প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দিয়েছিলেন সেঞ্চুরির আভাস। কিন্তু জাদুকরী তিন অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি মিচেল মার্শ। ৮৫ রানেই থামতে হয়েছিল তারকা এ ওপেনারকে। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় ৯* রানেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে মার্শকে। তবে আর অপেক্ষায় থাকতে হয়নি।
আজ মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে পেয়ে গেছেন বহুল আকাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরি। তার বর্ণিল আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম শতক এটি। মার্শের ১০৩* রানের হার না মানা ইনিংসের ওপর ভর করে ১৫৭ রানের টার্গেট ১২ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। মার্শের দল স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে ৩ উইকেট। এ নিয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতল অজিরা।
বে ওভালে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রানের পুঁজি গড়ে নিউজিল্যান্ড। শুরুটা ভালো না হলেও লড়াই করে গেছেন কিউই ব্যাটসম্যানরা। তবে ঝলক দেখিয়ে দুই রানের জন্য ফিফটি আদায় করতে পারেননি টিম সেইফার্ট। তারকা এ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরেন ৪৮ রান নিয়ে। ক্যাপ্টেন মাইকেল ব্রেসওয়েল ২৬ আর জেমস নিশাম এনে দেন ২৫ রান।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১০৩* রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে অপরাজিত থেকে যান মার্শ। ক্রিজের একপ্রান্ত আগলে একাই ব্যাট হাতে লড়াই করে গেছেন এ অজি ক্যাপ্টেন। ৫২ বলের দুরন্ত ইনিংসটি সাজান ৮ বাউন্ডারি ও ৭ ছক্কায়। বাকি ব্যাটসম্যানরা সুবিধা করতে না পারলেও সমস্যা হয়নি। শন অ্যাবটকে (১৩*) সঙ্গে নিয়ে দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন। অন্যদের মধ্যে দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন কেবল মিচেল ওয়েন (১৪)। অন্যরা আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দিয়ে সন্তুষ্ট থেকে যান সিঙ্গেল ডিজিটে। নিউজিল্যান্ডের জার্সিতে জেমস নিশাম ২৬ রান দিয়ে শিকার করেছেন ৪ উইকেট। আর ২ উইকেট পেয়েছেন জ্যাকব ডাফি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড: ১৫৬/৯, ২০ ওভার (সেইফার্ট ৪৮, ব্রেসওয়েল ২৬, নিশাম ২৫; অ্যাবট ৩/২৫, বার্টলেট ২/২৫ ও হ্যাজলউড ২/২৬)।
অস্ট্রেলিয়া: ১৬০/৭, ১৮ ওভার (মার্শ ১০৩*, ওয়েন ১৪, অ্যাবট ১৩*; নিশাম ৪/২৬ ও ডাফি ২/২৯)।
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৩ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ অস্ট্রেলিয়া ২-০ ব্যবধানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: মিচেল মার্শ।
সিরিজ সেরা: মিচেল মার্শ।

