Ad T1

উত্তরায় ঢাবির বাসে হামলার ঘটনায় ছাত্রদল, শিবির ও বাগছাসের প্রতিবাদ

প্রতিনিধি, ঢাবি
প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ২৩: ০১

রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের পরিবহনকারী 'ক্ষণিকা' বাসে ব্যাপক ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) ঢাবি শাখা।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংগঠনের নিজস্ব নোটপ্যাডে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করে সংগঠনগুলো। এতে দোষীদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি জোর দাবি জানান।

ঢাবি ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মল্লিক ওয়াসি উদ্দিন তামী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে প্রতিদিন নিরাপদে ক্যাম্পাসে যাতায়াত করার চেষ্টা করে, তখন এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা শুধু শিক্ষার পরিবেশকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে না, বরং সার্বিকভাবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির দিকেও ইঙ্গিত করে।

বিগত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের নানান এলাকায় বারংবার ভিন্ন ভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। আর এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বহীনতা ও নিষ্ক্রিয়তা অত্যন্ত হতাশাজনক।

উক্ত ঘটনায় ঢাবি ছাত্রদল সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস এবং সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা প্রকাশের পাশাপাশি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তৎপর হবার আহ্বান জানান।

এদিকে ঢাবি ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক মু. সাজ্জাদ হোসাইন খাঁন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে শিবিরের ঢাবি শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ এবং সেক্রেটারি মহিউদ্দিন খান এই বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একইসাথে আহত শিক্ষার্থীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।

এছাড়াও নেতৃবৃন্দ দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসার সম্পূর্ণ দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে গ্রহণ করার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) ঢাবি শাখার মুখপাত্র রাফিয়া রেহনুমা হৃদি স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে দ্রুততম তদন্তের ভিত্তিতে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়ে বলা হয়, একটি কুচক্রী মহল জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের অভূতপূর্ব ঐক্যে ফাটল সৃষ্টির ঘৃণ্য পরিকল্পনার অংশ হিসেবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী রেজিমেও শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনৈক্যের বীজ বপনের এমন চেষ্টা আমরা দেখেছি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, নতুন বাংলাদেশে এমন যেকোনো কূটচাল ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।

এর আগে রাজধানীর উত্তরার আজমপুর নামক স্থানে মঙ্গলবার দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে ক্ষণিকা বাসটিতে ব্যাপক ভাঙচুর ও বাসটিতে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর বাঁশ দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় দুর্বৃত্তকারীরা। এতে বাসের চালকসহ ৮-১০ জন শিক্ষার্থী আহত হন।

কয়েকটি ভিডিও ফুজেট ও বাসটিতে থাকা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, হামলাকারীরা বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী। হামলায় আহত শিক্ষার্থীরা অনেকেই ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত