ইকরামুল ইসলাম
আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার হাতে আমার প্রাণ, তার শপথ! আমার ইচ্ছা হয়, জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে আদেশ দিই, অতঃপর নামাজ আদায়ের আদেশ দিই, তারপর নামাজের আজান দেওয়া হলে এক ব্যক্তিকে লোকদের ইমামতি করার নির্দেশ দিই। অতঃপর আমি (ওই) লোকদের কাছে যাই এবং তাদের (যারা নামাজে শামিল হয়নি) ঘর জ্বালিয়ে দিই...।’ (মুসলিম : ৬৫১)
আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘লোকেরা যদি জানত, আজান দেওয়া ও নামাজের প্রথম সারিতে দাঁড়ানোর কী মাহাত্ম্য আছে, অতঃপর (তাতে অংশগ্রহণের জন্য) যদি লটারি ছাড়া অন্য কোনো উপায় না পেত, তবে তারা অবশ্যই সে ক্ষেত্রে লটারির সাহায্য নিত।’ (বোখারি : ৬১৫)
নামাজ যেমন মুমিনের দেহ-মনে প্রশান্তি ও পবিত্রতার পরশ বুলিয়ে চোখের শীতলতা এনে দেয়, তেমনি অন্যায়-অশ্লীলতা থেকে বিরত রেখে নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন ও সুশৃঙ্খল জীবনের বার্তা দেয়।
মর্যাদা বৃদ্ধি ও গোনাহ মাফের সুযোগ
মহান আল্লাহ নামাজের মধ্যে বান্দার জন্য অতীত গোনাহ মাফ, সাওয়াব অর্জন ও মর্যাদা বৃদ্ধির অবারিত সুযোগ রেখে দিয়েছেন। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, “আমি কি তোমাদের এমন বস্তুর সন্ধান দেব না, যা দ্বারা আল্লাহ তায়ালা গোনাহসমূহ ক্ষমা এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন? তা হলো, কষ্টকর অবস্থায়ও পূর্ণরূপে অজু করা, মসজিদের দিকে অধিক পদচারণা এবং এক নামাজের পর অন্য নামাজের অপেক্ষা করা। এটাই ‘রিবাত’ (এতে ইসলামি রাষ্ট্রের সীমানা পাহারা দেওয়ার ন্যায় সাওয়াব রয়েছে।) এ কথা (তিনি) তিনবার বলেন।” (মুসলিম : ২৫১)
২৫ থেকে ২৭ গুণ সাওয়াব বেশি
আল্লাহ তায়ালা নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর মাধ্যমে যে কয়েকটি বিষয়ে অন্যান্য জাতির ওপর এই উম্মতের শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন, তার মধ্যে অন্যতম—‘পৃথিবীর সমস্ত পবিত্র জমিন এই উম্মতের জন্য মসজিদতুল্য করেছেন।’ অর্থাৎ মুসলমান কোনো পবিত্র স্থানে নামাজ আদায় করলে বাহ্যত তার নামাজ আদায় হয়ে যাবে। তবে নিজ বাড়ি, দোকান অথবা অন্য কোথাও একাকী নামাজের তুলনায় ইমামের সঙ্গে জামাতে নামাজ আদায়কারীর জন্য অধিক সাওয়াবের ঘোষণা এসেছে। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘একাকী নামাজ আদায়ের চেয়ে ইমামের সঙ্গে জামাতে নামাজ আদায়ের ফজিলত ২৫ গুণ বেশি।’ (বোখারি : ৬৪৬)
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বর্ণিত আরেক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘জামাতে নামাজ আদায়ের ফজিলত একাকী নামাজ অপেক্ষা ২৭ গুণ বেশি।’ (মুসলিম : ৬৫০)
আরশের ছায়ায় আশ্রয়ের সুযোগ
সাধারণত মসজিদে ইমামের পেছনে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায়ের কারণে মসজিদের সঙ্গে ব্যক্তির আলাদা একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে; এক নামাজ শেষে পরবর্তী আজান-নামাজের অপেক্ষায় থাকে, আজান হলে শত ব্যস্ততা ফেলে কালবিলম্ব না করে মসজিদে এসে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করে। এমন ব্যক্তি সম্পর্কে আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত এক হাদিসে নবীজি (সা.) বলেন, ‘যেদিন আল্লাহর (আরশদের) ছায়া ব্যতীত কোনো ছায়া থাকবে না, সেদিন আল্লাহ তায়ালা সাত শ্রেণির মানুষকে সেই ছায়ায় আশ্রয় দেবেন।... ওই ব্যক্তি যার অন্তরের সম্পর্ক সর্বদা মসজিদের সঙ্গে লেগে থাকে...।’ (বোখারি : ১৪২৩)
নেফাকি ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির নিশ্চয়তা
কোনো মুসলমানের জন্য শোভনীয় নয় যে, সে শয়তানের অনুসরণ করবে, জাহান্নামের পথে হাঁটবে এবং কথাবার্তা ও আচার-আচরণে দ্বিচারিতা প্রকাশ করবে। যথাসময়ে নামাজ আদায় ব্যক্তিকে নেফাকি (দ্বিচারিতা) ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির নিশ্চয়তা দেয়। আনাস ইবনে মালেক (রা.) বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য ৪০ দিন জামাতের সঙ্গে তাকবিরে উলাসহ নামাজ আদায় করবে, তার জন্য দুটি মুক্তির নিশ্চয়তা লেখা হয়—একটি হলো জাহান্নাম থেকে, আর অন্যটি নেফাকি থেকে মুক্তি।’ (তিরমিজি : ২৪১)
সামাজিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে দেয় জামাতে নামাজ
এ ছাড়া সামাজিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে জামাতে নামাজ আদায়ের ভূমিকা অপরিসীম। নিয়মিত নামাজিদের দৈনিক পাঁচবার দেখা-সাক্ষাৎ ও খোঁজ-খবর নেওয়ার সুযোগ হয়। পারস্পরিক একতা ও সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে ওঠে এবং সাম্য ও বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ হয়। প্রবল ঝড় ও মুষলধারে বৃষ্টি হলে, প্রচণ্ড ঠান্ডায় বের হলে, অসুস্থ হওয়া বা রোগ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে, রোগীর সেবায় নিয়োজিত থাকলে, সম্পদ নষ্ট হওয়া বা গাড়ি ছেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে জামাতে শরিক না হয়ে একাকী নামাজ আদায়ের অবকাশ রয়েছে।
আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার হাতে আমার প্রাণ, তার শপথ! আমার ইচ্ছা হয়, জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে আদেশ দিই, অতঃপর নামাজ আদায়ের আদেশ দিই, তারপর নামাজের আজান দেওয়া হলে এক ব্যক্তিকে লোকদের ইমামতি করার নির্দেশ দিই। অতঃপর আমি (ওই) লোকদের কাছে যাই এবং তাদের (যারা নামাজে শামিল হয়নি) ঘর জ্বালিয়ে দিই...।’ (মুসলিম : ৬৫১)
আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘লোকেরা যদি জানত, আজান দেওয়া ও নামাজের প্রথম সারিতে দাঁড়ানোর কী মাহাত্ম্য আছে, অতঃপর (তাতে অংশগ্রহণের জন্য) যদি লটারি ছাড়া অন্য কোনো উপায় না পেত, তবে তারা অবশ্যই সে ক্ষেত্রে লটারির সাহায্য নিত।’ (বোখারি : ৬১৫)
নামাজ যেমন মুমিনের দেহ-মনে প্রশান্তি ও পবিত্রতার পরশ বুলিয়ে চোখের শীতলতা এনে দেয়, তেমনি অন্যায়-অশ্লীলতা থেকে বিরত রেখে নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন ও সুশৃঙ্খল জীবনের বার্তা দেয়।
মর্যাদা বৃদ্ধি ও গোনাহ মাফের সুযোগ
মহান আল্লাহ নামাজের মধ্যে বান্দার জন্য অতীত গোনাহ মাফ, সাওয়াব অর্জন ও মর্যাদা বৃদ্ধির অবারিত সুযোগ রেখে দিয়েছেন। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, “আমি কি তোমাদের এমন বস্তুর সন্ধান দেব না, যা দ্বারা আল্লাহ তায়ালা গোনাহসমূহ ক্ষমা এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন? তা হলো, কষ্টকর অবস্থায়ও পূর্ণরূপে অজু করা, মসজিদের দিকে অধিক পদচারণা এবং এক নামাজের পর অন্য নামাজের অপেক্ষা করা। এটাই ‘রিবাত’ (এতে ইসলামি রাষ্ট্রের সীমানা পাহারা দেওয়ার ন্যায় সাওয়াব রয়েছে।) এ কথা (তিনি) তিনবার বলেন।” (মুসলিম : ২৫১)
২৫ থেকে ২৭ গুণ সাওয়াব বেশি
আল্লাহ তায়ালা নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর মাধ্যমে যে কয়েকটি বিষয়ে অন্যান্য জাতির ওপর এই উম্মতের শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন, তার মধ্যে অন্যতম—‘পৃথিবীর সমস্ত পবিত্র জমিন এই উম্মতের জন্য মসজিদতুল্য করেছেন।’ অর্থাৎ মুসলমান কোনো পবিত্র স্থানে নামাজ আদায় করলে বাহ্যত তার নামাজ আদায় হয়ে যাবে। তবে নিজ বাড়ি, দোকান অথবা অন্য কোথাও একাকী নামাজের তুলনায় ইমামের সঙ্গে জামাতে নামাজ আদায়কারীর জন্য অধিক সাওয়াবের ঘোষণা এসেছে। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘একাকী নামাজ আদায়ের চেয়ে ইমামের সঙ্গে জামাতে নামাজ আদায়ের ফজিলত ২৫ গুণ বেশি।’ (বোখারি : ৬৪৬)
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বর্ণিত আরেক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘জামাতে নামাজ আদায়ের ফজিলত একাকী নামাজ অপেক্ষা ২৭ গুণ বেশি।’ (মুসলিম : ৬৫০)
আরশের ছায়ায় আশ্রয়ের সুযোগ
সাধারণত মসজিদে ইমামের পেছনে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায়ের কারণে মসজিদের সঙ্গে ব্যক্তির আলাদা একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে; এক নামাজ শেষে পরবর্তী আজান-নামাজের অপেক্ষায় থাকে, আজান হলে শত ব্যস্ততা ফেলে কালবিলম্ব না করে মসজিদে এসে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করে। এমন ব্যক্তি সম্পর্কে আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত এক হাদিসে নবীজি (সা.) বলেন, ‘যেদিন আল্লাহর (আরশদের) ছায়া ব্যতীত কোনো ছায়া থাকবে না, সেদিন আল্লাহ তায়ালা সাত শ্রেণির মানুষকে সেই ছায়ায় আশ্রয় দেবেন।... ওই ব্যক্তি যার অন্তরের সম্পর্ক সর্বদা মসজিদের সঙ্গে লেগে থাকে...।’ (বোখারি : ১৪২৩)
নেফাকি ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির নিশ্চয়তা
কোনো মুসলমানের জন্য শোভনীয় নয় যে, সে শয়তানের অনুসরণ করবে, জাহান্নামের পথে হাঁটবে এবং কথাবার্তা ও আচার-আচরণে দ্বিচারিতা প্রকাশ করবে। যথাসময়ে নামাজ আদায় ব্যক্তিকে নেফাকি (দ্বিচারিতা) ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির নিশ্চয়তা দেয়। আনাস ইবনে মালেক (রা.) বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য ৪০ দিন জামাতের সঙ্গে তাকবিরে উলাসহ নামাজ আদায় করবে, তার জন্য দুটি মুক্তির নিশ্চয়তা লেখা হয়—একটি হলো জাহান্নাম থেকে, আর অন্যটি নেফাকি থেকে মুক্তি।’ (তিরমিজি : ২৪১)
সামাজিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে দেয় জামাতে নামাজ
এ ছাড়া সামাজিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে জামাতে নামাজ আদায়ের ভূমিকা অপরিসীম। নিয়মিত নামাজিদের দৈনিক পাঁচবার দেখা-সাক্ষাৎ ও খোঁজ-খবর নেওয়ার সুযোগ হয়। পারস্পরিক একতা ও সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে ওঠে এবং সাম্য ও বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ হয়। প্রবল ঝড় ও মুষলধারে বৃষ্টি হলে, প্রচণ্ড ঠান্ডায় বের হলে, অসুস্থ হওয়া বা রোগ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে, রোগীর সেবায় নিয়োজিত থাকলে, সম্পদ নষ্ট হওয়া বা গাড়ি ছেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে জামাতে শরিক না হয়ে একাকী নামাজ আদায়ের অবকাশ রয়েছে।
মক্কার মসজিদুল হারামের অন্যতম পবিত্র স্থান হাতিম। কাবার মূল কাঠামোর অংশ হিসেবে বিবেচিত এ স্থানটি মুসল্লিদের জন্য অত্যন্ত সম্মানিত ও নামাজ আদায়ের আকাঙ্ক্ষিত জায়গা। এখানে শৃঙ্খলাপূর্ণ উপায়ে ইবাদত নিশ্চিত করতে পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্য আলাদা সময় নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ।
১ দিন আগেখাদ্যগ্রহণ যেমন ক্ষুধা মেটানোর জন্য অপরিহার্য, প্রাত্যহিক জীবনের অংশ হিসেবে খাদ্যগ্রহণের ক্ষেত্রে উত্তম সংস্কৃতি ও শিষ্টাচার অনুসরণ করাও গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ যা খায়, যেভাবে খায়—তা তার চরিত্র, নীতি ও রুচির পরিচয় বহন করে। তাই ইসলাম আমাদের খাওয়ার উত্তম সংস্কৃতি ও শিষ্টাচার শিখিয়েছে।
২ দিন আগেসম্প্রতি ইসলামি আলোচক আমীর হামজা আল্লাহর রাসুল (সা.)–কে ‘সাংবাদিক’ বলেছেন। তিনি যুক্তি দিয়েছেন, যেহেতু নবী (সা.) ছিলেন আল্লাহর বার্তাবাহক, তাই রূপক অর্থে তাঁকে সাংবাদিক বলা যেতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এই তুলনা ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বিভ্রান্তিকর এবং রাসুলের মর্যাদার পরিপন্থী।
৬ দিন আগেআমাদের সমাজে বেশ পরিচিত দুটি শব্দ হলো অলি-আওলিয়া। বাঙালি মুসলমান সমাজে সাধারণত মুসলমানদের একটি বিশেষ শ্রেণিকে অলি-আওলিয়া মনে করা হয়। অলি-আওলিয়াদের বিশেষ মর্যাদা ও ক্ষমতা আছে এমন বিশ্বাসও সাধারণ মুসলমানদের রয়েছে।
৬ দিন আগে