ধারাবাহিকতায় সারা দেশের ৪৫০ শহীদের লড়াই ও জীবনী বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় ৮৯০টি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তার থেকে নির্বাচিত ১৩৯ শহীদের প্রতিবেদনের সংকলন ‘রক্তের অক্ষরে লেখা’।
কে কোথায় লড়াই করেছেন, কখন-কীভাবে শহীদ হয়েছেন—সেসব বিস্তারিত তুলে আনা হয়েছে প্রতিটি প্রতিবেদনে। শহীদ পরিবারের বর্তমান অবস্থা, বন্ধু, প্রতিবেশী ও প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানসহ ঘটনার ঐতিহাসিক মুহূর্ত তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। কিছু বক্তব্য সরকারের বিরুদ্ধে গেলেও মাহবুব মোর্শেদ আপস করেননি। ফলে তাকে সরকারি ও রাজনৈতিক গোত্রের রোষানলে পড়তে হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সত্য প্রকাশে তিনি অবিচল ছিলেন।
এ সংকলন জুলাই বিপ্লবের ইতিহাসের আকর। এতে উঠে এসেছে ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার গুম, খুন ও নিষ্ঠুর নির্যাতনের বিবরণ—কীভাবে আওয়ামী গুন্ডাদের হাতে নির্মমভাবে শহীদ হয়েছেন হাজারো জুলাইযোদ্ধা! পুলিশ, বিবিজি, র্যাবসহ অবৈধ সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কীভাবে হত্যা করেছে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধকেও।
প্রত্যেক শহীদ পরিবারের রয়েছে একেক ধরনের আকুতি ও আশা। শহীদ শোভনের মা বলেন, ‘শোভন দেশের জন্য যে স্বপ্ন বুকে নিয়ে শহীদ হয়েছে। সে যেমন দেশ দেখতে চেয়েছিল, সে রকম হোক দেশটা। মানুষ যেন আমাদের সন্তানকে মনে রাখে। এর আত্মত্যাগের কথা ভুলে না যায়।’ এই দাবি কি পূরণ করতে পারবে জুলাই বিপ্লবের সরকার?
ভাষা আন্দোলন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ছাড়াও ’৬৯ ও ’৯০ সালে আরো দুটি গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল। কিন্তু সেসব ইতিহাস একটি রাজনৈতিক দল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বলে ইন্ডিয়ান ন্যারেটিভ দাঁড় করিয়ে গোটা জাতির অন্য সব লড়াই সংগ্রামের ইতিহাসকে ‘নাই’ করে দিতে চেয়েছে। কিন্তু নিষ্ঠুর বাস্তবতা ও ইতিহাসের শিক্ষা হচ্ছে, ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা গ্রহণ করে না।
বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদের সম্পাদনায় সংকলনটি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা। প্রায় ৪০০ পৃষ্ঠার সংকলনটির মূল্য এক হাজার টাকা। প্রচ্ছদ করেছেন রাজীব দত্ত। পাওয়া যাবে রকমারি ও বাতিঘরে।

পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী বস্তু। জুলাই বিপ্লবের হাজারো শহীদ-পিতার আর্তনাদ এখন বাংলাদেশের প্রতিটি জনপদে। রেসিডেন্সিয়াল কলেজের ছাত্র শহীদ ফারহান ফাইয়াজের বাবা সেই অসহ্য অনুভূতি জানিয়ে বলেন, ‘বাবার কাঁধে ছেলের লাশ, সন্তান হারানোর শোক—এটা পৃথিবীতে কেউ বুঝবে না। এর চেয়ে ভারী কোনো কিছু নেই।’
অন্যদিকে দুর্গাপুরের শহীদ ওমর ফারুকের বাবার আছে শহীদ সন্তানকে নিয়ে গর্ব—‘আমি আর কখনো আমার আদরের ছেলেকে ফিরে পাব না। তবুও দেশের জন্য তার এই আত্মত্যাগে আমি গর্বিত।’
‘জুলাই’ শব্দটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে হিমালয়সদৃশ আবু সাঈদের প্রসারিত দুই হাত। আর বুকের ভেতর রক্তক্ষরণে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া সেই গ্রাফিতি বুকের ভেতর দারুণ ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর।’ মনে পড়ে ওয়াসিমের অসীম সাহসী মুখ। মীর মুগ্ধের শেষ আহ্বান—‘পানি লাগবে পানি।’
দেশের মিডিয়াগুলো যখন জুলাই থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তখনই বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদের নির্দেশনায় শুরু হয় ‘গণঅভ্যুত্থানের গাথা’ শিরোনামে জুলাই শহীদদের নিয়ে সিরিজ প্রতিবেদন। সেই ধারাবাহিকতায় সারা দেশের ৪৫০ শহীদের লড়াই ও জীবনী বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় ৮৯০টি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তার থেকে নির্বাচিত ১৩৯ শহীদের প্রতিবেদনের সংকলন ‘রক্তের অক্ষরে লেখা’।
কে কোথায় লড়াই করেছেন, কখন-কীভাবে শহীদ হয়েছেন—সেসব বিস্তারিত তুলে আনা হয়েছে প্রতিটি প্রতিবেদনে। শহীদ পরিবারের বর্তমান অবস্থা, বন্ধু, প্রতিবেশী ও প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানসহ ঘটনার ঐতিহাসিক মুহূর্ত তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। কিছু বক্তব্য সরকারের বিরুদ্ধে গেলেও মাহবুব মোর্শেদ আপস করেননি। ফলে তাকে সরকারি ও রাজনৈতিক গোত্রের রোষানলে পড়তে হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সত্য প্রকাশে তিনি অবিচল ছিলেন।
এ সংকলন জুলাই বিপ্লবের ইতিহাসের আকর। এতে উঠে এসেছে ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার গুম, খুন ও নিষ্ঠুর নির্যাতনের বিবরণ—কীভাবে আওয়ামী গুন্ডাদের হাতে নির্মমভাবে শহীদ হয়েছেন হাজারো জুলাইযোদ্ধা! পুলিশ, বিবিজি, র্যাবসহ অবৈধ সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কীভাবে হত্যা করেছে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধকেও।
প্রত্যেক শহীদ পরিবারের রয়েছে একেক ধরনের আকুতি ও আশা। শহীদ শোভনের মা বলেন, ‘শোভন দেশের জন্য যে স্বপ্ন বুকে নিয়ে শহীদ হয়েছে। সে যেমন দেশ দেখতে চেয়েছিল, সে রকম হোক দেশটা। মানুষ যেন আমাদের সন্তানকে মনে রাখে। এর আত্মত্যাগের কথা ভুলে না যায়।’ এই দাবি কি পূরণ করতে পারবে জুলাই বিপ্লবের সরকার?
ভাষা আন্দোলন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ছাড়াও ’৬৯ ও ’৯০ সালে আরো দুটি গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল। কিন্তু সেসব ইতিহাস একটি রাজনৈতিক দল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বলে ইন্ডিয়ান ন্যারেটিভ দাঁড় করিয়ে গোটা জাতির অন্য সব লড়াই সংগ্রামের ইতিহাসকে ‘নাই’ করে দিতে চেয়েছে। কিন্তু নিষ্ঠুর বাস্তবতা ও ইতিহাসের শিক্ষা হচ্ছে, ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা গ্রহণ করে না।
বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদের সম্পাদনায় সংকলনটি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা। প্রায় ৪০০ পৃষ্ঠার সংকলনটির মূল্য এক হাজার টাকা। প্রচ্ছদ করেছেন রাজীব দত্ত। পাওয়া যাবে রকমারি ও বাতিঘরে।

কবি, প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক ড. মাহবুব হাসান আমার প্রাণের বন্ধু। তিনি বেশ ক’বছর নিউ ইয়র্কে ছিলেন, এখানে আমাদের বাসা কাছাকাছিই ছিল। রোজ বিকালে একসঙ্গে হেঁটে আমাদের চিনিরোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতাম। জ্যামাইকার একটি রেস্টুরেন্টে বসে এক কাপ চা আর একটি নানরুটি দুজনে ভাগ করে খেতাম, ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা দিতাম।
৩ দিন আগে
মরহুম আল্লামা ইকবালকে প্রচলিত ভাষায় ব্যবহৃত কবি বলা যায় না। তিনি কবিদের মতো শুধু তাদের ধ্যানের ক্ষেত্রে আবিষ্কৃত জগতের বর্ণনা দিয়েই তার কর্তব্য সম্পাদন করেননি। তিনি তার আবিষ্কৃত আদর্শিক জগৎকে প্রতিষ্ঠিত করতেও ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
৩ দিন আগে
‘আল্লাহ সুন্দর, সৌন্দর্য ভালোবাসেন’―নবীজির এই বাণী নন্দনতত্ত্ব বা সৌন্দর্যতত্ত্বের সংক্ষিপ্তসার, যার গভীর কিন্তু স্পষ্ট বার্তা হলো, সৌন্দর্য একটি স্বর্গীয় সিফাত। যা সুন্দর তার সবকিছুতেই সৌন্দর্য প্রকাশ পায়। আধুনিক বিশ্বের গভীরতর কদর্যতার প্রেক্ষিতে সৌন্দর্যের এই সহজাত তাৎপর্য মনে রাখা জরুরি বৈকি।
৩ দিন আগে
জাতীয় ক্রান্তিকালে আমাদের পূর্বপুরুষদের মধ্য থেকে প্রতিভার সাহস প্রতিবাদের দুর্বিনীত আলো জ্বেলে দিয়েছে—এ আলোর মশালচিদেরই অন্যতম ছিলেন সাংবাদিকতার বিকাশকালের অসাধারণ প্রতিভাধর সাংবাদিক-সম্পাদক-সাহিত্য বিশ্লেষক-অনুবাদক—সর্বোপরি জাতির সৃজন-মননের অনন্য দিশারি আবুল কালাম শামসুদ্দীন।
৩ দিন আগে