• facebook
  • fb_group
  • twitter
  • tiktok
  • whatsapp
  • pinterest
  • youtube
  • linkedin
  • instagram
  • google
শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
বাণিজ্য
সারা দেশ
বিশ্ব
খেলা
আইন-আদালত
ধর্ম ও ইসলাম
বিনোদন
ফিচার
আমার দেশ পরিবার
ইপেপার
আমার দেশযোগাযোগশর্তাবলি ও নীতিমালাগোপনীয়তা নীতিডিএমসিএ
facebookfb_grouptwittertiktokwhatsapppinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
স্বত্ব: ©️ আমার দেশ | সম্পাদক ও প্রকাশক, মাহমুদুর রহমান 
মাহমুদুর রহমান কর্তৃক ঢাকা ট্রেড সেন্টার (৮ম ফ্লোর), ৯৯, কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫ থেকে প্রকাশিত এবং আমার দেশ পাবলিকেশন লিমিটেড প্রেস, ৪৪৬/সি ও ৪৪৬/ডি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্য বিভাগ: ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ৯৯, কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।ফোন: ০২-৫৫০১২২৫০। ই-মেইল: info@dailyamardesh.comবার্তা: ফোন: ০৯৬৬৬-৭৪৭৪০০। ই-মেইল: news@dailyamardesh.comবিজ্ঞাপন: ফোন: +৮৮০-১৭১৫-০২৫৪৩৪ । ই-মেইল: ad@dailyamardesh.comসার্কুলেশন: ফোন: +৮৮০-০১৮১৯-৮৭৮৬৮৭ । ই-মেইল: circulation@dailyamardesh.com
ওয়েব মেইল
কনভার্টারআর্কাইভবিজ্ঞাপনসাইটম্যাপ
> মতামত

ইরান ও ইসরাইল কি আবার যুদ্ধে জড়াবে?

ওরাল টোগা
প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৯: ২৪
logo
ইরান ও ইসরাইল কি আবার যুদ্ধে জড়াবে?

ওরাল টোগা

প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৯: ২৪

১২ দিনের তীব্র লড়াইয়ের পর ২০২৫ সালের ২৪ জুন ইসরাইল আর ইরান অস্ত্রবিরতিতে রাজি হয়। কিন্তু এই অঞ্চলের যে গভীর উত্তেজনা, এই চুক্তি সেটা দূর করতে পারেনি। সপ্তাহ কয়েক পরে দুপক্ষই তাদের সামরিক ও রাজনৈতিক পরিকল্পনা আরো চাঙা করেছে এবং নতুন লড়াইয়ের কথা মাথায় রেখেছে। জুলাই মাসে ইসরাইলের চিফ অব স্টাফ আয়াল জামির বলেছেন, ‘ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষ হয়নি।’ তার কথায় বোঝা গেছে, তেল আবিবের আসল লক্ষ্য পূরণ হয়নি। একইভাবে ইরানও তাদের মিসাইলের সংখ্যা বাড়িয়েছে। মোবাইল লঞ্চ সিস্টেমকে আরো উন্নত করেছে তারা। প্রতিরক্ষা পরিকল্পনাও বদলেছে। এই পদক্ষেপগুলো বলে দিচ্ছে, দ্বিতীয়বারের যুদ্ধে তেহরান আরো শক্তিশালী থাকবে। পদক্ষেপও নেবে আরো দ্রুত।

কিন্তু দ্বিতীয় যুদ্ধটা হওয়ার আশঙ্কা কতটা, দুপক্ষ আসলে কী চায়, তারা লক্ষ্য অর্জনে কতদূর যেতে প্রস্তুত—এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়া কঠিন। প্রথম লড়াইয়ের সময় ইসরাইল বিভিন্ন টার্গেটে আঘাত করেছিল। সামরিক ঘাঁটি থেকে নিয়ে মিসাইল স্থাপনাতেও হামলা করেছিল তারা। পারমাণবিক স্থাপনা, কমান্ড সেন্টার এবং ইরান সরকারের প্রতীকী বিভিন্ন স্থাপনাকে টার্গেট করেছিল তারা। গোপন পদক্ষেপের ক্ষেত্রে ইসরাইলকে সাহায্য করেছিল মোসাদ। ইরানের এয়ার ডিফেন্স, মিসাইল লঞ্চার, ইউরেনিয়াম প্ল্যান্ট, অস্ত্রগুদাম ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রগুলোকে কেন্দ্র করে হামলা করেছিল তারা।

এসব হামলার উদ্দেশ্য ছিল ইরানের নেতাদের ওপর আঘাত হানা। ইরান সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতাকে তারা নাড়িয়ে দিতে চেয়েছিল। অন্যকে ভয় দেখানোর ইরানের যে সক্ষমতা, সেটাকে দুর্বল করে দিতে চেয়েছিল। লড়াই যতই এগিয়ে গেছে, ইসরাইল ছোট যুদ্ধে জিতলেও বড় যুদ্ধে জিততে পারেনি। পরে আমরা জানতে পেরেছি, ইসরাইল ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনি ও প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানকে হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু সেটা তারা করতে পারেনি। আবার অস্ত্র দিয়ে জাতিগত দাঙ্গা লাগানোরও একটা উদ্দেশ্য ছিল তাদের। সেই পরিকল্পনাও কাজ করেনি।

ইরানের অভ্যন্তরীণ নীতির পরিবর্তন

ইরানে জনগণের মধ্যে পারমাণবিক শক্তির দাবি আরো বেড়ে গেছে। জনগণ নেতাদের আরো বেশি সমর্থন দিয়েছে। সরকার জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুকে ব্যবহার করে কঠিন আইন পাস করেছে। বহু শরণার্থীকে তারা ফেরত পাঠিয়েছে। দেশের ভেতরে শক্ত নিরাপত্তা পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। যুদ্ধের পর তদন্তের মাধ্যমে ইসরাইলি গোয়েন্দা গোষ্ঠীগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এদের কাছ থেকে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে। ইসরাইলের কৌশল, তাদের স্থানীয় সূত্র এবং সহিংসতা সৃষ্টির কৌশলগুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছে তারা। মজার ব্যাপার হলো, ইসরাইলের হামলা আসলে ইরানকে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরো উন্নত করার উপায় বাতলে দিয়েছে।

ইরানের মিসাইল ইসরাইলে আঘাত হেনেছে। এই অঞ্চলে ইরানের মিত্রদের মধ্যে পরাজয়ের যে গ্লানি ছিল, ইরানের হামলা সেই গ্লানি দূর করে দিয়েছে। এমন কথাও শোনা গেছে, ইরানের হামলার ভয়েই আসলে ইসরাইল অস্ত্রবিরতিতে রাজি হয়েছে। স্থানীয় ও মিত্রদের সংবাদ মাধ্যমগুলোয় এ ধরনের খবর ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। হামলার ষষ্ঠ দিনে ইসরাইলের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম যথেষ্ট দুর্বল হয়ে পড়েছিল। ইরান পরীক্ষা করে নিয়েছে যে, তাদের কোন মিসাইলটা সবচেয়ে ভালো কাজ করে। সেই মিসাইল তারা আরো বানিয়েছে। এগুলোকে তারা এবার স্থানান্তরযোগ্য করে বানিয়েছে। কারখানাগুলোর সক্ষমতাও বাড়ানো হয়েছে।

প্রত্যেক যুদ্ধেরই কিছু ব্যর্থতা আর অপূরণযোগ্য লক্ষ্য থাকে। কিন্তু এর কারণে দুর্বল জায়গাগুলো নগ্নভাবে প্রকাশিত হয়ে পড়ে। ইসরাইল ইরানের গোষ্ঠীগুলোকে ভালোভাবেই জানে। কিন্তু তারপরও ইরানের সংস্কৃতি বা সমাজকে তারা পড়তে পারেনি। তারা ভেবেছিল ১২ দিনেই ইরানের জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে চলে যাবে। তারা ভেবেছিল, সরকারের পতন হবে। পরিষ্কার বোঝা যায়, ইরানিদের মনোভাব তারা একেবারেই বুঝতে পারেনি।

যুদ্ধের শুরুর দিকে কী ধরনের মূল্য দিতে হয়, ইতিহাস থেকে সেই শিক্ষাটা পেয়েছে ইরানের জাতিগত গোষ্ঠীগুলো। সোভিয়েত ইউনিয়ন এর আগে তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিল, কিন্তু তাদের উচ্চ মূল্য দিতে হয়েছিল। ১৯৭৯ সালে আবার তারা এই বাস্তবতা টের পেয়েছে। এই স্মৃতিগুলো তাদের গভীরভাবে মনে আছে।

দ্বিতীয়ত, ইরানিরা তাদের সরকারের সমালোচনা করে, কিন্তু তারা দেশকে ভালোবাসে। ১২ দিনের যুদ্ধে সিরিয়া বা লিবিয়া হয়ে যাওয়ার ভয়ে জনগণ সরকারকে সমর্থন দিয়েছে। ইসরাইলের নেতারা অপতথ্য দিয়ে চালিত হয়েছিল, যেখানে এই সত্যটা ছিল অনুপস্থিত। আবার এটাও হতে পারে, তাড়াহুড়া পেয়ে বসেছিল তাদের। তাই এই বাস্তবতা তারা অগ্রাহ্য করেছে। মাহসা আমিনি ইস্যুতে যে বিক্ষোভ হয়েছিল, তখন সরকারের শক্তি সম্পর্কে একটা ধারণা পেয়েছিল ইসরাইলি আর পশ্চিমা গোয়েন্দারা। ইরান সেটা জানে এবং সেখান থেকেও শিক্ষা নিয়েছে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী।

তেহরানে এখন কেউই প্রকাশ্যে হিজাব আইন মানছে না। এই ইস্যু পার্লামেন্টেও উঠেছিল। কিন্তু ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল সেটাকে থামিয়ে দিয়েছে। এর মাধ্যমে একটা পরিবর্তন বোঝা গেল। ২০২২ সালের পর থেকে ইরানের শাসনব্যবস্থা আরো বাস্তবমুখী হয়ে উঠেছে। বাইরের অনেকেই এই বিষয়টা বুঝতে পারে না। ইরানের আসল জীবনযাত্রা আর প্রবাসী ইরানিদের জীবনযাপনের পার্থক্য তারা ধরতে পারে না। পশ্চিমা মিডিয়ায় প্রবাসী ইরানিদের যে চেহারা তুলে ধরা হয়, ইরানের বাস্তবতা তার থেকে অনেকটাই আলাদা। এই পার্থক্যটা সম্ভবত ইসরাইলের চিন্তাবিদদেরও বিভ্রান্ত করেছে। পশ্চিমা ও ইসরাইলি গোষ্ঠীগুলো প্রবাসীদের কথাবার্তাকে চূড়ান্ত সত্য ধরে নিয়েছিল। তাই তাদের আত্মবিশ্বাস অতিরিক্ত বেড়ে গিয়েছিল। আর কৌশলেও তারা ভুল করেছে।

ইসরাইলের জন্য চ্যালেঞ্জ

দ্বিতীয় আরেকটা যুদ্ধ হতেও পারে। ইসরাইলের দৃষ্টিভঙ্গি হলো, ইরান শান্তির কথা বললেও তাদের মিসাইলের সংখ্যা বৃদ্ধি, এয়ার ডিফেন্সের উন্নয়ন এবং নতুন প্রক্সি গড়ার পদক্ষেপগুলো দীর্ঘ মেয়াদে ইসরাইলের জন্য আরো বড় হুমকি করে তুলছে। ইসলামি বিপ্লবের আদর্শ যতদিন টিকে থাকবে, ততদিন ইরানের প্রক্সিগুলোকে নির্মূল করা কঠিনই থাকবে। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির গতি কমে গেছে, কিন্তু সেটা তারা আবার গড়তে পারবে। তাদের মিসাইলের মজুত টিকে আছে। অপারেশান রাইজিং লায়ন পরিচালনা করে ইসরাইল তাই অনেক লক্ষ্যই অর্জন করতে পারেনি। সামরিক ও কৌশলগত দিক থেকে দেখলে ইসরাইলের দিক থেকে তাই নতুন হামলার আশঙ্কা চলে যায়নি।

কিন্তু ইসরাইলের বড় সমস্যাও আছে। বড় দেশের বিরুদ্ধে ছোট দেশের কৌশলের অন্যতম দিক হলো তাদের চমক লাগানোর ক্ষমতা। সেটা চলে গেছে ইসরাইলের। ইরানিরা ধরেই রেখেছে, দ্বিতীয় হামলা হতে পারে। জুন থেকে প্রতিদিনই তারা এজন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। লড়াই আর শঙ্কা ইরানের গোয়েন্দা গোষ্ঠীগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। অভ্যন্তরীণ পুরোনো অন্তর্দ্বন্দ্ব বন্ধ হয়ে গেছে। এখন তারা আরো কার্যকরভাবে কাজ করছে।

দীর্ঘ গাজা যুদ্ধের কারণে ইসরাইল সারা বিশ্বে সম্মান হারিয়েছে। বহু মাস ধরে তারা বোমা ফেলেছে, বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করেছে, ত্রাণ সংস্থাগুলোকে বাধা দিয়েছে। এগুলো তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। এমনকি নিরপেক্ষ মানুষও এখন ইসরাইলকে হামলাকারী মনে করে। ইরানের ওপর নতুন করে যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়ার যুক্তি দেখানোটা তাদের জন্য এখন কঠিন হবে। তাদের নেতারা দ্রুত জিততে চায়, কিন্তু দেশের বাইরে সমর্থন কমে যাওয়া এবং মার্কিন সমালোচনার কারণে তাদের মূল্য দিতে হচ্ছে অনেক বেশি।

অস্ত্র বিরতি নয়, কৌশলগত নীরবতা

ইসরাইলের ওপর আঘাত হানা এবং নিজেদের অস্ত্র শক্তি পরীক্ষা করতে পেরে ইরান এখন নিজেদের শক্তিশালী মনে করছে। ইরানে অনেকেই মনে করেন, মার্কিন নেতৃত্বাধীন যুদ্ধবিরতি ইসরাইলেরই বেশি উপকার করেছে। তারা বিশ্বাস করেন, ইসরাইল দীর্ঘ সময় লড়তে পারবে না। এই বিশ্বাসের কারণে তেহরানের কেউ কেউ ভবিষ্যতে কোনো অস্ত্রবিরতি চান না, তারা আঘাত-প্রত্যাঘাত চালিয়ে যেতে চান।

এই পরিবর্তনটা গুরুত্বপূর্ণ। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ, ককেশাস ও বলকান অঞ্চলের মতো ইরান অনেক আঘাত সহ্য করার ক্ষমতা রাখে। তারা মনে করে, ইরানে লাখ লাখ প্রাণক্ষয় আর ইসরাইলে হাজার হাজার প্রাণক্ষয় এক নয়। এই অসম সমীকরণের অর্থ হলো ইসরাইল অভ্যন্তরীণভাবে আরো আঘাতের মুখে পড়বে। ইসরাইল যে ইহুদিদের জন্য নিরাপদ আবাস, এই ধারণাটা দুই বছরের মাথায় এসে দুর্বল হয়ে গেছে। বহু ইহুদি দেশ ছেড়ে যাচ্ছে। ইরানের নেতাদের কাছে তাই অস্ত্রবিরতি অগ্রাহ্য করার যুক্তিটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ফলে অস্ত্রবিরতিটা তাদের কাছে কৌশলগত ধৈর্যে রূপ নিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে যদি মিত্ররা মিলে বড় ধরনের হামলা করে, তাহলেই কেবল পরিস্থিতি বদলাতে পারে। কিন্তু তুরস্কের মতো দেশ এর বিরুদ্ধে লড়বে, কারণ এ ধরনের হামলা পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে ঝুঁকিতে ফেলে দেবে। ইরান যদি তাদের সব গুরুত্বপূর্ণ ভবন, বিদ্যুৎ অবকাঠামো, আর সম্প্রচার সিস্টেমের নিয়ন্ত্রণ হারায়, তাহলে বলা মুশকিল তাদের জবাবের তীব্রতা কোথায় গিয়ে থামবে।

দ্বিতীয়বার যুদ্ধ লাগলে ইসরাইল ইরানের মোবাইল মিসাইল ট্রাক আর মিসাইলের মজুতগুলোয় সবার আগে হামলার চেষ্টা করবে। রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরির জন্য তারা নেতাদেরও টার্গেট করতে পারে। ১৯৯১ থেকে ২০০৩ সালের ইরাকের মতো অবস্থা তৈরি করতে চাইবে তারা। ইরাক রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকলেও দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিল। সেই অবস্থা তৈরির জন্য ইসরাইল ইরানের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলোয় আঘাত হানার চেষ্টা করবে। এর শুরুটা হবে বিদ্যুৎ গ্রিড দিয়ে। কিন্তু বিশ্ব এখন নব্বইয়ের দশকে নেই। ইরান একা নয় বা পুরোপুরি দেউলিয়াও নয়। ইরান গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলো পুনর্নির্মাণ করবে, অথবা মেরামত করে নেবে। এরপর তারা কঠিন পাল্টা জবাব দেবে। তখনো যদি ইসরাইল জয় পেতে চায়, তাহলে তাদের কঠিন মূল্য দিতে হবে, যে জয়ের আসলে শেষ পর্যন্ত কোনো অর্থ থাকবে না।

তুরস্কের ডেইলি সাবাহ অবলম্বনে জুলফিকার হায়দার

সম্পাদক ও প্রকাশক : মাহমুদুর রহমান কর্তৃক প্রকাশিত এবং আল-ফালাহ প্রিন্টিং প্রেস, ৪২৩, এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭ থেকে এবং অস্থায়ীভাবে মিডিয়া প্রিন্টার্স লি. ৪৪৬/এইচ, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্য বিভাগ : ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ৯৯, কাজী নজরুল ইসলাম এভিণিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫। পিএবিএক্স : ০২-৫৫০১২২৫০। ই-মেইল : info@dailyamardesh.com

১২ দিনের তীব্র লড়াইয়ের পর ২০২৫ সালের ২৪ জুন ইসরাইল আর ইরান অস্ত্রবিরতিতে রাজি হয়। কিন্তু এই অঞ্চলের যে গভীর উত্তেজনা, এই চুক্তি সেটা দূর করতে পারেনি। সপ্তাহ কয়েক পরে দুপক্ষই তাদের সামরিক ও রাজনৈতিক পরিকল্পনা আরো চাঙা করেছে এবং নতুন লড়াইয়ের কথা মাথায় রেখেছে। জুলাই মাসে ইসরাইলের চিফ অব স্টাফ আয়াল জামির বলেছেন, ‘ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষ হয়নি।’ তার কথায় বোঝা গেছে, তেল আবিবের আসল লক্ষ্য পূরণ হয়নি। একইভাবে ইরানও তাদের মিসাইলের সংখ্যা বাড়িয়েছে। মোবাইল লঞ্চ সিস্টেমকে আরো উন্নত করেছে তারা। প্রতিরক্ষা পরিকল্পনাও বদলেছে। এই পদক্ষেপগুলো বলে দিচ্ছে, দ্বিতীয়বারের যুদ্ধে তেহরান আরো শক্তিশালী থাকবে। পদক্ষেপও নেবে আরো দ্রুত।

কিন্তু দ্বিতীয় যুদ্ধটা হওয়ার আশঙ্কা কতটা, দুপক্ষ আসলে কী চায়, তারা লক্ষ্য অর্জনে কতদূর যেতে প্রস্তুত—এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়া কঠিন। প্রথম লড়াইয়ের সময় ইসরাইল বিভিন্ন টার্গেটে আঘাত করেছিল। সামরিক ঘাঁটি থেকে নিয়ে মিসাইল স্থাপনাতেও হামলা করেছিল তারা। পারমাণবিক স্থাপনা, কমান্ড সেন্টার এবং ইরান সরকারের প্রতীকী বিভিন্ন স্থাপনাকে টার্গেট করেছিল তারা। গোপন পদক্ষেপের ক্ষেত্রে ইসরাইলকে সাহায্য করেছিল মোসাদ। ইরানের এয়ার ডিফেন্স, মিসাইল লঞ্চার, ইউরেনিয়াম প্ল্যান্ট, অস্ত্রগুদাম ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রগুলোকে কেন্দ্র করে হামলা করেছিল তারা।

বিজ্ঞাপন

এসব হামলার উদ্দেশ্য ছিল ইরানের নেতাদের ওপর আঘাত হানা। ইরান সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতাকে তারা নাড়িয়ে দিতে চেয়েছিল। অন্যকে ভয় দেখানোর ইরানের যে সক্ষমতা, সেটাকে দুর্বল করে দিতে চেয়েছিল। লড়াই যতই এগিয়ে গেছে, ইসরাইল ছোট যুদ্ধে জিতলেও বড় যুদ্ধে জিততে পারেনি। পরে আমরা জানতে পেরেছি, ইসরাইল ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনি ও প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানকে হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু সেটা তারা করতে পারেনি। আবার অস্ত্র দিয়ে জাতিগত দাঙ্গা লাগানোরও একটা উদ্দেশ্য ছিল তাদের। সেই পরিকল্পনাও কাজ করেনি।

ইরানের অভ্যন্তরীণ নীতির পরিবর্তন

ইরানে জনগণের মধ্যে পারমাণবিক শক্তির দাবি আরো বেড়ে গেছে। জনগণ নেতাদের আরো বেশি সমর্থন দিয়েছে। সরকার জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুকে ব্যবহার করে কঠিন আইন পাস করেছে। বহু শরণার্থীকে তারা ফেরত পাঠিয়েছে। দেশের ভেতরে শক্ত নিরাপত্তা পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। যুদ্ধের পর তদন্তের মাধ্যমে ইসরাইলি গোয়েন্দা গোষ্ঠীগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এদের কাছ থেকে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে। ইসরাইলের কৌশল, তাদের স্থানীয় সূত্র এবং সহিংসতা সৃষ্টির কৌশলগুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছে তারা। মজার ব্যাপার হলো, ইসরাইলের হামলা আসলে ইরানকে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরো উন্নত করার উপায় বাতলে দিয়েছে।

ইরানের মিসাইল ইসরাইলে আঘাত হেনেছে। এই অঞ্চলে ইরানের মিত্রদের মধ্যে পরাজয়ের যে গ্লানি ছিল, ইরানের হামলা সেই গ্লানি দূর করে দিয়েছে। এমন কথাও শোনা গেছে, ইরানের হামলার ভয়েই আসলে ইসরাইল অস্ত্রবিরতিতে রাজি হয়েছে। স্থানীয় ও মিত্রদের সংবাদ মাধ্যমগুলোয় এ ধরনের খবর ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। হামলার ষষ্ঠ দিনে ইসরাইলের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম যথেষ্ট দুর্বল হয়ে পড়েছিল। ইরান পরীক্ষা করে নিয়েছে যে, তাদের কোন মিসাইলটা সবচেয়ে ভালো কাজ করে। সেই মিসাইল তারা আরো বানিয়েছে। এগুলোকে তারা এবার স্থানান্তরযোগ্য করে বানিয়েছে। কারখানাগুলোর সক্ষমতাও বাড়ানো হয়েছে।

প্রত্যেক যুদ্ধেরই কিছু ব্যর্থতা আর অপূরণযোগ্য লক্ষ্য থাকে। কিন্তু এর কারণে দুর্বল জায়গাগুলো নগ্নভাবে প্রকাশিত হয়ে পড়ে। ইসরাইল ইরানের গোষ্ঠীগুলোকে ভালোভাবেই জানে। কিন্তু তারপরও ইরানের সংস্কৃতি বা সমাজকে তারা পড়তে পারেনি। তারা ভেবেছিল ১২ দিনেই ইরানের জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে চলে যাবে। তারা ভেবেছিল, সরকারের পতন হবে। পরিষ্কার বোঝা যায়, ইরানিদের মনোভাব তারা একেবারেই বুঝতে পারেনি।

যুদ্ধের শুরুর দিকে কী ধরনের মূল্য দিতে হয়, ইতিহাস থেকে সেই শিক্ষাটা পেয়েছে ইরানের জাতিগত গোষ্ঠীগুলো। সোভিয়েত ইউনিয়ন এর আগে তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিল, কিন্তু তাদের উচ্চ মূল্য দিতে হয়েছিল। ১৯৭৯ সালে আবার তারা এই বাস্তবতা টের পেয়েছে। এই স্মৃতিগুলো তাদের গভীরভাবে মনে আছে।

দ্বিতীয়ত, ইরানিরা তাদের সরকারের সমালোচনা করে, কিন্তু তারা দেশকে ভালোবাসে। ১২ দিনের যুদ্ধে সিরিয়া বা লিবিয়া হয়ে যাওয়ার ভয়ে জনগণ সরকারকে সমর্থন দিয়েছে। ইসরাইলের নেতারা অপতথ্য দিয়ে চালিত হয়েছিল, যেখানে এই সত্যটা ছিল অনুপস্থিত। আবার এটাও হতে পারে, তাড়াহুড়া পেয়ে বসেছিল তাদের। তাই এই বাস্তবতা তারা অগ্রাহ্য করেছে। মাহসা আমিনি ইস্যুতে যে বিক্ষোভ হয়েছিল, তখন সরকারের শক্তি সম্পর্কে একটা ধারণা পেয়েছিল ইসরাইলি আর পশ্চিমা গোয়েন্দারা। ইরান সেটা জানে এবং সেখান থেকেও শিক্ষা নিয়েছে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী।

তেহরানে এখন কেউই প্রকাশ্যে হিজাব আইন মানছে না। এই ইস্যু পার্লামেন্টেও উঠেছিল। কিন্তু ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল সেটাকে থামিয়ে দিয়েছে। এর মাধ্যমে একটা পরিবর্তন বোঝা গেল। ২০২২ সালের পর থেকে ইরানের শাসনব্যবস্থা আরো বাস্তবমুখী হয়ে উঠেছে। বাইরের অনেকেই এই বিষয়টা বুঝতে পারে না। ইরানের আসল জীবনযাত্রা আর প্রবাসী ইরানিদের জীবনযাপনের পার্থক্য তারা ধরতে পারে না। পশ্চিমা মিডিয়ায় প্রবাসী ইরানিদের যে চেহারা তুলে ধরা হয়, ইরানের বাস্তবতা তার থেকে অনেকটাই আলাদা। এই পার্থক্যটা সম্ভবত ইসরাইলের চিন্তাবিদদেরও বিভ্রান্ত করেছে। পশ্চিমা ও ইসরাইলি গোষ্ঠীগুলো প্রবাসীদের কথাবার্তাকে চূড়ান্ত সত্য ধরে নিয়েছিল। তাই তাদের আত্মবিশ্বাস অতিরিক্ত বেড়ে গিয়েছিল। আর কৌশলেও তারা ভুল করেছে।

ইসরাইলের জন্য চ্যালেঞ্জ

দ্বিতীয় আরেকটা যুদ্ধ হতেও পারে। ইসরাইলের দৃষ্টিভঙ্গি হলো, ইরান শান্তির কথা বললেও তাদের মিসাইলের সংখ্যা বৃদ্ধি, এয়ার ডিফেন্সের উন্নয়ন এবং নতুন প্রক্সি গড়ার পদক্ষেপগুলো দীর্ঘ মেয়াদে ইসরাইলের জন্য আরো বড় হুমকি করে তুলছে। ইসলামি বিপ্লবের আদর্শ যতদিন টিকে থাকবে, ততদিন ইরানের প্রক্সিগুলোকে নির্মূল করা কঠিনই থাকবে। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির গতি কমে গেছে, কিন্তু সেটা তারা আবার গড়তে পারবে। তাদের মিসাইলের মজুত টিকে আছে। অপারেশান রাইজিং লায়ন পরিচালনা করে ইসরাইল তাই অনেক লক্ষ্যই অর্জন করতে পারেনি। সামরিক ও কৌশলগত দিক থেকে দেখলে ইসরাইলের দিক থেকে তাই নতুন হামলার আশঙ্কা চলে যায়নি।

কিন্তু ইসরাইলের বড় সমস্যাও আছে। বড় দেশের বিরুদ্ধে ছোট দেশের কৌশলের অন্যতম দিক হলো তাদের চমক লাগানোর ক্ষমতা। সেটা চলে গেছে ইসরাইলের। ইরানিরা ধরেই রেখেছে, দ্বিতীয় হামলা হতে পারে। জুন থেকে প্রতিদিনই তারা এজন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। লড়াই আর শঙ্কা ইরানের গোয়েন্দা গোষ্ঠীগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। অভ্যন্তরীণ পুরোনো অন্তর্দ্বন্দ্ব বন্ধ হয়ে গেছে। এখন তারা আরো কার্যকরভাবে কাজ করছে।

দীর্ঘ গাজা যুদ্ধের কারণে ইসরাইল সারা বিশ্বে সম্মান হারিয়েছে। বহু মাস ধরে তারা বোমা ফেলেছে, বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করেছে, ত্রাণ সংস্থাগুলোকে বাধা দিয়েছে। এগুলো তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। এমনকি নিরপেক্ষ মানুষও এখন ইসরাইলকে হামলাকারী মনে করে। ইরানের ওপর নতুন করে যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়ার যুক্তি দেখানোটা তাদের জন্য এখন কঠিন হবে। তাদের নেতারা দ্রুত জিততে চায়, কিন্তু দেশের বাইরে সমর্থন কমে যাওয়া এবং মার্কিন সমালোচনার কারণে তাদের মূল্য দিতে হচ্ছে অনেক বেশি।

অস্ত্র বিরতি নয়, কৌশলগত নীরবতা

ইসরাইলের ওপর আঘাত হানা এবং নিজেদের অস্ত্র শক্তি পরীক্ষা করতে পেরে ইরান এখন নিজেদের শক্তিশালী মনে করছে। ইরানে অনেকেই মনে করেন, মার্কিন নেতৃত্বাধীন যুদ্ধবিরতি ইসরাইলেরই বেশি উপকার করেছে। তারা বিশ্বাস করেন, ইসরাইল দীর্ঘ সময় লড়তে পারবে না। এই বিশ্বাসের কারণে তেহরানের কেউ কেউ ভবিষ্যতে কোনো অস্ত্রবিরতি চান না, তারা আঘাত-প্রত্যাঘাত চালিয়ে যেতে চান।

এই পরিবর্তনটা গুরুত্বপূর্ণ। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ, ককেশাস ও বলকান অঞ্চলের মতো ইরান অনেক আঘাত সহ্য করার ক্ষমতা রাখে। তারা মনে করে, ইরানে লাখ লাখ প্রাণক্ষয় আর ইসরাইলে হাজার হাজার প্রাণক্ষয় এক নয়। এই অসম সমীকরণের অর্থ হলো ইসরাইল অভ্যন্তরীণভাবে আরো আঘাতের মুখে পড়বে। ইসরাইল যে ইহুদিদের জন্য নিরাপদ আবাস, এই ধারণাটা দুই বছরের মাথায় এসে দুর্বল হয়ে গেছে। বহু ইহুদি দেশ ছেড়ে যাচ্ছে। ইরানের নেতাদের কাছে তাই অস্ত্রবিরতি অগ্রাহ্য করার যুক্তিটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ফলে অস্ত্রবিরতিটা তাদের কাছে কৌশলগত ধৈর্যে রূপ নিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে যদি মিত্ররা মিলে বড় ধরনের হামলা করে, তাহলেই কেবল পরিস্থিতি বদলাতে পারে। কিন্তু তুরস্কের মতো দেশ এর বিরুদ্ধে লড়বে, কারণ এ ধরনের হামলা পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে ঝুঁকিতে ফেলে দেবে। ইরান যদি তাদের সব গুরুত্বপূর্ণ ভবন, বিদ্যুৎ অবকাঠামো, আর সম্প্রচার সিস্টেমের নিয়ন্ত্রণ হারায়, তাহলে বলা মুশকিল তাদের জবাবের তীব্রতা কোথায় গিয়ে থামবে।

দ্বিতীয়বার যুদ্ধ লাগলে ইসরাইল ইরানের মোবাইল মিসাইল ট্রাক আর মিসাইলের মজুতগুলোয় সবার আগে হামলার চেষ্টা করবে। রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরির জন্য তারা নেতাদেরও টার্গেট করতে পারে। ১৯৯১ থেকে ২০০৩ সালের ইরাকের মতো অবস্থা তৈরি করতে চাইবে তারা। ইরাক রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকলেও দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিল। সেই অবস্থা তৈরির জন্য ইসরাইল ইরানের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলোয় আঘাত হানার চেষ্টা করবে। এর শুরুটা হবে বিদ্যুৎ গ্রিড দিয়ে। কিন্তু বিশ্ব এখন নব্বইয়ের দশকে নেই। ইরান একা নয় বা পুরোপুরি দেউলিয়াও নয়। ইরান গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলো পুনর্নির্মাণ করবে, অথবা মেরামত করে নেবে। এরপর তারা কঠিন পাল্টা জবাব দেবে। তখনো যদি ইসরাইল জয় পেতে চায়, তাহলে তাদের কঠিন মূল্য দিতে হবে, যে জয়ের আসলে শেষ পর্যন্ত কোনো অর্থ থাকবে না।

তুরস্কের ডেইলি সাবাহ অবলম্বনে জুলফিকার হায়দার

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

আমার দেশইরান
সর্বশেষ
১

‘আ.লীগ এখন ভাড়াটে টোকাইদের ওপর নির্ভরশীল’

২

নিয়মিত হয়েও ‘বহিরাগত’ তকমা আড়াই হাজার শিক্ষার্থীর

৩

পদ্মার চরে খড় ব্যবসাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী বিরোধ

৪

টানা চার জয়ে বিশ্বকাপের আরও কাছে জার্মানি

৫

আমরা বিভেদ চাই না, মিলেমিশে থাকতে চাই: আফরোজা খান রিতা

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত

গ্রাম আদালত : ন্যায়বিচারের নতুন যাত্রা

গ্রাম আদালত শক্তিশালীকরণের তৃতীয় পর্যায় বাংলাদেশের ন্যায়বিচার ব্যবস্থার নতুন দর্শন। যদি এটি সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়, তবে দেশের বিচারব্যবস্থার ওপর চাপ অনেক কমে যাবে। উচ্চ আদালতে মামলা কমে আসবে, ফলে বিচারকরা জটিল মামলা নিষ্পত্তিতে অধিকতর সময় দিতে পারবেন। সবচেয়ে বড় কথা, গ্রামীণ জনগণ আর ন্যায়বিচারকে দূরের

২ ঘণ্টা আগে

অদূরদর্শী নেতাদের বিজয় : দক্ষিণ এশিয়ার অভিজ্ঞতা

এরিস্টটলের শিক্ষা আজও ঢাকা ও দিল্লির মতোই প্রযোজ্য, যেমনটি ছিল এথেন্সে—রাজনীতি নাগরিকের আত্মার প্রতিফলন। যখন সমাজ নৈতিকতার দাবি ত্যাগ করে, তখন অবশ্যম্ভাবীভাবে তারা অদূরদর্শী নেতৃত্বের অধীনে পড়ে।

২ ঘণ্টা আগে

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জাতীয় ঐক্যের পথ

আমরা যেন একটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত অতিক্রম করছি; দিগন্তে ফুটে উঠেছে একটি আলোর রেখা। অতিকথন নয়, বাস্তবায়নেরই অঙ্গীকার যেন প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। সেটাই মনে হলো ড. প্রফেসর ইউনূসের ভাষণ শুনতে শুনতে। মনে হচ্ছিল অতীতের কায়েমি স্বার্থের নিগড়ে বাঁধা পুরোনো রাষ্ট্রব্যবস্থার ধ্বংসস্তূপে

৩ ঘণ্টা আগে

ডায়াবেটিস : শুধু ব্যক্তিগত নয়, সামাজিক দায়ের রোগ

আজকের দিনে ডায়াবেটিস নিয়ে কথা বললে আমরা প্রায়ই শুনি—‘অতিরিক্ত খাওয়া’, ‘কম ব্যায়াম’, ‘অতিরিক্ত ওজন’ বা ‘জীবনযাত্রার অনিয়ম’। গণমাধ্যমে নিয়মিত এভাবেই ব্যক্তিগত অভ্যাসকেই বেশি দায়ী করা হয়।

১ দিন আগে
গ্রাম আদালত : ন্যায়বিচারের নতুন যাত্রা

গ্রাম আদালত : ন্যায়বিচারের নতুন যাত্রা

অদূরদর্শী নেতাদের বিজয় : দক্ষিণ এশিয়ার অভিজ্ঞতা

অদূরদর্শী নেতাদের বিজয় : দক্ষিণ এশিয়ার অভিজ্ঞতা

ইরান ও ইসরাইল কি আবার যুদ্ধে জড়াবে?

ইরান ও ইসরাইল কি আবার যুদ্ধে জড়াবে?

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জাতীয় ঐক্যের পথ

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জাতীয় ঐক্যের পথ