সম্মানের রাজনীতি ও জাতীয় ঐক্য

ড. মো. খালেদ হোসেন
প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১: ১২

মানুষের ইজ্জত ও সম্মান সম্পর্কে আল-কোরআনে বলা হয়েছে—‘আমি অবশ্যই আদম সন্তানের সম্মান দান করেছি।’ (সুরা আল-ইসরা ১৭ : ৭০) একইভাবে মানুষকে নিয়ে অ্যারিস্টটল বলেছিলেন, ‘দি গুড অব ম্যান মাস্ট বি দ্য অ্যান্ড অব দ্য সায়েন্স অব পলিটিকস।’ রাজনীতির চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো মানুষের কল্যাণ। তার মতে, রাষ্ট্রের জন্ম মানুষের জীবন রক্ষার জন্য হলেও, রাষ্ট্রের অস্তিত্বের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত মানুষের কল্যাণময় জীবন নিশ্চিত করা। অর্থাৎ, মানুষের সম্মান রক্ষা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠাই রাষ্ট্র এবং রাজনীতির মূল চেতনা। কিন্তু বাস্তবতায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় ধরে এক ভয়াবহ সংকটের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছে। বিশেষ করে ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী শাসনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি বলতে যা অবশিষ্ট ছিল, তা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থান সেই ফ্যাসিবাদকে উপড়ে ফেললেও তার সংস্কৃতি এখনো সমাজ ও রাজনীতিতে বিরাজমান রয়ে গেছে। যেমন—

বিজ্ঞাপন

সংঘাত ও চাঁদাবাজির রাজনীতির ধারাবাহিকতা

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের টাল-মাটাল সময়ের পর ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে ৪৭১টি রাজনৈতিক সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন ১২১ জন, আহত হয়েছেন ৫১৮৯ জন। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) পর্যবেক্ষণ বলছে, এসব ঘটনার ৯২ শতাংশে বিএনপি, ২২ শতাংশে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ, ৫ শতাংশে জামায়াতে ইসলামী এবং ১ শতাংশে এনসিপির সম্পৃক্ততা রয়েছে। প্রকৃতিগতভাবেই টিআইবির রিপোর্টে বলা হয়েছে, সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের দখলে থাকা নানা প্রতিষ্ঠান ও কার্যক্রম দখলের চেষ্টা লক্ষ করা গেছে। এ অবস্থায় শুধু ঢাকা শহরের ৫৩টি পরিবহন টার্মিনাল ও স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি ২১ লাখ টাকা চাঁদাবাজি হচ্ছে।

নারীদের প্রতি স্লাট শেমিং

বাংলাদেশের রাজনীতিতে গত ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদের ফলে নতুন নোংরা প্রবণতা হলো নারী রাজনীতিবিদদের স্লাট শেমিং। ২৪-এর জুলাইয়ের পর ও বাংলাদেশে রুমিন ফারহানা, তাসনিম জারা, সামান্থা, উমামা, তাজনুভা কিংবা মানসুরাসহ অনেকে এই অপসংস্কৃতির শিকার হচ্ছেন। বিগত সময়ে পালিয়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমন অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেছেন বিএনপি নেত্রী ও তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে, তেমনি হাসিনার দলের নেতারা অকথ্য ভাষায় অনলাইন এবং অফলাইনে আক্রমণ করেছেন বিএনপি-ছাত্রদল ও জামায়াত-ছাত্রীসংস্থার নেত্রী-কর্মীদের। কম যায়নি ১৪ দল ও এর বাইরে থাকা বাম দলগুলো। তারাও শরিক হয়েছিল বিএনপি-জামায়াতের নারীদের স্লাট শেমিং ও নিপীড়নের সম্মতি উৎপাদনে। যার ফলে বিএনপির নারী নেতাকর্মীরাও শিকার হয়েছিলেন জেল-মামলাসহ ফ্যাসিবাদের লৌহ নিপীড়নের। একইভাবে কোরআন আলোচনা করতে গিয়ে জঙ্গি সাজিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল জামায়াতের নারী নেতাকর্মীদের। একই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের আক্রমণে অনলাইনে নারীবিদ্বেষ এখনো চলছে।

রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও বাগযুদ্ধ

লীগ সরকারের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানের পর রাজনীতিতে মূল স্টেকহোল্ডারে পরিণত হওয়া বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে মাঝেমধ্যে দেখা যায় তীব্র বাগযুদ্ধ। সিনিয়র থেকে জুনিয়র নেতাদের মধ্যে চলে পারস্পরিক ব্যক্তিগত আক্রমণ আর কর্মী-সমর্থকপর্যায়ে সামাজিক যোগারেযাগমাধ্যমে চলে উপহাস। সব মিলিয়ে রাজনৈতিক আচার-আচরণ একেবারেই সেই পুরোনো পথে হাঁটছে, যা একইভাবে অশালীন ও বিভেদের পথ দেখাচ্ছে। যার ধারাবাহিকতা আমরা কিছুটা হলেও আঁচ করতে পারছি চট্টগ্রামের ছাত্রদল-শিবিরের সংঘর্ষ ও রাবিতে রাকসুতে ছাত্রদলের হামলার ঘটনায়। এছাড়া অনলাইনে প্রতিটি দলের নামে-বেনামে তথা ফেইক আইডিধারী বটবাহিনীর গুজব, আক্রমণাত্মক আচার-আচরণ ও প্রচার অনলাইনে ব্যাপক অস্থিরতা ও বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে, যা যেকোনো সময় বড় কোনো সংঘাতের কারণ হতে পারে। বিগত সময়ে এই ব্যক্তিগত বিভেদের হিংসাত্মক ধারাবাহিকতায় দেশকে নিয়েছিলে হাজার-হাজার খুন আর লাখ লাখ মানুষের মানবাধিকার হরণের ফ্যাসিবাদের কোলে।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জটিলতা

সম্প্রতি সরকার নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করলেও নির্বাচনি জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। বিএনপি মনে করে, নির্বাচিত সরকার এ সনদ বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও বেশির ভাগ দল এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে, কেননা মৌলিক বেশ কটি বিষয়ে বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট রয়েছে। ফলে কমিশনের বৈঠক সত্ত্বেও সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণে কোনো পূর্ণ ঐকমত্য তৈরি হয়নি। এ ক্ষেত্রে এনসিপি গণপরিষদের কথা বললেও কেউ কেউ এর জটিলতার কারণে গণভোটের কথা বলছে। এছাড়া ১১টি কমিশনের প্রস্তাবনা থেকে মাত্র ছয়টি কমিশনকে সিলেক্ট করেছে ঐকমত্য কমিশন, যা বাকি প্রস্তাবনাগুলো অনেকটা অন্ধকারে ফেলে দিয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে জুলাই সনদের মতো ঐতিহাসিক চার্টারের আইনি ভিত্তি নিয়ে সচেতন মহলের উদ্বেগ। কেননা কোনো আইনি ভিত্তি ছাড়া শুধু রাজনৈতিক অঙ্গীকারের মধ্যে এটি সীমাবদ্ধ থাকলে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা থেকেই যায়।

প্রতিবেশী ভারতে থাকা আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র

বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, ব্যবসায়ী এস আলম সম্প্রতি দিল্লি গিয়ে পলাতক শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় ফেরাতে ২৫০০ কোটি টাকা হস্তান্তর করেছেন আরো ২ হাজার কোটি টাকার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। যার ফলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নানা স্যাবোটাজ কর্মসূচি নতুন করে হালে পানি পেয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর স্মরণকালের ভয়াবহ হামলার ফলে হাজারো ছাত্র আহত হওয়ার ঘটনায় অনেকে লীগের যোগসাজশের কথা সামনে আনছেন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় পতিত আওয়ামী লীগের মিছিল করার চেষ্টাও নতুন করে লক্ষ করা যাচ্ছে। এছাড়া বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের সুবিধাভোগী পেশাজীবী ও এলিট শ্রেণির প্রতিষ্ঠান ‘মঞ্চ ৭১’ মুক্তিযুদ্ধের নামে সক্রিয় হয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানবিরোধী বয়ান তৈরি ও মাঠ দখলের চেষ্টা করছে।

সহিংসতার শিকার নতুন প্রজন্ম

জুলাইয়ের গণআকাঙ্ক্ষাবিরোধী এই রাজনৈতিক অস্থিরতা শুধু বিভিন্ন দলীয় বাগযুদ্ধ বা সংঘাতেই সীমাবদ্ধ নয়। সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্রনেতা নুরুল হক নুর প্রকাশ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে নৃশংস আক্রমণের শিকার হয়েছেন, যা এ সরকারের ম্যান্ডেট ও প্রচণ্ডভাবে গণতান্ত্রিক আচরণবিরোধী। এছাড়া বুয়েটের আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর হামলা ও বৈষম্যবিরোধী নেতা রিয়াদের ওপর পুলিশ হেফাজতে বেআইনি নিপীড়ন প্রমাণ করে সরকার ক্রমেই স্বৈরাচারী উপকরণ তথা দমন-পীড়নের পথ বেছে নিচ্ছে।

দেশকে এই অস্থিরতা থেকে বাঁচাতে হলে সবার জরুরি কিছু করণীয় আছে, আর তা হলো রাজনীতিতে পারস্পরিক সম্মান ও জাতীয় ঐক্য ফেরাতে কাজ করা, যা কল্যাণমূলক রাজনীতি বিস্তারে সাহায্য করবে ও বাংলাদেশকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেবে। সেই লক্ষ্যে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তার একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা নিম্নে তুলে ধরা হলো—

রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন

পারস্পরিক দোষারোপের পরিবর্তে নীতি, কর্মপরিকল্পনা ও ভবিষ্যৎ ভিশনকে প্রতিযোগিতার মূল ভিত্তি করতে হবে। দলগুলোকে তাদের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে কীভাবে ভিন্নমতকে প্রতিপক্ষ নয়; বরং প্রতিযোগী হিসেবে সম্মান করতে হয়। তরুণ কর্মীদের রাজনৈতিক প্রশিক্ষণে (পলিটিক্যাল অরিয়েন্টেশন) সহনশীলতা, ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা, গণতান্ত্রিক নীতি শেখানো জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও তৃণমূলপর্যায়ে গণতান্ত্রিক আচরণ, বিতর্ক সংস্কৃতি এবং সম্মানের রাজনীতি নিয়ে কোর্স, সেমিনার, প্রশিক্ষণ ও ভিডিও চিত্র প্রদর্শন চালু করা যেতে পারে। এছাড়া নিয়মিত ক্রস-পার্টি ডায়ালগ চালু করতে হবে, যেখানে দলীয় নীতি-প্রশ্নে খোলামেলা আলোচনা হবে। জাতীয় সংকটকালে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোকে অন্তত মৌলিক ইস্যুগুলো যেমন স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, ফ্যাসিবাদ বিতাড়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও দুর্যোগ মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করতে হবে। অন্যদিকে শীর্ষ নেতাদের ব্যক্তিগত ভাষণ ও আচরণে পরস্পর সম্মান প্রদর্শন করা দরকার। নেতারা যদি ভদ্র ভাষা ব্যবহার করেন, কর্মীরাও সেটি অনুসরণ করবেন। রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা যেন নীতিভিত্তিক বা অধিকারভিত্তিক হয়, ব্যক্তিগত আক্রমণ বা অপমানের নয়।

নারীদের অসম্মানের ওপর জিরো টলারেন্স

সম্প্রতি নারী নেত্রীদের ওপর ক্রমাগত স্লাট শেমিংয়ের পরিপ্রেক্ষিতে এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ কিংবা শিবির নেতা ফরহাদ কিংবা ছাত্রদল নেতা হামিদুলরা এ প্রসঙ্গে এই স্লাট শেমিংয়ের রাজনীতি বন্ধের আহ্বান করে নারীদের জন্য নিরাপদ রাজনীতির ব্যবস্থার যে অনুরোধ করেছেন, তা প্রশংসাজনক। নারীদের বিরুদ্ধে স্লাট শেমিং থেকে শুরু করে রাজনীতি ও সমাজের যেকোনো পর্যায়ে নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে সব রাজনৈতিক দলের একতাবদ্ধ থাকা নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য অবশ্য করণীয়।

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়ন নিশ্চিতকরণ

জুলাই সনদকে বাংলাদেশের নতুন (গাইডিং প্রিন্সিপাল) তথা চালিকাশক্তি হিসেবে গ্রহণ করার লক্ষ্যে আইনি ও জনভিত্তির মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের জন্ম নেওয়া বাংলাদেশ ২ দশমিক শূন্যের অফিশিয়াল সনদ হিসেবে প্রণয়ন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিএনপি-জামায়াত, এনসিপিসহ অন্যান্য দলের উচিত দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে সম্মান করে, দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতার আলোকে নিজেদের মতকে প্রাধান্য না দিয়ে ঐকমত্যের জন্য কাজ করা, যা জাতির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পাথেয় হিসেবে ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া লীগ ও ভারতের যেকোনো ষড়যন্ত্রে সব দল ও ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরি ।

ফ্যাসিবাদ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলোর তদন্ত ও শাস্তি প্রদান

সরকারের উচিত সাম্প্রতিককালে নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক সব মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো যথাযথ তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে বেআইনি ও গণতান্ত্রিক আচরণবিরোধী কার্যক্রম ঠেকাতে নিরাপত্তা বাহিনীগুলোয় ফ্যাসিবাদ মুক্তিকরণ অভিযান চালানো। এছাড়া ভারতে পলায়মান থাকা লীগের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িত অপরাধী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আলাদা ট্রাইব্যুনাল করে বিচারের আওতায় নিয়ে এসে ভবিষ্যতের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

সচেতন নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যম

গণতান্ত্রিক সমাজ, সুশীলসমাজ, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও ধর্মীয় নেতারা দলগুলোকে জাতীয় ঐক্যের পথে চাপ সৃষ্টি করবে। গণমাধ্যমকে ঘৃণা ছড়ানো নয়, বরং ঐকমত্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধির আলোচনায় ভূমিকা রাখতে হবে। টকশো, সংবাদপত্র ও অনলাইন মিডিয়ায় পরস্পরকে ছোট করার বদলে আদর্শ, নীতি বা জাতি গঠনের মৌলিক ইস্যুকেন্দ্রিক আলাপ উৎসাহিত করতে হবে। ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য যেন সম্প্রচারিত না হয়, সে বিষয়ে গণমাধ্যমের নীতি থাকা জরুরি।

লেখক : একাডেমিক ডিরেক্টর, সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স অ্যান্ড সিভিলাইজেশনাল স্টাডিজ

khaled.du502@gmail.com

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত