
আবু এন এম ওয়াহিদ

ইতিহাস
আজকের শিল্প—রঙ, রেখা, গানের সুর,
যা একদিন কেবল জাদুঘরের কাচে বাঁধা নিদর্শন হবে।
আজকের বিজ্ঞান—অণু ভেদ করে, মহাশূন্য ছুঁয়ে,
যা একদিন লেখা থাকবে হলুদ পাতার ফুটনোটে।
আজকের চিকিৎসা—ব্যথা সারায়, প্রাণ বাঁচায়,
কিন্তু ভবিষ্যতের চোখে—
এগুলো হবে কেবল বিস্মৃত কৌশল,
প্রাচীন পরীক্ষা-প্রস্তুতির খাতা।
আজকের যুদ্ধ—কামান, ড্রোন, বারুদের দাপট,
যা একদিন রক্তের গন্ধ হারিয়ে
শুধু মানচিত্রে টানা সীমানা হয়ে যাবে,
সময়ের তাগিদে আবার বদলাবে।
আজকের অর্থনীতি—শেয়ারবাজারের উত্থান-পতন,
টাকার তৃষ্ণা, বাণিজ্য-ট্যারিফের ঢেউ,
যা একদিন নিছক সংখ্যার খেলা হবে
অচেনা গবেষকের বিশ্লেষণে।
আজকের রাজনীতি—প্রতিশ্রুতি আর বিরোধ,
ক্ষমতার হাহাকার, গালাগালির গলাগলি আর স্লোগান,
যা একদিন ধুলোবালিতে ঢাকা থাকবে,
কেবল কয়েকটি নাম টিকে যাবে কেউ নায়ক, কেউ খলনায়ক।
আজকের সাহিত্য—কবির রক্তে ভেজা শব্দের উত্তাপে
আলো জ্বালে, মানুষকে নাড়া দেয়,
কিন্তু একদিন—শুধু পাঠকের চোখে, ব্যাখ্যার ভেতর,
ইতিহাসের পাতায় ভেসে উঠবে তাদের চোখের সামনে।
কারণ ইতিহাস কেবল যা ঘটেছে তা নয়—
বরং সমকালীন সময়ে আমরা যে দৃষ্টিতে
অতীতকে যেভাবে দেখে থাকি,
ব্যাখ্যা করি, পুনর্লিখনে নতুন করে সাজাই।
তাহলে মানুষের সমস্ত চেষ্টা, সমস্ত সংগ্রাম,
সবচেয়ে ক্ষুদ্র হাতের আঁকিবুঁকি থেকে
সবচেয়ে ভয়ংকর যুদ্ধের শব্দ পর্যন্ত
একদিন গলে যাবে এক স্রোতে,
যার নাম—ইতিহাস।

ইতিহাস
আজকের শিল্প—রঙ, রেখা, গানের সুর,
যা একদিন কেবল জাদুঘরের কাচে বাঁধা নিদর্শন হবে।
আজকের বিজ্ঞান—অণু ভেদ করে, মহাশূন্য ছুঁয়ে,
যা একদিন লেখা থাকবে হলুদ পাতার ফুটনোটে।
আজকের চিকিৎসা—ব্যথা সারায়, প্রাণ বাঁচায়,
কিন্তু ভবিষ্যতের চোখে—
এগুলো হবে কেবল বিস্মৃত কৌশল,
প্রাচীন পরীক্ষা-প্রস্তুতির খাতা।
আজকের যুদ্ধ—কামান, ড্রোন, বারুদের দাপট,
যা একদিন রক্তের গন্ধ হারিয়ে
শুধু মানচিত্রে টানা সীমানা হয়ে যাবে,
সময়ের তাগিদে আবার বদলাবে।
আজকের অর্থনীতি—শেয়ারবাজারের উত্থান-পতন,
টাকার তৃষ্ণা, বাণিজ্য-ট্যারিফের ঢেউ,
যা একদিন নিছক সংখ্যার খেলা হবে
অচেনা গবেষকের বিশ্লেষণে।
আজকের রাজনীতি—প্রতিশ্রুতি আর বিরোধ,
ক্ষমতার হাহাকার, গালাগালির গলাগলি আর স্লোগান,
যা একদিন ধুলোবালিতে ঢাকা থাকবে,
কেবল কয়েকটি নাম টিকে যাবে কেউ নায়ক, কেউ খলনায়ক।
আজকের সাহিত্য—কবির রক্তে ভেজা শব্দের উত্তাপে
আলো জ্বালে, মানুষকে নাড়া দেয়,
কিন্তু একদিন—শুধু পাঠকের চোখে, ব্যাখ্যার ভেতর,
ইতিহাসের পাতায় ভেসে উঠবে তাদের চোখের সামনে।
কারণ ইতিহাস কেবল যা ঘটেছে তা নয়—
বরং সমকালীন সময়ে আমরা যে দৃষ্টিতে
অতীতকে যেভাবে দেখে থাকি,
ব্যাখ্যা করি, পুনর্লিখনে নতুন করে সাজাই।
তাহলে মানুষের সমস্ত চেষ্টা, সমস্ত সংগ্রাম,
সবচেয়ে ক্ষুদ্র হাতের আঁকিবুঁকি থেকে
সবচেয়ে ভয়ংকর যুদ্ধের শব্দ পর্যন্ত
একদিন গলে যাবে এক স্রোতে,
যার নাম—ইতিহাস।

কবি, প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক ড. মাহবুব হাসান আমার প্রাণের বন্ধু। তিনি বেশ ক’বছর নিউ ইয়র্কে ছিলেন, এখানে আমাদের বাসা কাছাকাছিই ছিল। রোজ বিকালে একসঙ্গে হেঁটে আমাদের চিনিরোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতাম। জ্যামাইকার একটি রেস্টুরেন্টে বসে এক কাপ চা আর একটি নানরুটি দুজনে ভাগ করে খেতাম, ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা দিতাম।
৩ দিন আগে
মরহুম আল্লামা ইকবালকে প্রচলিত ভাষায় ব্যবহৃত কবি বলা যায় না। তিনি কবিদের মতো শুধু তাদের ধ্যানের ক্ষেত্রে আবিষ্কৃত জগতের বর্ণনা দিয়েই তার কর্তব্য সম্পাদন করেননি। তিনি তার আবিষ্কৃত আদর্শিক জগৎকে প্রতিষ্ঠিত করতেও ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
৩ দিন আগে
‘আল্লাহ সুন্দর, সৌন্দর্য ভালোবাসেন’―নবীজির এই বাণী নন্দনতত্ত্ব বা সৌন্দর্যতত্ত্বের সংক্ষিপ্তসার, যার গভীর কিন্তু স্পষ্ট বার্তা হলো, সৌন্দর্য একটি স্বর্গীয় সিফাত। যা সুন্দর তার সবকিছুতেই সৌন্দর্য প্রকাশ পায়। আধুনিক বিশ্বের গভীরতর কদর্যতার প্রেক্ষিতে সৌন্দর্যের এই সহজাত তাৎপর্য মনে রাখা জরুরি বৈকি।
৩ দিন আগে
জাতীয় ক্রান্তিকালে আমাদের পূর্বপুরুষদের মধ্য থেকে প্রতিভার সাহস প্রতিবাদের দুর্বিনীত আলো জ্বেলে দিয়েছে—এ আলোর মশালচিদেরই অন্যতম ছিলেন সাংবাদিকতার বিকাশকালের অসাধারণ প্রতিভাধর সাংবাদিক-সম্পাদক-সাহিত্য বিশ্লেষক-অনুবাদক—সর্বোপরি জাতির সৃজন-মননের অনন্য দিশারি আবুল কালাম শামসুদ্দীন।
৩ দিন আগে