
মো. আকতার হোসাইন

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন পে স্কেল গঠনের জন্য একটি কমিটি গঠন করে দেয় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আর সেই কমিটি সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য পে স্কেলে মনোনিবেশ না করে প্রস্তাবনা দিয়ে বসেছে, ‘সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য আলাদা ব্যাংক গঠন করা হোক।’ এ নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন জল্পনাকল্পনা। ছোট্ট এই দেশে এমনিতেই ব্যাংকের সংখ্যা অনেক বেশি এবং দেশের অধিকাংশ ব্যাংকই তারল্য সংকটে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছে। হাতেগোনা কয়েকটি ব্যাংকের অবস্থা ভালো হলেও বেশিরভাগ ব্যাংকের অবস্থা নাজুক ও ভঙ্গুর। মানুষের ব্যাংকের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস ক্রমান্বয়ে তলানিতে ঠেকেছে। সুতরাং এ পরিস্থিতিতে নতুন ব্যাংক প্রস্তাবনা কতটা যৌক্তিক, সে প্রশ্ন থেকেই যায়?
সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করার বিষয়ে তারা যুক্তি দেখিয়েছেন, ‘পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আনসার-ভিডিপির জন্য আলাদা আলাদা ব্যাংক রয়েছে। ফলে ২০ লাখ সরকারি কর্মচারীর জন্যও একটি ব্যাংক গঠন করা যেতেই পারে।’ তাদের বেতন-ভাতা বাবদ বছরে বরাদ্দ থাকে এক লাখ কোটি টাকার কাছাকাছি; কিন্তু তারা হয়তো জানেন না, ব্যাংক গঠনের জন্য মিশ্র আমানত দরকার, অর্থাৎ স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি আমানতের প্রয়োজন। কিন্তু এখানে এক লাখ কোটি টাকার উপযোগিতা সম্পূর্ণভাবে শেষ হবে। কে কতটুকু টাকা সঞ্চয় করবে? কর্মচারীদের সচ্ছলভাবে জীবনযাপন না করার কারণেই এই পে স্কেল দেওয়া হচ্ছে। অপরদিকে বিশেষ বাহিনীর বিশেষ বরাদ্দ বা তহবিল থাকে, এক্ষেত্রে কি সে ব্যবস্থা থাকবে? যদি না থাকে, তাহলে ব্যাংক গঠন করার অর্থ কী?
তারা আরো যুক্তি তুলে ধরেন, ‘সরকারি কর্মচারীরা বেতন-ভাতা পান ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় বদলি হলে তাদের ব্যাংক হিসাব পাল্টাতে হয়, বেতন-ভাতা পেতে দেরি হয়। শুধু সরকারি কর্মচারীদের ব্যাংক থাকলে এ সমস্যার সৃষ্টি হতো না। ছেলেমেয়ের পড়াশোনা, মেয়ের বিয়ে প্রভৃতি বিষয়ে স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থাও থাকবে প্রস্তাবিত সরকারি কর্মচারী ব্যাংকে। এখন যেমন সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে গৃহনির্মাণ ঋণ নিতে হয়, আলাদা ব্যাংক হলে আর এ পেরেশানি পোহাতে হবে না। এমনকি সুদের হারও কম রাখা সম্ভব হবে।’ যদি তা-ই হয় তাহলে রাষ্ট্রায়ত্ত যে চারটি বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে, তার কী প্রয়োজন আছে? প্রয়োজন সুশাসনের। অপ্রয়োজনে ব্যাংক বাড়িয়ে লাভ কী?
তাদের আরো যুক্তি হলো, ২০১৪ সালে গঠিত কমিশনে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় বেতন কমিশন প্রথম প্রস্তাব দিয়েছিল যে, সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ‘সমৃদ্ধির সোপান ব্যাংক’ নামক একটি ব্যাংক গঠন করা হোক। সুপারিশটিতে তারা বলেছিলেন, রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড়ের কাছাকাছি থাকা সরকারি জমির ২০ থেকে ২৫ কাঠা জমি বিক্রি করে একটি ব্যাংক গঠন করা হবে এবং এ প্রস্তাবিত ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ধরা হয়েছিল ৪০০ কোটি টাকা।
সারা বিশ্বে কোথাও কোনো দেশে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য এ রকম ব্যাংকিং ব্যবস্থা নেই। অথচ বাংলাদেশ এ বিষয়ে ইতিহাস গড়তে চাচ্ছে, যেখানে ব্যাংকের প্রতি আস্থা ফেরানো বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অর্থনীতি চাকা বলতে বোঝানো হয় এই ব্যাংক খাতকে। বর্তমান ব্যাংক খাতগুলোর অবস্থা আরো বেশি ভঙ্গুর এবং বিশেষ বাহিনীর জন্য বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর অবস্থা ভালো বা খারাপ কোনোটাই প্রতীয়মান নয়। এসব ব্যাংককে রয়েছে নিজস্ব বাহিনীর অর্থ বা বরাদ্দের টাকা, যা অন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকে গচ্ছিত। আবার এসব বাহিনীর অনেক সদস্যকে অন্য বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকেও ঋণ নিতে দেখা যায়। সুতরাং যে উদ্দেশ্যে ব্যাংক গঠন করা হয়েছিল, সেই উদ্দেশ্য কতটুকু প্রতিফলিত হয়েছে, তা অনেকটাই অনুমেয়।
প্রশ্ন হলো, ‘নতুন ব্যাংক তৈরি করার উদ্দেশ্য কী? যেখানে বিদ্যমান ব্যাংকগুলো নিজেদের অস্তিত্ব সংকটে পড়ছে, সেখানে কী করে নতুন ব্যাংক দাঁড়াবে?’ ২০১৯ ও ২০২০ সালের তথ্য বিশ্লেষণ করে বিশ্বব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্র বলছে, বাংলাদেশের জিডিপির আকার ছিল ৩২৩ বিলিয়ন ডলার, ভারতের ২ হাজার ৬৬০ বিলিয়ন ডলার, থাইল্যান্ডের ৫০০ বিলিয়ন ডলার এবং মালয়েশিয়ার ৩৩৭ বিলিয়ন ডলার। দেশগুলোর লাইসেন্সপ্রাপ্ত দেশীয় ব্যাংকের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে বাংলাদেশের ৫২, ভারতের ৩৪, থাইল্যান্ডের ১৮ এবং মালয়েশিয়ার আটটি। আবার বিশাল অর্থনীতির দেশ চীনে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংখ্যা মাত্র ১২টি। অথচ বাংলাদেশে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে এবং রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার জন্য ব্যাংক গঠন করা হয়েছে, যা অনেকটা ফ্যাসিস্ট সরকারকে ফ্যাসিস্ট তৈরিতে প্রভাবিত করছে। প্রশ্ন হলো, বিগত সরকারের দেখানো পথেই কি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চলবে?
লেখক : ব্যাংকার

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন পে স্কেল গঠনের জন্য একটি কমিটি গঠন করে দেয় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আর সেই কমিটি সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য পে স্কেলে মনোনিবেশ না করে প্রস্তাবনা দিয়ে বসেছে, ‘সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য আলাদা ব্যাংক গঠন করা হোক।’ এ নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন জল্পনাকল্পনা। ছোট্ট এই দেশে এমনিতেই ব্যাংকের সংখ্যা অনেক বেশি এবং দেশের অধিকাংশ ব্যাংকই তারল্য সংকটে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছে। হাতেগোনা কয়েকটি ব্যাংকের অবস্থা ভালো হলেও বেশিরভাগ ব্যাংকের অবস্থা নাজুক ও ভঙ্গুর। মানুষের ব্যাংকের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস ক্রমান্বয়ে তলানিতে ঠেকেছে। সুতরাং এ পরিস্থিতিতে নতুন ব্যাংক প্রস্তাবনা কতটা যৌক্তিক, সে প্রশ্ন থেকেই যায়?
সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করার বিষয়ে তারা যুক্তি দেখিয়েছেন, ‘পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আনসার-ভিডিপির জন্য আলাদা আলাদা ব্যাংক রয়েছে। ফলে ২০ লাখ সরকারি কর্মচারীর জন্যও একটি ব্যাংক গঠন করা যেতেই পারে।’ তাদের বেতন-ভাতা বাবদ বছরে বরাদ্দ থাকে এক লাখ কোটি টাকার কাছাকাছি; কিন্তু তারা হয়তো জানেন না, ব্যাংক গঠনের জন্য মিশ্র আমানত দরকার, অর্থাৎ স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি আমানতের প্রয়োজন। কিন্তু এখানে এক লাখ কোটি টাকার উপযোগিতা সম্পূর্ণভাবে শেষ হবে। কে কতটুকু টাকা সঞ্চয় করবে? কর্মচারীদের সচ্ছলভাবে জীবনযাপন না করার কারণেই এই পে স্কেল দেওয়া হচ্ছে। অপরদিকে বিশেষ বাহিনীর বিশেষ বরাদ্দ বা তহবিল থাকে, এক্ষেত্রে কি সে ব্যবস্থা থাকবে? যদি না থাকে, তাহলে ব্যাংক গঠন করার অর্থ কী?
তারা আরো যুক্তি তুলে ধরেন, ‘সরকারি কর্মচারীরা বেতন-ভাতা পান ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় বদলি হলে তাদের ব্যাংক হিসাব পাল্টাতে হয়, বেতন-ভাতা পেতে দেরি হয়। শুধু সরকারি কর্মচারীদের ব্যাংক থাকলে এ সমস্যার সৃষ্টি হতো না। ছেলেমেয়ের পড়াশোনা, মেয়ের বিয়ে প্রভৃতি বিষয়ে স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থাও থাকবে প্রস্তাবিত সরকারি কর্মচারী ব্যাংকে। এখন যেমন সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে গৃহনির্মাণ ঋণ নিতে হয়, আলাদা ব্যাংক হলে আর এ পেরেশানি পোহাতে হবে না। এমনকি সুদের হারও কম রাখা সম্ভব হবে।’ যদি তা-ই হয় তাহলে রাষ্ট্রায়ত্ত যে চারটি বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে, তার কী প্রয়োজন আছে? প্রয়োজন সুশাসনের। অপ্রয়োজনে ব্যাংক বাড়িয়ে লাভ কী?
তাদের আরো যুক্তি হলো, ২০১৪ সালে গঠিত কমিশনে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় বেতন কমিশন প্রথম প্রস্তাব দিয়েছিল যে, সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ‘সমৃদ্ধির সোপান ব্যাংক’ নামক একটি ব্যাংক গঠন করা হোক। সুপারিশটিতে তারা বলেছিলেন, রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড়ের কাছাকাছি থাকা সরকারি জমির ২০ থেকে ২৫ কাঠা জমি বিক্রি করে একটি ব্যাংক গঠন করা হবে এবং এ প্রস্তাবিত ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ধরা হয়েছিল ৪০০ কোটি টাকা।
সারা বিশ্বে কোথাও কোনো দেশে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য এ রকম ব্যাংকিং ব্যবস্থা নেই। অথচ বাংলাদেশ এ বিষয়ে ইতিহাস গড়তে চাচ্ছে, যেখানে ব্যাংকের প্রতি আস্থা ফেরানো বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অর্থনীতি চাকা বলতে বোঝানো হয় এই ব্যাংক খাতকে। বর্তমান ব্যাংক খাতগুলোর অবস্থা আরো বেশি ভঙ্গুর এবং বিশেষ বাহিনীর জন্য বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর অবস্থা ভালো বা খারাপ কোনোটাই প্রতীয়মান নয়। এসব ব্যাংককে রয়েছে নিজস্ব বাহিনীর অর্থ বা বরাদ্দের টাকা, যা অন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকে গচ্ছিত। আবার এসব বাহিনীর অনেক সদস্যকে অন্য বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকেও ঋণ নিতে দেখা যায়। সুতরাং যে উদ্দেশ্যে ব্যাংক গঠন করা হয়েছিল, সেই উদ্দেশ্য কতটুকু প্রতিফলিত হয়েছে, তা অনেকটাই অনুমেয়।
প্রশ্ন হলো, ‘নতুন ব্যাংক তৈরি করার উদ্দেশ্য কী? যেখানে বিদ্যমান ব্যাংকগুলো নিজেদের অস্তিত্ব সংকটে পড়ছে, সেখানে কী করে নতুন ব্যাংক দাঁড়াবে?’ ২০১৯ ও ২০২০ সালের তথ্য বিশ্লেষণ করে বিশ্বব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্র বলছে, বাংলাদেশের জিডিপির আকার ছিল ৩২৩ বিলিয়ন ডলার, ভারতের ২ হাজার ৬৬০ বিলিয়ন ডলার, থাইল্যান্ডের ৫০০ বিলিয়ন ডলার এবং মালয়েশিয়ার ৩৩৭ বিলিয়ন ডলার। দেশগুলোর লাইসেন্সপ্রাপ্ত দেশীয় ব্যাংকের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে বাংলাদেশের ৫২, ভারতের ৩৪, থাইল্যান্ডের ১৮ এবং মালয়েশিয়ার আটটি। আবার বিশাল অর্থনীতির দেশ চীনে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংখ্যা মাত্র ১২টি। অথচ বাংলাদেশে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে এবং রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার জন্য ব্যাংক গঠন করা হয়েছে, যা অনেকটা ফ্যাসিস্ট সরকারকে ফ্যাসিস্ট তৈরিতে প্রভাবিত করছে। প্রশ্ন হলো, বিগত সরকারের দেখানো পথেই কি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চলবে?
লেখক : ব্যাংকার

মেঘে ঢাকা অন্ধকারাচ্ছন্ন আকাশে এক ফালি চাঁদ উঁকি দিয়ে যেমনি তার আলোকরশ্মি ছড়িয়ে দিয়ে ধরণিকে দীপ্তিময় করে তোলে, তেমনি সব অজুহাত ও বাধা অতিক্রম করে অবশেষে গুম-খুনের মতো অপরাধে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের আদালতে হাজির করার সিদ্ধান্ত কার্যকর করা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথে এক বলিষ্ঠ ও আশাপ্রদ পদক্ষেপ।
৫ ঘণ্টা আগে
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৬ বছরের মাফিয়াতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদী শাসনের পর বর্ষাবিপ্লব-পরবর্তী সময়ে সমগ্র দেশবাসী আশা করেছিল নতুন বন্দোবস্তের ভিত্তিতে নতুন এক রাষ্ট্রকাঠামো নির্মিত হবে। নতুন ধারার সরকারব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠিত হবে। সংগঠন ও কাঠামোয় গুণগত পরিবর্তন আসবে। রাষ্ট্রসংস্কারের মৌলিক ভাবনা বাস্তবায়িত
৫ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতি আজ এক নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি। আফগানিস্তান, দীর্ঘ যুদ্ধ ও বিদেশি হস্তক্ষেপের পর রাষ্ট্র পুনর্গঠনের এক সংবেদনশীল পর্যায়ে রয়েছে। এই অবস্থায় ভারত তার কূটনৈতিক ও উন্নয়ন-সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেছে যেন এক উদার বন্ধুর মতো।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের ইতিহাসে ৭ নভেম্বর একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস নামে পরিচিত এই দিনটি আমাদের স্বাধীনতার পরবর্তী রাজনৈতিক বিবর্তনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের ঘটনাকে কেউ বিপ্লব বলেন, কেউ বিদ্রোহ, কেউ আবার ক্ষমতার পালাবদল বলে থাকেন।
৬ ঘণ্টা আগে