জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপা’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল বুধবার। ২০১৭ সালের এই দিনে ঢাকার আসাদগেটে নিজ বাসভবনে মারা যান তিনি। ১৯৬৯ গণঅভ্যুত্থানের ছাত্রনেতা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন শফিউল আলম প্রধান।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার শফিউল আলম প্রধানের সংগ্রামী জীবনের চিত্র প্রদর্শনী ও স্মরণ সভার আয়োজন করেছে জাগপা। বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাব অডিটোরিয়াম হলে এ স্মরণ সভা চলবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাগপা সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান।
শফিউল আলম প্রধানের জন্ম ১৯৪৯ সালের ১ জানুয়ারি পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় টোকরাভাষা গ্রামের প্রধান পাড়ায়। তার বাবা মৌলভী গমির উদ্দিন প্রধান অবিভক্ত পাকিস্তান মুসলিম লীগের সভাপতি এবং পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের স্পিকার ছিলেন। শফিউল আলমের শিক্ষা জীবন কেটেছে সিদ্ধেশ্বরী উচ্চ বিদ্যালয়, বোরহান উদ্দিন কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কলেজ ছাত্র সংসদের সতন্ত্র জিএস এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সলিমুল্লাহ হলের নির্বাচিত ভিপি ছিলেন তিনি।
২৩ মার্চ ১৯৭১ সালে দিনাজপুর কোতয়ালি থানায় পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে, পরাধীন বাংলার দিনাজপুরে স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলন করেন তিনি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক, সাংঠনিক সম্পাদক এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৮০ সালের ৬ এপ্রিল ঢাকার রমনা গ্রীন চত্বরে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি - (জাগপা) প্রতিষ্ঠা করেন শফিউল আলম প্রধান। জাগপা’র ব্যানারে দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা ও বেরুবাড়ী লংমার্চ, দিনাজপুরে ইয়াসমিন হত্যা, ভারতীয় অপসংস্কৃতি বিরোধী, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে, টিপাইমুখ বাঁধ বিরোধী আন্দোলন করেন তিনি। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকায় সভা সমাবেশ নিষিদ্ধের প্রতিবাদে স্বেচ্ছায় কারাবরণ, ফেলানি হত্যাসহ সীমান্ত হত্যা বিরোধী আন্দোলন, পিলখানা গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনার বিচার ও শহীদ সেনা দিবসের দাবিতে আন্দোলন, ভারতকে ট্রানজিট দেওয়ার প্রতিবাদ এবং সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের অনুমতির প্রতিবাদে আন্দোলন করেন তিনি।

