জুলাইয়ে রচিত কবিতা
সাইয়েদ জামিল
যে কবি মানুষের পক্ষে থাকে না
যে কবি নির্যাতিতের পাশে দাঁড়ায় না
যে কবি হাত রাখে স্বৈরাচারীর কাঁধে
বুলেটবিদ্ধ জনতার রক্ত দেখেও
যে কবির হৃদয় কাঁপে না
যে কবি রুটি ও মধুর লোভে আজ
ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট ভোগের আশায় আজ
প্রধানমন্ত্রীর পায়ের কাছে বসে আছে
সে আজ কবি নয়, সে আজ গণশত্রু
তাকে ধিক্কার
যে বুদ্ধিজীবী মানুষের পক্ষ নেয় না
যে বুদ্ধিজীবী নির্যাতিতের ভাষা পড়ে না
যে বুদ্ধিজীবী বিবৃতি দেয় স্বৈরাচারীর পক্ষে
মানুষের রক্তে ভেজা মাটিতে দাঁড়িয়েও
যে বুদ্ধিজীবী প্রতিবাদ করে না
যে বুদ্ধিজীবী হালুয়া ও রুটির লোভে আজ
ক্ষমতার সীমাহীন বিচ্ছিরি ক্ষুধা মেটাতে আজ
প্রধানমন্ত্রীর পায়ের কাছে বসে আছে
সে আজ বুদ্ধিজীবী নয়, সে আজ গণশত্রু
তাকে ধিক্কার
এই সীমাহীন বৈষম্যের রাষ্ট্রে
এই নোংরা চেতনা ব্যবসার রাষ্ট্রে
এই গুম-খুন-হত্যাযজ্ঞের রাষ্ট্রে
প্রধানমন্ত্রীর পায়ের কাছে বসে থাকা কবি
তুমি আজ গণশত্রু, তোমাকে ধিক্কার
এই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কালে
এই অর্থনৈতিক মন্দার কালে
এই গরিব মরার কালে
এই মধ্যবিত্তের পিষে যাবার কালে
প্রধানমন্ত্রীর পায়ের কাছে বসে থাকা বুদ্ধিজীবী
তুমি আজ গণশত্রু, তোমাকে ধিক্কার
এই নিরীহ ছাত্র হত্যার দুঃসময়ে
এই শিক্ষার্থী নিপীড়নের দুঃসময়ে
এই শিক্ষা বাণিজ্যকরণের দুঃসময়ে
এই শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের দুঃসময়ে
প্রধানমন্ত্রীর পায়ের কাছে বসে থাকা শিক্ষক
তুমি আজ গণশত্রু, তোমাকে ধিক্কার
এই তথ্যসন্ত্রাসের যুগে
এই মিডিয়া ট্রায়ালের যুগে
এই হলুদ সাংবাদিকতার যুগে
প্রধানমন্ত্রীর পায়ের কাছে বসে থাকা সাংবাদিক
তুমি আজ গণশত্রু, তোমাকে ধিক্কার
তোমাকে ধিক্কার
প্রধানমন্ত্রীর পায়ের কাছে বসে থাকা সুবিধাবাদী
সুশীল ও বিবিধ মুখোশ পরা জানোয়ার
তোমরা সকলে আজ গণশত্রু
আমরা হেরে যাব
তবু আমরা মানুষের পক্ষে থাকব
আমরা হেরে যাব
তবু আমরা নির্যাতিতের পাশে দাঁড়াব
আমরা নির্যাতিত মানুষ
আমরা একে অপরের ভাইবোন বন্ধু-স্বজন
আমরা নির্যাতিত মানুষ
আমরা একে অপরের কাঁধে হাত রেখেছি
আমরা ইতিহাস বদলাব
আমাদের কবি নেই
বুদ্ধিজীবী নেই
আমাদের শিক্ষক নেই
মিডিয়া ও সুশীল নেই
তবু ইতিহাস বদলাব আমরা
আমরা নির্যাতিত মানুষ
আমরা মরতে শিখে গেছি
মানুষ যখন মরতে শিখে যায়
অনিবার্যভাবে ইতিহাস বদলে যায়
যে কবি মানুষের পক্ষে থাকে না
যে কবি নির্যাতিতের পাশে দাঁড়ায় না
যে কবি হাত রাখে স্বৈরাচারীর কাঁধে
বুলেটবিদ্ধ জনতার রক্ত দেখেও
যে কবির হৃদয় কাঁপে না
যে কবি রুটি ও মধুর লোভে আজ
ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট ভোগের আশায় আজ
প্রধানমন্ত্রীর পায়ের কাছে বসে আছে
সে আজ কবি নয়, সে আজ গণশত্রু
তাকে ধিক্কার
যে বুদ্ধিজীবী মানুষের পক্ষ নেয় না
যে বুদ্ধিজীবী নির্যাতিতের ভাষা পড়ে না
যে বুদ্ধিজীবী বিবৃতি দেয় স্বৈরাচারীর পক্ষে
মানুষের রক্তে ভেজা মাটিতে দাঁড়িয়েও
যে বুদ্ধিজীবী প্রতিবাদ করে না
যে বুদ্ধিজীবী হালুয়া ও রুটির লোভে আজ
ক্ষমতার সীমাহীন বিচ্ছিরি ক্ষুধা মেটাতে আজ
প্রধানমন্ত্রীর পায়ের কাছে বসে আছে
সে আজ বুদ্ধিজীবী নয়, সে আজ গণশত্রু
তাকে ধিক্কার
এই সীমাহীন বৈষম্যের রাষ্ট্রে
এই নোংরা চেতনা ব্যবসার রাষ্ট্রে
এই গুম-খুন-হত্যাযজ্ঞের রাষ্ট্রে
প্রধানমন্ত্রীর পায়ের কাছে বসে থাকা কবি
তুমি আজ গণশত্রু, তোমাকে ধিক্কার
এই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কালে
এই অর্থনৈতিক মন্দার কালে
এই গরিব মরার কালে
এই মধ্যবিত্তের পিষে যাবার কালে
প্রধানমন্ত্রীর পায়ের কাছে বসে থাকা বুদ্ধিজীবী
তুমি আজ গণশত্রু, তোমাকে ধিক্কার
এই নিরীহ ছাত্র হত্যার দুঃসময়ে
এই শিক্ষার্থী নিপীড়নের দুঃসময়ে
এই শিক্ষা বাণিজ্যকরণের দুঃসময়ে
এই শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের দুঃসময়ে
প্রধানমন্ত্রীর পায়ের কাছে বসে থাকা শিক্ষক
তুমি আজ গণশত্রু, তোমাকে ধিক্কার
এই তথ্যসন্ত্রাসের যুগে
এই মিডিয়া ট্রায়ালের যুগে
এই হলুদ সাংবাদিকতার যুগে
প্রধানমন্ত্রীর পায়ের কাছে বসে থাকা সাংবাদিক
তুমি আজ গণশত্রু, তোমাকে ধিক্কার
তোমাকে ধিক্কার
প্রধানমন্ত্রীর পায়ের কাছে বসে থাকা সুবিধাবাদী
সুশীল ও বিবিধ মুখোশ পরা জানোয়ার
তোমরা সকলে আজ গণশত্রু
আমরা হেরে যাব
তবু আমরা মানুষের পক্ষে থাকব
আমরা হেরে যাব
তবু আমরা নির্যাতিতের পাশে দাঁড়াব
আমরা নির্যাতিত মানুষ
আমরা একে অপরের ভাইবোন বন্ধু-স্বজন
আমরা নির্যাতিত মানুষ
আমরা একে অপরের কাঁধে হাত রেখেছি
আমরা ইতিহাস বদলাব
আমাদের কবি নেই
বুদ্ধিজীবী নেই
আমাদের শিক্ষক নেই
মিডিয়া ও সুশীল নেই
তবু ইতিহাস বদলাব আমরা
আমরা নির্যাতিত মানুষ
আমরা মরতে শিখে গেছি
মানুষ যখন মরতে শিখে যায়
অনিবার্যভাবে ইতিহাস বদলে যায়
গাজা পুনরুদ্ধারের এই সময়ে ‘ফিলিস্তিন সাংস্কৃতিক পুরস্কার’ ঘোষণা করেছে ‘ফিলিস্তিন ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট’। ১৩তম আসরের মূল থিম নির্ধারণ করা হয়েছে—‘জেরুজালেম, গাজা উপত্যকা, গোটা ফিলিস্তিন ও জায়নবাদের বিরোধিতা’।
৩ দিন আগেএকশ বছর আগের কথা। ১৮৮৯ সাল। তুরিনে আজকের মতোই এক দিনে ফ্রিডরিখ নিৎশে কার্লো আলবার্তো পথের ৬ নম্বর বাড়ির ফটক দিয়ে বেরিয়ে আসেন। কখনো হাঁটতে বের হতেন, আবার কখনো পোস্ট অফিসে চিঠিপত্র তুলতে যেতেন।
৪ দিন আগেবাইতুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী আয়োজিত ইসলামি বইমেলায় প্রতিদিনই জড়ো হন হাজারো মানুষ। বিশেষত সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারে বইপ্রেমীদের উপস্থিতি থাকে চোখে পড়ার মতো। আর এই জনস্রোতের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে একদল স্বপ্নবাজ তরুণের হাতে গড়া ‘লিটলম্যাগ কর্নার’।
৪ দিন আগেইসলাম-পূর্ব সময়ে এক ভয়ংকর অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছিল যেন আরবরা। সমগ্র আরবে চলছিল ভয়াবহ অরাজকতা। গোত্রে গোত্রে শত্রুতা। সারাক্ষণ একে অন্যের ক্ষতি করার চেষ্টায় রত। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি ও মারামারি থেকে শুরু করে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া; বছরের পর বছর ধরে সেই যুদ্ধ চলা।
৪ দিন আগে