ড. গাজী মো. এহসান উর রাহমান
বাংলাদেশ পোশাক এবং কৃষির মতো ঐতিহ্যবাহী শিল্পের বাইরেও উন্নতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। উন্নত ডিজিটাল অবকাঠামো, উন্নত শাসনব্যবস্থা এবং ক্রমবর্ধমান বিদেশি বিনিয়োগের ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে অনেক নতুন এবং উচ্চপ্রযুক্তির শিল্পের আবির্ভাব হতে পারে। এখানে বিশাল সম্ভাবনার শীর্ষ ক্ষেত্রগুলো তুলে ধরা হলো-
১. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং মেশিন লার্নিং
বাংলাদেশ ডাটা লেবেলিং, চ্যাটবট তৈরি এবং স্মার্ট অ্যানালাইসিসের মতো এআই পরিষেবাগুলোর জন্য একটি গ্লোবাল হাব হয়ে উঠতে পারে। এই পরিষেবাগুলো ১ বিলিয়ন ডলারের শিল্প তৈরি করতে পারে। এআই স্বাস্থ্যসেবা এবং কৃষির মতো স্থানীয় খাতেও সহায়তা করতে পারে। গুগল বা আইবিএমের মতো বড় কোম্পানিগুলো এখানে গবেষণা কেন্দ্র খুলতে পারে।
২. সেমিকন্ডাক্টর এবং ইলেকট্রনিকস
কম শ্রম খরচে বাংলাদেশ সেমিকন্ডাক্টর প্যাকেজিং, ডিভাইস অ্যাসেম্বলিং এবং টেস্টিং’য়ে বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারে। স্মার্টফোন এবং স্মার্ট ডিভাইস উৎপাদন ২০৩০ সালের মধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় আনতে পারে। স্যামসাং এবং শাওমির মতো কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে তাদের উৎপাদন কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে পারে।
৩. বৈদ্যুতিক যানবাহন (ইভি) এবং লিথিয়াম ব্যাটারি
প্রগতি এবং ওয়ালটনের মতো স্থানীয় কোম্পানিগুলো বৈদ্যুতিক বাস এবং বাইক চালু করছে। এর ফলে চীনা এবং কোরিয়ান সংস্থাগুলোর সঙ্গে অংশীদারত্বে ২ বিলিয়ন ডলারের স্থানীয় শিল্প তৈরি হতে পারে, বিশেষ করে লিথিয়াম ব্যাটারি উৎপাদনের জন্য।
৪. মহাকাশ প্রযুক্তি এবং স্যাটেলাইট পরিষেবা
উপগ্রহগুলো গ্রামীণ এলাকায় ইন্টারনেট সেবা উন্নত করতে, আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিতে এবং ফসল পর্যবেক্ষণ করতে সহায়তা করতে পারে। স্পেসএক্স ও স্টারলিংকের সহযোগিতা বাংলাদেশের মহাকাশ প্রযুক্তি খাতকে উন্নীত করতে পারে।
৫. ফিনটেক এবং ব্লকচেইন
ডিজিটাল ব্যাংকিং, ব্লকচেইন দ্বারা সুরক্ষিত ভূমি রেকর্ড এবং পোশাকশিল্পের জন্য স্বচ্ছব্যবস্থা ১০ বিলিয়ন ডলারের লেনদেন পরিচালনা করতে পারে। এই প্রযুক্তিগুলো দেশের মানুষের আস্থা এবং কর্ম দক্ষতাও উন্নত করবে।
৬. জৈবপ্রযুক্তি এবং ওষুধশিল্প
ভ্যাকসিন এবং উন্নত ওষুধ উৎপাদনের ফলে ৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় হতে পারে, বিশেষ করে ইউরোপ এবং আফ্রিকায়। জেনেটিক গবেষণা ক্যানসার চিকিৎসা এবং এআই-চালিত রোগ নির্ণয়কেও সহায়তা করতে পারে। ফাইজারের মতো বিশ্বব্যাপী কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করতে পারে।
৭. নবায়নযোগ্য শক্তি
স্থানীয় ব্যবহার এবং রপ্তানির জন্য বাংলাদেশ সৌর প্যানেল এবং বায়ু টারবাইন তৈরি করতে পারে। সরকার ডেনমার্ক এবং চীনের মতো দেশের সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে ১০ গিগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ এবং ৫ গিগাওয়াট বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারে।
৮. রোবোটিকস এবং অটোমেশন
পোশাক কারখানায় রোবট শ্রম খরচ কমাতে পারে এবং ড্রোন কৃষকদের ফসল পর্যবেক্ষণে সহায়তা করতে পারে। টাইগারআইটি এবং ব্রেইন স্টেশন-২৩-এর মতো স্থানীয় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো ইতোমধ্যেই এ ক্ষেত্রে কাজ করছে।
৯. মেডটেক এবং টেলিমেডিসিন
পোর্টেবল আল্ট্রাসাউন্ড মেশিনের মতো সাশ্রয়ী মূল্যের এআইভিত্তিক ডিভাইস গ্রামীণ এলাকায় মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা আনতে পারে। ডক্টোরোলা এবং প্রাভা হেলথের মতো কোম্পানিগুলো এ বিষয়ে কাজ রছে। সফটব্যাংক বা গেটস ফাউন্ডেশনের মতো প্রধান বিনিয়োগকারীরা এই খাতকে সমর্থন করতে পারে।
১০. মহাসাগর অর্থনীতি (নীল অর্থনীতি)
গভীর সমুদ্রসম্পদ এবং সামুদ্রিক জৈবপ্রযুক্তি (যেমন প্রবাল থেকে ক্যানসারপ্রতিরোধী ওষুধ) অন্বেষণ ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারে।
সরকারের করণীয় বা বিবেচ্য বিষয়
এই প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন করার জন্য, সরকারের উচিত-
-একটি জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতি তৈরি করা।
-উচ্চপ্রযুক্তির কোম্পানিগুলোকে করছাড় দেওয়া।
-উচ্চপ্রযুক্তির পার্ক এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (SEZ) তৈরি করা।
-প্রযুক্তির জন্য তাইওয়ান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলোর সঙ্গে অংশীদারত্ব করা।
-২০২৭ সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানির যানবাহনগুলো নিষিদ্ধ করা।
-দেশব্যাপী সৌর চার্জিং স্টেশন স্থাপন করা।
-একটি নিয়ন্ত্রিত পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের (স্যান্ডবক্স) মাধ্যমে ফিনটেককে সমর্থন করা।
-২০২৬ সালের মধ্যে ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধকরণ এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
এই প্রচেষ্টাগুলো দ্রুত, ন্যায্য এবং দুর্নীতিমুক্ত হওয়া দরকার। উদ্ভাবন প্রযুক্তি-বুদ্ধিমান নেতাদের দ্বারা পরিচালিত হওয়া উচিতÑ লাল ফিতার বন্ধনে ধীর হয়ে যাওয়া নয় ।
যদি চলমান সংস্কার অব্যাহত থাকে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার উন্নতি হয় এবং বিনিয়োগ প্রবাহ সচল থাকে, তাহলে বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে একটি প্রযুক্তিগত শক্তিধর দেশ এবং এশিয়ার একটি প্রযুক্তিগত অংশীদার হয়ে উঠতে পারে। তবে রাজনীতির পটপরিবর্তন হলে বা বিশ্ব অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়লে অগ্রগতি থমকে যেতে পারে।
লেখক : প্রকৌশলী, গবেষক ও অধ্যাপক
বাংলাদেশ পোশাক এবং কৃষির মতো ঐতিহ্যবাহী শিল্পের বাইরেও উন্নতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। উন্নত ডিজিটাল অবকাঠামো, উন্নত শাসনব্যবস্থা এবং ক্রমবর্ধমান বিদেশি বিনিয়োগের ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে অনেক নতুন এবং উচ্চপ্রযুক্তির শিল্পের আবির্ভাব হতে পারে। এখানে বিশাল সম্ভাবনার শীর্ষ ক্ষেত্রগুলো তুলে ধরা হলো-
১. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং মেশিন লার্নিং
বাংলাদেশ ডাটা লেবেলিং, চ্যাটবট তৈরি এবং স্মার্ট অ্যানালাইসিসের মতো এআই পরিষেবাগুলোর জন্য একটি গ্লোবাল হাব হয়ে উঠতে পারে। এই পরিষেবাগুলো ১ বিলিয়ন ডলারের শিল্প তৈরি করতে পারে। এআই স্বাস্থ্যসেবা এবং কৃষির মতো স্থানীয় খাতেও সহায়তা করতে পারে। গুগল বা আইবিএমের মতো বড় কোম্পানিগুলো এখানে গবেষণা কেন্দ্র খুলতে পারে।
২. সেমিকন্ডাক্টর এবং ইলেকট্রনিকস
কম শ্রম খরচে বাংলাদেশ সেমিকন্ডাক্টর প্যাকেজিং, ডিভাইস অ্যাসেম্বলিং এবং টেস্টিং’য়ে বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারে। স্মার্টফোন এবং স্মার্ট ডিভাইস উৎপাদন ২০৩০ সালের মধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় আনতে পারে। স্যামসাং এবং শাওমির মতো কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে তাদের উৎপাদন কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে পারে।
৩. বৈদ্যুতিক যানবাহন (ইভি) এবং লিথিয়াম ব্যাটারি
প্রগতি এবং ওয়ালটনের মতো স্থানীয় কোম্পানিগুলো বৈদ্যুতিক বাস এবং বাইক চালু করছে। এর ফলে চীনা এবং কোরিয়ান সংস্থাগুলোর সঙ্গে অংশীদারত্বে ২ বিলিয়ন ডলারের স্থানীয় শিল্প তৈরি হতে পারে, বিশেষ করে লিথিয়াম ব্যাটারি উৎপাদনের জন্য।
৪. মহাকাশ প্রযুক্তি এবং স্যাটেলাইট পরিষেবা
উপগ্রহগুলো গ্রামীণ এলাকায় ইন্টারনেট সেবা উন্নত করতে, আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিতে এবং ফসল পর্যবেক্ষণ করতে সহায়তা করতে পারে। স্পেসএক্স ও স্টারলিংকের সহযোগিতা বাংলাদেশের মহাকাশ প্রযুক্তি খাতকে উন্নীত করতে পারে।
৫. ফিনটেক এবং ব্লকচেইন
ডিজিটাল ব্যাংকিং, ব্লকচেইন দ্বারা সুরক্ষিত ভূমি রেকর্ড এবং পোশাকশিল্পের জন্য স্বচ্ছব্যবস্থা ১০ বিলিয়ন ডলারের লেনদেন পরিচালনা করতে পারে। এই প্রযুক্তিগুলো দেশের মানুষের আস্থা এবং কর্ম দক্ষতাও উন্নত করবে।
৬. জৈবপ্রযুক্তি এবং ওষুধশিল্প
ভ্যাকসিন এবং উন্নত ওষুধ উৎপাদনের ফলে ৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় হতে পারে, বিশেষ করে ইউরোপ এবং আফ্রিকায়। জেনেটিক গবেষণা ক্যানসার চিকিৎসা এবং এআই-চালিত রোগ নির্ণয়কেও সহায়তা করতে পারে। ফাইজারের মতো বিশ্বব্যাপী কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করতে পারে।
৭. নবায়নযোগ্য শক্তি
স্থানীয় ব্যবহার এবং রপ্তানির জন্য বাংলাদেশ সৌর প্যানেল এবং বায়ু টারবাইন তৈরি করতে পারে। সরকার ডেনমার্ক এবং চীনের মতো দেশের সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে ১০ গিগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ এবং ৫ গিগাওয়াট বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারে।
৮. রোবোটিকস এবং অটোমেশন
পোশাক কারখানায় রোবট শ্রম খরচ কমাতে পারে এবং ড্রোন কৃষকদের ফসল পর্যবেক্ষণে সহায়তা করতে পারে। টাইগারআইটি এবং ব্রেইন স্টেশন-২৩-এর মতো স্থানীয় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো ইতোমধ্যেই এ ক্ষেত্রে কাজ করছে।
৯. মেডটেক এবং টেলিমেডিসিন
পোর্টেবল আল্ট্রাসাউন্ড মেশিনের মতো সাশ্রয়ী মূল্যের এআইভিত্তিক ডিভাইস গ্রামীণ এলাকায় মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা আনতে পারে। ডক্টোরোলা এবং প্রাভা হেলথের মতো কোম্পানিগুলো এ বিষয়ে কাজ রছে। সফটব্যাংক বা গেটস ফাউন্ডেশনের মতো প্রধান বিনিয়োগকারীরা এই খাতকে সমর্থন করতে পারে।
১০. মহাসাগর অর্থনীতি (নীল অর্থনীতি)
গভীর সমুদ্রসম্পদ এবং সামুদ্রিক জৈবপ্রযুক্তি (যেমন প্রবাল থেকে ক্যানসারপ্রতিরোধী ওষুধ) অন্বেষণ ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারে।
সরকারের করণীয় বা বিবেচ্য বিষয়
এই প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন করার জন্য, সরকারের উচিত-
-একটি জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতি তৈরি করা।
-উচ্চপ্রযুক্তির কোম্পানিগুলোকে করছাড় দেওয়া।
-উচ্চপ্রযুক্তির পার্ক এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (SEZ) তৈরি করা।
-প্রযুক্তির জন্য তাইওয়ান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলোর সঙ্গে অংশীদারত্ব করা।
-২০২৭ সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানির যানবাহনগুলো নিষিদ্ধ করা।
-দেশব্যাপী সৌর চার্জিং স্টেশন স্থাপন করা।
-একটি নিয়ন্ত্রিত পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের (স্যান্ডবক্স) মাধ্যমে ফিনটেককে সমর্থন করা।
-২০২৬ সালের মধ্যে ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধকরণ এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
এই প্রচেষ্টাগুলো দ্রুত, ন্যায্য এবং দুর্নীতিমুক্ত হওয়া দরকার। উদ্ভাবন প্রযুক্তি-বুদ্ধিমান নেতাদের দ্বারা পরিচালিত হওয়া উচিতÑ লাল ফিতার বন্ধনে ধীর হয়ে যাওয়া নয় ।
যদি চলমান সংস্কার অব্যাহত থাকে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার উন্নতি হয় এবং বিনিয়োগ প্রবাহ সচল থাকে, তাহলে বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে একটি প্রযুক্তিগত শক্তিধর দেশ এবং এশিয়ার একটি প্রযুক্তিগত অংশীদার হয়ে উঠতে পারে। তবে রাজনীতির পটপরিবর্তন হলে বা বিশ্ব অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়লে অগ্রগতি থমকে যেতে পারে।
লেখক : প্রকৌশলী, গবেষক ও অধ্যাপক
এই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান উপমহাদেশে দুটি নাম বোধ করি স্বাধীনতাকামী প্রতিটি মানুষের কাছে সবচেয়ে ঘৃণিত। এর একটি নামের মানুষের লোভ ও বিশ্বাসঘাতকতায় আঠারো শতকে বাংলা-বিহার-ওড়িশার স্বাধীনতা সাত সমুদ্র তেরো নদীর পার থেকে আসা ব্রিটিশ বেনিয়াদের করতলগত হয়।
১৪ ঘণ্টা আগেগণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে পরাজিত হয়ে গণহত্যাকারী শেখ হাসিনা ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা পালিয়ে যাওয়ার পর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বরেণ্য ব্যক্তি বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী ব্যক্তি ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ১/১১-খ্যাত বিশেষ সরকারের দুই বছর এবং শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের
১৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের বর্ষা বিপ্লব ফ্যাসিবাদবিরোধী এক ঐতিহাসিক জাতীয় ঐক্যের সুযোগ সৃষ্টি করেছিল। সহস্রাধিক তরুণ ছাত্র-জনতার শাহাদতের বিনিময়ে আমরা ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় হেজেমনির মিলিত জোয়াল থেকে স্বদেশভূমিকে মুক্ত করতে পেরেছিলাম। জনগণের প্রত্যাশা ছিল, প্রফেসর ইউনূসের নেতৃত্বে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব পক্ষের সমন্বয়ে গঠিত
১৫ ঘণ্টা আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর এখন বছর অতিক্রান্ত হয়নি। এর মধ্যে ফ্যাসিবাদের সফট পাওয়ারগুলো সরব হয়ে উঠেছে।
২ দিন আগে