আমার দেশ জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পেপার

হাদি মরেনি—আমরাই মরছি প্রতিদিন

শাহীদ কামরুল

হাদি মরেনি—আমরাই মরছি প্রতিদিন

মহান বিপ্লবী প্রিয় শহীদ শরীফ ওসমান হাদির জন্য এই লেখাটা লিখতে গিয়ে আমাকে কাগজে লাঙল চালাতে হয়েছে—আর সেই লাঙলের ফলায় বারবার আটকে গেছে বুকের ভেতরের জমে থাকা কান্না।

লিখতে বসেছি, কলম ধরেছি—কিন্তু এক লাইনও এগোতে পারিনি। বারবার থেমে গেছি। থামতে হয়েছে। কারণ, যতবারই শব্দ খুঁজতে গেছি, ঠিক ততবারই তার হাসিমাখা, নিষ্পাপ মুখটা চোখের সামনে ভেসে উঠেছে। সেই মুখ—যেখানে কোনো কুটিলতা ছিল না, কোনো চালাকির রেখা ছিল না; ছিল শুধু এক অদ্ভুত আত্মবিশ্বাস আর নিঃশব্দ সাহস।

বিজ্ঞাপন

লিখতে বসলে তার বক্তৃতার দৃশ্যগুলো ফিরে আসে। কণ্ঠে উত্তেজনা ছিল, কিন্তু বিদ্বেষ ছিল না। চোখে আগুন ছিল, কিন্তু অন্ধ ঘৃণা ছিল না। তিনি যখন কথা বলতেন, মনে হতো—এই ছেলেটি সত্যিই বিশ্বাস করেন, মানুষ বদলাতে পারে, রাষ্ট্র বদলাতে পারে। সেই বিশ্বাসটাই তাকে আলাদা করেছিল, সেই বিশ্বাসটাই তাকে ভয়ংকর করে তুলেছিল ক্ষমতার কাছে।

তার হাসিটা ছিল এত নিষ্পাপ—কারণ তিনি জানতেন না, কিংবা জানতেন জেনেও মানতে চাননি, যে এই সমাজ সত্যবাদীদের বাঁচতে দেয় না। এই লেখাটা তাই সহজে লেখা যায়নি। কারণ এটি কোনো সাধারণ শোকগাথা নয়। এটি এক তরুণের স্বপ্নের কবরনামা। এটি আমাদের ব্যর্থতার দলিল। প্রতিবার কলম ধরলেই মনে হয়েছে—আমি কি পারব তার রক্তের ওজন বহন করতে? আমি কি পারব তার বিশ্বাসের কাছে সৎ থাকতে?

গ্রিক মিথোলজিতে পড়েছিলাম—একজন টাইটান ছিল, নাম প্রমিথিউস। দেবতারা আগুন নিজেদের জন্য রেখে দিয়েছিল। আগুন মানে শুধু তাপ নয়—আগুন মানে জ্ঞান, প্রযুক্তি, ভাষা ও ভবিষ্যৎ। মানুষকে অন্ধকারে রেখে দেবতারা চেয়েছিলেন শাসন সহজ রাখতে। কিন্তু প্রমিথিউস সহ্য করতে পারেননি। তিনি চুরি করে আগুন এনে মানুষের হাতে তুলে দেন। হাদির গল্পটা ঠিক এখানেই শুরু। হাদি কোনো রাজা হতে চাননি। তিনি চেয়েছিলেন আগুন—রাষ্ট্রের অর্থ, ক্ষমতা, সার্বভৌমত্ব, সিদ্ধান্ত—এই আগুনটা সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দিতে। তিনি বলেছিলেনÑরাষ্ট্র মানে শুধু পতাকা নয়, রাষ্ট্র মানে হাসপাতাল, শিক্ষা ও ন্যায্যতা।

আদতে, কিছু ইন্তেকাল ইতিহাসে শুধু সংখ্যা হয়ে থাকে না। তারা হয়ে ওঠে একটি প্রশ্নচিহ্ন, একটি আয়না, যেখানে সমাজ নিজেকে দেখতে বাধ্য হয়। ওসমান হাদির মৃত্যু ঠিক তেমনই—এটি একটি বদনের পতন নয়, এটি একটি নৈতিক উচ্চতার পতন। এই মৃত্যু আমাদের সামনে উন্মোচন করে দেয় রাষ্ট্র, ক্ষমতা ও তথাকথিত সভ্যতার গভীর ভণ্ডামি। পুরো দেশ তাকে চিনত। অথচ কী নির্মম পরিহাস—যেদিন তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে থাকেন, যেদিন তিনি প্রায় ২০ ঘণ্টা ধরে ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’, সেদিনও প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের মুখে তার সঠিক নামটি পর্যন্ত আসে না। এই ভুল কোনো সাধারণ ভুল নয়। এটি একটি রাজনৈতিক অবচেতন, যেখানে প্রান্তিক মানুষের নাম সংরক্ষণের প্রয়োজনই নেই।

ইতিহাস আমাদের শেখায়—ক্ষমতা সবসময় স্মৃতি নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। মিশেল ফুকো বলেছিলেন, ক্ষমতা শুধু দমন করে না, সে নির্ধারণ করে কে স্মরণযোগ্য আর কে বিস্মরণযোগ্য। হাদির ক্ষেত্রে আমরা সেই বিস্মরণের রাজনীতিই দেখছি। জুলাইয়ের আন্দোলনে যাদের ত্যাগ ছিল সবচেয়ে দৃশ্যমান, তারাই আজ সবচেয়ে অদৃশ্য। যারা সবচেয়ে কম ত্যাগ করেছে, তারাই সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী, এ যেন ইতিহাসের এক পুরোনো চক্র, যা বারবার ফিরে আসে।

‘ইনকিলাব মঞ্চ’ হয়তো কাগজে-কলমে পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক দল ছিল না। কিন্তু ইতিহাস কি শুধু নিবন্ধন দেখে লেখা হয়? ফরাসি দার্শনিক আলাঁ বাদিউ বলতেন, রাজনীতির সত্য জন্ম নেয় ‘ঘটনা’ থেকে—যেখানে মানুষ বিদ্যমান ব্যবস্থার বাইরে দাঁড়িয়ে নতুন নৈতিক সম্ভাবনা তৈরি করে। ইনকিলাব মঞ্চ ছিল ঠিক তেমনই এক ঘটনা—একটি সাংস্কৃতিক ও নৈতিক সত্তা, যা মানুষের কল্পনায় স্থান করে নিয়েছিল। অথচ এই নামটিও বড় বড় নেতাদের জিহ্বায় জড়িয়ে যায়, ভুল হয়ে যায়, হারিয়ে যায়। এই ভুল আসলে একটি ঘোষণা—‘তোমরা গুরুত্বপূর্ণ নও।’

প্রশ্ন জাগে—জুলাই কাদের জন্য এসেছিল? এই রক্ত, এই জীবন, এই ঝুঁকি—সব কি ছিল শুধু ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার জন্য? এটি অকৃতজ্ঞতার চেয়েও গভীর কিছু। এটি একটি নৈতিক বিচ্ছেদ, যেখানে আন্দোলনের সন্তানদেরই অস্বীকার করা হয়।

শহীদ হাদি ছিলেন তরুণ। তার ভাষা কখনো ধারালো, কখনো অস্থির। বয়সের আবেগ, অভিজ্ঞতার অপরিপক্বতা—সবই ছিল। কিন্তু দর্শন বলে, সত্য সবসময় পরিশীলিত ভাষায় আসে না। কখনো কখনো সত্য আসে কাঁচা গলায়, ভাঙা শব্দে। আন্তোনিও গ্রামশি বলেছিলেন, ‘পুরোনো বিশ্ব মরছে, নতুন বিশ্ব জন্ম নিতে চায়; এই মধ্যবর্তী সময়েই জন্ম নেয় দানব।’ হাদি সেই মধ্যবর্তী সময়ের কণ্ঠস্বর ছিলেন, অস্বস্তিকর, প্রশ্নকারী, কিন্তু প্রয়োজনীয়।

তিনি ছিলেন প্রান্তিক মানুষের প্রতিনিধি। সংসদে যেতে চেয়েছিলেন ক্ষমতার ভাগ নিতে নয়, বরং প্রতিনিধিত্বের অর্থ বদলাতে। তার ডানপন্থি রাজনৈতিক অবস্থান সত্ত্বেও তিনি প্রচলিত ছকের বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন। আধিপত্যবিরোধিতা ও রাষ্ট্রকেন্দ্রিক ন্যায়বোধ তাকে পরিণত করেছিল এক নতুন ধরনের রাজনীতির প্রতীকে—যাকে বলা হয় পোস্ট আইডোলজিক্যাল রাইট (post-ideological right), যেখানে জাতীয় স্বার্থ মানে শুধু স্লোগান নয়, বরং কাঠামোগত ন্যায়। তার ভারত-সম্পর্কিত অবস্থান নিয়েও বিকৃত সমালোচনা হয়েছে। অথচ তিনি বারবার স্পষ্ট করেছেন—তার বিরোধিতা কোনো জনগণের বিরুদ্ধে নয়, বরং আধিপত্যের বিরুদ্ধে। এই পার্থক্যটি বোঝা জরুরি। এডওয়ার্ড সাঈদ যেমন বলেছিলেন, ক্ষমতা সবসময় বিরোধিতাকে ‘বিদ্বেষ’ হিসেবে চিত্রিত করতে চায়, যাতে নৈতিক প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়া যায়। হাদি সেই ফাঁদে পা দেননি। সবচেয়ে গভীর ছিল তার রাষ্ট্রভাবনা। তিনি বলেছিলেন—একজন সংসদ সদস্যের কাজ ব্রিজ-কালভার্ট বানানো নয়। উন্নয়ন মানে কংক্রিট নয়; উন্নয়ন মানে মানুষের সক্ষমতা। রাষ্ট্রের অর্থ ব্যয় হবে শিক্ষা ও চিকিৎসায়, মেগা প্রকল্পে নয়। এমপির আসল দায়িত্ব হলো আইনসভায় নীতি ও অগ্রাধিকারের প্রশ্নে লড়াই করা। এই ধারণা সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে আমাদের পৃষ্ঠপোষকতামূলক রাজনীতিকে। তাই এই ধারণা সহ্য করা হয় না।

ওসমান হাদির বোধ ছিল কোনো স্লোগানের বোধ নয়, কোনো ক্ষমতার লোভে জন্ম নেওয়া বোধ নয়। তার বোধ জন্মেছিল যন্ত্রণার ভেতর থেকে—দেখে-দেখে ক্লান্ত হয়ে যাওয়া এক তরুণের বোধ, যে বুঝেছিল রাষ্ট্র মানে শুধু পতাকা নয়, রাষ্ট্র মানে মানুষের নিরাপত্তা, সম্মান, ন্যায় আর ভবিষ্যৎ। তিনি বুঝেছিলেন, মানুষ যখন প্রশ্ন করতে ভুলে যায়, তখনই রাষ্ট্র অমানবিক হয়ে ওঠে। আর তাই তিনি প্রশ্ন করেছিলেন—নিজের জীবন বাজি রেখে। তার বোধ ছিল নির্মমভাবে সৎ। তিনি জানতেন, এই সমাজে সত্য বলা নিরাপদ নয়, তবু তিনি চুপ থাকেননি। কারণ তার কাছে বেঁচে থাকা মানে শুধু শ্বাস নেওয়া নয়—বেঁচে থাকা মানে অন্যায়ের সামনে মাথা না নত করা।

যাই হোক, তার মৃত্যু নায়কোচিত, কারণ তিনি নিজেই এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন—মৃত্যু কেমন হওয়া উচিত। সেই বর্ণনার সঙ্গে তার বাস্তব মৃত্যুর আশ্চর্য মিল যেন ইতিহাসের এক নির্মম নাটক। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় গ্রিক ট্র্যাজেডির কথা, যেখানে নায়ক নিজের নিয়তির কথা আগেই বলে যান অথচ থামাতে পারে না। এই হত্যাকাণ্ডের পর সবচেয়ে ভয়ংকর যে বিষয়টি সামনে আসে, তা হলো তথাকথিত সুশীল সমাজের ও বামদের নীরবতা। হান্না আরেন্ট বলেছিলেন, নীরবতা অনেক সময় সক্রিয় সহিংসতার চেয়েও ভয়ংকর। কারণ নীরবতা অন্যায়কে স্বাভাবিক করে তোলে। আজ যদি এই গুলি কোনো ‘গ্রহণযোগ্য’ পরিচয়ের মানুষের মাথায় লাগত—কোনো শিল্পী, কোনো সংস্কৃতিকর্মী—তাহলে বিবৃতির বন্যা বইত। আজ কিছুই নেই। কারণ হাদি রাষ্ট্রের কথা বলেছিলেন, সার্বভৌমত্বের কথা বলেছিলেন।

জর্জিও আগামবেনের ভাষায়, হাদিকে পরিণত করা হয়েছে হোমো স্যাকার (homo sacer)-এ—যাকে হত্যা করা যায়, কিন্তু যার মৃত্যু শোকযোগ্য নয়। এই প্রক্রিয়া নতুন নয়। একসময় অন্য পরিচয়গুলোকেও এভাবেই ‘হত্যাযোগ্য’ বানানো হয়েছিল। আজ ইতিহাস আবার ফিরে এসেছে। চরিত্র বদলেছে, মুখোশ বদলেছে—কিন্তু নীরবতার অপরাধ একই। এই নীরবতা কোনো নিরপেক্ষতা নয়। এটি একটি পাপ। কারণ নৈতিক দর্শন আমাদের শেখায়—অন্যায়ের সামনে চুপ থাকা মানেই অন্যায়কে বৈধতা দেওয়া। আজ যারা চুপ, তারা শুধু দর্শক নয়; তারা ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আছে।

হাদিকে হত্যা করে হয়তো একটি শরীরকে থামানো গেছে। কিন্তু তার চিন্তা, তার প্রশ্ন, তার নৈতিক উচ্চতা এসব থামানো যায়নি। তিনি এখন একটি পরম্পরা। তার রক্ত ভবিষ্যতের তরুণদের প্রশ্ন করতে শেখাবে।

এই শোক শুধু এক ব্যক্তির নয়। এটি একটি জাতির শোক। আর যদি আমরা এই শোককে প্রশ্নে, প্রতিবাদে ও নৈতিক পুনর্গঠনে রূপান্তর করতে না পারি, তবে এই রক্তের দায় আমাদের সবার ঘাড়েই থেকে যাবে।

এরিস্টটল বলেছিলেন, ট্র্যাজিক হিরো (Tragic hero) সে-ই, যে নিজের নৈতিক অবস্থান থেকে সরে না এসে ধ্বংস হয়। হাদি সেই ট্র্যাজিক নায়ক। তার মৃত্যু ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি নয়—এটি এক সভ্যতার ব্যর্থতা। কিন্তু ইতিহাস আমাদের আরেকটি কথা শেখায় প্রমিথিউস মরেনি। ক্যাটালিনের প্রশ্ন মরেনি। হ্যামলেটের সন্দেহ মরেনি। হাদিও মরেননি। কারণ, মানুষকে হত্যা করা যায়, কিন্তু আদর্শকে না।

আখেরে বলতে চাই, ওসমান হাদির মৃত্যু শুধু একটি প্রাণহানি নয়; এটি আমাদের ভেতরের মানুষটির ধীরে ধীরে মরে যাওয়ার দলিল। এই মৃত্যু আমাদের বুকের ভেতর এমন এক শূন্যতা তৈরি করেছে, যা কান্নায় ভরে না, আবার চুপ থাকলেও সহ্য হয় না। কারণ এই শূন্যতা প্রশ্ন করে—আমরা কি সত্যিই মানুষ ছিলাম, নাকি শুধু সুবিধার সময় মানুষ সেজেছিলাম?

হাদি ছিলেন কারো ছেলে, কারো স্বপ্ন, কারো আশার ভাষা। তিনি বেঁচে থাকতে চেয়েছিলেন; কিন্তু তার চেয়েও বেশি, তিনি অর্থবহভাবে বাঁচতে চেয়েছিলেন। রাষ্ট্রকে তিনি ভালোবেসেছিলেন, তাই প্রশ্ন করেছিলেন। মানুষকে তিনি ভালোবেসেছিলেন, তাই ঝুঁকি নিয়েছিলেন। আর ঠিক সেই কারণেই তাকে শহীদ হতে হয়েছে। আজ তার নিথর দেহ আমাদের সামনে দাঁড় করিয়ে দেয় এক ভয়ংকর সত্য—এই সমাজে সত্য বলার শাস্তি এখনো মৃত্যু।

সবচেয়ে কষ্টের বিষয়, তাকে শুধু গুলি করা হয়নি—তাকে একা করে মারা হয়েছে। তার চারপাশে ছিল আলো, ক্যামেরা, আলোচনা—কিন্তু ছিল না রক্ষা, ছিল না দাঁড়িয়ে যাওয়া কোনো কণ্ঠ। যারা কথা বলার ক্ষমতা রাখেন, তারা চুপ থেকেছেন। যারা নৈতিকতার বুলি আওড়ান, তারা চোখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। এই নীরবতা হাদির বুকের ক্ষতের চেয়েও গভীর। কারণ গুলি শরীর ভেদ করে, কিন্তু নীরবতা আত্মা হত্যা করে। আজ! যদি আমরা অনুভব না করি, তাহলে আর কবে করব?

আজ যদি আমাদের চোখ ভিজে না ওঠে, বুক কেঁপে না ওঠে, তাহলে আমাদের মানবিকতা শুধু একটি শব্দ হয়েই থাকবে। হাদির শাহাদত আমাদের কাছে করুণা চায় না; জবাব চায়। তিনি জানতে চান—আমরা কি আবার সব ভুলে যাব? নাকি এবার অন্তত একটি মৃত্যুকে ইতিহাসে পরিণত হতে দেব? হাদি আর কথা বলবেন না। কিন্তু তার রক্ত আজও প্রশ্ন করে—প্রতিটি চুপ থাকা মুখের দিকে, প্রতিটি নিরাপদ দর্শকের দিকে। এই প্রশ্ন থেকে পালানোর কোনো মওকা নেই। কারণ একদিন, খুব নীরবে, এই প্রশ্ন আমাদের দরজায় কড়া নাড়বে—আমরা তখন কী উত্তর দেব? এই শোক শুধু চোখের পানিতে না হোক—এই শোক হোক আমাদের বিবেকের জাগরণ। যদি আমরা আজও না জাগি, তবে কাল আর জাগার কেউ থাকবে না। এই শোক আমাদের কাঁদাক—কিন্তু তার চেয়েও বেশি, আমাদের জাগাক।

ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন

সালাম প্রিয় ভাই, সালাম প্রিয় বিপ্লবী!!

লেখক : সাবেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, লেখক ও গবেষক, ফ্রাই ইউনিভার্সিটি বার্লিন ও জার্মানি

sahidkamrul25@gmail.com

Google News Icon

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর

খুঁজুন